রাতে ঘুরাঘুরির কিছু মুহূর্ত ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ)
আজ - ১০ ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বসন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- রাতে ঘুরাঘুরির মুহূর্ত
- আজ ১০ম বসন্তকাল, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
চলুন শুরু করা যাক
শুভ বিকেল সবাইকে....!!
আচ্ছা ঘুরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে আপনারাই বলুন...!!
আর সেই ঘুরাঘুরি টা যদি রাতে হয় তাহলে কেমন হয় ব্যাপারটা একবার ভেবে দেখুন। নিশ্চয়ই আপনারা এতক্ষণে ব্যাপারটা কিছু হলেও বুঝতে পেরেছেন যে রাতে ঘোরাঘুরি করতে খুবই মজা লাগে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। শহরাঞ্চলে কখনোই যেন রাত নেমে আসে না সব সময় দিনের মতোই চারদিকে আলোকিত হয়ে থাকে। আর এই সময়টাতে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে একটি আলাদা রকম মজা আছে। যারা রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করেন বা ঘুরাঘুরি করেছেন তারা হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিক এইরকমই আমরা কয়েকজন রাতের বেলা ঘুরাঘুরি করেছিলাম।
ক্যামেরাঃ-Realme 6i
যদিও ঘুরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হইনি, এইতো কিছুদিন আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে গিয়ে শুনতে পাই যে কোন এক পরিচিত লোকের রক্ত দিতে হবে। তাই আমরা কয়েকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রক্ত দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করব। যেই ভাবা সেই কাজ, আমরা অতি দ্রুত বাজার থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং বাসায় গিয়ে গোসল খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হই কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রক্ত দেওয়ার জন্য। আমরা প্রায় তিনটার সময় হসপিটালে পৌঁছেছিলাম। অনেকটা সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম। তারপরে রক্ত দিয়ে আমরা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে শহরের দিকে একটু রওনা করলাম। যেহেতু অনেকদিন কুষ্টিয়া শহরে আসা হয়না তাই ভাবলাম যেহেতু অনেকদিন পরে এসেছি সে তো রাতে একটু সময় কাটাবো। যেমন ভাবা ঠিক তেমনি কাজ আমরা ক'জন ঘুরাঘুরির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। কারণ এর আগেও আমরা এরকম ভাবে রাতের বেলা শহরে ঘুরাঘুরি করেছিলাম। আমি তো আপনাদের প্রথমেই বলেছি যারা একবার শহরে রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করেছে তারা যদি সেই রকম আরেকটি সুযোগ পেয়ে যায় রাতে ঘুরাঘুরির জন্য তাহলে সেই সুযোগ তারা কখনোই নষ্ট করবে না। আমরাও যেহেতু এরকম একটি সুযোগ পেয়েছিলাম সে তো আমরা এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।
দিনটি ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর আগের রাত। যেহেতু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছিল, চারিদিকে কেমন যেন একটা রমরমা ভাব। আমরা প্রথমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে কুষ্টিয়া ডিসি কোড এ যাব। কারণ এর আগে আমরা অনেকবার শুনেছি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেখানে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয় । কিন্তু কখনো যাওয়া আজ যেহেতু একটি সুযোগ এসেছে দেখার জন্য তাই আমরা মোটরসাইকেল চালিয়ে অতি শীঘ্রই চলে যাই ডিসি কোড এ। সত্যিই আমরা সেখানে যেয়ে রীতিমত মুগ্ধ হয়েছিলাম। কারণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ করে সেখানে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। রং বে রঙের লাইট ব্যবহার করে চারিদিকে আলোকিত করা হয়েছে। কি অপরূপ সেই দৃশ্য সত্যিই আমি রীতিমত মুগ্ধ হয়েছিলাম এরকম দৃশ্য দেখে। বিশেষ করে শহীদ মিনারটি অসম্ভব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল সেই সাথে চারিদিকের লাইটিং সিস্টেম গুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর মনে হয়েছিল।এখন আমি আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব আশা করছি আপনাদের সবার খুবই ভালো লাগবে
এই চিত্রটি হচ্ছে ডিসি কোড প্রবেশ পথ এর চিত্র। কেউ যদি সেখানে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে প্রথমে এই পথ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই পথে অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে যা দিয়ে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেহেতু তখন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই প্রবেশ পথে তেমন মানুষ ছিল না
প্রবেশ পথ দিয়ে সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন এরকম একটি ইহা বড় দীঘি। এই বড়দিঘির বাম পাশ দিয়েই ছোট্ট একটি রাস্তা আছে রাস্তা ধরে সামনের দিকে এগোলেন দেখতে পাবেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
ছবিঃ-খুব কাছ থেকে শহীদ মিনার
ক্যামেরাঃ-Realme 6i
প্রবেশপথ থেকে শহীদ মিনারটি দেখতে যতটা সুন্দর দেখাচ্ছিল তার থেকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল যখন শহীদ মিনারের কাছে গিয়েছিলাম। যদিও এরকমভাবে রাতের বেলা কখনো শহীদ মিনারে যাওয়া হয়নি ।তবে এবার রাতের বেলা শহীদ মিনার দেখে খুবই ভাল লেগেছিল। শহীদ মিনারের চারিদিকে অনেক চমৎকার ভাবে রংবেরঙের লাইট দেওয়ার কারনে এটি দেখতে কতটা সুন্দর দেখাচ্ছিল সেটা আমি আপনাদের হয়তো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের এই স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতার স্মরণে আমরা শহীদ দের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি প্রতিবছরের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে। শহীদের প্রতি সম্মান রেখেই আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি ফুল দিয়ে তাদেরকে সম্মান দেখাই। যাইহোক আমরা সবাই শহীদ মিনারের কাছাকাছি গিয়ে দুচোখ জুড়িয়ে শহীদ একটি পর্যবেক্ষণ করি। আমরা সেখানে অনেকটা সময় অতিবাহিত করছিলাম। সেখানে আমরা অনেক মানুষ দেখেছিলাম যদিও তখন অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আমাদের মতোই অনেক মানুষ সেখানে এসেছিল শহীদ মিনার দেখার জন্য। এ যেন এক রঙের মেলা বসেছে। চমৎকার একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেই সময়টাতে।
যেহেতু আমরা দুপুরের সময় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম, তাই আমরা অনেকটা সময়ই বাসার বাইরে ছিলাম যার কারণে আব্বু আম্মু অনেকবার ফোন দিচ্ছিল বাসায় ফেরার জন্য। আমরা অনেকটা সময় সেখানে ঘোরাঘুরি করার পরে মন স্থির করলাম যে এখন আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করব।
ক্যামেরাঃ-Realme 6i
যেহেতু অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল তাই রাস্তাঘাটে তেমন মানুষজন ছিলনা। মাঝে মাঝে দু একটা গাড়ি দেখা যাচ্ছিল মাত্র। তারপরেও আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমরা প্রায় 30 থেকে 40 মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছে যাই, বাসায় পৌঁছানোর পর আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ফোনে একটা রিং বেজে উঠল। কথাটা ছিল এমন চাঁদনী রাত বাইরে আসবি নাকি, একটু বাইরে আয় নদীর ধারে গিয়ে গল্প করিআমার আবার চাঁদনী রাতে নদীর ধারে বসে গল্প করতে খুবই ভালো লাগে। তাই নিজেকে আর রুমের মধ্যে বসিয়ে রাখতে পারলাম না ।শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে বের হয়ে যাই নদীর ধারে।
ছবি:-চাঁদনী রাত
ক্যামেরা:-Realme 6i
- অবস্থান:-
https://w3w.co/barges.buyouts.most
নদীর ধারে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। চারিদিকে চাঁদের আলোয় মুখরিত হয়ে উঠছিল। চাঁদের আলোয় এরকম বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে খুব মজা লাগে। আপনারা যারা চাঁদনী রাতে বন্ধুদের সঙ্গে এরকম আড্ডাতে মেতে উঠেছিলেন তারাই একমাত্র এই মুহূর্তটা অনুভব করতে পারবেন।
চাঁদনী রাতে নদীর ধারে বসে আমার শুধু বার বার একটি গানের কলি মনে আসছিল। সেই গানটি হচ্ছে
যাইহোক নদীর ধারে অনেকটা সময় অতিবাহিত করার পরে আমাদের চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। যেহেতু সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করেছি তাই ঘুম ধরাটা স্বাভাবিক। তারপরে আমরা সবাই একে অপরের থেকে বিদায় নিয়ে যার যার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
আজকের মত এখানেই আমার পোস্ট শেষ করছি। হয়তোবা আবার দেখা হবে কোন একটি নতুন পোস্টে,নতুন ভাবে,নতুন রূপে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর পরিবারের সাথেই থাকুন। প্রিয় মানুষকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন রাতের বেলা ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা।রাতের শহর নিরিবিলি এবং স্তব্ধ থাকে।রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অসম্ভব সুন্দর ভাবে প্রবন্ধাকারে তুলে এনেছেন। ছবি গুলো ছিল, বাছা, বাছা। সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ ভাই
খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন তো আপনি গল্পটি বেশ ভালো লাগলো আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমাদের সবারই ভালো লাগে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য
মন্তব্য প্রকাশ করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
রাতের বেলা খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপনি। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আসলে শহর অঞ্চলের রাতে ঘোরাফেরা করতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্যে
আসলে হঠাৎ করেই যে কোন কাজ করলে সেই কাজের অনুভূতি অন্যরকম হয়। কাজটা করতে অনেক আনন্দ ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে আপনার আবেগ ও অনুভূতি গুলো জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছেন, এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে, সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আবার আমাদের সাথেই শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন এই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য
রাতের বেলায় শহীদ মিনারে প্রবেশ করার মুহূর্ত টা দারুন ছিল তাছাড়াও দিঘি টা দেখলাম অনেক বড় এবং অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল , আপনি চমৎকারভাবে পোস্টটি সাজিয়ে-গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভবিষ্যতে এমন প্রশ্ন আপনার কাছে আরও প্রত্যাশা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই