আলু বেগুন এবং মুলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি [benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ১৫ অগ্রহায়ণ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি
- আজ ১৫ ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে.....!!
এখন শীতকাল ।শীতকাল মানেই যেন সবজির সমরাহ। বাজারে অনেক রকম সবজি দেখা যায় এ সময় আর এই অনেক রকম সবজির মধ্যে যেই সবজিটা সব থেকে বেশি দেখা যায় সেটা হচ্ছে মুলা। মুলা এই সবজিটা আমার কাছে যদিও আগে তেমন একটা ভালো লাগতো না কিন্তু বর্তমান সময়ে কেন জানি মুলার প্রতি এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। এর আগে অনেকবারই আলু এবং বেগুন দিয়ে বাটা মাছ রান্না করে খাওয়া হয়েছে কিন্তু এই দুটো সবজির সঙ্গে মুলা যোগ করে খুব কমই খাওয়া হয়েছে। যেহেতু আগে মুলা তেমন একটা পছন্দ করতাম না সেহেতু তেমন একটা খাওয়া হয়নি বললেই চলে। সেদিন হঠাৎ করে তিনটি সবজি একত্রে করে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি রান্না করেছিলাম। কখনোই ভাবেনি রেসিপিটি এতটা বেশি সুস্বাদু হবে। এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় লেগেছিল। যাই হোক অনেক কথাই বলে ফেললাম তাহলে চলুন এখন আপনাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপন করি।
- মরিচ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- ধুনের গুড়া
- হলুদের গুড়া
- তেল
- জিরা
সর্ব প্রথমে আলু বেগুন এবং মুলা এই তিনটি সবজি খুবই চমৎকার ভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। কেটে নেওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে এমন ভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেন সবজির সঙ্গে কোন প্রকার ময়লা লেগে না থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এরপরে একটি পরিষ্কার বাটিতে রেখে দিতে হবে কিছুটা সময় যাতে করে পানি নিংড়িয়ে যায়।
এরপরে করাই এর উপরে পেঁয়াজ এবং মরিচ ছিটিয়ে দিতে হবে এবং সামান্য পরিমাণ তেল দিতে হবে। তেল দেবার পরে কিছুটা সময় নাড়ানাড়ি করতে হবে যাতে করে মরিচ এবং পেঁয়াজ একত্রে মিশে যায়।
পেঁয়াজ এবং মরিচ নানা নারীর মাধ্যমে একত্রে মিশে গেলে সামান্য পরিমাণ লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে,তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে লবণ এর পরিমাণ যেন পরিমাণ মতো হয়।
পরিমাণ মতো লবণ ছিটিয়ে দেওয়ার পরে এবার পরিমাণ মতো হলুদের গোড়া ছিটিয়ে দিতে হবে ।তবে হলুদের গুড়া একটু বেশি দিতে হবে যাতে করে তরকারির রং কিছুটা ভালো হয়।
হলুদের গুড়া ছিটিয়ে দেওয়ার পরে এবার পরিমাপ মতো ধুনের গুড়া দিতে হবে। এতে করে তরকারি স্বাদ কিছুটা হলেও ভালো হবে বলে মনে করি।
প্রতিটি উপকরণ মিশিয়ে দেওয়ার পরে এবার একটি চামচ নিয়ে খুবই চমৎকারভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে। এমনভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ এর সাথে মরিচ এবং পেঁয়াজ খুবই চমৎকার ভাবে মিশে যায়। এভাবে কয়েক মিনিট নানানাড়ি করলে প্রতিটি উপকরণ একে অপরের সাথে মিশে যাবে।
যখন প্রতিটি উপকরণ একে অপরের সাথে মিশে যাবে তখন সেই উপকরণ গুলোর উপর আলু বেগুন এবং মুলা ছেড়ে দিতে হবে।
আলু বেগুন এবং মুলা ছেড়ে দেওয়ার পরে চামচ দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে নারানারি করতে হবে। ঠিক উপরের মতই এমনভাবে নাড়ালে করতে হবে যেন উপকরণের সাথে সবজিগুলো ভালোভাবে মিশে যায়। এভাবে কিছুটা সময়ে নানা নারীর প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে।
অনেকটা সময় নয় নারী করার পরে এবার কয়েক টুকরো সবজি উঠিয়ে নিয়ে এসে দেখতে হবে যে সবজিগুলো সেদ্ধ হয়েছে কিনা। তবে অবশ্যই এটা চেক করার আগে কিছুটা সময় নারানারি করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপ দিতে হবে।
সবজিগুলো যদি সিদ্ধ হয়ে যায় তাহলে আর অল্প কিছু সময় নাড়ানাড়ির প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে আর যদি সেদ্ধ না হয় তাহলে সামান্য পরিমাণ পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। পানি ছিটিয়ে দেওয়ার পরে তাপ দিতে হবে এবং একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে খুব শীঘ্রই সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে যায়। কিছু সময় এভাবে রেখে দিলে দেখা যাবে সবজিগুলো একদম পর্যাপ্ত পরিমাণে সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
যখন সবজিগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন পানি মিশিয়ে দিতে হবে যেহেতু জল রান্না হবে সেহেতু পানি একটু বেশি দিতে হবে।
এরপরে পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপ দিতে হবে। এই তাপের পরিমাণ অনেকটা সময় চলমান রাখতে হবে যাতে করে সবজিগুলো ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে যায় তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পানিতে বুদবুদের পরিমাণটা একটু বেশি থাকতে হবে। পানিতে বুদবুদের পরিমাণ বেশি থাকলে সবজিগুলো খুব শীঘ্রই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
এভাবে অনেকটা সময় চলতে থাকবে তারপরে একটা সময় যে সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেদ্ধ হয়ে গেলে, তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে যদি লবণ এবং ঝালের পরিমাণ ঠিক থাকে তাহলে সবজির উপরে বাটা মাছ ছিটিয়ে দিতে হবে। আর যদি লবণ এবং ঝালের পরিমাণ কম হয় তাহলে সামান্য পরিমাণ লবণ এবং ঝাল যোগ করতে হবে। মাছ ছিটিয়ে দেওয়ার পরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে প্রয়োজনে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কিছুটা সময় চুলার উপর রেখে দেওয়ার পরে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।
এইতো তৈরি হয়ে গেল আমার আলু বেগুন এবং মুলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি। এখন যেহেতু শীতের সময় আর শীতের সময় প্রচুর পরিমাণে মুলা পাওয়া যায় আলু বেগুনের সাথে মুলা খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেকদিন বাদে এ ধরনের রেসিপি খেলাম কারণ মেসে থাকা অবস্থায় এরকম রেসিপি তেমন একটা খাওয়া হয়ে ওঠেনা। মজাদার এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় লেগেছিল। আশা করছি আপনারা বাসায় এ ধরনের রেসিপি রান্না করবেন দেখবেন অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
| বিভাগ | মজাদার রেসিপি । |
|---|---|
| ডিভাইজ | Realme 6i |
| বিষয় | আলু,বেগুন ও মুলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি |
| কারিগর | @jibon47 |
| অবস্থান | সংযুক্তি |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
স্বল্প সংখ্যক সাপোর্ট করে প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আলু বেগুন ও মুলা দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। শীতকালে সবজি খেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে মাছের সাথে সবজি রান্না করলে খেতে বেশি মজা হয়। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা এই রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন মাছের সঙ্গে যদি সবজি রান্না করা হয় খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আর এ ধরনের রেসিপি পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই আছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন শীত কাল আর এই শীতকালের মধ্যে মুলা সব চেয়ে বেশি দেখা যায়। আলু বেগুন ও মুলা দিয়ে সুস্বাদু বাটা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। বাটা মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যদিও আমি আগে তেমন একটা মুলা খেতাম না কিন্তু বর্তমান সময়ে মুলা দিয়ে যদি মাছ রান্না করা হয় তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে যার কারণে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। বাটা মাছ আপনার কাছে অনেক বেশি পছন্দের জিনিস খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
আলু বেগুন এবং মূলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপিটি দারুণ হয়েছে। আমি মুলা এমনিতে রান্না করেছি কিন্তু কখনো সাথে বেগুন ব্যবহার করে রান্না করে দেখিনি ।খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা লেগেছে ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
মুলা দিয়ে আপনি বাটা মাছ রান্না করে খেয়েছেন কিন্তু বেগুন দিয়ে কখনোই খাননি যেহেতু আপনি বেগুন দিয়ে কখনো এরকম ভাবে খান নি, তাই আমি আপনাকে বলতে চাই খুব শীঘ্রই এই রেসিপিটি রান্না করে ফেলুন খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয়।
আলু এবং বেগুন দুইটাই আমার খুব পছন্দ। আর আপনি অনেক সুন্দর করে আলু বেগুন এবং মুলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। এটা দেখতে অসাধারণ লাগছে। আপনার রেসিপি কালার টা অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এভাবে আরও সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিবেন।
আলু এবং বেগুন রেসিপি আপনার কাছে অনেক বেশি পছন্দের এটা জেনে খুবই খুশি হলাম ব্যক্তিগতভাবে আমিও এই দুটি সবজি অনেক বেশি পছন্দ করি। চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আলু,বেগুন,মূলা দিয়ে বাটা মাছ খুব সুন্দর করে রান্না করে দেখিয়েছেন আপনি।রান্নার ধাপগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার।প্রতিটি ধাপ এর অসাধারণ উপস্থাপন ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্যে ভাইয়া।
আমি শুধুমাত্র চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে চমৎকারভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য যাতে করে আপনাদের বুঝতে খুবই সুবিধা হয়। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
বেগুন আলু দিয়ে বাটা মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।রেসিপির পরিবেশন যেমন সুন্দর হয়েছে দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর এবং দক্ষতার সাথে পরিবেশন করলেন ভালো লাগলো।
হ্যাঁ রেসিপিটি সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়েছিল আমরা সকলে মিলে খুবই চমৎকারভাবে রেসিপিটি পরিবেশন করেছিলাম। এ ধরনের রেসিপি পছন্দ করে না খুব কম মানুষই আছে।
আলু বেগুন ও মুলা দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। মাছ দিয়ে আলু বেগুন রান্না খেয়েছি। তবে সাথে মুলা দিয়ে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মুলাটা একটু কমই খাওয়া হয়। শীতের সবজি গুলো আসলে খেতে খুবই ভালো লাগে। বাটা মাছ ভাজি করে খাওয়া হয়েছে। সবজি দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি।
যদিও মুলা দিয়ে আমি এ ধরনের রেসিপি তেমন একটা বেশি খাইনি তবে কয়েকবার খেয়েছি সত্যি বলতে যে কয়বার খেয়েছি প্রত্যেকবারই অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছে। আপনি চাইলে বাসায় মুলা দিয়ে এ ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগবে বলে মনে করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।