"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ--৭৩//নাটক রিভিউ
আজ--০৪ জ্যৈষ্ঠ্য | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | গ্রীষ্মকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৭৩)
- আজ--০৪ষ্ঠাজ্যৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০১ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১০-ম নভেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৭৩ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৭৩ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, শাহনাজ খুশি এবং বাসার সাহেবের মেয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে মূলত আপনারা এর আগের পড়বে জানতে পেরেছেন যে শাহনাজ খুশির স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে। আরে কথা শুনে বাসার সাহেবের মেয়ে অনেকটাই কষ্ট পেয়েছে যার কারণে তার সঙ্গে কথা বলতে তার কাছে গিয়েছে। কোথায় আছে যে মানুষের রাগ যত বেশি সেই মানুষটার মন তত বেশি নরম। এ পর্যায়ে এসে বাসার সাহেবের মেয়ের অভিনয় দেখে সত্যিই রীতিমতো অবাক হয়েছি। একটা মেয়ের জন্য ডিভোর্স কতটা লজ্জার এবং কতটা কষ্টের সেটা এই অংশটুকু দেখলেই বোঝা যায়। শাহনাজ খুশি এতটাই কষ্ট পেয়েছে যে সে কাউকে কোন কিছু না বলে নিজের মধ্যেই সে কথাটা চেপে রেখেছিল কিন্তু কোন একভাবে সেটা এখন সকলের সামনেই চলে এসেছে। এদিকে বাসার সাহেবের মেয়ে তার কাছে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে এ ব্যাপারটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে বিপদের সময় যে পাশে থাকে সেই সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ আর এদিকে বাসার সাহেবের মেয়ের মধ্যে সেই সত্যিকারের মানসিকতা ফুটে উঠেছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের বোন হঠাৎ করেই মৌসুমী হামিদের ঘরে সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়। অনেকটা সকাল হয়ে যাবার পরেও যখন সে দরজা খুলছিল না যার কারণে সে সেখানে গিয়ে তাকে ডেকে তুলতে চায়। কিন্তু মৌসুমী হামিদ রুমের মধ্যে ছিল না আর এই ব্যাপারটা যখন বাসার সাহেবের বোন দেখতে পারে তখন সে সকলকে ডাকাডাকি শুরু করা। হঠাৎ করেই সেখানে চঞ্চল চৌধুরী এসে উপস্থিত হয়। এবং চঞ্চল চৌধুরী তার ফুপুকে এটা বলে ভয় দেখাতে শুরু করে যে তার ছোট মা হয়তো বা পুলিশের কাছে চলে গিয়েছে। আরে কথা শুনে বাসার সাহেবের বোন অনেকটাই ভয় পেয়ে যায়। এটা আসলে ভয় পাবারই কথা হঠাৎ করেই একটা মানুষ রুমের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে সে কোথায় গিয়েছে সেটা এখন পর্যন্ত কেউ জানে না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং তার ফুফু হঠাৎ করে এই বাসার সাহেবের কাছে গিয়ে হাজির হয় এবং চঞ্চল চৌধুরীর তার বাবার কাছে এটা জানতে চায় যে তার ছোট আম্মা কোথায় গিয়েছে। বাসার সাহেব তখন তাকে এটা জানায় যে তার প্রাণের ছোট আম্মা বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে আর এ কথা শুনেই চঞ্চল চৌধুরী রীতিমত অবাক হয় এবং তার বাবাকে দোষারোপ করতে থাকে যে তার বাবা সবকিছুই জানে তাদেরকে কিছুই বলছে না। এদিকে আবার চঞ্চল চৌধুরী তার বাবাকে এটা বলে ভয় দেখাচ্ছে যে সে হয়তো বা পুলিশের কাছে চলে গিয়েছে তার নামে অভিযোগ করতে। এবং সে যেন বাসা থেকে খুব দ্রুতই পালিয়ে যায় যাতে করে পুলিশ এসে তাকে ধরতে না করে কিন্তু এদিক থেকে বাসার সাহেব অনেকটাই চালাক চতুর এবং সাহসী। যার কারনে সে সোজা সজিব বলে দিয়েছে যে সে বাসা থেকে কোথাও যাবে না সে এখানেই থাকবে। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী অনেকটাই কাকুতি মিনতি করছে কিন্তু বাসার সাহেব সবসময়ই নিজের বুদ্ধিমত চলাচল করে। মূলত বাসার সাহেব কখনোই তার সন্তানদের কথার উপর নির্ভরশীল নয় তার মনের মধ্যে যখন যেটা উদয় হয় সে তখন সেটাই করে।
হঠাৎ করেই দেখা যায় যে নাদিয়া শাহনাজ খুশির বাসায় গিয়ে হাজির হয়েছে। এখন এলাকার সকলেই জেনে গিয়েছে যে শাহনাজ খুশির স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে যার কারণেই নাদিয়া তার কাছে এসেছে কিছুটা সান্তনা দেওয়ার জন্য। একটা মেয়ের কাছে ডিভোর্স যে কত বড় ভারী একটা বোঝা সেটা এই দৃশ্যটা লক্ষ্য করলে বোঝা যায়। যদিও এতদিন সাহানাজ খুশি এ ব্যাপারটা নিজের মধ্যে চেপে রেখেছিল কিন্তু এখন যেহেতু সবাই জেনে গিয়েছে যার কারণে সে আর কোনভাবেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না সব সময় শুধু কান্নাকাটি করেই যাচ্ছে। নিজেকে বোঝানোর মত তার কোন অবস্থা নেই তার একটা ছেলে সন্তান রয়েছে সেই ছেলে সন্তানটা ও তার বাবার কাছে রয়েছে। তার ছেলে সন্তানের জন্য সে অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু তার সন্তান তার কাছে দেওয়া হচ্ছে না। মূলত গ্রাম অঞ্চলের ডিভোর্স হলে যেটা আর কি হয় মেয়েটাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, আর তার সন্তানদেরকে তার কাছে যেতে দেওয়া হয় না এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। একটা মায়ের জন্য এটা খুবই কষ্টদায়ক একটা ব্যাপার তারপরও কিছু কিছু মানুষ আছে যে মানুষগুলো কখনোই অন্যের কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে না।
এদিকে যে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী বাসায় নেই এটা নিয়ে বাসার সাহেবের বাড়িতে বাসার সাহেবের বোন অনেকটাই চিন্তিত। যদিও তার চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে হঠাৎ করেই বাসার সাহেবের মেয়ে এসে হাজির হয় এবং তার কাছে এটা জানতে চাই যে বাসায় কি হয়েছে। তখন বাসার সাহেবের বোন তাকে পুরো ঘটনাটা বলে আর এ কথা শুনে বাসার সাহেবের মেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। সে এটাই ভাবতে থাকে যে হঠাৎ করে এই বাসর সাহেবের ছোট স্ত্রী কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় চলে গেল। এটা আসলেই ভাবার একটা বিষয় দেখা যাক পরবর্তী পর্বে দেখানো হয় কিনা বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী কোথায় গিয়েছে কার কাছে গিয়েছে।
এটাই ছিল আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৭৩ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ টি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৭৩ |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। পরিচালক সকাল আহমেদ এর বিখ্যাত নাটক পিতা বনাম পুত্রাঙ্গ। নাটকটি আমার ভীষণ পছন্দের এই নাটকটি বাস্তব ধর্মীয় নাটক। আগেকার বাবা মারা তার সন্তানকে বিয়ে দিতে চাইতো না ভাবোত বিয়ে করলেই মনে হয় সন্তান হাতছাড়া হয়ে যাবে এমন মনোভাব পোষণ করত কিন্তু পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে সন্তানের যে সমস্যা হতে পারে সেটা মাথায় আনতোনা ,আপনার সুন্দর একটি পোস্ট দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো , এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নাটকটা আপনি আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে রিভিউ করে দেখাচ্ছেন। বেশ ভালোলাগা সুন্দর এই নাটকের রিভিউ দেখে। আজকেও আমাদের মাঝে ৭৩ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক আমার এমনিতে অনেক বেশি পছন্দ ভাই। আমি প্রায় সময় নাটক দেখতাম তার। কিন্তু এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি। বিশেষ করে পর্ব নাটকগুলো আমি দেখার চেষ্টা করি না। কিন্তু আপনার এ নাটক রিভিউতে দেখে মনে হচ্ছে এটা অনেক সুন্দর একটি নাটক। ব্যস্ততা না থাকলে নাটকটি দেখব।