আলু,বেগুন এবং মুলা দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি-র রেসিপি ||🦊 ১০% বেনিফিশিয়ারি🦊 @shy-fox 🦊||
আজ - ৩০ অগ্রহায়ণ| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার| হেমন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি রেসিপি
- আজ ৩০শ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে.....!!
আপনাদের তো অনেক আগেই বলেছি মাছের জগৎ এ যত মাছ আছে তার মধ্যে ছোট ছোট মালা,ঢেলা মাছ এবং পাঙ্গাশ মাছ আমার অনেক প্রিয়। পাঙ্গাশ মাছ আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ভুনা করলে। ভুনা পাঙ্গাশ মাছ আমি অনেক বার খেয়েছি। তবে পাঙ্গাশ মাছ চচ্চড়ি কখনো খাওয়া হয় নি। তাই আজকে একটু ভিন্না স্বাদ নেওয়ার জন্য পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি রেসিপি টা রান্না করলাম। তো চলুন শুরু রান্নার প্রক্রিয়া শুরু করি।
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুড়া
- তেল
- লবণ
- মরিচের গুড়া
ধাপঃ-০১
সর্বপ্রথমে আলু,বেগুন এবং মুলা এই সবজি গুলো ভালোভাবে কেঁটে নিতে হবে। সেই সাথে সবজি গুলো সুন্দর ভাবে পরিস্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে দুই থেকে তিন বার পরিস্কার ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ-০২
এবার কড়াইটি চুলার উপর দিয়ে, সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও মরিচ ঢেলে দিতে হবে।
ধাপঃ-০৩
এবার পেঁয়াজ ও মরিচ, একটি চামচ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। নাড়াচাড়া এক পর্যায়ে যখন মরিচ ও পেঁয়াজ একটু লাল বর্ণ ধারন করবে ঠিক তখন...!!
ধাপঃ-০৪
আলু,বেগুন এবং মুলা এই সবজি গুলো উপকরণাদি উপর ঢেলে দিতে হবে। তারপরে চামচ দিয়ে নাড়ানাড়ি করতে হবে।
ধাপঃ-০৫
নাড়ানাড়ি করে যখন পেঁয়াজ ও মরিচ, আলু বেগুন ও মুলার সাথে মিশে যাবে, ঠিক তখন পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া দিতে হবে। হলুদের গুড়া দিলে তরকারিতে রং টা ভালো আসবে। দেখতেও সুন্দর দেখাবে।
ধাপঃ-০৬
হলুদের গুড়া ভালো ভাবে মিশে গেলে। তারপরে পরিমাণ মতো লবণ দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন লবণ এর পরিমাণ যেন ঠিক মতো হয়।
ধাপঃ-০৭
লবণ দেওয়া শেষ হলে, কিছুক্ষণ নাড়ানাড়ি করতে হবে। তারপরে পাঙ্গাশ মাছ কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপরে,চামচ দিয়ে মাছ সব সুন্দর ভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে।
ধাপঃ-০৮
এরপরে একটু মরিচের গুড়া যোগ করতে হবে। মরিচের গুড়া যোগ করার ফলে তরকারি রংটাই পাল্টে যাবে। তারপরে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিতে হবে।
ধাপঃ-০৯
পানি ঢেলে দেওয়ার পরে। এবার তাপ দিতে হবে। এই তাপ দেওয়ার ফলে কড়াইয়ের পানি শুকিয়ে যাবে সেই সাথে সবজি গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-১০
কিছুক্ষণ তাপ দেওয়ার ফলে কড়াইয়ের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন এটা ঝোল তরকারি থেকে চচ্চড়ি তরকারিতে রুপান্তরিত হবে।। এর পরে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকলে কড়াই চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। এভাবেই পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি রেসিপি তৈরি হয়ে যাবে।
আপনারাও চাইলে বাসায় এভাবে তৈরি করে খেতে পারেন। আলু, বেগুন দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো ভালো লেগেছে। খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি।
বিভাগ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | আলু,বেগুনও মুলা দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের চচ্চরি। |
ছবির কারিগর | @jibon47 |
ছবির অবস্থান | [সংযুক্তি] |
https://w3w.co/feeding.letter.footlights
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অষ্টম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
আলু বেগুন এবং মুলা দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি আপনি খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রান্নার প্রক্রিয়া টা খুবই সুন্দর ছিল। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য
আলু বেগুন মুলা দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি আপনি দারুন ভাবে তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আর এখনকার সময়ে রান্নাগুলো খেতে সত্যিই অসম্ভব সুন্দর লাগে। আপনার রান্নার ধরন খুবই ভালো আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আলু বেগুন এবং মুলাদিয়া আপনি পাঙ্গাস মাছের অসাধারণ একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে আপনার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে আপনার রেসিপির প্রস্তুত প্রণালি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো
আপনার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সবসময় ভালো থাকবেন
ওয়াও ভাই পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি আসলেই অনেক সুন্দর দেখতে লাগছে প্রতিটি স্টেপ ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আসলে আপনার দেখে একদিন ট্রাই করবো।
জি ভাইয়া বাসায় একদিন এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখতে পারেন অবশ্যই ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে
আলু বেগুন দিয়ে পাঙ্গাস মাছের সুন্দর চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে পাঙ্গাস মাছ আমি খুব একটা খাই না, আপনার এই রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাঙ্গাস মাছ আমার অনেক প্রিয় ।কতটা প্রিয় সেটা বলে হয়তো বোঝাতে পারব না ,ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য
পাঙ্গাস মাছ আমার তেমন একটা পছন্দ নয় । পাঙ্গাস মাছ খেতে পারিনা ।তবে আপনার এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এমনিতেই আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে সুস্বাদু হয়ে থাকে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কি বলেন ভাইয়া পাঙ্গাস মাছ তো আমার অনেক প্রিয়। আমার মনে হয় জাতীয় মাছ ইলিশ না হয় পাঙ্গাশ হওয়া দরকার ছিল হাহাহা ,ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য।
পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি সত্যিই অনেক মজা লাগে ভাইয়া ।বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
বাহ্!খুব সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন ভাই।ছবিগুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে যে, খুব সুস্বাদু ছিল।রেসিপি রান্না করার পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই
বাহ! বেশ দারুন হয়েছে তো, আলু বেগুন মুলা দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চর্চরীটি। আলু বেগুন মুলা দিয়ে চচ্চড়ি তৈরি করা যায় আপনার এই রেসিপির মাধ্যমে আজকে প্রথম জানলাম। একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন অবশ্যই ভালো লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর ভাবে মন্তব্য প্রকাশ করার মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য
পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই পছন্দের। আর আপনি খুবই মজাদার করে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে আলু বেগুন এবং মূলা চচ্চড়ি করেছেন। দেখতে খুবই মজার মনে হচ্ছে এবং খুবই লোভনীয় লাগছে। আমার তো দেখেই জিভে জল এসে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্য দেখে সত্যিই আমি অনেক খুশি আপনি অনেক চমৎকার ভাবে আমার পোস্টটি পড়েছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য