আজ - ২৩ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার| বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে.....!!

খুব ছোটবেলা থেকেই কেন জানি ছোলা ভুনা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। শুধুমাত্র এই রমজান মাসে নয়, রমজান মাস বাদে আমি বাসায় মাঝে মাঝে ছোলা ভুনা রেসিপি খেয়ে থাকি। কেন জানি খুব ছোটবেলা থেকেই ছোলা ভুনা প্রতি আমার আলাদা রকম একটা টান আছে। আবার যদি বাসায় অনেকদিন যাবৎ ছোলা ভুনা রেসিপি রান্না না করা হয় তাহলে আমি বাজার থেকে ছোলা ভুনা খেয়ে থাকি। তবে বেশিরভাগ সময়ই বাজার থেকেই বেশি খাওয়া হয়। বন্ধু ভাই ব্রাদারের সঙ্গে বাজারে গেলে মাঝে মাঝে ছোলা ভুনা খারাপ হয় সাথে আরেকটি ডিম হলে মন্দ হয় না। তাই যেহেতু রমজান মাসে বাসায় ছোলা ভুনা প্রতিদিন রান্না করা হয়। ভাবলাম আপনাদের মাঝে ছোলা ভুনা রেসিপি একদিন শেয়ার করি তাই আমি আপনাদের মাঝে আজকে ছোলা ভুনা রেসিপি টা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করছি আপনাদের সকলের এই রেসিপিটি অনেক বেশি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে রান্না শুরু করি।

• পেঁয়াজ
• মরিচ
• তেল
• লবণ
• মরিচের গুড়া
• হলুদের গুড়া
• জিরা
• গরম মসলা

সর্বপ্রথমে আলু এবং ছোলা এই দুইটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ধুয়ে নেওয়ার আগে ছোলা গুলো পানিতে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কয়েকঘণ্টা ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে ছোলা গুলো নরম হয়ে যাবে সেই সাথে প্রতিটি ছোলা মোটা হয়ে যাবে। তারপরে আলুগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে, কেটে নেওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে।

এরপরে একটি কড়াই এর উপর পরিমাণমতো পানি নিয়ে ছোলা এবং আলো পানির উপর ছেড়ে দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পানির পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায় আবার যেন কম ও না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

এবার আলু ও ছোলা এর উপর কাঁচামরিচ মাঝ বরাবর দুটি ভাগ করে ছেড়ে দিতে হবে। এই কাঁচা মরিচ মাঝ বরাবর দুটি ভাগ করে ছোলা এর উপর ছেড়ে দিলে ঝাল একটু বেশিই হয় সেজন্য এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যেতেই পারে। তারপরে অনেকটা সময় ধরে তাপ দিতে হবে।

তাপ দেওয়ার ফলে আলু ও ছোলা সেদ্ধ হয়ে যাবে, আলু ও ছোলা সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি থেকে আলাদা করে নিতে হবে। সেই সাথে আলাদা একটি পাত্রে ছোলা আলু ও মরিচ রেখে দিতে হবে।

এরপরে কড়াই এর উপর পরিমান মত তেল ঢেলে দিতে হবে। তেল ঢেলে দেওয়ার পরে রসুন ও পেঁয়াজ বাটা কড়াই এর ওপর ছেড়ে দিতে হবে এবং একটি চামচ দিয়ে নারানারি করতে হবে। সেইসাথে মরিচ ও হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে।

মরিচ ও হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দেওয়ার পরে যখন প্রতিটি উপকরণাদি একত্রে মিশে যাবে তখন ছোলা ও আলু উপকরণাদির উপর ছেড়ে দিতে হবে। তারপর একটি চামচ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে দিতে হবে।

এবার সামান্য পরিমাণ পানি ঢেলে দিতে হবে। তবে অবশ্যই এই পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে পানির পরিমাণ যেন বেশি না হয় যায়। এই পানি দেওয়ার কারণ হল ছোলা গুলো একটু ভুনা ভুনা হবে মূলত এই কারণেই পরিমাণ মত পানি যোগ করতে হবে। পানি যোগ করার পরে গরম মসলা দিতে হবে। এই গরম মসলা দেওয়ার ফলে ছোলা ভুনা স্বাদ বেড়ে যাবে ।

এবার নিচ থেকে তাপ দিতে হবে। তাপ দেওয়ার ফলে কড়াই এর মধ্যে থাকা পানি শুকিয়ে যাবে। এক এক জনের পছন্দ এক এক রকমের, আমার যেমন পছন্দ ছোলার মধ্যে পানি থাকা যাবে না, আবার অন্যজনের হয়তো এ রকম পছন্দ নাও হতে পারে। যদি আপনার এরকম পছন্দ না হয় তাহলে আপনি চাইলে পানি সামান্য পরিমাণ শুকিয়ে নিতে পারেন। যেহেতু সোনার মধ্যে পানি আমার পছন্দ না তাই আমি একদম পানি শুকিয়ে ফেলেছি। পরে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকলে ছোলা ভুনা কড়াই থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

বেশ কিছুদিন বাদে এরকম ছোলা ভুনা রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু মনে হয়েছিল আমার কাছে। আমরা সকলে মিলে এটা উপভোগ করেছিলাম। খুবই মজাদার এবং লোভনীয় ছিল। চাইলে আপনারাও এরকমভাবে বাসায় ছোলা ভুনা রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু লাগবে আশা করি।
আজকের মত এখানেই আমি আমার পোস্ট সমাপ্ত ঘোষণা করছি। নতুন করে দেখা হবে অন্য আরেকটা পোস্টে, ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন পরিবারের সাথেই থাকুন এই কামনা করি, সেই সাথে প্রিয় মানুষগুলোকে হ্যাপি রাখার চেষ্টা করুন।

ধন্যবাদ সকলকে....!!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন