"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১৪ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ১৪ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১৪)
- আজ ১৪ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ২১ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১৪ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
১৩ তম পর্বের শেষ অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে যার কারণে তার পরিবারের সকলেই অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে বিশেষ করে তার ফুফু। এদিকে নাদিয়াও অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে কারণ তার কারণে চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে। শেষাংশে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর বড় ভাইয়ের সাবেক প্রেমিকা তার ফুফুর কাছে এসে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। মূলত তাদের খারাপ সময়ে সকলেই পাশে এসে তাদেরকে সান্ত্বনা দিচ্ছে এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে খারাপ সময়ে যারা পাশে থাকে তারাই তো আপন মানুষ।
১৩তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ১৪ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, নাদিয়া এবং চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা পুকুর ঘাটে এসেছে গোসল করার জন্য। এদিকে নাদিয়ার মনটা অনেক বেশি খারাপ কারণ তার কারণেই চঞ্চল চৌধুরী বিষ পান করেছে এ কারণে সে মনে মনে অনেক বেশি দুঃখ পাচ্ছে। সে তার কাছে এসে বলে যে লাশ কখন আসবে তাকে গিয়ে একবার দেখে আসতাম তখন সেই মেয়েটি বলে এখন আর দেখে কি হবে মারা যাওয়া মানুষকে দেখার চেয়ে না দেখাই ভালো। যখন তোমার কারনে এখানে এসে বসে থাকতো তখন তো পাত্তা দাওনি।
এদিকে চঞ্চল চৌধুরীর ফুফুর রীতিমতো কান্না করেই যাচ্ছে তার কান্না যেন থামছেই না। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরীর বড় ভাইয়ের সাবেক প্রেমিকা তার ফুফুর কাছে এসে তাকে সান্তনা দিচ্ছে এবং তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। আসলে গ্রাম গঞ্জের মানুষের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তারা কোন একটা কারণ নিয়ে যদি খুবই দুঃখ পায় তাহলে সব সময়ই পুলিশের কাছে গিয়ে তার নামে নালিশ করে এবং বলে তাকে জেলে পাঠাবো। এদিকে চঞ্চল চৌধুরীর ফুফু ঠিক তেমনটাই বলে যাচ্ছে। মূলত এই নাটকটিতে গ্রামের দৃশ্যটি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আসলে গ্রামের মানুষের জীবন ব্যবস্থা এই নাটকের মধ্যে দারুন ভাবে বিদ্যমান।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান চুপি চুপি তার বাবার ঘরে প্রবেশ করেছে। মূলত সে কিছু একটা খুঁজছে এমনটাই ধারণা করা যাচ্ছে হঠাৎ সে এদিকে ওদিকে খোঁজাখুঁজির পরে খাটের নিচ থেকে একটা চিঠি বের করে। মূলত এটাই হচ্ছে সেই চিঠি যে চিঠিটা চঞ্চল চৌধুরী নাদিয়ার নামে লিখে গিয়েছে যে তার মৃত্যুতে নাদিয়া দেয়। সে চিঠিটা নিয়ে এদিকে ওদিকে তাকিয়ে কাউকে না দেখিয়ে চিঠিটা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
এর পরের অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং চঞ্চল চৌধুরীর বড় ভাইয়ের প্রেমিকা অর্থাৎ শাহনাজ খুশি একটা জায়গায় বসে চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলছে। মূলত শাহনাজ খুশি তাকে বলছে তার মা যখন মারা যায় সে খুবই ছোট ছিল এবং তার ভাইয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করত মূলত ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করছে আর কান্না করছে। তার এরকম কথা শুনে নাদিয়া অনেক বেশি দুঃখ পাচ্ছে এবং সে এক পর্যায়ে খুবই কান্না শুরু করে দিয়েছিল যেটা দেখে সত্যিই আমার খুবই খারাপ লেগেছিল।
আসলে সেই সময়টা অনেক বেশি কষ্ট লাগে যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কারণে কেউ আত্মহত্যা করেছে বা কেউ অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে নাদিয়ার ক্ষেত্রেও হয়তোবা সেটাই ঘটেছে।
এরপরে আমি যে ব্যাপারটা আপনাদেরকে বলতে যাচ্ছি সেটা শুনলে হয়তো বা আপনারা খুবই অবাক হবেন আমিও রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ চঞ্চল চৌধুরী তার ফুফুর রুমে প্রবেশ করে এবং তার ফুফু তাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় হাহাহা। মূলত চঞ্চল চৌধুরী এখনো মরেনি সে মরার ভান ধরেছে মাত্র।
এদিকে এলাকার মানুষজন এসে চঞ্চল চৌধুরীর বাড়িতে বসে রয়েছে এবং অনেকেই অনেক রকম কথা বলছে। কেউ কেউ বলছে এ বয়সে আত্মহত্যা করেছে হয়তোবা কারো সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা করেছিল যার কারণে কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তারপরে চঞ্চল চৌধুরী পানি নিয়ে এসে তার ফুফুর মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং তার ফুফু তাকে দেখে খুবই ভয় পায় এবং বলে ভূত হাহাহা। তখন চঞ্চল চৌধুরী তাকে বুঝিয়ে বলে এবং বলে যে এখন এ কথা কাউকে বলার দরকার নেই আপাতত আমার খুবই খিদা লেগেছে হাহাহা আমাকে কিছু খেতে দাও। এই অংশটুকু দেখে আমি খুবই হেসেছি এতটা জোরে জোরে হেসেছি যে আপনাদেরকে বলে বোঝানো যাবে না।
এরপরে হঠাৎ করেই চঞ্চল চৌধুরীর বাবা এবং তার বড় ভাই বাসায় চলে আসে এবং বাড়ির উঠানে দেখে অনেক মানুষ বসে আছে। এটা দেখে বাসার সাহেব খুবই অবাক হয় এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করে আপনারা এখানে কেন কি হয়েছে। এরপরে বাসার সাহেব তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটা বলে এবং বলে সে আমাদের সঙ্গে চিটারি করেছে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে এবং বিষ পান করেনি হাহাহা। আসলে চঞ্চল চৌধুরী এখানে চালাকি করেছে সে বিষপান করেনি এবং সবাইকে চমকিয়ে দিয়েছে। এই অংশটুকু দেখে আমি অনেকটাই হেসেছি কারণ খুবই হাস্যকর ছিল পুরো ব্যাপারটা।
এরপরে চঞ্চল চৌধুরী যে বিষ পান করেনি এই নিয়ে তার গ্রামে হইচই পড়ে যায় সকলেই চঞ্চল চৌধুরীর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত। এদিকে তার বাবা তার ওপর খুবই রেগে আছে। এদিকে চঞ্চল চৌধুরীর বড় ভাইয়ের সাবেক প্রেমিকা তার উপর খুবই রাগান্বিত কারণ সে এরকম একটা কাজ করেছে যার কারণে সে খুবই কান্না করেছে। আসলে এখন আমারও চঞ্চল চৌধুরীর উপর খুবই রাগ হচ্ছে কারণ এরকম করে সবাইকে ভয়ে ধরিয়ে দেওয়া মোটেও উচিত হয়নি পাশাপাশি অনেক বেশি হাসি পেয়েছে সে খুবই চালাক চতুর হাহাহা। মাঝে মাঝে সবার মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়া উচিত সেটা যেভাবেই হোক না কেন হাহাহা।
এদিকে চঞ্চল চৌধুরীর ভাইয়েরা তার ওপর অনেক বেশি রাগান্বিত কারণ চঞ্চল চৌধুরী এমন একটা কাজ করেছে বিশেষ করে তার বড় দুই ভাই। তার ছোট ভাই তার উপর আরো বেশি রাগান্বিত কারণ সে তার জন্য খুবই কান্না করেছে।
শুধুমাত্র চঞ্চল চৌধুরীর ভাইয়েরা নয় সারা এলাকাবাসীর সহ নাদিয়া খুবই রাগান্বিত তার উপরে। ১৪ তম পর্ব শেষ অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়ার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী দেখা হয়েছে এবং সে তার উপর খুবই রাগান্বিতা এবং বলছে মিথ্যে মিথ্যে বিষ খাওয়ার অভিনয় করে সকলের সঙ্গে মুখ দেখাচ্ছিস কি করে লজ্জা করছে না হাহাহা। এরই মাধ্যমে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
এটাই ছিল আমার পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ১৪ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে আসলে এই নাটকটি আমি প্রতিনিয়ত যতই দিয়েছি ততই আমার ভালো লাগছে এবং অনেক কিছু শেখার পাশাপাশি বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক সকলেই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১৪ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আমাদের মাঝে। বাংলাদেশের নাটক গুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে চঞ্চলে নাটক তো আরো বেশি ভালো লাগে। এই নাটকটি আমি এর আগে দেখা হয়নি। তবে আপনার নাটকের সারমর্ম পড়ে বুঝতে পারলাম নাটকটা অনেক চমৎকার। সুন্দর একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আমি এই নাটকটা যত দেখছি আমার কাছে ততই ভালো লাগছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নাটকটি আমার কয়েকটি পর্ব দেখা হয়েছে খুবই মজার একটি নাটক হাসতে হাসতে তো পেট ব্যাথা হয়ে যায় বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় গুলো। আপনির নাটকটির ১৪ নম্বর পর্বটি খুবই সুন্দরভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবে এগিয়ে যান আপনি।
আসলেই এই নাটকটা অনেক বেশি হাস্যরসিক সেই সাথে অনেক শিক্ষনীয় এই নাটকটি আমি মনে করি গ্রাম অঞ্চলের সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা অনেক বেশি উপকৃত হবে বলে আমার মনে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই নাটকটির অনেকগুলো পর্ব আপনি রিভিউ আকারে তুলে ধরছেন। আসলে নাটকটি খুবই সুন্দর এবং আপনার রিভিউর মাধ্যমে নাটকটির তথ্য জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে রিভিউ শেয়ার করার জন্য যাতে করে আস্তে আস্তে পুরো নাটকটা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারি।
জি আপনার উদ্যোগটি খুবই ভালো, অনেকে হয়তো নাটক দেখে না। কিন্তু আপনার এই রিভিউ এর মাধ্যমে নাটক দেখার স্বাদটা উপলব্ধি করতে পারবে ধন্যবাদ।
এই নাটকটি অনেক সুন্দর নাটকের সবাই অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। আমি নাটকের কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় গুলো ভালো লাগলো নাটকের মধ্যে আমার। এবং চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় এমনিতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই পর্বের চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
এই পর্বটাতে চঞ্চল চৌধুরী বিষ পান করেছিল কারণ তার প্রেমিকা তাকে বিয়ে করতে চায়নি যদিও তার সঙ্গে তার কোন প্রেম ছিল না সে বিষ পানের নাটক করেছে মাত্র হাহাহা। পরবর্তী পর্বতে দেখা যাবে সে আসলেই বিষ পান করেছে কিনা।
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পিতা বনম পুত্র নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। নাটকটির কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছিলাম। হয়তো সময়ের কারণে কয়েকটা পর্ব দেখতে পারেনি। তবে নাটকের মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী অনেক সুন্দর অভিনয় করেছেন। এমনিতে অঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় খুব চমৎকার। এই পর্বে চঞ্চল চৌধুরী নাটকে বিষ খেয়েছেন। অনেকে এসে কি কারণে বিষ খেয়েছে এবং সান্ত্বনা দিচ্ছে প্রিয়জনকে। নাটকের পোস্টটি পড়ে খুব ভালই লাগলো। সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন নাটকটির রিভিউ।
আসলে এই নাটকটা একদম গ্রামের দৃশ্যগুলো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের মানুষগুলো একে অপরের বিপদে-আপদে যেরকম ভাবে পাশে থাকে এই নাটকটাতে ঠিক তেমনি ভাবেই প্রতিটা বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেটা সত্যিই অনেক বেশি শিক্ষনীয় ছিল।
নাটকটির কয়টি পর্ব আমি দেখেছি।একটি আমার খুবই ভালো লাগছে। এই পর্বটি পড়ে আমার নাটক দেখার আগ্রহ জন্মালো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যেহেতু নাটক দেখার প্রতি আপনার আগ্রহ জন্মেছে আমার এই রিভিউ দেখার মাধ্যমে সেহেতু আমি আপনাকে বলতে চাই খুব শীঘ্রই আপনি এই নাটক দেখা শুরু করুন। অবশ্যই এই নাটক আপনার অনেক বেশি ভালো লাগবে বলে আমার মনে হয়।