"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৩২//নাটক রিভিউ
আজ - ১০ আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বর্ষাকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৩২)
- আজ ১০ম আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৫২ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৩২ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্র গং নাটকের ৩২ পর্বের প্রথম অংশের রিভিউ এ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে শাহনাজ খুশি এবং চঞ্চল চৌধুরী একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি রাগান্বিত। তারের রাগান্বিত হওয়ার কারণ হচ্ছে শাহনাজ খুশির ছোট ভাই তার সঙ্গে গত নাটকের বেয়াদবি করেছিল সেটা হয়তোবা আপনারা অনেকেই জানেন এ ব্যাপারটা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে আছে এবং তার বোনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছে। কথা বলার এক পর্যায়ে শাহনাজ খুশি চঞ্চল চৌধুরীর কাছে জানতে চাই যে সে কি এমন যাদু টোনা করেছে যার কারণে নাদিয়া তাকে ভালোবেসেছে। যদিও আপনারা অনেকেই জানেন যে নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীকে মোটেও পছন্দ করবে না সে তার বড় ভাই আরফানকে ভালোবাসতো কিন্তু হঠাৎ করেই নাদিয়ার এরকম পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না শাহনাজ খুশি।
যখন আমরা দেখি কেউ কাউকে ভালোবাসে আর কাউকে ভালোবাসার পরে হঠাৎ করেই যখন সেই মানুষটার পরিবর্তন হয়ে যায় তখন আশেপাশের মানুষগুলো সেটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। একই রকম ভাবে সাহানাজ খুশি কোনভাবেই সেটা মেনে নিতে পারছে না। যাইহোক চঞ্চল চৌধুরীর শেষ পর্যায়ে তাকে বলে তাকে আমি ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করতাম ভালবাসতাম আমার ভালবাসাটা নেই সে আমার কাছে ফিরে এসেছে এই কথাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে কারণ, বাসার সাহেবের দুই ছেলে নাদিয়াকে পছন্দ করত তার মধ্যে একজন চঞ্চল চৌধুরী অপরজন আরফান।
যদিও প্রথম অবস্থায় নাদিয়া আরফানকে ভালোবাসতো অথবা পছন্দ করত কিন্তু নাটকের এ পর্যায়ে এসে নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীকে ভালবাসছে বলে মনে হচ্ছে তার এরকম পরিবর্তন আরফান কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এবং এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে শাহনাজ খুশিও এটা কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না।
এদিকে আরফান এখন প্রায় পাগলপারা হয়ে গিয়েছে নাদিয়ার জন্য কারণ নাদিয়া তো চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এখন ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টসাধ্য অনেক বেশি কষ্টকর কারণ আপনি যে প্রিয় মানুষটাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন সেই মানুষটা যখন হঠাৎ করেই আপনার থেকে দূরে চলে যায় তখন সকলেরই অনেক বেশি খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। ঠিক একই রকম ভাবে আরফান নাদিয়াকে ভালোবাসতো এবং নাদিয়া তার থেকে দূরে সরে গিয়েছে যার কারণে সে তার ফুফুর কাছে গিয়ে চঞ্চল চৌধুরীর নামে নালিশ করছে। এদিকে তার ফুপু কি করবে ভেবেই উড়তে পারছে না কারণ তার ভাই সত্যিকার অর্থে বিয়ে করেছে কিনা সেটা এখন পর্যন্ত কেউ জানে না তার বাড়িতে একটা যুবতী মেয়ে এসে উঠে পড়েছে যে কিনা তার তার ভাইয়ের স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে কিন্তু তার ভাই এ ব্যাপারে কখনোই তাকে স্বীকৃতি দেয়নি।
সত্যি বলতে আরফানের এরকম পাগলামি দেখে খুবই কষ্ট লাগছে এই নাটকটার মধ্যে এই ব্যাপারটা অনেক বেশি দক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে পরিচালক। প্রিয় মানুষটা হারিয়ে গেলে নিজের কতটা কষ্ট হয় সেই ব্যাপারটা পরিচালক আরফানের মাধ্যমে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে যেটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আসলে বাসার সাহেবের ছোট ছেলেও আর ফোনের মত অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে কারন তার প্রেমিকা তাকেই ইতোমধ্যে ছেড়ে দিয়েছে। আসলে তাদের দুই ভাইয়েরই অনেক বেশি কষ্ট কারণ তাদের দুই ভাইয়ের প্রেমিকাই তাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়ার ধান্দা করছে। বাসার সাহেবের ছোট ছেলে শাহনাজ খুশির ছোট ভাইকে অনেক রকম ভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করে তাদের সম্পর্কটা যাতে ঠিকঠাক মতো হয়ে যায় এ ব্যাপারে তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু সে এ ব্যাপারে কোনভাবেই রাজি হয় না। সত্যি বলতে অন্যজনের প্রেসার কেউই কখনো নিতে চায় না অন্যজনের পেশার সবসময়ই অন্যজনের উপরেই সবাই চাপিয়ে দিতে চায়।
এরপরে বাসার সাহেবের সামনে দুটো ভূত কোথা থেকে যেন চলে আসে মূলত বাসার সাহেব ওই যে কবিরাজের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল সেই কবিরাজি তাদেরকে পাঠিয়েছে। বাসার সাহেব এটা দেখে খুবই ভয় পায় এরপরে দেখা যায় বাসার সাহেব স্বপ্ন দেখছে স্বপ্নের মধ্যে এসে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং প্রচন্ড রকম ভাবে ভয় পেয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় তার মৃত স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভূতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভয় পাই এক্ষেত্রে বাসার সাহেব ভিন্ন কিছু নয়।
এবার শাহনাজ খুশি এবং নাদিয়া একত্রে কথা বলে মূলত শাহনাজ খুশি এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না যে নাদিয়া এ পর্যায়ে এসে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ভালোবাসার প্রেমে আবদ্ধ হবে। কারণ অনেক আগে থেকেই সাহানাজ খুশি জানত যে নাদিয়া আরফানকে অনেক বেশি পছন্দ করে। কিন্তু নাদিয়া এখন কোনোভাবেই আরফোনের কথা সহ্য করতে পারে না যার কারণে তাদের মাঝে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। নাদিয়ার এ ব্যাপারটা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি কারণ সে আগে তার ভাইয়ের সঙ্গে হয়তোবা ভালো লাগাবো ভালোবাসার সম্পর্কে ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই তার এরকম বদলে যাওয়াটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
এরপরে চঞ্চল চৌধুরী সেই কবিরাজ এর কাছে যায় মূলত তার বাবা তাকে বলেছে যে সে কবিরাজ দিয়ে তার ছোট মাকে তার বাসা থেকে বিতাড়িত করবে। এ কথা শুনে চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি রেগে গিয়েছে কারণ সে জানে তার মা যদি বাসা থেকে চলে যায় তাহলে তার বাবা তাদেরকে আর কখনোই বিয়ে দেবে না এ ব্যাপার নিয়ে এসে কবিরাজের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, গাছের আড়াল থেকে আরফান সেটা দেখে ফেলে। মূলত আরফান মনে মনে হয়তো বা ভেবেছে সে হয়তো বা কবিরাজ দিয়ে নাদিয়া-কে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। যদিও এ ব্যাপারটা এখন পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে ক্লিয়ার হয়নি আমি আসলে মনে মনে ব্যাপারটা এরকমই ধারণা করছি। সামনের পর্ব টা দেখলে হয়তোবা পুরো ব্যাপারটা ভালোভাবে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের 32 পর্বের রিভিউ আশা করছি আপনাদের সকলের কাছে এই রিভিউ অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৩২ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রায় সময় দেখি আপনি এই নাটকটির বিভিন্ন পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। আজকের পর্ব এর রিভিউ দেখলাম খুব ভালো লাগলো। তবে মনে হচ্ছে প্রথম পর্ব থেকে নাটকটি দেখলে খুব মজা পাবো।।
প্রথম পর্ব থেকে আপনি যদি এই নাটকটা দেখা শুরু করেন তাহলে আপনি সত্যিই অনেক বেশি মজা পাবেন। এই নাটক থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব রিভিউ আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন । খুব ভালো লেগেছে আপনার রিভিউ টি ধন্যবাদ আপনাকে আশা করছি বাকি পর্বগুলো এভাবে দেখতে পাব ভালো থাকবেন।
অবশ্যই আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে পর্ব শেয়ার করব, বাকি পর্বগুলো খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন ধরে নাটকটি আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন রিভিউ এর মধ্য দিয়ে। অবশ্য এই নাটকটা অনেক সুন্দর একটি নাটক। যেখানে অনেক হাস্যরস রয়েছে। ভালো লাগা রয়েছে। খুবই ভালো লাগে এই নাটকটি। নাটকটি আমাদের মাঝে এভাবে প্রতিনিয়ত রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান।
এই নাটকটি অনেকগুলো পর্ব রয়েছে প্রতি সপ্তাহে আমি একটি করে পর্ব উপস্থাপন করব বলে ভেবেছি। প্রতি সপ্তাহে আমি আমার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো, মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।