ছোট বোনর হাতে মেহেদি লাগানোর মুহূর্ত || 🦊[benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ২১ বৈশাখ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- ছোট বোনের হাতে মেহেদি লাগানোর দৃশ্য
- আজ ২১ শ বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে.....!!
এইতো গতকাল ঈদ চলে গেল। ঈদ উপলক্ষে বাসায় বড় কাকু এসেছে। বড় কাকুর ছোট্ট একটা মেয়ে আছে ওর নাম প্রপা। বিকেল থেকেই আমার কাছে বায়না ধরেছে যে আমার হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিতে হবে যদিও আমি এর আগে কখনো মেহেদি লাগাই নি কাউকে। আমি ওকে অনেকবার বোঝাচ্ছিলাম যে আমি তো মেহেদি লাগাতে পারি না তুমি বড় আপুর দিয়ে লাগিয়ে নাও। কিন্তু সে আমার কথা মানতে নারাজ। আমি কোনরকম ভুলিয়ে-ভালিয়ে বিকেল সময়টাতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ইফতারের আগ মুহূর্তে বাসায় এসে দেখি তার মনটা খুব খারাপ, কেন মন খারাপ হয়েছে সেটা জানতে চাইলে বাসার অন্যান্য সদস্যরা সবাই বললো যে মেহেদি লাগিয়ে দাও নাই তার জন্য মন খারাপ করে বসে আছে। কি আর করার যেহেতু তার মন ভালো করতে হবে সেহেতু তাকে মেহেদি লাগিয়ে দিতেই হবে। তাকে কিছুটা আশ্বাস দিয়ে বললাম ইফতারির শেষ করি তারপরে হাতে মেহেদি লাগিয়ে দেবো। আমার কথা শুনে এসে কিছুটা খুশি হয়েছে যেটা তার ঠোঁটের কোণে এক চিমটি হাসি দেখেই বুঝতে পারলাম। তো ইফতারি শেষ করে আমি তার হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য বসে যাই। কি অঙ্কন করব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না আর এটাও ভেবে ভয় লাগছিল যে যদি মেহেদীর ডিজাইন সুন্দর না হয় সে তো তাহলে আবার কান্নাকাটি শুরু করবে। এটা ভাবতে ভাবতেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপরে আমি ইউটিউবে সার্চ করি, ইউটিউবে মেহেদি ডিজাইন সার্চ করে একটু ডিজাইন আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছিল। তারপরে আমি তাকে একটা ডিজাইন হাতে অংকন করে দিই। এখন আমি আপনাদের মাঝে সেটাই শেয়ার করব আশা করছি আপনাদের সকলের অনেক বেশী ভালো লাগবে।
প্রথমে হাতের উপরে দুটো পাশাপাশি দাগ দিয়েছি। দাগ এর মাঝখানে ছোট ছোট করে মই এর মতো করে নিয়েছি।
এরপরে সেই দাগ এর সামনের দিকে একটি ডিজাইন অঙ্কন করে নিয়েছি যেটা আপনারা চিত্রে দেখতেই পাচ্ছেন।
এরপরে প্রথম চিত্রের ন্যায় নিচে আরো একটি অনুরূপভাবে দাগ দিয়ে নিয়েছি।
এরপরে মেহেদি ডিজাইন এর মাঝখানের ফাঁকা অংশে ছোট্ট একটি চিত্রের ন্যায় ডিজাইন করে দিয়েছি।
উপরিউক্ত ডিজাইন শেষ হয়ে গেলে ডিজাইনের সাথে করে সামনের দিকে আরো একটি ডিজাইন অঙ্কন করে নিয়েছি এই ডিজাইনটি মূলত মসজিদের মিনারের মত দেখাচ্ছে।
এবার হাতের সামনের দিকে আরেকটু ডিজাইন অঙ্কন করে আপাতত হাতের কব্জি পর্যন্ত ডিজাইন শেষ করেছি এখন আঙ্গুলে ডিজাইন করার পালা।
হাতের ডিজাইন শেষ হয়ে গেলে এবার আমি উপরের চিত্রের ন্যায় আঙ্গুলে ডিজাইন করে দিয়েছি।
ছোট বোনের হাতে মেহেদি ডিজাইন অংকন করার মুহূর্তে এই ছবিটি তুলেছিল আমার এক ছোট ভাই
আঙ্গুলে মেহেদি লাগানোর মাধ্যমে আমার এই মেহেদি ডিজাইন এর অংকন শেষ হয়ে গেল
যদিও আমি তেমন ভাল করে মেহেদি ডিজাইন অঙ্কন করতে পারি না তবে চেষ্টা করেছি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কিছুটা অংকন করার জন্য। সত্যি বলতে আমি কখনোই কাউকে কোনদিন মেহেদী পড়ায় নি যার কারণে দেখতে কেমন হয়েছে সেটা জানিনা তবে আমার বাসার সবাই অনেক প্রশংসা করেছে।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | মেহেদি ডিজাইন। |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | ছোট বোনের হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিলাম। |
মেহেদি ডিজাইন এর কারিগর | @jibon47 |
মেহেদি দেওয়ার অবস্থান | সংযুক্তি |
ভাইয়া তো দেখছি ভালোই মেহেদি লাগিয়েছেন আপনার ছোট বোনের হাতে। সত্যি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার বোন দেখছি খুবই খুশি হয়েছে। খুব ভালো লাগলো দেখে ভাইয়া।
যদিও এমন তেমন মেহেদি দিতে পারি না তবে চেষ্টা করলাম আর কি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার বোনের হাতে মেহেদি পড়িয়েছেন। ঈদ আসলেই সবাই হাতে মেহেদি পরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে আমি কখনো কারো হাতে মেহেদি পড়াইনি। আজকে আপনার এই পোস্ট দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা করছি আমার আপনার বোন অনেক খুশি হয়েছে। ভাইয়া আপনার জন্য এবং আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইল।
ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দ টা পূর্ণতার পায়ে মেহেদি লাগানোর মাধ্যমে। চেষ্টা করলে আপনিও মেহেদি লাগাতে পারবেন বলে আশা রাখি
প্রথমে আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই, আপনি ছোট বোনের হাতে খুবই সুন্দর ডিজাইনের মেহেদী দিয়ে দিয়েছেন। সত্যিই আপনার মেহেদির ডিজাইন করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
আমার এই মেহেদি ডিজাইন আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে
বাহ্,আজকাল দেখি ছেলেরাও বপশ দারুন মেহেদী দিতে পারে।আপনার বোন প্রপা এর হাতে বেশ ভালো করেই মেহেদি দিয়েছেন।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুট করেই সেদিন মেহেদী দিয়েছিলাম। সেই সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য
হাতে মেহেদি লাগানো অনেক সুন্দর হয়েছে আর এই বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা আছে সেটা এই পোস্ট তার বড় প্রমাণ। সব বিষয়ে দক্ষতা থাকা ভালো তবে আপনার বউয়ের জন্য একটা ভালো সংবাদ হতে পারে 😜
জি ভাইয়া অপেক্ষায় আছি বউয়ের হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য তবে অবশ্যই সেটা ত্রিশ সালের পরে।
দোয়া করি আপনার মনের আশা পূরণ হোক।
আমি মেহেদীর ডিজাইন পারি না। আমার ছোট বোন আমার চেয়ে অনেক ভালো মেহেদী লাগাতে পারে। আপনার মেহেদী লাগানোর দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভাই বোনের সম্পর্ক অনেক মধুর সম্পর্ক।
মেয়েরা মেহেদি লাগানো তে অনেক বেশি পারদর্শী আমার ছোট বোন অনেক সুন্দর মেহেদী দিতে পারে।
ভাইয়া এতো দিন তো আমি নিজেও মেয়েদের কাছ থেকে মেহেদী দিয়ে নিয়েছি, কিন্তু আজকে তো উল্টোটা দেখলাম ভাইয়া, তবে আপনি কিন্তু চমৎকার ডিজাইন করেতে পারেন, ভাইয়া সামনের ঈদে আপনার কাছ থেকে মেহেদী দেওয়ার ইচ্ছে জাগলো।
কোন সমস্যা নেই ভাই সময় করে একদিন আমাদের বাসায় চলে আসবেন আপনার হাতে মেহেদি দিয়ে দিব
অসাধারণ ভাই আপনার মেহেদি লাগানো দেখে খুব ভালো লাগল। সত্যিই খুবই দুর্দান্ত হয়েছে আপনার মেহেদির ডিজাইন। আসলে ঈদ উৎসবে মেহেদী না লাগালে কেমন যেন আনন্দ পরিপূর্ণতা পায় না । এত অসাধারণ মেহেদী লাগানোর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
মেহেদি লাগানোর মাধ্যমে ছোটদের ঈদ পূর্ণতা পায় আর আমি ছোট বোনদের মেহেদী দিতে পেরে অনেক আনন্দিত ধন্যবাদ আপনাকে
বড় আফসোস হলো ভাই আপনার তো ছোট বোন রয়েছে কিন্তু আমার যে ছোট বোন নেই। তবে আপনার বোনের হাতে মেহেদি লাগানোর মধ্য দিয়ে আমি আমার নিজের বোনের হাতে মেহেদি লাগানোর সুখটা অনুভব করলাম। খুবই ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।
ছোট বোনের হাতে মেহেদি লাগানো তো আপনি নিজের বোনের হাতে মেহেদি দেওয়ার সুখ খুঁজে পেয়েছেন এটা জেনে আমি অনেক আনন্দিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
বাহ আপনি তো দারুণ মেহেদি ডিজাইন করতে পারেন আপনি পিচ্চিদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছেন কে অনেক ভালো লেগেছে আমার আপনার মেয়েদের ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। পিচ্চিদের হাতে মেহেদি পরে দেওয়ার সময় তারা অবশ্যই অনেক খুশি হয়েছে কারণ বাচ্চারা মেহেদী পড়লে অনেক ভালো থাকে। ঈদের অনেক আনন্দ করে । যাইহোক এত সুন্দর ভাবে মেহেদি দেওয়া এবং সেই বিষয়গুলো আমাদের সাথে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু বাচ্চারা সব সময়ই মেহেদী পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসি তাই আমি আমার ছোট বোন সকলকে মেহেদী পুড়িয়ে দিয়েছিলাম অবশ্য সেটা আনন্দের বসে