একটি অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী/পর্ব:-০১ ||🦊 ১০% বেনিফিশিয়ারি🦊 @shy-fox 🦊||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ২৯ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বসন্তকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে বাস্তবধর্মী একটি ঘটনা উপস্থাপন করবো । যে বাস্তবতা এখন আমাদের সমাজ থেকে ঘিরে রেখেছে। সেই বাস্তবতা আমাদের সমাজকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছে যে এখান থেকে ইচ্ছে করলেই আর বের হয়ে আসা সম্ভব নয়।আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী
  • আজ ২৯ চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
  • মঙ্গলবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সকাল সবাইকে.....!!



man-5491275_640.png

Source

খুব ছোটবেলা থেকেই পরিবারের কড়া শাসনে বড় হয়েছে মীরা। দেখতে দেখতে অনেকটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে। মিরা খুব সহজ-সরল আর সুন্দরী একটা মেয়ে। এতটাই সুন্দর যে, কারো চোখ মীরার উপরে একবার পড়লে সে চোখ আর ফেরানো যাবে না। মিরা একটি গ্রামের উচ্চ বংশের মেয়ে। তার বাবা ভাই চাচা সকলেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আর এখনকার সমাজে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা মানুষগুলোই সমাজের মাথা বলে ধরা হয়। যাইহোক রাজনীতির কথার দিকে যাব না। খুব ছোটবেলা থেকেই তার গ্রামের একটি স্কুল থেকে তার লেখাপড়া শুরু। দেখতে দেখতে এবার মিরা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। যেহেতু সে একটি গ্রামের মেয়ে ছিল সেহেতু সে গ্রামের সকল কিছু ভালোভাবে চিনতো এবং জানতে। যদিও সে উচ্চবংশীয় ঘরের মেয়ে ছিলো কিন্তু তার মনে কখনোই উচ্চবংশীয় নিয়ে কখনো অহঙ্কার ছিল না। সে খুবই শান্ত শিষ্ট এবং ভদ্র সভাবের একটি মেয়ে ছিল। কখনো পরিবারের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করেনি, কখনো বাবা ভাইয়ের আদেশ ছাড়া কোথাও যায়নি। এককথায় বলতে পারেন পরিবারকে সামনে রেখে সে পথ চলেছে কখনোই তার বিরুদ্ধে কথা বলে নি। যেহেতু সে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সেহেতু তার মধ্যে এখন পরিবর্তন আসবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমি মনে করি মাধ্যমিক স্তর শেষ করার সাথে সাথে সবার মনের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। এই অনুভূতিটা যে শুধু মীরার ক্ষেত্রে তা কিন্তু নয়, এটা প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। এদিকে সেই গ্রামের একটি ছেলে ছিল ছেলেটির নাম রাশেদ। রাশেদ ছিল একজন দরিদ্র কৃষকের ছেলে। যদিও লেখাপড়ায় অনেক ভালো,সে এবার দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছে। সে মাধ্যমিক স্তর থেকে গোল্ডেন এ প্লাস উত্তীর্ণ হয়ে মিরা যেই কলেজে পড়ে সে একই কলেজে অনেক আগেই ভর্তি হয়েছিল। এদিকে মিরা যে খুব একজন খারাপ ছাত্রী তা কিন্তু নয় বলতে পারেন সে একজন ভালো মাপের একজন ছাত্রী। তবে মাঝে মাঝে লেখা পড়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। শুধুমাত্র বাপ-ভাইয়ের চাপে লেখাপড়াটা কন্টিনিউ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।তবে স্কুল কলেজে যাওয়ার ব্যাপারে সে অনেক পটু,কখনো স্কুল কলেজে অনুপস্থিত হতো না। রৌদ্র,ঝড়,বৃষ্টি কোন কিছুর পরয়া করতো না,কলেজে যেতে হবে সেটা যে ভাবেই হোক না কেন.....!!
একদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল, প্রচন্ড বৃষ্টি থাকার কারণে মিরা একটি লাল রঙের ড্রেস পড়ে তার কলেজে যায়। এদিকে রাশেদ অনেক আগেই কলেজে এসে পৌঁছেছে। কলেজের বারান্দাতে দাঁড়িয়ে আছে রাশেদ। এদিকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে প্রায় আধ ভেজা হয়ে মিরা কলেজে এসে পৌছালো। বৃষ্টির পানিতে তার চুলগুলো ভিজে গিয়েছে। ভেজা চুলে লাল ড্রেসে মীরাকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে, মনে হচ্ছে কোথা থেকে যেন এক পরী নেমে এসেছে। যে পরীর শুধু মাত্র দুটি ডানা নেই। যদি এই মীরার দুটি ডানা থাকত তাহলে মনে হত যেন সত্তিকারের পরী নেমে এসেছে। আমি আপনাদের আগেই বলেছি, মিরা ছিল একজন সুন্দরী নারী। রাশেদ মিরার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চোখ যেন সরাতে পারছে না। এদিকে মিরা হাঁটতে হাঁটতে রাশেদের সামনে চলে এসেছে প্রায়। রাশেদ এবং মীরা দুজনের চোখে চোখ পড়াতে রাশেদ তার চোখ টা সরিয়ে নিল মিরার চোখ থেকে। এই ব্যাপারটা অনেক দূর থেকেই মিরা খেয়াল করেছিল।

book-2115176_640.webp

Source

কিন্তু ও মিরা রাশেদকে কিছু না বলেই সামনের দিকে চলতে থাকে। এদিকে রাশেদ পিছন দিকে ঘুরে মীরাকে দেখতে থাকে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও রাশেদের হৃদয়টা মনে হয় আটকে গিয়েছিল নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। এরপরে মিরা তার ক্লাস রুমে চলে যায়। এদিকে রাশেদ মীরাকে নিয়ে ভাবতে থাকে। রাশেদ ভাবতে ভাবতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কখন যে বৃষ্টি থেমে গিয়েছে সেটা সে বুঝতেই পারেনি এতটাই সে মগ্ন ছিল। যাইহোক, রাশেদ বারান্দাতে দাঁড়িয়ে আছে ওদিকে মিরা তার ক্লাস রুম থেকে জানালার ফাঁক দিয়ে রাশেদের দিকে উঁকি মারছে। রাশেদ এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছে সে দেখতে পেয়েছে যে, মিরা রাশেদের দিকে তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে। দুজন দুজনের দিকে আবার সেই প্রথমবারের মত ঐ একই রকম ভাবে তাকিয়ে আছে। কেউ কারো দিক থেকে চোখ সরাতে পারছে না। তারপরে হঠাৎ রাখছে রাশেদের এক বন্ধু তাকে ধাক্কা মারে তার হুঁশ ফিরে এলো। সে কিছুটা অন্যমনস্ক থাকার পরে তার বন্ধুকে পুরো ব্যাপারটা জানালো। এরপরে তার বন্ধু মীরার ব্যাপারে সবকিছু তাকে বলল। রাশেদ বুঝতে পারলো যে তার গ্রামের তিনটা গ্রাম পরেই মিরাদের বাসা। এরকম ভাবেই তাদের সেদিনের দিনটা কেটে গেল, কলেজ ছুটির পরে যে যার বাসায় ফিরে গেল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই রাশেদের মনের মধ্যে শুধু নীরাকে নিয়ে অনেক ধরনের জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হচ্ছে। এরকম অনুভূতি এর আগে কখনোই রাশেদের হয়নি। তার কখনোই কোনো মেয়েকে নিয়ে এরকম অনুভুতি আসে না। তার কখনো কোন মেয়েকে নিয়ে এরকম অনুভূতি আসতে পারে তা কখনো ভাবতেও পারেনি। ভাবতে ভাবতেই বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে....!! এদিকে মিরা রাশেদের ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। হঠাৎ করেই তার বাবা রাশেদ নামের কাউকে ডাক দেওয়ায় তার কলেজের সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। তার মনে পড়ে গেল সেই মুহূর্তটা কথা যখন তারা দুজন একে অপরের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, মনে পড়ে গিয়েছিল তারা দুজন দুজনের দিক থেকে চোখ সরাতে পারছিল না । এদিকে মীরা ও তখন রাশেদকে নিয়ে কিছুটা ভাবতে শুরু করেছে.......!!



দ্বিতীয় পর্ব আসছে খুব শীঘ্রই অপেক্ষায় থাকুন



আজ আর নয় আজকের মত এখানেই আমি আমার এই অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী প্রথম পর্ব শেষ করছি। খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হব। কেউ ধৈর্য হারাবেন না, গল্পটা আমি একদম শেষ পর্যন্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করছি যতটুকু আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আপনারা খুবই চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। সামনের দিনগুলোতে আরো ভালোভাবে উপভোগ করবেন এই কামনা করি। সবাই যে যার জায়গা থেকে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন পরিবারের সাথেই থাকুন। সেই সাথে প্রিয় মানুষকে সবসময় হ্যাপি থাকার চেষ্টা করুন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সকলকে....!!





আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন

বিবরণ
বিভাগছোট গল্প ।
বিষয়অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী
গল্পের কারিগর@jibon47
গল্প তৈরি করার অবস্থানলিংক

Sort:  
 2 years ago 

যে প্রেমের মানুষ সুখী হয়, তারা সেই প্রেম কাহিনী তুলে ধরতে চায় না। যাই হোক অনেকেরই এমন কষ্ট লাগার ঘটনা থেকে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে এরমধ্যে আমাদের বাঁচতে হবে, নতুন করে স্বপ্ন দেখতে হবে, নতুন জাল বুনতে হবে শুধুমাত্র বাঁচার আশায়।

 2 years ago 

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 2 years ago 

সমাপ্ত প্রেম কাহিনিগুলো কস্টের হয় থাকে। আপনি খুব সুন্দর একটি গল্পের পর্ব সাজিয়েছেন। ২য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

অতিশীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে,ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

আপনি তো দেখছি বেশ ভালো লিখেন। আপনার গল্পের এই পার্ট পড়ে দ্বিতীয় পার্টের জন্য মনটা ব্যকুল হয়ে আছে। খুব দ্রুত দ্বিতীয় পার্ট চাই। আশা করি খুব দ্রুত পোস্ট করবেন। ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

খুব শীঘ্রই পাবেন আশা করা যায়।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56442.36
ETH 2405.22
USDT 1.00
SBD 2.32