"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৬৬//নাটক রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আজ--১৬ চৈত্র| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ উপস্থাপন করবো। নাটকের নাম পিতা বনাম পূত্রগং।নাটকটা একটি ধারাবাহিক নাটক,গ্রামাঞ্চলের মধ্যে শুটিং এবং গ্রাম্য ভাষা ব্যবহার করার কারণে নাকটটা দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৬৬)
  • আজ ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • শনিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ দুপুর সবাইকে......!!


IMG_20240330_000426.jpg

ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।

source

নাটকের কিছু তথ্য


নামপিতা বনাম পূত্রগং ।
পরিচালনাসকাল আহমেদ।
প্রযোজককাজী রিটন
রচনাবৃন্দাবন দাশ
গল্পরমজান আলী
আবহ সংগীতঅধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ
চিত্রনাট্যশামসুল আলম লেলিন।
অভিনয়েমাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে ।
দৈর্ঘ্য১৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড
পরিবেশনায়Maasranga TV Official
মুক্তির তারিখ০১লা নভেম্বর, ২০২২ ইং
ধরনসামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল
পর্ব৬৬
ভাষাবাংলা।
দেশবাংলাদেশ


নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-



এটা বনাম পুত্রগং নাটকের ৬৬ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং তার দুলাভাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। আপনারা শুরু থেকেই জানেন যে এই চঞ্চল চৌধুরীর দুলাভাই সব সময়ই চঞ্চল চৌধুরীর বাবার সম্পত্তির উপর নজর দিয়েছে। সে মূলত এমন একটা কিছুই চায় যে বাসার সাহেবের সন্তানেরা একে অপরের সঙ্গে মারামারি করুক এবং তারা যেন তার বাবার কাছ থেকে সম্পত্তি নিয়ে নেয় যাতে করে সে সম্পত্তি পায়, আর সেই সাথে বাসার সাহেবের সন্তানদের কানের মধ্যে বিষ ঢালে। এদিকে বাসার সাহেবের সন্তানেরা অনেক বেশি বোকাসোকা যার কারণে তারা তার কথা সবসময় বিশ্বাস করে। এদিকে চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি চিন্তিত কারণ তার বাবা তার ছোট আম্মাকে নিয়ে তার মায়ের বাড়িতে যাবে কিন্তু এদিকের চঞ্চল চৌধুরী আবার নদীয়া কে কথা দিয়েছিল যে তারা বিয়ে করবে। যেহেতু তার ছোট আম্মা এখন আর থাকছে না যার কারণে চঞ্চল চৌধুরী কিছুটা চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

আর এ কথা চঞ্চল চৌধুরী যখন তার দুলাভাইকে বলে তখন তার দুলাভাই তাকে নতুন আরেকটা বুদ্ধি দিয়ে দেয় মূলত তার দুলাভাইও চায় যে চঞ্চল চৌধুরী যেন খুব দ্রুতই বিয়ে করে নেয়। কারণ বাসার সাহেবের যতগুলো সন্তান আছে তার মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী একটু চালাক চতুর এবং বুদ্ধিমান যদিও এই বুদ্ধিটা সবসময়ই চক্রান্ত। সে সবসময় একে অপরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এবং নিজেকে কিভাবে সব সময় উপরে রাখা যায় এই ব্যাপারটা চঞ্চল চৌধুরীর মাথায় খুব ভালোভাবেই কাজ করে। তবে চঞ্চল চৌধুরী যে একজন বুদ্ধিমান সেটা তার কথাবার্তা এবং আচার-আচরণে বোঝা যায়।

Screenshot_2024-03-30-04-54-12-18_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-53-21-73_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-53-29-96_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে হঠাৎ করেই বাসার সাহেবের মেয়ে এবং তার বোন অনেক বেশি সাজগোজ করেছে আর সেই সময় এই শাহনাজ খুশি সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং তাদের কাছে জানতে চাই যে তারা এত সাজগোজ করেছে কেন। ঠিক তখনই বাসার সাহেবের মেয়ে তাদেরকে জানায় যে তারা তার ছোট মায়ের বাবার বাড়িতে যাচ্ছে আর একথা শুনে শাহনাজ খুশি অনেকটাই খুশি হয়। যদিও বাশার সাহেবের মেয়ে সবসময়ই এটা জানতে চেয়েছে যে তার ছোট মায়ের বাবার বাড়ি কোথায় এবং তার বাবা যে আসলেই বিয়ে করেছে কিনা এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই সে মূলত তার ছোট মায়ের বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য এতটা উদ্বুদ্ধ হয়ে আছে। যাই হোক তারা কথা বলার এক পর্যায়ে মৌসুমী হামিদকে দেখাচ্ছিল অনেক বেশি চিন্তিত, মৌসুমী হামিদের এই চিন্তিত হওয়ার বিষয়টা লক্ষ্য করলেই কিছুটা আন্দাজ করা যায় যে হয়তো বা মৌসুমি হামিদ মিথ্যে কথা বলেই এ বাসায় এসেছে। সে হয়তো বা বাসার সাহেবের বিয়ে করা স্ত্রী নয়।

নাটকের এ পর্যায়ে এসে মৌসুমী হামিদের চলন বলন দেখেই বুঝলাম যে হয়তোবা বাসার সাহেব সত্য বলছে, বাসার সাহেব হয়তোবা তাকে বিয়ে করেনি কারণ সে যদি তাকে সত্যি সত্যিই বিয়ে করত তাহলে মৌসুমী হামিদ তাকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি যেত কিন্তু যখনই বাসার সাহেব তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছে তখন থেকেই মৌসুমী হামিদ অনেকটাই চিন্তিত হয়ে আছে এবং সে কোনভাবেই তার বাবার বাড়িতে যেতে চাচ্ছে না। হঠাৎ করেই মৌসুমী হামিদ চিল্লাচিল্লি শুরু করে মূলত তার কিছু হয়নি সে এক্টিং করছে যাতে করে তার বাবার বাড়িতে না যাওয়া লাগে এবং অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে। নাটকের এই অংশটুকু দেখে আমরা আপাতত এতদিন পরে এটা বুঝতে পারি যে বাসার সাহেব হয়তোবা সত্য বলছে সে এখনো বিয়ে করেনি,মৌসুমী হামিদ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সেই প্রথম থেকেই।

Screenshot_2024-03-30-04-54-27-49_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-54-47-86_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-55-52-75_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-54-45-96_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-56-53-01_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-57-31-98_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এদিকে চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা যাচ্ছে অনেকটাই মন খারাপ কারণ তার বাবা তার ছোট আমাকে নিয়ে তার ছোট মায়ের বাবার বাড়িতে যাবে বলে মন স্থির করেছে যার কারণে নির্দিষ্ট একটা তারিখে তাদের আর বিয়ে হচ্ছে না। আর নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে যখন নাদিয়া তাকে এটা জানায় তখন নাদিয়া আরো বেশি খুশি হয় তখন নাদিয়া তাকে বলে তাহলে আমরা আজকেই বিয়ে করব। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী তো আর বোকাসোকা নয় সে কোন একটা কথা বলে নাদিয়ার কাছ থেকে পার পেয়ে যায়। কথা বলার এ পর্যায়ে হঠাৎ করে না দিয়া চঞ্চল চৌধুরীর কাছে তার ছোট ভাই অর্থাৎ আরফানের কথা বলে। আরফানের এই কথাটা বলে যে তার ছোট ভাই তাকে আতরের বোতল পাঠিয়েছিল কিন্তু সে সেটার ঘ্রাণ নেয়নি।

পরবর্তীতে অবশ্য তারা বুঝতে পারে যে আরফান কবিরাজের কাছ থেকে এই আতরের মাধ্যমে কোন একটা প্রক্রিয়ায় তাকে বশীকরণ করতে চেয়েছিল। এ কথা শুনে চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় সেই সাথে শাহনাজ খুশির ছোট ভাইয়ের উপরেও কিছুটা রাগান্বিত হয় কারণ দিয়েছিল। রাগান্বিত হবারই কথা যখন প্রিয় মানুষকে কেউ এরকম ভাবে ব্ল্যাক ম্যাজিক করতে চায় তখন নিজের মধ্যে রাগ অনুভব হবে এটাই স্বাভাবিক চঞ্চল চৌধুরীর ক্ষেত্রে ঠিক তেমনটাই ঘটেছে।

Screenshot_2024-03-30-04-57-51-10_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-57-56-43_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-58-01-27_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-04-58-12-55_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এর পরের অংশটা দেখে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে এতটাই খারাপ লেগেছে যে প্রেম এবং ভালবাসার প্রতি মনটা একদমই উঠে গিয়েছে। আপনারা সকলে জানেন যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসতো সেই মেয়েটাও তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো কিন্তু এখন পরিবেশ এবং পরিস্থিতির কারণে মেয়েটা তাকে এতটা পরিমাণ অপমান অপদস্থ করছে যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। হয়তোবা বাসার সাহেবের ছোট ছেলের এখন কোন চাকরি বা ভবিষ্যতে চিন্তা নেই কিন্তু একটা সময় তো তারা একে অপরকে ভালোবেসে ছিল একে অপরের পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছিল, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। বাসার সাহেবের ছোট ছেলে তাকে যে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে সেটা তার কথা শুনলে বোঝা যায় কিন্তু মেয়েটা বরাবরই তার সাথে বেইমানি করে আসছে। এই মেয়েটা যে তার সাথে এরকম আচরণ করবে সেটা প্রথম অবস্থায় কখনোই বুঝতে পারিনি।

Screenshot_2024-03-30-05-19-33-75_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-05-21-50-27_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে এবং তার জামাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। আমি আপনাদেরকে প্রথমেই বলেছিলাম যে বাসার সাহেবের মেয়ে অনেক বেশি তালাক সে সবসময়ই কোন একটা সন্দেহ নিয়ে বসবাস করে। এখন এটা সন্দেহ করছে যে তার ছোট মায়ের তেমন কিছুই হয়নি সে যেন তার বাবার বাড়িতে না যেতে হয় যার কারণে এরকম একটা অ্যাক্টিং করছে। যদিও বাসার সাহেবের মেয়ের ধারণা আর আমার ধারণা একদম একই আমারও এটাই মনে হচ্ছে নাটকের এ পর্যায়ে এসে। নাটকের এ পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছে যে মৌসুমী হামিদ অ্যাক্টিং করছে যার কারণে সে অসুস্থতার ভান ধরেছে। কিন্তু বাসার সাহেব তো আর ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় সে তার সন্তানদেরকে বলেছে যে গাড়ি নিয়ে আসতে গাড়ি নিয়ে এসে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাবে, হসপিটাল থেকে সুস্থ হয়ে এসে তার শ্বশুর বাড়ি যাবে মনে হচ্ছে বাসার সাহেব তার শ্বশুর বাড়ি গিয়েই ছাড়বে।

Screenshot_2024-03-30-05-22-11-75_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-05-22-34-27_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-03-30-05-22-47-98_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এতদিন পরে নাটকের এ পর্যায়ে এসে কিছুটা অনুমান করতে পারছি যে বাসার সাহেব আসলেই এখন পর্যন্ত বিয়ে করেনি। বাসার সাহেব যদি বিয়েই করত তাহলে মৌসুমী হামিদ তার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে অসুস্থ তার ভান ধরত না। যেহেতু মৌসুমী হামিদ অসুস্থতার ভান ধরেছে তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে এর মধ্যে কোন একটা কিন্তু আছে, এই কিন্তুটা দেখা যাক পরবর্তী পর্বে উন্মোচন হয় কিনা। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৬৬ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই পর্বটি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!



শিক্ষণীয় দিক-


পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। ‌ অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


ব্যক্তিগত মতামত-


প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।

ব্যক্তিগত রেটিং-


৮/১০


source

সবগুলো স্ক্রিনশট এখান থেকে নেয়া


সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগনাটক রিভিউ
বিষয়পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৬৬
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG-20231204-WA0004-02.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 4 months ago 

পিতা বনাম পুত্র গং এই নাটকটার বেশিরভাগ পর্ব পড়া হয়েছে আমার। দেখতে দেখতে এই নাটকের 66 টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই নাটকের কাহিনীটা কিন্তু বাস্তবতার সাথে অনেক মিল রয়েছে। বিশেষ করে আগের দিনের সাথে মিল রয়েছে। আগের দিনে তো ছেলেমেয়েদের বয়স যতই হোক না কেন, বাবা মা বিয়ে অনেক দেরি করে দিত তাদেরকে। কিন্তু তাদেরও তো একটা পছন্দ আছে। যাই হোক এই পর্বটা অন্য গুলোর মত ভালোই লেগেছে। প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

 4 months ago 

আসলেই এই নাটকরা সঙ্গে আগের দিনের অনেক বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যায় আগের দিনে ঠিক এমনটাই পিতা মাতারা মনে করত, যদিও বর্তমান সময়ে এরকম দৃশ্য পরিলক্ষিত করা যায় না। এরপরও নাটকটা অনেক বেশি শিক্ষনীয় ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

আপনি পর্যায়ক্রমে এই নাটকটির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করে আসছেন। প্রত্যেকটা পর্ব পড়ে আমি অনেক মজা পাই। এই নাটকটা আসলে ফানি টাইপের। তবে আপনার লেখনীতে অন্যরকম একটা আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে নাটকটির 66 তম পর্ব আমাদের মাঝে রিভিউ দেওয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

নাটকটা কিছুটা ফানি হলেও অনেক বেশি শিক্ষনীয় বলে আমি মনে করি এই নাটক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65269.28
ETH 3441.23
USDT 1.00
SBD 2.62