আজ - ১৮ চৈত্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে.....!!

বেশ কিছুদিন বাদে আমি এমন একটি রেসিপি খেলাম। সত্যি বলতে কাজ করলা আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয় বিশেষ করে কাঁচ কলা ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সেইসাথে কাঁচকলা দিয়ে যেকোনো ধরনের মাছ রান্না করলে সেটা খেতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। বেশ অনেকদিন আগে আমি কাচ কলা দিয়ে সিলভার কাপ মাছ রান্না করে খেয়ে ছিলাম। কাঁচকলা দিয়ে সিলভার কাপ মাছ রান্না খেয়ে আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছিল। তাই তরকারিতে একটু ভিন্ন স্বাদ নেওয়ার জন্য আমার আজকের এই আয়োজন। আলু ও কাঁচকলা দিয়ে মাছের রেসিপি রান্না করার আগেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে। সত্যি বলতে আমার ধারণা মিথ্যা ছিল না, এরকম রেসিপি আমার কাছে বরাবরই খেতে অনেক সুস্বাদু লাগবে। আপনাদের কাছেও এই ধরনের রেসিপি খুবই সুস্বাদু মনে হবে যদি আপনারা বাসায় কখনো চেষ্টা করে দেখেন। যাই হোক চলুন রান্নাটা শুরু করি।

• পেঁয়াজ
• মরিচ
• তেল
• লবণ
• মরিচের গুড়া
• হলুদের গুড়া
• ধুনিয়া গুড়া

সর্বপ্রথমে কাঁচকলা আলু এই দুটি সবজির খুবই চমৎকার ভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। খেয়াল রেখে ছিলাম যেন কাঁচকলা ও আলু সবজির সঙ্গে কোনো রকম ময়লা লেগে আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রেখে ছিলাম।

এরপরে বাটা মাছ গুলো খুবই চমৎকার হবে কড়াই এর উপর তেল দিয়ে ভাজি করে নিয়েছিলাম। ভাজি মাছ রান্না করলে ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুস্বাধু লাগে তাই একটু স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই মাছগুলো খুবই চমৎকার ভাবে ভাগ করেছি।

এরপরে কাঁচকলা ও আলু একটি পরিষ্কার করায় এর উপর ঢেলে দিয়েছি। সেইসাথে চুলায় হালকা তাপের রেখেছিলাম যেন কড়াই এর সঙ্গে সবজি লেগে না যায়।

এরপরে পরিমান মত লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়েছিলাম। তবে এই 2 টি উপকরণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনের থেকে বেশি না হয়ে যায়।

লবণ ও হলুদের গুঁড়া যোগ করার পরে একটি চামচ দিয়ে নারানারি করেছিলাম যেন একত্রে মিশে যায়। একত্রে মিশন শেষ হয়ে গেলে এবার পরিমাণ মত মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে।

মরিচের গুঁড়া ছিটানো শেষ হয়ে গেলে এবার পূর্বের ন্যায় পরিমাণমতো ধনিয়া গুড়া দিতে হবে।

এরপরে সকল উপকরণ গুলো একত্রে একটি চামচ দিয়ে নারানারি করতে হবে। এমন ভাবে নারানারি করতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ এর সাথে আলু ও কাঁচা কলা মিশে যায়।

এরপরে নিচ থেকে তাপ দিতে হবে। সেই সাথে হালকা পরিমাণে পানি মিশিয়ে দিতে হবে। অনেকটা সময় ধরে তাপ দিতে হবে যেন পানি শুকিয়ে যায় সেই সঙ্গে আলু ও কাঁচা কলা সেদ্ধ হয়ে যাবে। যখনই পানি শুকিয়ে যাবে তখন পরীক্ষা করতে হবে সবজি গুলো সঠিকভাবে সেদ্ধ হয়েছে কিনা...!!

এবার আলু কাঁচকলা সেদ্ধ হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিতে হবে।

পানি ঢেলে দেওয়ার পরে এবার ভাজি করা মাছগুলো কড়াই এর উপর ছেড়ে দিতে হবে। সেইসাথে তাপ বৃদ্ধি করতে হবে।

এরপরে কিছু সময় পরে পানিতে বুদবুদ আসবে। পানিতে বুদবুদ আসার পরে অনেক সময় তাপ দিয়ে পানি পরিমাণমতো শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে তরকারির স্বাদ গ্রহণ করতে হবে যদি লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকে তাহলে চুলা থেকে তরকারি নামিয়ে ফেলতে হবে।

কাঁচকলা আলু দিয়ে মাছের এই রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। খুবই মজা লেগেছিল আমার কাছে অনেক তৃপ্তি সহকারে আমরা সকলেই খেয়েছিলাম। চাইলে আপনারাও এরকম ভাবে কাঁচকলা ও আলু দিয়ে মাছ রান্না করে খেতে পারেন। খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন