বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

আজ--০৬ ভাদ্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার মনের ভেতরের কিছু কথা শেয়ার করব। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে
  • আজ--০৬ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • বুধবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ দুপুর সবাইকে......!!


বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনাদের মন্তব্য কি সেটা আমি জানি না তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমি খুবই হতাশ। এটা কোন শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না একটা জাতিকে এরকমভাবে মেধাশূন্য করে দেওয়ার কোন মানে হয় না। কেন আমি এ কথা বললাম আপনারা হয়তোবা এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন। শেষ যখন ২০২০ সালে যারা ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের দেখেছিলাম অটো পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি কি এই ব্যাপারটা কখনো ভাবতে পারেন যে ইন্টারের মত একটা জায়গায় যেখানে কিনা শিক্ষার্থীদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় সেখানে কিভাবে কোনরকম পরীক্ষা ছাড়াই তাদেরকে অটো পাস করিয়ে দেওয়া হলো। যদিও সেই সময়টা করোনা মহামারী ছিল চারিদিকে অনেক বেশি আতঙ্ক ছিল করোনার কারণে হয়তোবা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদেরকে অটো পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যদিও আমি সেই অটো পাসের পক্ষে ছিলাম না কখনোই। যদি সিলেবাস অর্ধেক করে অথবা অর্ধেকের কম করেও পরীক্ষা নেয়া হতো তাহলে হয়তোবা তাদের জন্যই অনেক বেশি ভালো হতো। যারা পরীক্ষা দিতে চাইনি তারা কখনোই নিজেদেরকে মূল্যায়ন করতে চায় না যখনই কোন শিক্ষার্থীকে অটো ব্রাশ করিয়ে দেওয়া হবে ঠিক তখনই মেধার মূল্য হারিয়ে যাবে আর যারা মেধাশূন্য তারা এগিয়ে যাবে।

কিন্তু এভাবে আর কতদিন এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের এডমিশন জীবনে গিয়ে কি করবে সেটা আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধরছে না কোন ভাবেই। শুধুমাত্র ক্লাস বাই ক্লাস উপরে উঠে গেলেই কি সবকিছু শেষ হয়ে যায়...?? এখন একটা কথা বলতেই হচ্ছে যখন ২০২০ সালে করনা মহামারীতে ইন্টারপোয়া শিক্ষার্থীদের অটো পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঠিক তখনও কিন্তু যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো তাদের কিন্তু কোনরকম কনসিডার করা হয়নি তাদের কিন্তু ঠিকই পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল যদিও তাদের জন্য কিছুটা কনসিডার করা হয়েছিল সেটা হচ্ছে সিলেবাস অর্ধেক করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েই তাদের পরবর্তী সেমিস্টারে উঠতে হয়েছিল আর এদিকে ইন্টার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই শুধুমাত্র এসএসসির রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে তাদের রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন যে এসএসসি পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী যখন এসএসসি লেভেলে ভালো রেজাল্ট করে সেই শিক্ষার্থীরই ইন্টারে গিয়ে একই রকম রেজাল্ট কড়বে এমন কোন কথা আছে...?? ঠিক একইভাবে এসএসসিতে যদি কেউ খারাপ রেজাল্ট করে তিনটারে যেও কি সে খারাপ রেজাল্ট করবে..??

যে ছেলে অথবা মেয়ে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করেছে সেই ইন্টারে গিয়ে তো খারাপ রেজাল্ট করতে পারে আবার ঠিক একই রকম ভাবে যে শিক্ষার্থী এসএসসিতে খারাপ রেজাল্ট করেছিল এ গিয়ে সে ভালো রেজাল্ট করতে পারে এটা সম্ভব অসম্ভবের কিছু নয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করল সে আপনা আপনি ইন্টারে ভালো একটা পয়েন্ট নিয়ে বের হলো। আর যার এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট হয়নি সে কিন্তু ইন্টারে গিয়ে ভালোমতো লেখাপড়া করেও ভালো একটা পয়েন্ট নিয়ে ইন্টার শেষ করতে পারছে না। এতে ক্ষতি কাদের বেশি হচ্ছে এতে ক্ষতিটা মেধাবীদের অনেক বেশি হচ্ছে তারা তাদের ন্যায্য অধিকারটা কখনোই ফিরে পাচ্ছে না। লক্ষ্য করলে আপনি দেখবেন যে যাদের পরীক্ষার প্রিপারেশন খুব একটা ভালো নয় একমাত্র তারাই কিন্তু অটো পাস নিয়ে অনেক বেশি মাথা ঘামাচ্ছে কিন্তু তারা এটা কখনোই বুঝতে পারছে না যে এডমিশনে গিয়ে তাদের অবস্থা হবে খুবই ভয়াবহ।

alone-1869997_1280.jpg

source

সেই একই রকমের পুনরাবৃত্তি আমরা আবার দেখতে পাচ্ছি এই ২০২৪ এ এসে। এবারও শুনছি নাকি ইন্টার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অটো পাস দেওয়া হয়েছে অথবা দেওয়া হবে বলে কথাবার্তা চলছে কিন্তু আমার মনে হয় যদি সরকার এইরকম কোন চিন্তা-ভাবনা করেই থাকে তাহলে এটা হবে তাদের সবথেকে বড় ভুল। আমি মনে করি সিলেবাস কম দিয়ে যদি তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয় এতে করে তাদের সকলের মেধার বিকাশ জাগ্রত হবে এবং সকলেই নিজের জায়গা থেকে অনুপ্রাণিত হবে যে নিজে পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট যেটাই হোক সেটা কোন বড় কথা নয় বড় কথা হচ্ছে নিজেকে যাচাই করা। তবে একটা ব্যাপার দেখে সবথেকে বেশি খারাপ লাগলো যে ইন্টার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে বর্তমান সময়ে পলিটেকনিকের স্টুডেন্টরাও আন্দোলন করছে তাদের সেমিস্টারে অটো পাস করিয়ে দেওয়া হোক আমার এই ব্যাপারটা দেখে নিজের কাছে যতটা বেশি দুঃখ লেগেছে তার থেকে বেশি রাগান্বিত হয়েছে। পলিটেকনিকের স্টুডেন্টদের কখনোই অটো পাস করিয়ে দেওয়া উচিত নয় বা অটো পাশের কথা তাদের মাথায় রাখা কখনোই উচিত নয়। কারণ এটা প্র্যাকটিক্যাল একটা জিনিস প্র্যাকটিক্যাল জিনিস কে প্র্যাকটিক্যাল এর মতোই রাখা উচিত এটাকে কখনো সহজ জায়গায় দার করানো উচিত নয়।

বর্তমানে যেটা দেখছি সকলেই তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে আর যেকোনো ধরনের অধিকার দ্বারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় কিন্তু সব কিছুর দাবি মেনে নেওয়া হলেও আমি এই লেখাপড়ার ক্ষেত্রে কখনোই ছাড় দেওয়ার পক্ষে নয়। মনে করুন আজকে যদি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ফটো পাস দিয়ে সেমিস্টার শেষ করে দেওয়া হয় তাহলে সেই শিক্ষার্থী সেই সেমিস্টারের প্যাকটিক্যাল যে কাজগুলো সেই কাজগুলো সম্পর্কে কখনোই অবগত হতে পারবে না যার কারণে সেই কাজগুলো সম্পর্কে তার চিরদিন অজানা হয়ে থাকবে তারা কিছুই শিখতে পারবে না। এমনকি চাকুরি জীবনে গিয়ে তাদের পড়তে হবে অনেক সমস্যায়। কিন্তু এই ব্যাপারটা এই শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছে না কোনভাবেই। এরা ভাবছে যে কোন রকম ভাবে সেমিস্টার পার হতে পারলেই আমরা বেঁচে যাই কিন্তু সামনে যে তাদের কত বড় একটা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এই ব্যাপারে তারা এখন পর্যন্ত কোন জ্ঞান রাখে না বলেই আমার মনে হচ্ছে।

book-3089857_1280.jpg

source

আমার মনে হয় সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর হওয়া উচিত এবং কঠোর পদক্ষেপ এর মাধ্যমে তাদেরকে এই অটো পাস থেকে দূরে রাখা উচিত। একটা জাতি শুধুমাত্র নিজেদের জ্ঞান এবং মেধা দিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে কিন্তু তাদের যদি সেই জ্ঞান এবং মেধা দুটোই ধ্বংস করে দেওয়া হয় তাহলে তারা কখনোই আর বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে কোন ছাড় বা কমপ্রোমাইজ করা কখনোই উচিত নয়। যদি বর্তমান সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না কারণ মাধ্যমিক স্তরের বইগুলো এখন দেখলেই বোঝা যায় সেখানে শিক্ষার্থীদের আসলে কি শেখানো হচ্ছে আর আমাদের সময় একই শেখানো হতো পুরো আকাশ-পাতাল পার্থক্য হয়ে গিয়েছে। আমি মনে করি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা উচিত আবার সেই আগের মতো শিক্ষাব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা উচিত যাতে করে শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও শিখতে পারে।

শিক্ষা ব্যবস্থা আমি মনে করি প্রায় ধ্বংসের পথে আর এরকম ভাবে যদি কয়েক বছর চলতে থাকে তাহলে হয়তো বা শিক্ষা বলে যে একটা জিনিস সেটা হয়তোবা আর থাকবে না শিক্ষার্থীরা হয়তোবা এসএসসি ইন্টারে খুব একটা বেশি ভালো কিছু শিখতে পারবে না যার কারণে তারা সবসময়ই মেধাশূন্য হয়ে থাকবে, আর এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি। যাইহোক বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাদের কেমন ধারণা সেটা অবশ্যই জানাবেন। এটাই তো আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে, আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG_5290-01.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 days ago 

সময়োপোযোগী একটি বিষয় নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার পোস্টটি ভালো হয়েছে। ভালো লেগেছে আমার। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষের অটোপাশের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ পূনবিবেচনা করবেন। ইতোমধ্যেই নটরডেম কলেজ সহ অনেক কলেজের পরীক্ষার্থিরা অটোপাশ অথবা সাবজেক্ট মেপিং য়ের বিষয় থেক সরে এসে পরীক্ষা নেওয়ার আবহান জানিয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 6 days ago 

ভাই আপনি আজকে একদম বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার মতে আমিও মত পোষণ করছি। আমি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সেখান থেকে আমি অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। কেননা বর্তমান পরিস্থিতি ঘন্টায় ঘন্টায় পাল্টাচ্ছে। এমনকি আমাদের পরীক্ষা যেগুলো স্থগিত হয়েছে সেগুলো আদিতেও কি হবে সেটা এখনো অজানা। তাছাড়া বারবার তারা তাদের মত বিনিময় চেঞ্জ করছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। কেননা তারা একটা ফুলফিল ভাবে এখনো প্রস্তাব ধরে রাখতে পারিনি। এটা আমি বলছি শিক্ষা মন্ত্রীর উদ্দেশ্য। তবে এতে করে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বলে আমি মনে করি। তাছাড়া আমাদের আর অল্প কিছু দিন পরেই এডমিশনের একটা চিন্তাভাবনা সবারিই থাকে। সে বিষয় নিয়ে আরো বেশি দুশ্চিন্তা। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা মনে হচ্ছে প্রায় ধ্বংসের দিকে। পোস্টটি দারুন ছিল ভাইয়া । ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

স্টুডেন্টদের ভুলে গেলে চলবে না তাদের স্টাডি লাইফ। আজ যদি তারা এভাবেই তাদের সময় নষ্ট করে তাহলে আমাদের মত একদিন বুঝতে পারবে। কারণ করোনার মুহূর্তে আমাদের দিন নষ্ট হয়েছে। তাই যাই করুক না কেন নিজের লেখাপড়ার প্রতি আগমনোযোগী হতে হবে।

 6 days ago 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অনেকগুলো ভুল রয়েছে আর যারা দীর্ঘ দুটি বছর মনোযোগের সাথে একাগ্রচিত্তে লেখাপড়া করেছে, তারা কোন মেধা যাচাইয়ের জন্য পাবলিক পরীক্ষায় না বসেই অটোপাশ বা প্রোমোশন পেয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার দিকে চলে যাচ্ছে।

বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, একই সাথে আমি বলবো তা মেধার অবমূল্যায়ন। তবে এটি থাকবে না ভবিষ্যতে, আর এডমিশন টেস্টের জন্য শিক্ষার্থীরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে পারে। এডমিশন টেস্টে অটোপ্রমোশন দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।

এক্ষেত্রে মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে যোগ্যতার বলেই একটি ভালো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। তখন মেধার মূল্যায়ন হবে আশা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 62731.36
ETH 2678.00
USDT 1.00
SBD 2.54