মানুষ সত্যিই পরিবর্তনশীল [১০% @shy-fox এর জন্য]
আজ - ০৮ কার্তিক | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ| রবিবার| হেমন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা যাক
ছবিঃ- পূরণ অতীত
মানুষের জীবনে আর কোন কিছু নিয়ে পরিবর্তন হোক বা না হোক বিয়ে পরে একটা মানুষের জীবনে এক বড় সরো একটা পরিবর্তন আসে। আসলে,পুরো মানুষটা-ই বদলে যায়। বদলে যায় বললে হয়তো ভুল হবে,বদলে যেতে হয় বা আমরা বাদলে যেতে বাদ্ধ হই। কারন,আমরা মানবজাতি। আর আমরা মানবজাতি বিধায় আমরা একে অন্যের প্রতি প্রচুর দায়িত্বশীল হয়ে উঠি। প্রচন্ড বিলাসিতা করা এলোমেলো মেয়েটা বিয়ের পরে একদম গোছানো হয়ে যায়। পুরো একটা সংসার সামলে নেয়। দুপুর না হলে যার ঘুম ভাঙ্গতো না, সেও এখন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সবার জন্য নাস্তা বানাতে ব্যাস্ত হয়ে পরে কোন এক অদৃশ্য সংসারের মায়ায়। যে ছেলেটার কোন সময়ের ঠিক ছিলো না,সেই ছেলেটা ও তার নিজের জীবন টা গুছিয়ে নিয়েছে বিয়ে পর কোন মেয়ে স্পর্শে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে গভির রাত করে যে বাসায় ফিরতো,সেও এখন অফিস শেষ করে সোজা বাসায় ফিরে চলে আসে বাচ্চাদের আদর করে,বউয়ের বায়না শোনে।রাগি মেয়েটা-ও একদম শান্ত হয়ে যায় বিয়ের পর। যার সাথে কথা বলা যেতো না রাগের কারনে,সেও এখন পরিবারের সবার কথা মাথা পেতে শোনে। নিজের আত্মসম্মানের কথা না ভেবে ও নিজের পরিবারকে ভালোবাসতে শুরু করে দেয় এবং সম্মান করে। বিয়ের আগে ছেলেরা একটু দায়িত্বশীল কম থাকে। এদের কোন কিছুরই ঠিক থাকে না। কিন্তু আমি দেখেছি বিয়ের পর তারা কি ভাবে বেঁচে থাকে। নিজের জন্য না হলেও পরিবার কিংবা সংসারের জন্য তারা বদলে যায়। তাদের বাঁচতে হয় পরিবারের মায়ায়। বাবার ঘরে রাজরানি হয়ে থাকা মেয়েটারও চাহিদার শেষ থাকে না,অথচ বিয়ের পর মেয়েরা স্বামীর ঘরে নিজের চাহিদার কথা একেবারে ভুলে যায়। মানিয়ে নিতে পারার এই ক্ষমতা মেয়েদের অসিম। যে জায়গা যে অবস্থায় থাকুক না কেন তারা খুব সহজেই আপন করে ফেলে,মেয়েরা আসলে এমনই হয়। বন্ধুদের সাথে টাকা উড়ানো ছেলেটা আজ পরিবারের জন্য হিসেব কষতে শুরু করে দিয়েছে। এখন তার আগের মতো অপচয় করতে ভালো লাগে না। এখন সে তার পরিবার কিংবা ছেলে মেয়েদের কথা ভেবে,নিজের ইচ্ছে গুলোকে মাটি চাপা দিয়ে বাসায় ফেরে। আজ যে সানুষটাকে আপনি বেখেয়ালি, রাগি,দায়িত্বহীন দেখছেন,বিয়ের পর সেই মানুষটা নিজেকে একেবারে নতুন করে বদলে ফেলবে। বিয়ে নামক বন্ধনটা শুধু মাত্র দুটো পরিবারকে এক করে দেয় না,বরং কোথাও দুটো মানুষকে চিরোতরে পরিবর্তন করে দেয়।মানুষকে কোথাও অনেক বেশি দায়িত্ব গ্রহন করে সামনের দিকে অগ্রসর করে তোলে। যে দায়িত্বটা তারা মৃত্যু পর্যন্ত পালন করে থাকে।পালন করে থাকে,শুধু মাত্র নিজের এবং নিজের পরিবারের সবাইকে একটু ভালো রাখার জন্য আর নিজে একটু ভালো থাকার জন্য।
ছবিঃ-বর্তমান সময়
- অবস্থানঃ-https://w3w.co/deed.benched.denoting
মানুষের জীবনে আসলে পরিবর্তনটা খুবই প্রয়োজন। নিজের জন্য না হলেও পরিবারের সকলের হাসি মুখ দেখার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করা খুবই দরকার। একটা সময় এসে নিজেকে নিয়ে আর ভাবতে ভালো লাগে না। তখন শুধু পরিবারের কথাটাই বেশি মনে পরে। মনে হয় কিসে আমার পরিবারের মানুষ ভালো থাকবে। আর এই ভেবে নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার জন্যই আমরা পৃথিবীতে মানবজাতি উপাধি-টা পেয়েছি।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
পৃথিবীটাই পরিবর্তনশীল,আর মানুষ তো হবেই।
সবকিছু পরিবর্তন হতে থাকে ধীরে ধীরে। আমরা একসময় শিশু ছিলাম,তারপর যুবক,তারপর বার্ধক্য,,,,এভাবেই চলে জীবন।
অনেক ভালো একটি প্রতিবেদন লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি আপনার কথার সাথে একদম একমত ভাইয়া। এইযে এখন রেজাল্ট ভালো করতে ইচ্ছে করে বাবা মায়ের মুখের হাসির জন্য আর আগে ইচ্ছে হতো নিজের জন্য।
অনেক ভালো লিখেছেন জীবন ভাই।
আসলে দুনিয়াটা পরিবর্তনশিল,এটাই স্বাভাবিক।
জ্বী ভাই। ধন্যবাদ