আজ - ৩১ বৈশাখ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | গ্রীষ্মকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে.....!!

খুব ছোটবেলা থেকেই আমি দুইটি সবজি খাই না। এক হচ্ছে পটল,দুই করোলা ভাজি। এই দুটি সবজির প্রতি আমার কেন জানি অনীহা সব সময়। তবে যেই পটল এর মধ্যে এখনও বিচি হয়নি সেই পটল মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। আমি এটাও জানি যে আপনারা সকলেই গ্লাস কাপ মাছ অনেক বেশি পছন্দ করেন, ব্যক্তিগতভাবে গ্লাস কাপ মাছ আমার এতটা পছন্দ যে আমি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। আমি আপনাদের মাঝে কিছুদিন আগে নদীতে মাছ ধরার কিছু মুহুর্ত শেয়ার করেছিলাম মূলত আজকে সেই নদীর মাছ রান্না করতে চলেছি। নদীর গ্লাস কাপ মাছ বরাবরই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু দিন ফ্রিজে নদীর এই গ্লাস কাপ মাছ রাখার কারণে আমার কাছে তেমন একটা খেতে ইচ্ছে করেনা। তারপরেও আলু এবং ডাটা এই দুইটি সবজি থাকার কারণে বেশ ভালই লেগেছিল আমার কাছে। প্রথমে ভেবেছিলাম পটল দেওয়ার ফলে হয়তো স্বাদ কিছুটা কমে যাবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। আজ আমি আপনাদের মাঝে পটল আলু ও ডাটা দিয়ে গ্লাস কাপ মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। খুবই সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে এই রেসিপিটি। তাহলে চলুন বেশি কথা না বলে রান্না শুরু করি।

• মরিচ
• রসুন
• পেঁয়াজ
• শুকনা মরিচের গুড়া
• ধুনের গুড়া
• হলুদের গুড়া
• তেল

সর্বপ্রথমে পটল আলু এবং ডাটা এই 3 টি সবজি খুবই চমৎকার ভাবে কেটে নিতে হবে ।তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে যেন সবজির সঙ্গে কোন প্রকার ময়লা লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর ভাবে কেটে নেওয়ার পরে আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে।

এবার কড়াইয়ের উপর পরিমান মত তেল ঢেলে দিতে হবে। তেল ঢেলে দেওয়ার পরে পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা কড়াই এর উপর ছেড়ে দিতে হবে এবং একটি চামচ দিয়ে নারানারি করতে হবে।

এরপরে কড়াই এর উপর পরিমাণগত হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে হলুদের গুড়ার পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায়।

একইভাবে কড়াই এর উপর পরিমাণমতো মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে এই মরিচের গুঁড়া সময় খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণটা যেন সঠিক থাকে। পরিমাপের থেকে বেশি হয়ে গেলে তখন কিন্তু আবার ঝাল বেশি হয়ে যাবে খেতে পারবেন না। তাই লক্ষ রাখতে হবে।

সকল উপকরণ যোগ করার পরে এবার পটল আলু ও ডাটা কড়াই এর উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপরে পর্যাপ্ত লবণ যোগ করতে হবে।

এবার একটি চামচ ব্যবহার করে উপকরণাদির সাথে সবজি গুলো খুবই চমৎকার ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে যেন উপকরণাদি সাথে সবজি অতপ্রত ভাবে মিশে যায়।

এভাবে কিছু সময় নারানারি করতে হবে। একটা সময় করাইয়ের মধ্যে তেলের পরিমাণটা শুকিয়ে যাবে। ঠিক সেইসময় পরিমাণ মতো হালকা একটু পানি ঢেলে দিতে হবে এবং আস্তে আস্তে নাড়া নারী করতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ চলতে থাকলে সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে। সবজি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

যখনই সবজি সিদ্ধ হয়ে গেছে এটা বোঝা যাবে তখন করাইয়ের মধ্যে পানি ঢেলে দিতে হবে পরিমাণমতো।

এবার নিচ থেকে তাপ দিতে হবে। অনেকটা সময় তার দেওয়ার পরে পানিতে বুদবুদ চলে আসবে। পানিতে বুদবুদ আসার পরে তরকারি গুলো আরো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে সেই সাথে মাছ তরকারি উপর ছেড়ে দিতে হবে।

পানির পরিমাণ টা শুকিয়ে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। যখনই পানির পরিমাণ শুকিয়ে যাবে তখন তরকারির স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তরকারিতে যদি লবণ এবং জলের পরিমাণ ঠিক না থাকে তাহলে সেগুলো একটু যোগ করতে হবে, আর যদি লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকে তাহলে তরকারি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

অনেকদিন বাদে পটল আলু এবং ডাটা দিয়ে গ্লাস কাপ মাছের এই রেসিপিটি খেলাম খুবই সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে, সেই সাথে আমরা সকলেই অনেক চমৎকার ভাবে রেসিপিটি উপভোগ করেছিলাম। চাইলে আপনারাও এরকম করে আপনাদের বাসায় রেসিপিটি তৈরি করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু লাগবে আশা করি।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন