"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ--৭৭//নাটক রিভিউ
আজ--২২ শ্রাবণ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বর্ষাকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৭৭)
- আজ--২২শশ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- মঙ্গলবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৭-ই নভেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৭৭ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
অনেকদিন পরে আবার আপনাদের মাঝে নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৭৭ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং নাদিয়া একে অপরের সঙ্গে রাতের বেলা কথা বলছে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে। চঞ্চল চৌধুরী এ সময় আসলে অনেকটাই বেশি চিন্তিত আছে কারণ তার ছোট আম্মা হঠাৎ করেই বাসা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে কোথায় গিয়েছে এটা এখন পর্যন্ত কেউ জানে না আর এ ব্যাপারটা নিয়েই তারা দুজন কথা বলছিল। তবে চঞ্চল চৌধুরী এখন পর্যন্ত সন্দেহ করে তার বাবা তার ছোট আম্মাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে অথবা হত্যা করে ফেলেছে আর এ ব্যাপারে সে নাদিয়াকে বলছে সে পুলিশের কাছে গিয়ে পুরো ব্যাপারটা জানাবে যাতে করে পুলিশ যদি ধরে নিয়ে যায় তাহলে তার বাবাকেই যেন ধরে নিয়ে যায় তাদের যেন পুলিশ ধরে না নিয়ে যায়। আসলে বাস্তবতায় এতটাই কঠিন যে বিপদের সময় নিজের সন্তানেরাও পাশে থাকে না এই অংশটা দেখলে ভালোভাবেই বোঝা যায় যদিও চঞ্চল চৌধুরীর বাবার যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে কারণ চঞ্চল চৌধুরীর বাবা বাসার সাহেব সন্তানদেরকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনা। সে সব সময়ই তার সন্তানদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করে তার থেকে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব হঠাৎ করেই রাতের বেলা ঘুম থেকে উঠে তার আলমারি খুলে তার মৃত স্ত্রীর গহনা গুলো দেখতে যায় যে ঘটনাগুলো আসলেই আলমারির ভেতরে আছে কিনা। কিন্তু আলমারি খুলে যখন সে গহনার বক্স খুলে তখন সেই বক্সে কোন গহনা ছিল না এটা দেখার পরে চঞ্চল চৌধুরী অনেকটাই আশ্চর্য হয়ে যায় কারণ এই আলমারির চাবি সে কিছুদিন আগে তার ছোট বউকে দিয়েছিল কোন একটা কারণে। সে হয়তো বা তাকে দিয়েছিল পারিবারিক চাপে কিন্তু তার ছোট স্ত্রী তার রুমে এসে আসলেই গহনা নিয়ে গিয়েছে কিনা সেটা সে বুঝতে পারছে না তবে বাসার সাহেব তার ছোট স্ত্রীকে সন্দেহ করছে যে সে গহনা নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে আর এই ব্যাপারটা সে সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কেউ এটা বুঝতে চাইছে না। বাসার সাহেবের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেই হয়তো এরকম হতাশ হতো কারণ তার মৃত স্ত্রীর গহনা হঠাৎ করেই আলমারি থেকে চুরি হয়ে গেল আর এ ব্যাপারটা কেউ বুঝতেই পারলো না।
বাসার সাহেব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তার বোন এবং তার মেয়েকে তার রুমে নিয়ে আসে এবং পুরো ব্যাপারটা তাদের কাছে বলে। যদিও আপনারা অনেকেই জানেন যে বাসার সাহেবের মেয়ে অনেক বেশি চালাক এবং চতুর সে পুরো রোম তল্লাশি করে কিন্তু কোথাও তার মায়ের গহনা নেই এটা দেখে তার মেয়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে যায় এবং তার বাবাকে দোষারোপ করতে থাকে যে সে কেন তার ছোট স্ত্রীর কাছে আলমারির চাবি দিয়েছিল। কিন্তু বাসার সাহেব তার ছোট স্ত্রীর দোষারোপ করার পাশাপাশি সে তার মেয়ের জামাইকেও সন্দেহ করে বাসার সাহেব তাকে এটাই বলতে চাচ্ছে যে তার জামাইয়ের সহযোগিতায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী তার আলমারি থেকে গহনা নিয়ে চলে গিয়েছে। একথা শুনে বাসার সাহেবের মেয়ে অনেকটাই বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় মেয়ে এবং বাবার মাঝে অনেকটা সময় তর্ক বিতর্ক হয়। আপনারা সকলেই জানেন যে বাসার সাহেব তার মেয়ের জামাইকে কোন ভাবেই পছন্দ করেনা এবং সে কোনভাবেই চায় না যে তার মেয়ের জামাই তার বাসায় থাকো কিন্তু বাসার সাহেবের মেয়ের জামাই অনেকটাই চালাক চতুর যার কারণে সে সবসময়ই বাসার সাহেবের সন্তানদের কাছে ভালো থাকার চেষ্টা করে।
আমি আপনাদেরকে অনেক আগেই বলেছি যে বাসার সাহেবের মেয়ের জামাই অনেক বেশি চালাক এবং চতুর এবং সে সবসময়ই বাসার সাহেবের সন্তানদের সঙ্গে এমনভাবে মেলামেশা করে এবং এমন ভাবে কথাবার্তা বলে বাসার সাহেবের সন্তানেরা দুলাভাইয়ের অনেক বেশি ভালোবাসে। এদিকে বাসা সাহেবের জামাই তার ছোট ছেলের সঙ্গে কথা বলে যদিও তার ছোট ছেলে কিছুটা অবুঝ টাইপের কারণ সে অলরেডি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ব্যর্থ জীবন যাপন করছে। বাসা থেকে গহনা চুরি হয়ে গিয়েছে এই ব্যাপারটা বাসার সাহেব যখন তার জামাইয়ের উপর দোষ চাপাচ্ছে তখন বাসার সাহেবের জামাই পুরো ব্যাপারটা অস্বীকার করে নিয়েছে। আর এই ব্যাপারটা নিয়েই বাসার সাহেবের জামাই এবং তার ছোট ছেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিল। তবে সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি যে এই গহনা চুরির পিছনে কার হাত রয়েছে।
এদিকে চঞ্চল চৌধুরী এবং তার ফুফু ইতিমধ্যে চঞ্চল চৌধুরীর মায়ের গহনা চুরি হওয়ার ব্যাপারে কথা বলছে। চঞ্চল চৌধুরীর ফুপু বিশ্বাস করে যে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী গহনা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না কারন চঞ্চল চৌধুরী তার ছোট আম্মার অনেক বেশি ভক্ত ছিল এটা আপনারা সকলেই জানেন। যখনই তার ছোট আম্মা বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে তখন থেকেই চঞ্চল চৌধুরীর মনটা অনেক বেশি খারাপ ছিল এদিকে চঞ্চল চৌধুরী বলছে ভিন্ন কথা। চঞ্চল চৌধুরী বলছে যে গহনা হারায়নি তার বাবা সবাইকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে যাতে করে তার ছোট আম্মা বাসা থেকে হারিয়ে গিয়েছে এই ব্যাপারটা সকলেই ভুলে যায়। একথা শুনে বাসার সাহেবের বোন অনেকটাই অভাব হয় যে সন্তানেরা বাবার পক্ষ না নিয়ে কোন এক অচেনা মেয়ের পক্ষ নিচ্ছে কিন্তু বাস্তবিকভাবে চঞ্চল চৌধুরী সব সময়ই তার বাবার বিপরীত। চঞ্চল চৌধুরী এটাও বলেছে যে বাবাকে পুলিশে দিয়ে দিই যখন রিমান্ডে নিয়ে যাবে তখন পুরো ঘটনাটা সে সকলের কাছে খুলে বলবে এ কথা শুনে বাসার সাহেবের বোন অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
সত্যি বলতে বাসার সাহেবের সঙ্গে তার কোন সন্তানেরই বোঝাপড়া খুব একটা বেশি ভালো নয় কারণ বাসার সাহেব তার সন্তানদেরকে খুব একটা বেশি পছন্দ করে না এদিকে বাসার সাহেবের সন্তানেরাও বাবাকে খুব একটা বেশি ভালোবাসে না। নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে সন্তানেরা বাবার থেকে অনেক দূরে চলে আসে যদি বাবা সন্তানদেরকে ভালো না বাসে বাসা সাহেবের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটেছে এ ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে যে বাবার যখন খারাপ সময় যাচ্ছে ঠিক তখনই সে তার পাশে কোন সন্তানকে পাচ্ছে না এর থেকে হতভাগা পিতা আর কি হতে পারে, আপনারাই বলুন...??
যাই হোক এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৭৭ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ টি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৭৭ |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.