"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-২৬//নাটক রিভিউ
আজ - ১১ বৈশাখ| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার| গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--২৬)
- আজ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪০ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ২৬ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ২৬ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান এবং নাদিয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। যদিও এখানে আরফান নাদিয়ার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছে সে যেন তাকে বিয়ে করে এবং তাকে যেন কখনো ছেড়ে না দেয়। তবে লক্ষ্য করে দেখা যায় যে নাদিয়া আরফানকে কখনোই ভালোবাসেনি এবং সে যে তাকে বিয়ে করবে না এটা অনেক আগেই বলে দিয়েছে। এরপরেও আরফান তার কাছেই বারবার ছুটে যায় কারণ সে তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
নাটকের এ পর্যায়ে এসে লক্ষ্য করে দেখলাম যে আরফান আসলেই নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে কিন্তু নাদিয়া আরফানকে ভালোবাসা তো দূরে থাক তার সাথে সেরকম ভাবে কথাই বলে না। ভালোবাসার জন্য যে মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে কতটা অনুরোধ করতে পারে সেটা আরফানকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। কিন্তু নাদিয়া হয়তোবা বুঝেও না বোঝার ভান করছে।
এখানে এসে একদম বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে এরকম ভালোবাসা সমাজে অনেক আছে। যেটাকে আমরা ওয়ান সাইড লাভ বলে থাকি সবসময়ই। একতরফা ভালোবাসা সবসময়ই অনেক বেশি কষ্টের। আর এখানে শুধুমাত্র একজন মানুষের কষ্ট পায় আর একজন মানুষ সবসময়ই অবহেলা করে যায়।
এদিকে বাসার সাহেব এখন অনেক বেশি চিন্তিত। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন তার চিন্তার কারণ। বিয়ে করেছে কি না সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয় তবে একটা মেয়ে বাসায় উঠে এসেছে যে কিনা বাসার সাহেবের বউ বলে দাবি করছে কিন্তু এদিকে বাসার সাহেব কোনোভাবেই সেটা মেনে নিচ্ছে না। এদিকে যে মেয়েটা বাসায় এসেছে তার ছোট্ট একটি সন্তান আছে সে প্রথম স্কুলে ভর্তি হবে যার কারণে বাবার কাছ থেকে দোয়া নিতে এসেছে কিন্তু বাসার সাহেব কোনোভাবেই দোয়া দেয়নি বরঞ্চ তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে চঞ্চল চৌধুরী বরাবরই তার ছোট মায়ের পক্ষে রয়েছে। যদিও তার ছোট মায়ের পক্ষে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে কারণ তার বাবা যদি তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তাহলে সে তাকে বিয়ে দেবে। কিন্তু বাসার সাহেব সেটা কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না।
এদিকে প্রেমের আরেকটা দিক লক্ষ করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে সে একটা মেয়েকে অনেক বেশি ভালোবাসে সেই মেয়েটাও তাকে একটা সময় ভালোবাসতো, কিন্তু বাসার সাহেবের এরকম ঘটনা দেখে সেই মেয়ে আর তার সঙ্গে কথা বলতে চায় না কারণ সেই মেয়ের পরিবার তার সঙ্গে তার বিয়ে দেবে না। এই ভেবে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে অনেকটাই দুঃখী দুঃখী মন নিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়ায়।
নাটকের এ পর্যায়ে একদম বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। পরিবারে যদি এরকম খারাপ কোন দিক থাকে আর এরকম খারাপ দিক থাকলে সেই পরিবারের সঙ্গে কেউই আত্মীয়তা করতে চায় না। নাটকটা এখানে আমার কাছে একদম বাস্তবধর্মী মনে হয়েছে।
এদিকে বাসার সাহেব বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে এই খবরটা চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে যার কারণে অনেক জায়গা থেকেই মানুষ আসছে তার নতুন বউ দেখার জন্য। ঠিক তেমনি ভাবেই শাহনাজ খুশি তাদের বাড়িতে আসে নতুন বউ দেখার জন্য সে সরাসরি চলে যায় বাসার সাহেবের বোনের কাছে। তার কাছে গিয়ে নতুন বউ দেখার কথা বললে তার বোন খুবই রেগে যায় এ নিয়ে তাদের মাঝে এ নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয়। আসলে এই কথা কাটাকাটি হওয়াটা স্বাভাবিক। এমনিতেই তাদের এখন দুরবস্থা তার উপরে মানুষ এসে যদি এরকম কথা বলতে থাকে তাহলে নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে বাসার সাহেবের বড় ছেলে শাহনাজ খুশির ভাইকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শাহনাজ খুশির ননদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। এ পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছে বাসার সাহেবের বড় ছেলে শাহনাজ খুশির ডিভোর্স প্রাপ্ত ননদকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে কিন্তু সে আগে থেকেই সকল রকম সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তবে সে আসলেই বিয়ে করবে কিনা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। তবে তার কথা শুনে মনে হচ্ছে সে বিয়ের জন্য মন স্থির করেছে।
এদিকে বাসা সাহেবের বোন এবং শাহনাজ খুশি মৌসুমী হামিদকে নিয়ে কথা বলছে। আসলে বাসার সাহেবের বোন কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না যে তার ভাই এ বয়সে এসে এরকম কোন কাজ করবে পরক্ষণেই সেখানে মৌসুমী হামিদ এসে হাজির হয় এবং তাকে দুটো কথা শুনিয়ে দেয়। তার কথার ভাব দেখে মনে হচ্ছে সে অনেক বেশি রাগান্বিত এবং বাসার সাহেবের বোনের প্রতি তার রাগ যেন শেষ হচ্ছে না কোন পাপী।
নাটকের এ পর্যায়ে এসে আমি লক্ষ্য করলাম যে মৌসুমী হামিদ অত্যন্ত চালাক চতুর একজন মহিলা। সে বরাবরই যাচ্ছে যে সকলকে এক নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করতে যাতে করে সকলেই তাকে মেনে নেয়। তবে আমি এখন পর্যন্ত একটা বিষয়ে কোনোভাবেই ক্লিয়ার করতে পারলাম না যে আসলেই বাসার সাহেব তাকে বিয়ে করেছে কিনা...!!
নাকি মৌসুমী হামিদ শুধু শুধুই এখানে এসে এরকম জল ঘোলা করছে। এখন পর্যন্ত এই নাটকের এই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে মৌসুমী হামিদের কথাবার্তা ভাব চলন দেখে বোঝা যায় যে সে বাসার সাহেবের বোনকে এই বাসা থেকে বের করে দিতে চায়।
এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ২৬ পর্বের রিভিউ। আশা করছি আপনাদের সকলের কাছে এই রিভিউ খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (২৬ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই নাটক দেখা হয়নি কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে। এর কাহিনি খুবই সুন্দর। এই ধরনের নাটক দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রিভিউ পড়ে আরও বেশি ভালো লাগলো। যদি সময় পাই তাহলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ।
যদি কখনো সময় হয় তাহলে অবশ্যই এই নাটকটি দেখবেন আশা করছি আপনার খুবই ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে আপনি এই নাটকটির ২৬ তম পর্বের রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হলেন।এই পর্ব টির রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সময় করে নাটকটি দেখে নিব।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে করতে অবশেষে ২৬ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছি। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দারুন একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাই। নিজেও এটা দেখেছি। বাংলাদেশের এই ধরনের নাটক গুলো যেমন মজার হয় তেমন নাটকের শেষ প্রান্তে ছোট করে হলেও শিক্ষনীয় কিছু ব্যাপার দেখানো বা বোঝানো হয়। এই ব্যাপারটা দারুন লাগে। সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে গ্রামের ভাষায় কথা বলা গুলো। আর চঞ্চল চৌধুরী তো আমার ভীষণ প্রিয় একজন অভিনেতা। চমৎকার একটা উপস্থাপনা ছিল ভাই।
এই নাটকটিতে গ্রামগঞ্জের ভাষা ব্যবহার করার কারণে এই নাটক দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়টা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
সকাল আহমেদের নাটক গুলো আসলেই বেশ সুন্দর হয়। আর আপনি সকাল আহমেদের এই নাটকটির পর্ব ভিত্তিক রিভিউ করে যাচেছন। আপনার রিভিউ পড়ে কিন্তু নাটকটি আর দেখা প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না । বেশ সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
খুবই চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন পড়ে ভালো লাগলো আসলেই সকল আহমেদের নাটকগুলো খুবই সুন্দর হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।