ফুটবল উন্মাদনা দ্বিতীয় পর্ব [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ০১ পৌষ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার| শীতকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ফুটবল উন্মাদনা (পর্বঃ--০২)
- আজ ০১লা শীতকাল, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
প্রথম পর্বে আমি আপনাদের মাঝে ফুটবল উন্মাদনার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম সেই সাথে আমার মনের অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম। আপনারা আমার মনের অনুভূতি শুনে বুঝতে পেরেছিলেন আমি আসলে আর্জেন্টিনার একজন বড় ভক্ত। মূলত আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করার পিছনে ছোট একটি কারণ সেটা হচ্ছে যে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি যে বাসার পাশে খেলার মাঠে মাঝে মাঝে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফুটবল খেলা হত। সেখানে আমার এক বড় ভাই ফুটবল খেলতে এসে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করতো মূলত আমি তাকে ছোটবেলা থেকে আর্জেন্টিনার সাপোর্ট নিয়ে খেলা করতে দেখেছি। সেখান থেকেই শুধু একটি নামই মনের মধ্যে গেঁথে রেখেছিলাম সেটা হচ্ছে আর্জেন্টিনা যখন খেলাধুলা একটু একটু বোঝার চেষ্টা করলাম তখন একটা নাম সবসময়ই শুনতাম সেটা হচ্ছে লিওনেল মেসি। মূলত সেখান থেকেই আমার আর্জেন্টিনা সাপোর্ট শুরু এখন আমি আর্জেন্টিনার একজন বড় ভক্ত, যে কিনা কোনরকম প্রত্যাশা ছাড়াই দলকে সাপোর্ট করে। আমি তার থেকে কোন কিছু আশা করি না আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নেবে কি নেবে না সেটা আমার সাপোর্ট করার উপর কখনোই নির্ভর করে না মূলত আমি একজন আর্জেন্টাইন জেনুইন সমর্থক। জেনুইন সমর্থকতা মূলত একতরফা ভালবাসার মত।
এটা যদি আপনাকে বোঝাতে যায় তাহলে ছোট্ট একটি উদাহরণ দিলেই হয়তো বা আপনার ভালোমতো বুঝতে পারবেন। উদাহরণটা এমন যে মনে করুন, আপনি একজনকে ভালবাসেন তাকে আপনি মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন কিন্তু অপর পাশের সেই মানুষটা আপনাকে পছন্দ করে না বা ভালোবাসে না। এটাকে আমরা কি বলে থাকি..? এটাকে আমরা বলে থেকে ওয়ান সাইড লাভ বা একতরফা ভালোবাসা, যে ভালোবাসা থাকে কোন কিছু ফেরত পাওয়া যায় না শুধু জীবনভর ভালোবাসতেই হয়। এই যে আপনি জীবনভর ভালবেসে যাচ্ছেন কিন্তু তার থেকে কোনরকম ভালোবাসা পাচ্ছেন না বা আপনি তার থেকেও ভালোবাসা না পেয়ে তাকে ভালবাসাও বাদ দিচ্ছেন না। মূলত আপনি এখানে চাচ্ছেন যে সে আমাকে ভালবাসুক বা না বাসুক তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসেনা, আমি তাকে ভালোবেসে যাবো এটাই মূল কথা। মূলত আমি এমনই একজন আর্জেন্টাইন সমর্থক, আমি তাদেরকে এমনভাবে ভালোবাসি তারা বিশ্বকাপ নেবে কি নেবে না তাতে আমার কিছু যায় আসে না ভালোবাসাটা থেকে যাবে চিরদিনের জন্য।
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ সৌদি আরবের সঙ্গে হারার পরে সত্যিই অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। অনেক বেশি কষ্ট পাওয়ার পরে দ্বিতীয় ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলাম। মূলত আমি মেনে নিতে পারছিলাম না যে যে দলটা পুরো ৩৬ টা ম্যাচ অপরিচিত থাকার পরে সৌদি আরবের কাছে হেরে গেল এটা ভাবতে ভাবতেই আমি ভেতরে ভেতরে অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছিলাম। সৌদি আরবের কাছে হারার পরে দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল মেক্সিকোর সঙ্গে। মেক্সিকো সঙ্গে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে মনে বড় আশা নিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলাম। যদিও মনে মনে খুবই ভয় লাগছিল যে এই ম্যাচটা যদি হেরে যায় তাহলে প্রথম রাউন্ড থেকে হয়তো বা তাকে বাসায় ফিরে যেতে হবে। সেদিন শুধুমাত্র আমি না অনেক দর্শকের মনে অনেক বড় আশা নিয়ে আমরা রাত্রি একটা সময় ফুটবল বিশ্বকাপ দেখা শুরু করি। এদিকে বাসার পাশে বড় একটি প্রজেক্টর লাগানো হয়েছে শুধুমাত্র এই বিশ্বকাপ খেলা দেখা উপলক্ষে। সেখানে অনেক মানুষ একত্রে আমরা খেলা দেখি আসলে সকলে মিলে একত্রে খেলা দেখার মজাই আলাদা। যদিও এখানে সবাই আর্জেন্টাইন সমর্থক নয় অনেকেই ব্রাজিল সহ অন্যান্য দলের সমর্থন করে। অন্যান্য দলের সমর্থন করলেও এখানে বেশিরভাগ মানুষই আর্জেন্টাইন সমর্থক।
এই খেলায় প্রথম অর্ধে তেমন গোল হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় আর্ধে আর্জেন্টাইন যেন অন্য এক রূপ ধারণ করল। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচটা তারা আগের ম্যাচ গুলোর মত খেলতে পারেনি তবে জয়লাভ করেছিল এটাই অনেক বড় কিছু। আর্জেন্টিনার খেলা দেখে আমি যেন তাদেরকে চিনতেই পারছিনা কয়েক মাস আগের ম্যাচগুলোর সঙ্গে বর্তমান খেলার কোন মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন এই এক অন্যরকম আর্জেন্টিনা মনে হচ্ছিল তারা খেলা ভুলে গিয়েছে। মনের ভিতরে অনেকটাই কষ্ট লুকিয়ে রেখেছিলাম সেইসাথে চাপা কান্না তাদের খেলা দেখে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। খারাপ লাগারই কথা যে দলটাকে মনেপ্রাণে এত ভালবাসি সেই দল যদি নিজেদের খেলাটা হারিয়ে ফেলে তাহলে কেমন টা লাগবে আপনারাই ভাবুন একবার...!!
সমস্ত রকমের জল্পনা কল্পনার অবসাদ ঘটিয়ে অবশেষে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় অর্থে গিয়ে দুটো গোল করে মেক্সিকোকে। যখন দুটো গোল করে তখন যেন আনন্দের শেষ নেই এতটা আনন্দ পেয়েছিলাম সত্যিই বলে বোঝাতে পারবো না। এখানে যারা খেলা দেখতে এসেছিল তারা অনেকেই পতাকা নিয়ে এসেছিল আবার অনেকেই বড় বড় বাঁশি নিয়ে এসেছিল। প্রথম গোল হবার সাথে সাথে তারা বাসিতে এত জোরে ফু দেয় বাঁশির শব্দে কান ফেটে যায়। আপনারা একবার ভাবুন রাত তখন দুটো থেকে আড়াইটা 8 থেকে 9 টা বাসি যদি এরকম জোরে বাজানো হয় তাহলে কত জোরে শব্দ হয়। সেদিন অনেকটা খুশি নিয়ে সকলে মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছিলাম। এরকম আনন্দ কোন খেলায় আজ পর্যন্ত করা হয়নি। সকলে মিলে সে কি নাচানাচি আমি তো শুধু ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করাই অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। সেদিনের পর থেকে এ যেন দেখতে পাচ্ছি এক অন্য রকম আর্জেন্টিনা তাদের খেলার ধরণটা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। নেকড়ে তার পুরনো রুপ ধারণ করে মাঠে নেমেছে দেখতেই নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। এখানেই আমি আমার ফুটবল উন্মাদনার দ্বিতীয় পর্ব শেষ করলাম হয়তো বা কিছুদিনের মধ্যে আবার কয়েকটি পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | সাধারণ লেখালেখি |
---|---|
বিষয় | ফুটবল উন্মাদনা দ্বিতীয় পর্ব |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পেরেছি আপনি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করার পেছনের কাহিনীটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। কারণ একতরফা ভালবাসার উদাহরণটা বেশ ভালোই দিয়েছেন। আমিও মনে করি কোন কিছুর প্রত্যাশা না রেখেই ভালোবাসা উচিত। সেটা খেলার প্রতি হোক কিংবা মানুষের প্রতি। তবে যখন সৌদি আরবের সাথে হেরে গিয়েছিল সত্যি আমারও ভীষণ খারাপ লেগেছিল। আমার আসলে খেলার প্রতি অতটা ও ইন্টারেস্ট নেই। তবে আপনার আর্জেন্টিনার সাপোর্টের প্রতি এতটা ভালোবাসা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এবার দেখার অপেক্ষায় ফাইনালে কি হয়।
সত্যিই আমি আর্জেন্টিনাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করি খুব ছোটবেলা থেকেই আর এই সাপোর্ট করার পেছনে রয়েছে ভালোবাসা। ভালোবাসা আছে বলেই হয়তো আর্জেন্টিনার প্রতি এতটা মায়া কাজ করে। সৌদি আরবের সাথে হেরে গিয়ে সত্যিই খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। অবশ্যই ফাইনালে দেখা যাক আজ কি হয়, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
স্বল্প সংখ্যক সাপোর্ট করে প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অন্য নাম পেনাল্টিনা হি হি। এখন পযর্ন্ত পাঁচটা পেনাল্টি পেয়েছে সম্ভবত। যাইহোক সেটা বড় কথা না তবে আর্জেন্টিনা এবার বেশ ভালো খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে। আশাকরি এবারও বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি টা গ্রিজম্যান এমবাপ্পে লরিসদের হাতে উঠবে হি হি হি।।
নাম যেটাই হোক অবশেষে ফাইনালে এসেছি এটাই অনেক বড় সার্থকতা। কিছু কিছু দলের সমর্থকেরা আছে যারা বলেছিল আর্জেন্টিনা প্রথম রাউন্ডেই বাদ হয়ে যাবে তবে দুর্ভাগ্য করবে তারাই বাদ হয়ে গিয়েছে। আগে নিজের জায়গা শক্ত করতে হবে তারপরে অন্য কাউকে বলতে হবে। নিজের জায়গায় যদি ঠিক না থাকে তাহলে অন্যের জায়গা নিয়ে কথা বলার কোন মানেই হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে, দেখা যাক আজ কি হয়।
আসলে লিওনেল মেসি এমনই একটা নাম যাকে দেখে সবাই সাপোর্ট করতে থাকে আর্জেন্টিনাকে। আসলে বর্তমান সময়ে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল নিয়ে আমাদের দেশে উৎসাহ উদ্দীপনা অনেক বেশি। দেখা যাক এবার যদি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নিতে পারে তাহলে অনেক খুশি হব আমি।
আসলে খুব ছোটবেলা থেকে মেসির খেলা দেখে বড় হয়েছি মেসির খেলা দেখে বড় হয়ে যখন কিছুটা খেলা বোঝা শুরু করলাম তখন থেকে আর্জেন্টিনার প্রতি কোন রকম ভালোলাগা কাজ করে গিয়েছে। অবশেষে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে এটাই তাদের এবং আমাদের সার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার মত আমিও ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। জেনে ভালো লাগলো যে আপনিও আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি আর্জেন্টিনা সাপোর্টার এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। আসলে আর্জেন্টিনা কে নিয়ে কিছু বলার নেই বর্তমান যে দল তারা সাজিয়েছে যে কোন দলের সঙ্গে তারা টক্কর দিতে পারবে বলে আমি মনে করি। দেখা যাক আজকে তারা কতটা ভালো খেলে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কোনো দল তাদের টক্কর দিতে পারবে না। আজকে কাপ আর্জেন্টিনায় নিবে।