আজ - ১৩ অগ্রহায়ণ| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | হেমন্তকাল|

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ দুপুর সবাইকে.....!!

আজ আমি আপনাদের মাঝে খাসির মাংসের রেসিপি সম্পর্কে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। বেশ কিছুদিন পরে মেস থেকে বাসায় গিয়েছিলাম। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছিল। অনেক দিন পরে বাসায় গেলে সকল মা, বাবা চায় তার সন্তানকে কিছু ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে। ঠিক তেমনই ভাবে আমার মা,বাবা ও ব্যাতিক্রম নয়। ফ্রিজে খাসির মাংস ছিল হঠাৎ করেই, আম্মু বলতেছে অনেক দিন পরে আসলি,কি খাবি বল..!আমি আবার একটু খাওয়া দাওয়া করতে ভিষণ রকম ভালোবাসি। বললাম মাংস খাওয়াও। মাংস আছে...?আম্মু বললবো ফ্রিজে মাংস রাখা আছে, তাহলে রান্না করি।ফ্রিজে রাখা মাংস আমার তেমন খেতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আমার ছোট বোন বললো ভাইয়া রান্না করতে বল,তুই বাড়িতে আসলে আমরা একটু ভালো ভালো খাবার খাই 😃তুই চলে গেলে আম্মু ভালো ভালো খাবার রান্না করতেই চায় না,বলে যে আমার ছেলে বাড়িতে আসবে তারপরে রান্না করবো🥺ওর কথা শুনে খুবই হাসি পাচ্ছিল। তো আম্মুকে বললাম ঠিক আছে রান্না করো তাহলে, খাসির মাংস। আম্মু সন্ধ্যা বেলায় রান্না করা শুরু করলো,এখন আমি সেই খাসির মাংস রান্নাটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

ছবিঃ-খাসির মাংস

• মরিচ
• পেঁয়াজ
• রসুন
• হলুদ গুড়া
• লবণ
• মরিচের গুড়া
• মসলাগুঁড়া
• জিরা বাটা

প্রথমে খাসির মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে,কিছুসময় পানির মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম তারপরে জমাট বাধা মাংস গুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে, পরিস্কার পানি দ্বারা সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম। একে একে তিনবার মাংস গুলো ধুয়ে নিলাম।তারপরে একটা পাতিল এর মধ্যে মাংস গুলো রেখে পরিমান মতো রসুন এবং পেঁয়াজ কুচি ছিটিয়ে দিলাম।

এবার রসুন এবং পেঁয়াজ কুচির উপর পরিমাণ মতো লবণ দিতে হবে। লবণ দেওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি লবণ হয়ে গেলে কিন্তু খুবই বিপদ।

এরপরে রসুন এবং পেঁয়াজ কুচির উপর পরিমান মতো ধুনের গুড়া দিলাম,তবে খেয়াল রাখতে হবে ধুনের গুড়া যেন পরিমান এর থেকে বেশি না হয়ে যায়। তবে একটু বেশি হলেও সমস্যা নাই পরবর্তীতে পানি অথবা তেল দিয়ে স্বাদ নেওয়া যাবে।

তারপর রসুন পেঁয়াজ এবং ধুনের গুড়ার উপর হলুদের গুড়া ছিটিয়ে দিলাম,তবে অবশ্যই সেটা পরিমাণ মতো দিতে হবে

এবার সকল উপকরণ এর উপর মরিচ এর গুড়া দিয়ে দিলাম। মরিচের গুড়া দেওয়ার সময় পরিমাণ মতো দিতে হবে। পরিমাণ এর থেকে বেশি হয় গেলে,তখন ঝাল এ মরে যেতে হবে 😃যদিও আমাদের এই রেসিপি তে মরিচ এর গুড়া টা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল।

মাংসে স্বাদ বাড়ানোর জন্য, আলাদা ভাবে কিছু কাঁচা মরিচ কেঁটে ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে মাংসের স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।

এবার পরিমাণ মতো কিছু এলাচ ও গরম মসলা, পাটায় সুন্দর ভাবে বেঁটে নিই, এবং সে গুলো উপকরণাদির উপর ছিটিয়ে দিই।

এবার সকল উপকরণাদির উপর পরিমাণ মতো তেল ছিটিয়ে দিই। তেল দেওয়ার পরে একটি চামচ দিয়ে সুন্দর ভাবে নেড়ে দিয়ে, তারপর চুলার উপর পাতিল বসিয়ে দিই

এরপর অনেক ক্ষন তাপ দিতে হবে। মাঝে মধ্যে চামচ দিয়ে নাড়ানাড়ি করতে হবে। এবং স্বাদ গ্রহন করতে করে। কোন কিছুর পরিমাণ কম হয়ে সেটা দিয়ে স্বাদ বাড়াতে হবে।

সর্বশেষে,সকল উপাদন যোগ করে দিয়ে,দেখতে হবে মাংস সিদ্ধ হয়েছে কি'না। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে পাতিল চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

এভাবেই আমার সুস্বাদু খাসির মাংস রান্নার রেসিপি টা শেষ হলো।

আমার পরিচয়

আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।