আজ - ১৫ আষাঢ় | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষাকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে.....!!

আমরা সচরাচর সবাই ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি। আমাদের সবার ফটোগ্রাফির মধ্যেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি করে থাকি। কারণ এই প্রকৃতির মাঝে অপরূপ সৌন্দর্য বিদ্যমান থাকে। বাংলার এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে অনেক কবি সাহিত্যিক চোখ না জড়ানো অনেক রকম কবিতা ছন্দ উপন্যাস লিখেছেন। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা অনেকেই প্রাকৃতিক জগতের প্রেমে পড়ে যাই। এই প্রেম এমন প্রেম যে যত দেখি ততই ভালো লাগে। যদি কারো মন খারাপ থাকে তাহলে কেউ যদি তার মনের গহীন গহবর থেকে প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে তাহলে, অবশ্যই তার মন ভালো হয়ে যাবে। আমি মাঝে মাঝেই প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যাই, তাই মাঝে মাঝে কিছু প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যের স্মৃতি আমার ফোনের মাধ্যমে ধারণ করে রাখে। যখনই মন খারাপ হয় তখন এই প্রাকৃতিক ছবিগুলো দেখে আমি নতুন রূপে প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রেমে মজে যাই। আজ আমি আপনাদের মাঝে সেই রকম কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করব। যা সত্যিই প্রেমময়ী।

ফুল এবং আকাশ দেখতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি। আর এই ফুল এবং আকাশ যদি আমরা একত্রে দেখতে পারি তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। এইতো গত কয়েকদিন আগে আমি একটু ঘুরাঘুরি করার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম। রাস্তার পাশ দিয়ে আমি যখন হেটে হেটে অগ্রসর হয়ে ছিলাম তখন আমি রাস্তার পাশে একটি গাছ দেখেছিলাম যে গাছটি মূলত পাতাবাহারের গাছ। এই গাছের বৈশিষ্ট্য ও পাতাগুলো একদম সবুজ বর্ণ আর এর সাথে যে ফুলগুলো ধরে থাকে সেগুলো রক্তাক্ত লাল। এরকম ফুল দেখতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। যেহেতু সময়টা বিকেল ছিল তাই আকাশটা অনেক বেশি নিল এবং সাদা মেঘের ভেলায় উৎফুল্ল ছিল। বিকেলের সেই আকাশটি দেখতে খুব চমৎকার দেখাচ্ছিল। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা সেইসাথে রক্তাক্ত লাল বর্ণের ফুল দৃশ্যটা সত্যিই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখে আমি আর স্থির থাকতে পারিনি তাই ফোনটা বের করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। শহরে মাঝে মাঝে এমন কিছু দৃশ্য দেখা যায় যে দৃশ্যগুলো অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের মধ্যে আমার সেদিনের এই ফুল এবং আকাশের দৃশ্যটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছিল। সকলে মিলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেদিনের বিকেলবেলা।

এখন আষাঢ় মাস আছি আষাঢ় মাসে আকাশ এক এক সময় এক এক রকম দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। ঠিক তেমনি ভাবে আমি লক্ষ করেছিলাম যে দিন আমি উপরের এই দুটো ছবি তুলেছিলাম সেদিন সকাল বেলার আকাশটা ছিল মেঘাছন্ন। চারিদিকে মেঘের ঘনঘটা দেখে মনে হচ্ছিল আজ যেন প্রচুর বৃষ্টি হবে কিন্তু সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে আকাশ এর রং পরিবর্তন হতে থাকে। কুচকুচে কালো বর্ণ থেকে আকাশ রং পরিবর্তিত হয়ে নীল এবং সাদা রঙের বেলায় আকাশ পরিবর্তিত হতে থাকে। যদিও আমি দুপুর টাইমে তেমন ছাদে উঠি না। তবে সেদিন কেন জানি হঠাৎ করেই দুপুরে ছাদে উঠেছিলাম। আকাশের দিকে তাকাতেই আমার মনটা আনন্দে নেচে উঠল কারন এরকম দৃশ্য সচরাচর তেমন একটা দেখা যায়না। দৃশ্যটা দেখে অবাক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নীল রঙের আকাশ মাঝে মাঝে সাদা রঙের ভেলা সেদিনের সেই দৃশ্যটা আকর্ষণীয় ছিল। ছাদের উপরে কয়েকটি গাছ লাগানো আছে অনেক ধরনের গাছ আছে তার মধ্যে লেবু গাছ সব থেকে বেশি। লেবু গাছ কে সামনে নিয়ে আমি আকাশের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম দৃশ্যটা বেশি রোমাঞ্চকর করার জন্য। আশা করি আমার এই ফটোগ্রাফি করল আপনার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

এটা একটি গোলাপ ফুল আমরা সকলেই এটা জানি যে গোলাপ ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর আমরা সকলেই গোলাপ ফুলকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির গলা পাওয়া যায় এই যেমন ধরুন সাদা গোলাপ লাল গোলাপ কালো গোলাপ যদিও কালো গোলাপ তেমন একটা বেশি দেখা যায় না। সবথেকে বেশি সাদা এবং লাল গোলাপ দেখা যায়। কদিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাজারে গিয়েছিলাম বাজার থেকে অন্য একটা পথ দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম। বাসার উদ্দেশ্যে যখন রওনা করি তখন আমি দেখতে পেয়েছিলাম একটা বাসার সামনে এরকম সাদা এবং লাল গোলাপ। সাদা এবং লাল গোলাপের গাছ দেখে ভাবলাম কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি। যেমন ভাবা তেমন কাজ আমি সেখানে গিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম যদিও তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তবে সন্ধে মুহূর্তে গোলাপের ফটোগ্রাফি করলে আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে।

এটা একটি পেঁপে এবং পেঁপে ফুলের ফটোগ্রাফি। বেশ অনেকদিন আগে যখন বাসায় থাকতাম তখন আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যেতাম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য। অনেকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে এরকম দুটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। এই ফটোগ্রাফি টি আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটা বাগান থেকে তোলা। এই ফটোগ্রাফি দেখলেই বোঝা যায় যে পেপে গাছে যখন পেঁপে ধরে তখন সেই দৃশ্যটা দেখতে কেমন। পেঁপের ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছিল সেই সাথে আমি দেখেছিলাম কয়েকটি গাছে ফুল পড়ে গিয়ে পেঁপে ধরেছে। ছোট ছোট এই ব্যাপারগুলো আরও বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিল তাই আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারেনি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তার মধ্যে থেকে আগে কয়েকটি শেয়ার করেছিলাম আর আজকে দুটি শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।

এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এ যুগে তেমন একটা গরুর লাঙ্গল দেখা যায় না কারণ সবকিছুই ডিজিটাল। যদিও এখন গ্রামাঞ্চলে তেমন একটা গরুর লাঙ্গল দেখা যায় না সবাই এখন পাওয়ার টিলার এবং ট্রাক্টর ব্যবহার করে নিজেদের জমি চাষ করে থাকে। কারণ গরুর লাঙ্গল ব্যবহার করে জমি চাষ করাটা অনেক কষ্টের এবং সময় অনেক বেশি লাগে। মানুষ এখন আধুনিক হয়ে গিয়েছে আর এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ গরুর লাঙ্গল ব্যবহার করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমি সেদিন মাঠ ঘুরতে গিয়ে এরকম গরুর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা দেখেছিলাম দৃশ্যটা আমার কাছে এত বেশি ভালো লেগেছিল বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকটা সময় সেই জমির আইল এর ওপর বসে থেকে জমি চাষ করে দেখেছিলাম। আমি সেটা দেখেই বুঝেছিলাম যে গরুর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করাটা কতটা কষ্টের একটি কাজ। আমি জমি চাষ করে দেখছিলাম আর মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম সেগুলোর মধ্যে আপনাদের মাঝে আজকে একটি শেয়ার করলাম এর আগেও আমি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

শেষ বিকেলে সূর্য দেখতে কার না ভালো লাগে আপনারাই বলুন...?? আপনাদের কার কাছে কেমন লাগে আমি সেটা বলতে পারবো না তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে শেষ বিকেলের সূর্য অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে নদীর ঘাটে গিয়ে শেষ বিকেলের সূর্য ডোবা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমি এরকম মুহূর্ত অনেকবার কাটিয়েছি। যখন বাসায় থাকতাম তখন প্রায় মাঝে মাঝেই বন্ধুদের সঙ্গে নৌকা করে নদী ভ্রমণ করতাম। নদী ভ্রমণ করতে গিয়ে আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য নদী শেষপ্রান্তে ডুবে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত নদীর মধ্যে অবস্থান করতাম। কারণ শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত দেখার মাঝে অনেক রকম ভালোবাসা নিহিত থাকে। শেষ বিকেলের সূর্য ডোবার মধ্যে বোঝা যায় শেষ টা অনেক বেশী সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর হয়ে থাকে। আমি কদিন আগে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফটোগ্রাফিটি আমি কয়েকটি গাছকে সামনে রেখে করেছিলাম যেগুলোর কারণে দৃশ্যটা আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

দিনটা ছিল ১৬ই ডিসেম্বর। 16 ই ডিসেম্বর আমাদের স্বাধীনতা দিবস আর এই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে খুবই চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছিল। ক্যাম্পাস তো এতো চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছিল যে রাতের বেলা সেই দৃশ্যটি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল। চারিদিকে শুধু লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল লাল নীল সবুজ হলুদ রঙের এই লাইট ব্যবহার করার কারণে চারিদিক অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছিল। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক এর একটি চিরচেনা জায়গা সেটা হচ্ছে বকুলতলা। এই বকুলতলা দাঁড়িয়ে অনেক রকম স্মৃতি অনেক রকম কাহিনী জড়িত সকল শিক্ষার্থীর মাঝে। এই বকুলতলা দাঁড়িয়েই কারো কারো জীবনের প্রেমের ফুল ফোটে আবার কারো কারো জীবন থেকে প্রেম চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বকুলতলা যেন এক স্মরণীয় একটি জায়গা। ঠিক তেমনি ভাবে এটা আমার খুবই প্রিয় একটা জায়গা মাঝে মাঝে এখানে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে অনেকটা সময় অতিবাহিত করি। 16 ডিসেম্বর উপলক্ষে গাছের চারিদিকে লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। ভাই অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম কারণ সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখলেই আমরা ফটোগ্রাফি করি এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য। সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন