আজ--০৮ ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন জনপ্রিয় কয়েকটি কমিউনিটির মধ্যে একটি। এটা ভাবতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে,সেই সাথে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হয়ে।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে.....!!

বর্তমান সময়ের ফটোগ্রাফি করাটা যেন সকলের নেশা হয়ে গিয়েছে। কমিউনিটিতে এখন প্রায় সকলেই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে যে ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক বেশি সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর হয়। আমিও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে তুলে ধরার। যদিও তেমন একটা ভালো ফটোগ্রাফি করে না তবে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দর ফটোগ্রাফি করার। আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো সেই ফটোগ্রাফি গুলো মূলত বিভিন্ন জায়গা থেকে আমি তুলেছিলাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করে যাব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার।

যাইহোক অনেকদিন পরে আপনাদের মাঝে আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। চেষ্টা করেছি প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ভাবে ক্যাপচার করার আশা করছি আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লাগবে।

ফটোগ্রাফি--০১

খেসারির ফুল দেখতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি আর খেসারির ফুল আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ফুলের মধ্যে অন্যরকম একটা রঙ আছে রংটা কিছুটা গারো নীল। দেখতে বেশ ভালই লাগে। অনেকদিন আগে নিজেদের জমি দেখতে গিয়েছিলাম নিজেদের জমি দেখতে গিয়ে দেখেছিলাম যে আমাদের জমিতে খেসারি গাছের সঙ্গে ধরে আছে এরকম সুন্দর সুন্দর ফুল। শুধুমাত্র ফুলে ফুলে চারিদিকে ভরে উঠেছে তবে এখন পর্যন্ত ফল আসেনি হয়তোবা কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে ফল। সেদিন গিয়ে অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম তার মধ্যে থেকে একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করছি এই ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

ফটোগ্রাফি--০২

যদিও বর্তমান সময়ে শীতের তেমন দেখা নেই তবে একমাস আগেও হয়তোবা প্রচন্ড শীত ছিল গ্রাম অঞ্চলে। শহর অঞ্চলের খুব একটা শীতের দেখা না মিললেও গ্রামে গিয়ে ভালই সেটা তীব্রতা অনুভব করেছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম মাঠের দিকে তখন প্রচন্ড কুয়াশা ছিল সূর্য হালকা হালকা কেবল উঠেছে সেই সময় দেখেছিলাম যে গম গাছের পাতার উপর শিশিরের কনা। দেখতে বেশ ভালই লাগছিল চারিদিকে শিশির ভেজা ঘাস লতাপাতা দেখতে অসাধারণ লাগছিল আর যখন সূর্যের কিরণ সেই শিশির বিন্দুর উপর গিয়ে পড়ছিল তখন মনে হচ্ছিল এক একটা মুক্তোর দানা প্রতিফলিত হচ্ছে। দৃশ্যটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

ফটোগ্রাফি--০৩

শেষ বিকেলের সূর্যের দৃশ্যটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ তখন সূর্যের রক্তাক্ত বর্ণ ধারণ করে। রক্তাক্ত সূর্য দেখতে আসলেই অনেক বেশি সুন্দর আর এই সময়ে পরিবেশটা আরো বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে চারিদিকে কেমন যেন একটা নীরবতা বিরাজ করে সবসময়। নিজেদের কলা গাছ দেখতে গিয়েছিলাম মাঠে কলার জমিতে গিয়ে দেখেছিলাম যে কলা গাছের মাঝ দিয়ে সূর্য কিরণ দিচ্ছে। হয়তোবা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যটা অস্ত চলে যাবে আর সেই মুহূর্তে এরকম একটা দৃশ্য দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি তাই সূর্যের সেই সময়ের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল কলা গাছের ফাঁকা অংশ দিয়ে যেয়ে কিরণ আমাদের চোখে এসে বা গায়ে এসে লাগছে সেটা অনেকটা লাইটের ফোকাস এর মত মনে হচ্ছিল। এই দৃশ্য টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল সেদিন।

ফটোগ্রাফি--০৪

এই ফুল টা দেখে হয়তো বা আপনারা অনেকেই অন্য ফুল ভাবতে পারেন আবার নাও পারেন তবে প্রথম অবস্থায় আমি এটা দেখে বুঝতে পারিনি যে এটা কি ফুল পড়ে অবশ্য জানতে পেরেছি এটা একটা জবা ফুল। সচরাচর আমি এই দুই ধরনের জবা সম্পর্কে ধারণা রাখতাম এক হচ্ছে সাদা জবা আর দুই লালজবা। সাদা জবা এবং লাল জবা এই দুটো যাবার মধ্যে আমার কাছে সাদা জবা অনেক বেশি ভালো লাগে তবে এই জবা ফুলটার রং কিছুটা ভিন্ন। এই এই জবা ফুল গাছটা আমাদের মসজিদের সামনে লাগানো হয়েছে মসজিদের সৌন্দর্যটা বৃদ্ধি করার জন্য ছোট একটা বাগান তৈরি করা হয়েছে সেখানে অনেক রকম ফুল চাষ করা হয় দেখতেও অনেক বেশি সুন্দর লাগে। যদিও এই জবা ফুলটা এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফুটে নিতে হবে হয়তোবা কিছুদিনের মধ্যেই ফুটে যাবে।

ফটোগ্রাফি--০৫

এটা ভুট্টা গাছের অংশ। যখন ভুট্টা গাছ কিছুটা বড় হয়ে যায় তখন ভুট্টা গাছের মাঝ থেকে কিছুটা এরকম অংশ বের হয় আর এই অংশ থেকেই মূলত ভুট্টার সৃষ্টি হয়। এই অংশটাকে বলা হয় করি এটা প্রথম অবস্থায় মেয়েদের চুলের মতো লম্বা হয়ে ওঠে এবং যখন এটা কিছুটা লম্বা হয়ে যায় তখন এর মাঝ থেকে ভুট্টার জন্ম হয় এ ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে যে একটা ভুট্টা সৃষ্টি হতে কত রকম প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তৈরি হয়। মাঝে মাঝে বিকেল বেলা মাঠে হাঁটতে বের হতাম তখন এই রাস্তার ধারে এরকম একটা ছোট্ট ভুট্টা ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় এই দৃশ্যটা দেখেছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল। সত্যি বলতে গ্রামে থাকলে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায়।

ফটোগ্রাফি--০৬

এটা হচ্ছে পেঁপে গাছের ফুল। পেঁপে গাছের ফুল গুলো সব সময় সাদা হয় প্রথম অবস্থায় সাদা ফুলের সৃষ্টি হয় আর সেই ফুল থেকেই মূলত পেঁপে তৈরি হয়। যদিও এ বছর আমাদের বাড়িতে পেঁপে গাছ লাগানো হয়নি তবে বাড়ির পাশেই ছোট্ট একটা বাগান আছে সেটা অন্যজনের। সেদিন হঠাৎ করেই তার পেঁপে বাগান ঘুরতে গিয়েছিলাম পেঁপে বাগান ঘুরতে গিয়ে দেখেছিলাম যে পেঁপে গাছে সবেমাত্র এরকম সুন্দর সুন্দর সাদা ফুলের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই ফুলগুলো ফুটতে কিছুদিন সময় নাই তবে যখন এই ফুলগুলো ঝরে যায় তার কিছুদিনের মধ্যেই পেঁপে তৈরি হয়ে যায় আর সেটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। পেঁপে ফুলের এই দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল সেদিন।

ফটোগ্রাফি--০৭

আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করি তবে আগুন দেখে আমরা সব সময় ভয় পাই। শীতকালীন সময়ে আমরা আগুনকে অনেক বেশি ভালোবাসি যদিও এই বছর অনেকবার মাঠে গিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে এবং সন্ধ্যাবেলায় মাঠের মধ্যে বসে আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বসে বসে গল্প করা হয়েছে অনেক রাত কেটে গিয়েছে অনেকটা সময় তবে সে সময় গুলো ছিল খুবই রোমাঞ্চকর এবং অত্যাধিক মাত্রায় সুন্দর। এ বছর সন্ধ্যেবেলার আগ মুহূর্তে এই আগুনটা জ্বালিয়েছিলাম কোন এক মাঠের মাঝখানে চারদিকে আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলাম আর গল্প করছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল। সেই মুহূর্তটার কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy