শহর বসন্তের ছোঁয়ায় মাতোয়ারা
আজ - ০৬ ফাল্গুন| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- শহরে বসন্তের ছোঁয়া
- আজ ০৬ই ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
এইতো কয়েকদিন আগে ফাল্গুন মাস শুরু হলো। ফাল্গুন মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে যেন প্রকৃতি সেজে উঠেছে তার নতুন রূপে। নিজস্ব এক সাজ সে এতদিন পর্যন্ত নিজের মধ্যে নিহিত রেখেছিল। নিজের মধ্যে যে সাজ নিহিত করে রেখেছিল সেটা যেন সে উজাড় করে দিয়েছে। গাছে গাছে দেখা যাচ্ছে শিমুল ফুল,শিমুল ফুল ফাল্গুন মাসের এক অন্যতম কয়েকটি ফুলের মধ্যে একটি। সত্যি বলতে গ্রামাঞ্চলে তেমন একটা ফাল্গুন মাস অনুভব করা যায় না গ্রামাঞ্চলে ফাল্গুন মাস বলতে গ্রাম্য মানুষ সেটাই বোঝে সেটা হচ্ছে এ সময় চারিদিকে ধুলাবালি আর কৃষকের মাঠে ফসল পাকার এক অন্যতম সময়। আসলে গ্রাম গঞ্জের মানুষ ফাল্গুন মাস বলতে সব থেকে বেশি এটাই বোঝে যে এই সময় কৃষকের মাঠের ফসল পেকে যাবে ফসল ঘরে আসবে এবং সেগুলো তারা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে এটাই মূলত গ্রাম গঞ্জের মানুষের ফাল্গুন মাস সম্পর্কে ধারণা।
শহরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এক ভিন্ন অবস্থা এটা যেন গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা সঙ্গে তেমন একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। সত্যি বলতে একটুও মিল নেই বললেই চলে কারণ শহর অঞ্চলের মানুষ আর গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কখনোই এক নয়। এখন ফাল্গুন মাস এই ফাল্গুন মাস উপলক্ষে দেখা যায় যে অনেকেই বিকেল বেলা লাল শাড়ি নীল পার আবার অনেকেই চুলের উপর ফুলের খোঁপা ইত্যাদি মানে যে যেমন করে ইচ্ছে তেমন করে সে যে রাস্তাঘাটে হেলেদুলে হেটে বেড়াচ্ছে আবার কেউ কেউ পার্কে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছে মূলত তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফাল্গুন মাসকে ফাগুনি করে তোলা। ফাল্গুন মাসটা আসলেই যেন শহরের বুকে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয় যেটা হয়তোবা অন্য কোন মাসে তেমন একটা পরিলক্ষিত করা যায় না।
যেহেতু খুব ছোটবেলা থেকেই বাহিরে থাকতে হয় যেমন এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে এই কুষ্টিয়া তে থেকেছি সেখানে দেখেছি এক ভিন্ন রকম অবস্থা সেখানে দেখেছি ফাল্গুন মাস আসলেই কিশোর কিশোরীরা রিক্সায় উঠে সারা শহর ঘুরাঘুরি করে যদিও আমার ভাগ্যে এরকম ঘোরাঘুরি কখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন আবার লেখাপড়ার তাগিদে ঢাকায় চলে এসেছি ঢাকায় এসেও দেখি সেই একই অবস্থা অবস্থার যেন কোন পরিবর্তন হয়নি সবকিছু কেমন যেন নিজের কাছে নতুন নতুন লাগে কারণ যেদিকে তাকাই সবদিকেই দেখি সবকিছু নতুন পুরাতন কোন কিছুই চোখের সামনে তেমন একটা দেখতে পাই না।
এইতো কিছুদিন আগে অর্থাৎ পহেলা ফাগুনের দিনে বাহিরে বের হওয়ার তেমন একটা ইচ্ছে ছিল না। সত্যি বলতে সেদিন যে পহেলা ফাগুন ছিল সেটা আমি জানতামই না আমার কোনক্রমেই মনে নেই যে আজকে পহেলা ফাগুন। যদিও আমি রুম থেকে তেমন একটা বের হই না কিন্তু হঠাৎ করে কিছু একটা কেনার উদ্দেশ্যে বাহিরে বের হয়েছিলাম বাহিরে বের হয়েছিলাম বিকেল পাঁচটার দিকে। আমি এখন যে বাসায় থাকি সেই বাসাটা মেইন রাস্তা থেকে কিছুটা ভেতরে যার কারণে বাসার গলিতে তেমন একটা আগুনের আবহাওয়া লাগেনি। যাইহোক আমি হেঁটে হেঁটে যখন মেইন রাস্তায় পৌঁছে গেলাম তখন রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম এই ভেবে যে কি ব্যাপার আজকে কি এমন দিন যার কারণে রাস্তায় এত মানুষজন। তখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাবার সময় দেখলাম রিকশায় কিছু তরুণী কাপড় পড়ে মাথায় ফুল নিয়ে যাচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে ফাগুনের শুভেচ্ছা। ঠিক তখনই আমার মাথায় কাজ করল আরে হ্যাঁ আজকে মনে হয় পহেলা ফাগুন তখন প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখি হ্যাঁ আজ পহেলা ফাগুন যার কারণে এই শহর আজকে সেজেছে নতুন সাজে।
আমি মূলত গিয়েছিলাম একটা দোকানে। বাসার এক বন্ধুর পিসি অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যার কারণে সে কিছুটা মেরামত করার জন্য দোকানে সেটা দিয়ে এসেছিল এবং কোন একটা কারণে সে হঠাৎ বাসায় চলে গিয়েছে। বাসায় চলে যাওয়ার কারণে সে আর সেই পিসির দোকানদারের সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতে পারিনি তাই আমার কাছে ফোন দিয়ে বলল যে তুই গিয়ে একটু দোকানদারের সঙ্গে কথা বল পিসি কত দিনের ঠিক করে দিতে পারবে। মূলত বাহিরে বের হওয়ার এই একটাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু আফসোস আমি যতক্ষণে গিয়ে দোকানে পৌঁছালাম ততক্ষণে গিয়ে দেখি দোকানটা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করলাম কিন্তু দোকান বন্ধ খুবই খারাপ লাগছিল এতটা পথ হেঁটে হেঁটে আসলাম কিন্তু দোকানের সঙ্গে কথা বলতে পারলাম না। তারপরে আমি দোকাননির শাটারের সঙ্গে লেখা নাম্বারে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে সে দোকানে আসবে কিনা। যখন আমি তার কাছে ফোন দিলাম যে সে দোকানে আসবে কিনা তার উত্তরে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। সে আমাকে বলছে ভাই আপনি রোবট নাকি...?? আমি তখন তাকে বললাম কেন আমি রোবট হতে যাবো কেনো। তখন সে বলল আজ পহেলা ফাগুন আজ থেকেও দোকান খুলে এটা আপনার মনে হয়...?? আজকে আপনি চলে যান কালকে আসবেন কথা বলব আজকে আমি আর দোকান খুলবো না আজকে সারা শহর ঘুরবো। এরপরে আমি তাকে বললাম আপনার জন্য শুভকামনা শুধু এটুকুই বলে ফোনটা কেটে দিলাম।
এতক্ষণে আমি বুঝতে পেরেছি শহরের বুকে ফাগুন এসে গিয়েছে ফাগুন এসেছে বিধায় এই শহরটা আজকে এত রঙিন এবং রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। আসলে এই ফাগুনের দিনে অনেকেই প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা করেছে ঘুরতে গিয়েছে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে এই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে এটা দেখতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে শহরে অবস্থানকালীন সময়ে বোঝা যায় যে শহরে কত পূর্ণভাবে ফাগুনকে আহ্বান জানানো হয়। এরপরে আমি আর সেখানে না দাড়িয়ে বাসায় ফিরে আসলাম প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ। এরপরে এসে বাসায় কয়েকজনের কাছে এই গল্পটা বললাম সকলেই হাসতে হাসতে বলল যে তুমি আজকে কেন দোকানে গিয়েছো জানোই তো আজকে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে যায় হাহাহা।
এটাই ছিল আমার আজকের এই পোস্ট আশা করছি আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই আমি আমার সংক্ষিপ্ত পোস্ট শেষ করছি। দেখা হবে নতুন কোন পোষ্টের নতুন ভাবে নতুন রূপে, ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | ঋতু রাজ বসন্ত |
---|---|
বিষয় | শহরে বসন্তের ছোঁয়া |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম পহেলা ফাগুন সম্পর্কে। আসলে পহেলা ফাগুন সম্পর্কে আমার মনে হয় সবাই কম বেশি জানে।তবে ওযে বললেন কৃষকরা তাদের নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ ফাগুন হিসেবে ধরে নেই। কিন্তু শহর তো শহরি,সবাই লাল শাড়ি,চুড়ি ও চুলে ফুল পড়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরবে। তবে আর যাইহোক ভাইয়া আপনাকে যে রোবট বানিয়ে দিল দোকানদার হা হা হা। সত্যিই তো দোকান সব দিন করা যায় কিন্তু পহেলা ফাগুন বছরে একবার আসে । ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
শহরে বসন্তের ছোঁয়াটা অনেক বেশি ভালোভাবে লেগেছে যেটা আমি সেদিন দোকানে গিয়ে বুঝেছিলাম আসলে দোকানদার আমাকে রোবট বানিয়ে দিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
শহরে থেকে হালকা ফাগুনের বাতাস লেগেছে নাকি ভাই?? তবে সত্যি বলতে যখন মেয়েরা শাড়ি পড়ে খোপায় ফুল গুজে বাইরে বের হয় তখন দেখতে খুবই ভালো লাগে। মন চায় বারবার তার প্রেমে পড়তে 🤭
এখন পর্যন্ত তেমন একটা বাতাস লাগেনি তবে বাতাস লাগতে চেয়েছিল সেই বাতাস কি আমি ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি হাহাহা। যেহেতু আপনার মন চায় তাদের প্রেমে পড়তে অবশ্যই প্রেমে পড়তে পারেন তবে খেয়াল করবেন মন যেন ভেঙে না যায়।
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন শহরের দিকে গেলে বোঝা যায়,শহরের মানুষগুলো কিভাবে ফাগুন কে আহ্বান জানায়।হাহা দোকানদার তো পহেলা ফাগুন পালন করেছেন এজন্যই আপনাকে রোবট বলেছে।রিক্সার মেয়েগুলোর জন্যই জানলেন পহেলা ফাগুনের কথা।বেশ ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই আমি দোকানে কে ফোন দেওয়াতে এসে আমাকে অনেকটা রোবট বলেই আখ্যা দিয়েছে। বাসায় আসার পরে মনে হচ্ছিল যে আমার দোকানে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে হাহাহা। তবে বাহিরের পরিবেশটা আমার কাছে সেদিন খুবই ভালো লেগেছিল।
আমি কিন্তু পথে বের হলেই বুঝে যাই পহেলা ফাল্গুন। কিভাবে? মেয়েরা যখন হলুদ- লাল শাড়ি পরে সেজেগুজে মাথায় ফুলের মুকুট পরে তখনই বুঝি। দোকানদার ও ফাল্গুন করে আর আপনি রোবট তাই জানেনই না। 😂 যাক খুব ভাল লাগলো। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!