হঠাৎ করেই একদিন ঝাল মুড়ি খেতে যাওয়া
আজ--০৭ ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ঝাল মুড়ি খেতে যাওয়ার অনুভূতি
- আজ--০৭মফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- মঙ্গলবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
আমরা অনেকেই আছি যারা ঝাল মুড়ি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। বিকেলবেলা সকলেই চাই যে একটু পাকোড়া অথবা একটু ঝালমুড়ি খেতে। আবার অনেকেই আছে যারা বাহিরের খাবার খেতে খুব একটা বেশি ভালোবাসে না তারা এরকম কিছু খাবার যদি খেতে মন চায় বাসায় তৈরি করে ফেলে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে তো আর সব সময় বাসায় সবকিছু তৈরি করে খাওয়া সম্ভব নয় আর বাসায় খাওয়ার মধ্যে যে আনন্দটা আছে বাহিরের খাবার মাঝের আনন্দটা একদমই ভিন্ন। সব সময়ই বাসার মধ্যে খেতে ভালো লাগে না কারণ বাসায় থাকাকালীন সময়ে বাহিরে ঘুরাঘুরিটাই বেশি করা হয় যার কারণে ইচ্ছে থাকলেও বাসার ভেতর এরকম খাবার খাওয়া হয়না। বাসায় গেলে সব সময়ই ঘুরাঘুরি করা হয় ভাই ব্রাদারের সঙ্গে বিশেষ করে দুপুর থেকে শুরু করে রাত্রি দশটা এগারোটা পর্যন্ত বাহিরেই থাকা হয়। এবারও বাসায় গিয়ে অনেক দিন ছিলাম আর প্রত্যেকদিন বাহিরে থাকা হয়েছে অনেক রাত অব্দি। মোটরসাইকেল নিয়ে নিজের গ্রাম ছেড়ে অন্যান্য গ্রামে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো বাসি আমরা সকলেই বিশেষ করে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে আমাদের অনেক বেশি ভালো লাগে।
নিজের গ্রামের প্রকৃতি দেখা যখন শেষ হয়ে যায় তখন বাইক নিয়ে চলে যায় অন্যান্য গ্রামে। আবার আমরা মাঝে মাঝে নদীর পাড়ে গিয়ে সময় কাটাই নদীর পাড়ে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে বিকেলবেলা নদীর পাড়ে বসে ঝালমুড়ি খাওয়ার আনন্দটা বরাবরই অন্যান্য মুহূর্ত থেকে অনেকটাই ভিন্ন। ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতি নিতে কে না পছন্দ করে আপনারাই বলুন..!! ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ নিতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি ঠিক তেমনি ভাবে হঠাৎ করেই একদিন বিকেল বেলা আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের এলাকা ছেড়ে তিন থেকে চার কিলো দূরেই একটা জায়গা আছে সেটা খুবই সুন্দর একটা জায়গা আর সেখানকার ঝালমুড়ি অনেক সুস্বাদু। সেখানকার ঝাল মরে যে অনেক সুস্বাদু এটা আমরা অনেক আগে থেকেই জানতাম কারণ আমরা মাঝে মাঝেই সেখানে গিয়ে ঝাল মুড়ি খেতাম।
ঝাল মুড়ির দোকানটা একদম মেইন রাস্তার সাথে আর রাস্তার সামনেই রয়েছে নদী। রাস্তার পাশে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর হাতে যদি ছোট্ট এক বাটি ঝালমুড়ি থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। এরকম একটা মুহূর্ত কাটানোর জন্যই আমরা সেদিন বিকেল বেলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজকে এবং এখনই আমাদের সেখানে যেতে হবে। যেমন ভাবা ঠিক তেমনি কাজ আমরা তিন থেকে চারটা বাইক নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন লোক চলে গিয়েছিলাম সেই রাস্তার ধারে নদীর পাড়ে ঝাল মুড়ির দোকানে।
অনেকদিন আগে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম যে এই দোকান টা খুব একটা ভালো সাজানো গোছানো ছিল না। কিন্তু সেদিন গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন গিয়ে দেখেছিলাম যে চারিদিকে অনেক সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেদিন আমরা ঝাল মুড়ি খেতে গিয়েছিলাম সেদিন আকাশটা একটু মেঘলা ছিল যার কারণে চারদিকে কেমন যেন একটু অন্ধকার অন্ধকার ভাবছিল এরপরেও বেশ ভালই লাগছিল। যেহেতু আমরা অনেকবার এই দোকান থেকে ঝাল মুড়ি খেয়েছি যার কারণে এই দোকানদার মামার সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে আমাদের দেখে দোকানদার মামা মুচকি এসে বলল আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন, আসেন বসেন কি খাবেন বলেন। লোকটার ব্যবহার খুবই ভালো আমরা তার দোকানে গিয়ে বসলাম এবং সবাই একটা করে ঝাল মুড়ি অর্ডার করলাম মানে সবাই এক বাটি করে ঝাল মুড়ি অর্ডার দিয়ে বসে গল্প করছিলাম। বেশ ভালই লাগছিল কারণ সামনেই নদী থেকে ভেসে আসছিল বাতাস যদিও তখন শীতের সময় ছিল যার কারণে প্রচন্ড শীত লাগছিল। ১০ মিনিটের মাথায় মামা ঝাল মুড়ি নিয়ে এসে আমাদের সামনে হাজির হলো।
ঝাল মুড়ির বাটি নিয়ে আমি সোজাসুজি চলে যাই নদীর ধারে নদীর পাশে ছোট একটা নৌকা ছিল সেই নৌকাতে বসে আমরা দুজন ঝালমুড়ি খাচ্ছিলাম আর নদীতে ভেসে যাওয়া হাস দেখছিলাম বেশ ভালই লাগছিল পুরো ব্যাপারটা অনেক এনজয় করেছি। যেহেতু শীতের সময় ছিল যার কারণে আর সেখানে বেশিক্ষণ থাকেনি কারণ প্রচন্ড শীত লাগছিল ঝালমুড়ি খাওয়া শেষে আমরা আবার মামার দোকানে ফিরে যাই এবং সেখানে বসে সকলে মিলে অনেকটা সময় নিয়ে গল্প করেছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। সেই সাথে মামার ব্যবসা কেমন চলছে এ ব্যাপারেও কথা বলছিলাম মূলত ভাই ব্রাদার এক জায়গায় একত্রে হলে যার কি হয়। খোশ গল্পে মেতে উঠেছিলাম কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি।
দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে আবার আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এবার আমরা আমাদের নিজেদের এলাকায় ফিরে যাব। নিজের এলাকায় ফিরে যাব তার মানে এই নয় যে আমরা বাসায় ফিরে যাব আমরা এখন যাব আমাদের নিজেদের বাজারে মূলত বাসায় গেলে বাজারে বেশি সময় কাটানো হয়। বাজারের মধ্যে একটা ভাইয়ের কম্পিউটারের দোকান আছে মূলত আমরা সেখানে বসে বসেই সবাই আড্ডা দেই আর বিভিন্ন রকমের ফন্দি এখান থেকে বসে বসেই আমরা বের করি কোথায় ঘুরতে যাব কি খাব আজ পিকনিক করা যাবে কিনা এসব ব্যাপারে নতুন নতুন আইডিয়া এক একজনের মাথা থেকে বের হয়। আর যখন যেটা ভালো লেগে যায় ঠিক তখনই সেটা শুরু করে দেই বেশ ভালই কাটে আমাদের দিন।
যেহেতু অনেকটাই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে আর বেশিক্ষণ দাঁড়াবো না তাই আমরা আবার বাইক নিয়ে রওনা দেই বাজারের উদ্দেশ্যে। ততক্ষণে চারিদিকে একটু একটু অন্ধকার হয়ে এসেছে সেই সাথে যেহেতু সেদিন আকাশটা একটু মেঘলা ছিল যার কারণে মনে হচ্ছিল যেন নিমিষেই চারিদিকে নিকষ কালো অন্ধকারে ডুবে যাবে। অবশেষে আমরা ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বাজারে চলে এসেছিলাম বাজারে এসে একত্রে বসে গল্প করছিলাম সেদিনের সেই সময়টা অনেক বেশি ভালো কেটেছিল বিকেল থেকে শুরু করে একদম রাত অব্দি।
এরকম মুহূর্ত বারবার কাটাতে মন চায় কিন্তু এখন আর হয়তোবা এরকম মুহূর্ত কাটানো হবে না কারণ এখন সকলেই যে যার মত অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই লেখাপড়া নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত আবার অনেকে চাকরি বাকরি নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আবার অনেকেই বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করেছে। কেউই আর আগের মত এখন গ্রামের বাসায় থাকে না তবে ছুটির সময় আবার কিন্তু সকলে মিলে একত্রে হই তখন আবার এরকম মুহূর্ত কাটানো যাবে বারবার। সেদিনেরই অপেক্ষায় আছি আবার কবে সবাই মিলে একত্র হব আর এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাবো।
যাই হোক এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর না এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | হঠাৎ করেই একদিন ঝাল মুড়ি খেতে যাওয়া |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঝাল মুড়ি খেতে একটু বেশি মজা লাগে । নদীর পাড়ে গেলে আমি মাঝে মধ্যে ঝাল মুড়ি খাই। আপনার ঝাল মুড়ি খাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে একটু বেশি ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
নদীর পাড়ে বসে ঝালমুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা এই আনন্দটা আসলে কখনো বলে বোঝানো সম্ভব নয়, যেহেতু আপনি নদীর পাড়ে বসে ঝালমুড়ি খেয়েছেন তার মানে বুঝতেই পারছেন কতটা সুন্দর মুহূর্ত কাঠিয়েছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ আসলেই ছেলেদের ক্ষেত্রে সব সময় বাসার খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না কিছু কিছু সময় বাইরের খাবার গুলো খেতে হয় তবে আমার মনে হয় বাসার খাবার গুলো খাওয়ার মত টেস্ট বাইরের খাবারগুলোতে পাওয়া যায় না। তবে এরকম সবাই মিলে একসাথে বাইরের খাবার খেতে গেলে অনেক মজা হয়।
আমিও সেটাই মনে করি যে বাসায় খাবারের স্বাদ পুরোপুরি অন্যরকম তবে বাহিরে ভাই ব্রাদারের সঙ্গে সবাই মিলে একত্রে খাওয়ার মজাটা একদমই আলাদা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সবাই মিলে বাইরে খেতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা।আপনারা বেশ মজা করেই ঝালমুড়ি খেয়েছেন।আমারও কলেজে গেলে প্রায় খাওয়া হয় ঝালমুড়ি ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঝাল মুড়ি খেতে সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসে মাঝে মাঝে ভার্সিটিতে গিয়ে বন্ধুরা একত্রে মিলে ঝালমুড়ি খায় তবে বাসায় গিয়ে ভাই ব্রাদারের সঙ্গে খাওয়ার মজা অন্যরকম। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।