আজ - ১৪অগ্রহায়ণ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্তকাল|

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

চলুন শুরু করা যাক

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে....!!

রঙিন কাগজ ব্যাবহার করে দেখছি অনেকেই অনেক কিছু তৈরি করার করছে। তাদের তৈরী করা সুন্দর সুন্দর ওয়ালমেট,ফুল,টেবিল,লাজুক শেয়াল,পাখি, আরো কতো কি,যা বলে শেষ করা যাবে না। আসলেই রঙিন কাগজ ব্যাবহার করে যে এতো কিছু তৈরি করা যায়। সেটা "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি তে না আসলে জানতেই পারতাম না। এখানে প্রতিটা ব্যাক্তির মধ্যেই নিজস্ব কিছু প্রতিভা আছে, আর তারা প্রতিনিয়ত সেই প্রতিভা আমাদের মাঝে তুলে ধরছে। তাদেরই এই প্রতিভার প্রসংশা করতেই হয়। আমি মূলত তাদের এই সৃজনশীল প্রতিভা দেখেই সিদ্ধান্ত নিই যে রঙিন কাগজ ব্যাবহার করে আজ একটি রঙিন পাখি তৈরি করবো।পরিক্ষা যেহেতু শেষ, সেহেতু মেসে থাকা মানেই প্রচুর সময়, সারাদিনে কোন কাজ-কর্ম নেই শুধু মাত্র কমিউনিটি তে সময় দেওয়া আর নতুন নতুন সৃজনশীলতার মূলক কাজ করে, আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা। তো যাইহোক,অনেক কথা বলে ফেললাম, এখন কাজে ফিরে যাই

✪রঙিন কাগজ
✪আঠা
✪ব্লেড
✪স্কেল
✪কাঁটা কম্পাস
✪কোটন-বার
✪রঙিন কলম
✪কাচি

ধাপঃ-০১

প্রথমে রঙিন কাগজ থেকে কাটা কম্পাস এর সাহায্যে একটি বৃত্ত অঙ্কন করি,তারপরে কাঁচি ব্যবহার করে বৃত্তাকার অংশটি রঙিন কাগজ থেকে কেটে নিই।

ধাপঃ-০২

ঠিক এ রকমভাবে দুটি বৃত্তাকার কাগজ কেটে নিলাম।

ধাপঃ-০৩

এবার বৃত্তাকার দুটি কাগজ থেকে চারভাগের তিনভাগ রেখে, এক ভাগের অংশে একটা ভাঁজ দিয়ে নিলাম। ভাঁজ টি এমন ভাবে করতে হবে যেন কাগজের সাথে একদম মিলে যায়।

ধাপঃ-০৪

এবার কাচি ব্যবহার করে কাগজ এর চার ভাগের অংশে লম্বালম্বিভাবে কেটে নিতে হবে। কাগজটি কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটা কাঁটার শেষ অংশ একত্রে মিলে যায়, এব্রো-থেব্রো বা আঁকাবাঁকা ভাবেও কাটা যাবে না

ধাপঃ-০৫

এবার রঙিন কাগজ থেকে দুই সেন্টিমিটার করে দুইটি বৃত্তাকার কাগজ কেটে নিতে হবে। সেইসাথে খুবই ক্ষুদ্র ভাবে আরো দুটি কাগজ কেটে নিতে হবে, এবং সেই কাগজের উপর কালো রং করে দিতে হবে। তারপর রঙিন কাগজ থেকে ত্রিভুজের নেয় দুটি রঙিন অংশ কেটে নিলাম।

ধাপঃ-০৬

এবার দুই সেন্টিমিটার বৃত্তের উপর ক্ষুদ্র আকৃতির সেই কাগজটি এপাশ ওপাশ আঠা এর সাহায্যে লাগিয়ে দিতে হবে।

ধাপঃ-০৭

অনুরূপভাবে, ত্রিভুজ আকৃতির রঙিন কাগজ টি দুই সেন্টিমিটার বিত্তের এপাশ-ওপাশ সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিতে হবে যেন দুইটা মিলে খুবই শক্ত হয়।

এটা মূলত পাখির মাথার অংশ

ধাপঃ-০৮

এবার কাচি ব্যবহার করে লম্বভাবে কাটা কাগজ গুলো একটু বাঁকা করে দেই। সেই সাথে কাগজের উপর একটু আঠা লাগিয়ে দিলাম।

ধাপঃ-০৯

এবার পাখিটির মাথার অংশটুকু উপরের কাগজের সাথে আঠা লাগিয়ে যুক্ত করে দেই। এমনভাবে মাথাটি লাগাতে হবে। যাতেকরে, পাখির ঠোঁটটা একদম লম্বভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

ধাপঃ-১০

চার সেন্টিমিটার লম্বা একটি কাগজ কেটে নিন। এবং কাগজের এক প্রান্ত লম্বভাবে কয়েকটি অংশে কেটে নিই। কাটার পরে কাচি ব্যবহার করে সেগুলো একটু বাঁকা করে দিই। যেন দেখতে পাখির লেজের মত দেখায়

ধাপঃ-১১

এবার লেজের অংশটুকু পাখির পিছনদিকে আঠার সাহায্যে লাগিয়ে দিই।

ধাপঃ-১২

পরবর্তী যে আরেকটি পার্ট আছে, সেটা কিন্তু রেখে দিয়েছি মনে আছে কি আপনাদের....?? এখন পরবর্তী ওই অংশটুকু পাখির বিপরীত পাশে মেরুদণ্ড থেকে শুরু করে নিয়ে নিচের দিকে সুন্দরভাবে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম। নিচের অংশে একটু ফাঁকা রেখে দিলাম, যাতেকরে,পাখি টা ভালোমতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এখন এটা দেখতে পাখির রূপ ধারণ করেছে।

গাছের উপর রেখে ফটোগ্রাফি করেছি ক'য়েকটি

আমার পরিচয়

আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।