বাবা..! না, বাবা নামধারী কসাই....?? ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ)
আজ - ০৭ কার্তিক | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শনিবার| হেমন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা যাকঃ-
কি..! টাইটেল দেখে অবাক হলেন...?অবাক হওয়ার কিছু নেই, আজ এমন একটা কিছু নিয়েই কথা বলবো
আমার গ্রামের বাসা কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার ধোকড়াকোল গ্রামে। সেই সুবাদে মাঝেমাঝে উপজেলা যাওয়ার প্রয়োজন পরে। কিছু দিন আগে আমি উপজেলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটো থেকে নেমে খুচরা টাকা না থাকার কারনে একটি ভ্যান চালক এর কাছ থেকে কিছু টাকা খুচরা করে নিই।যেহেতু আমি তার কাছ থেকে টাকা খুচরা করে নিয়েছি সুতরাং আমার উচিত তার ভ্যানে করেই বাকিটা পথ যাওয়া।তারপরেও ভ্যান চালক আমাকে বলতেছিল ভাই আমার ভ্যানে আসেন। আমি আর কোন দিকে না তাকিয়ে উঠে পরি তার ভ্যানে। ভ্যানে তেমন কোন যাত্রি ছিল না। শুধু আমি আর সেই ব্যাক্তি।বয়স বেশি হবে না, দেখে মনে হলো আমার বয়সেরই হবে,বা আমার থেকে ছোটই হবে। কথা বলছি দুজন, বাসা কোথায়,ভ্যান চালানোর পাশাপাশি আর কি করা হয়, বাড়িতে কে কে আছে এ সব কথা বলেই শুরু হলো আমার আলাপ।
হঠাৎ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে বলতেছে, ভাই জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। না আছে ঘর, না আছে একটা থাকার জায়গা আর বাপ,মা দুজন থেকেও এখন নাই। কথা শুনে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং তাকে প্রশ্ন ছুরে দিই এটা আবার কেমন কথা...? বাপ,মা থেকেও নাই মানে...!
ছবিঃ- ভ্যান চালক আর আমি
তখন ছেলেটা তার পুরো ঘটনা টা আমাকে বলে। ঘটনাটা এমনঃ-ছোট থাকতে স্কুলে যাওয়া হয় নি। আমি স্কুলে যেতে চাইনি আমার বাবা ও আমাকে কোন দিন স্কুলে যেতে বাদ্ধ করে নি।কথাটা এমন যে,ইচ্ছা হয় যা, না হয় না যা। আমরা দুই ভাই দুই বোন। আমি সবার বড়। ছোট থেকেই বাবার সাথে মাঠে কাজ করছি। মাঠে আমাদের জমি আছে সেই জমির কাজকর্ম করে বোন দুইটা বিয়ে দিছি। আর ছোট ভাই এখন ও পড়াশোনা করতেছে। হঠাৎ আমার বাবা আমার অনুমতি ছাড়াই আমার বিয়ে ঠিক করে, তখন অবশ্য আমার বিয়ের বয়স হয় নি কিন্তু বাবার কথার উপর দিয়ে কথা বলার সাহস আমার নাই তাই আমিও রাজি হয়ে বিয়ে করি। মেয়ের সম্পর্কে একটু বলি এখানে মেয়ে প্রথম অবস্থায় রাজি ছিলো আমাকে দেখে তার পছন্দ, তাকে দেখে আমার ও পছন্দ। কিন্তু হঠাৎ করে কি হলো জানি না। বলে তোমার বাড়ি থাকবো না আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। আমাদের বিয়ে হইছিল দেড় লাক্ষ টাকা কাবিল দিয়ে। আমি অনেক চেষ্টা করছি আমাদের সংসার টা টিকানোর কিন্তু সে আমার কোন কথা না শুনেই চলে গেলো। পরে জানতে পারলাম অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে। আমি আমার আব্বার কাছে বললাম কাবিন এর টাকা দেন। আব্বা বলে তোর বউ তুই ছেড়ে দিছিস টাকা তুই দিবি আমি দেবো কেন। এই কথা শুনে আমি সুধ এর উপর টাকা নিয়ে আমার কাবিন এর টাকা পরিশোধ করি। তারপরে দেখলাম এ সংসারে থাকলে আমি সুধের টাকা পরিশোধ করতে পারবো না। আমি অনেক জায়গা কাজ করে করে সেই সুধের টাকা পরিশোধ করে দিই। আমার আব্বা আমার এক টাকা ও দেয় নাই।
ছবিঃ-মনটা খুব খারাপ
তারপরে বাড়ি চলে আসি। বাড়িতে আসার পরে আমার আব্বা আমার মা'এর কাছে বলে ওর ভাত দিবি না ওর এই বাড়ির ভাত বন্ধ। এমন অনেক দিন গেছে আমি না খেয়ে পার করছি। টাকায় পয়সাও নাই যে দোকান থেকে কিনে খাবো। আর লজ্জায় মানুয়ের বাড়িতে যেয়ে চাইতেও পারি না আমার কিছু খাবার দেন এটা বলতেও লজ্জা করে। এ ভাবে কয়েক দিন থাকার পরে আমি এবার নিজের ইচ্ছায় একটা বিয়ে করি। যেতেতু রান্না করে দেওয়ার মানুষ নাই আমি খাবো কি আমার বেঁচে থাকতে তো হবে নাকি..?বিয়ে করে বাড়ি আসলাম আব্বা,মা কেউই আমার বউ মেনে নিলো না। চাচা-চাচিরা এসে আমার ঘরে উঠায়ে দিলো। যেহেতু আমি বিয়ে করছি আমার তো এখন কাজ করতে হবে। বাড়িতে কাজ করি আব্বার সাথে। এমন অনেক দিন গেছে আমি ভোর বেলা মাঠে গিছি আর সন্ধ্যায় মাঠ থেকে আসছি। তবুও আমার আব্বার মন পাই নাই। আমার সাথে ঝগড়া করে আমার বাড়ি থেকে বের করে দিলো। বলে দিলো,তোর বউ নিয়ে যেখানে খুশি সেখানে যা। তোর মতো ছেলের আমার দরকার নাই। কিন্তু আমার অন্যায় টা কি সেটা ও বলে না। তারপরে আমি বউ নিয়ে আমার শশুর বাড়ি চলে যাই। সবার কাছ থেকে টাকা পয়সা দেনা-ধার করে আমি এই ভ্যানটা বানালাম। এখন এটা তো চার্জ এ চলে আমি চার্জ দিবো কোথায় আমার আব্বার কাছে গেলাম যে, ভ্যান টা একটু চার্জ দিতে দেন, যে বিল হয় আমি প্রতিমাসে দিয়ে দিবো। আব্বা আমার সেটাও দিতে দিলো না। এখন অন্য জনের বাড়ি ভ্যান চার্জ দিই। কিন্তু আমার খরচ টা একটু বেশি হয়ে যায়।
আমি তার কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম...! এটা আমি কি শুনতেছি। এমন বাবা ও এই পৃথিবীতে আছে যে তার সন্তানের সাথে এমন ব্যাবহার করতে পারে....! বাবা যে এমন হয়, এমন বাবা ও যে এই পৃথিবীতে আছে সেটা আমার জানা ছিল না
আমিঃ-তারপরে বললাম এখন সংসার চলে কি ভাবে থাকেন কোথায়....?
সে বললো আমার শশুর বাড়ি থেকে আমার ছোট একটা রুম দিয়েছে থাকার জন্য । ওখানে থাকি আর সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে। তারপর আবার বললো
আমার বউয়ের বাচ্চা হবে। আমি বাড়িতে যেয়ে আমার মা কে বললাম ওর তো বাচ্চা হবে কিছুদিন নিয়ে আসো এখানে। তারপরে আবার চলে যাবে। আমার আব্বা এই কথা আমার মা এর মুখ থেকে শুনে আমার মা'র খুব মারলো আমার চোখের সামনে। আমি ওইদিন কান্না করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছি আর যাই নাই।
সর্বশেষ বললো দেখেন ভাই, এক সময় ওই সংসারে ছোট থাকা অবস্থায় অনেক কাজ করছি আব্বার সাথে। দিন রাত পরিশ্রম করছি। বিয়ের বয়স না হওয়ায় আমাকে বিয়ে দিলো, যৌতুক নিলো আমার দিয়ে, বাড়ি থেকে বের করে দিলো। এখন আমি নিঃস্ব। আমার বলতে আর কিছুই নাই। মানষের মা বাপ তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য কতো কিছু করে আর আমার মা বাপ আমার জন্য তো কিছু করেই নাই,এমনকি আমার থাকার জন্য একটু জায়গাও দেয় নাই।এই কথা টা বলতে বলতে ছেলেটা কান্না করে দিলো খুবই খারাপ লাগতেছি। নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আমি কেন তাকে জিজ্ঞেস করলাম বাড়িতে কে কে আছে । যদি আমি না বলতাম তাহলে হয় তো এই ছেলেটা এতো কথা আমাকে শেনাতো না আর এখন কান্না ও করতো না।
অবশেষে আমি আমার গন্তব্য স্থলে চলে আসলাম। বাড়ি যাওয়ার আগে তাকে একটু দার করিয়ে শান্তনা দিলাম। আমার স্থান থেকে যতটুকু শান্তনা দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করলাম ততটুকু মানসিক শক্তি জুগিয়েছে তাকে ছেড়ে দিলাম।তবে ছেলেটার কথা গুলো আমার হৃদয় ছুঁয়েছে। এখন ও একা একা কোথায়ও বসে থাকলে ওর কথা মনে পরে
আর একটা কথা ভেবে আমি অবাক হই,সত্যিই কি এমন বাবা এই পৃথিবীতে আছে.....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
😞😞😞😞😞😞।
আমি কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। এইরকমও পিতা মাতাও আছে। ছেলেটার কথা শুনে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কত কষ্ট দুঃখে পড়লে মানুষ এসব কথা অন্যজনের সাথে শেয়ার করে এটা একবার ভাবুন।
আপনার লেখার প্রশংসা করতে হবে। খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
কেন যে বাবারা এমন হয় পুরো গল্পটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না সত্যিই। বাবা..! না, বাবা নামধারী কসাই। মেলানোর চেষ্টা করলাম।আমাদের অগোচরে এই সমাজে এরকম অনেক বাবা এরকম অনেক ভ্যানচালক রয়েছে।ব্যতীত মনে বলছি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে♥♥
গল্পটা মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
সত্যি কথা ভাই আপনার পুরো গল্পটা পড়ে চোখ দিয়ে পানি ঝর ঝর করে ঝরল। আটকানোর চেষ্টা করেছি পারি নাই। মনটা চাইছিল হাউমাউ করে কান্না করতে। ভাই আমি মনে করি এরকম বাবা-মা থাকার চাইতে না থাকা অনেক ভালো। যে সন্তানকে জন্ম দিয়ে সন্তানের ভালো-মন্দ বোঝে না সে তো পশুর চাইতে খারাপ। তাকে এই পবিত্র বাবা-মা নাম গুলো দিয়ে অন্যান্য বাবা-মাদের ছোট করা হয়। তবে হ্যাঁ ভাই আল্লাহ তায়ালা সব কিছুই দেখেন। আমরা তো আর কিছু করতে পারবো না, আল্লাহই এর একটা সমাধান করে দেবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনার কথায় যুক্তি আছে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে
এই লোকটাকি সৎ বাবা নাকি? কোন বাবা ছেলের সাথে এমন করতে পারে ভাবাই যায় না ।আর এখানে মায়ের কিছু করার নেই কারণ মায়ের হাত পা বাঁধা ।আমি গল্পটা পড়ে কিছুই বুঝলাম না যে লোকটা ছেলেটাকে কেন মেনে নিতে পারল না এখানে ছেলেটার সমস্যা কোথায়। এক্ষেত্রে ছেলেটির একটু শক্ত হওয়ার দরকার ছিল। যাইহোক আসলে গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনি অনেক গুছিয়ে গল্পটি লিখেছেন।
সৎ বাবা নয়। আপন বাবা-ই
আসলে ভাইয়া ভাষা হারিয়ে ফেললাম এতটা হৃদয় স্পর্শ ছিল গল্পটি এবং আসলে প্রতিটা বাবা এমন না ঠিক আছে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে নিজের সন্তানদের ও ঠিক মত পড়ালেখা করাতে চায় না তাদের কাজে লাগায় দেয় ছোটকাল থেকেই। ছোটকালে অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছে তারপরও ছেলে নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে দিলো। ঠিক আছে তারপরে বাবার উচিত দায়িত্ব না নিয়ে ছেলেটাকে নষ্ট করে দিল। সে দায়িত্ব নেবে না খুবই খারাপ লাগল শেষ পর্যন্ত। আরো কষ্ট পেলাম এই মুহূর্তগুলো আমরা যেভাবে বলছি ছেলেটা আরো কষ্ট পাইছি। ভাইয়া অনেক হৃদয়স্পর্শক একটি গল্প
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এমন বাবা পৃথীবিতে আছে আর এটা ভেবে খুবই খারাপ লাগছে। ভালো খারাপ নিয়েই এই পৃথীবিতে সবাই বসবাস করছে।তবে এমন হৃদয়বিদারক গল্প পড়ে আমার কান্না পেয়ে গেলো।আপনি খুবই দারুন ভাবে গল্প টি উপস্থাপন করেছেন।
গল্প পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
কিছু কিছু বাবা আছে, যারা সন্ত্রাসীর মতো আচরন করেন,যা বলা বাহুল্য।
আসলে পৃথিবীটাই এই রকম এখানে ভালো-মন্দ দুই ধরণের লোকেই আছে।
যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ
আপনার লেখা গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। পৃথিবীতে যে এমন বাবা থাকতে পারে তা আপনার এই লেখাটা পড়লে বুঝা যেত না। তবে আশাকরি ছেলেটি এখন ভালো থাকবে। কারণ এসব এর কাছ থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
পৃথিবী বড়োই বৈচিত্র্যময় আর মানুষগুলো ও।এইরকম বাবার সমাজে পরিচয় দেওয়াটাও বোকামি।খুবই খারাপ লাগছিল যখন আপনার লেখা পড়ছিলাম।কিন্তু এইরকম ঘটনা বর্তমানে হামেশাই ঘটে চলেছে।ধন্যবাদ আপনাকে, গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি
১মে টাইটেল দেখে অবাকই হয়েছিলাম।গল্পটি পড়ে খুব খারাপ লাগল। বাবা যে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তা কখনো জানতামই না যদি আপনার লেখাটি না পড়তাম। সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই