মিনিস্টার প্লাজা থেকে ইলেকট্রিক কেটলি কেনার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

আজ--০২ ভাদ্র| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল|



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে মিনিস্টার প্লাজা থেকে ইলেকট্রিক কেটলি কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • মিনিস্টার প্লাজা থেকে ইলেকট্রিক কেটলি কেনার অনুভূতি।
  • আজ--০২রাভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • বৃহস্পতিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সকাল সবাইকে......!!


Picsart_24-08-15_13-41-36-282.jpg

কভার ফটো তৈরিতে--@jibon47



বেশ অনেকদিন ধরেই চিন্তা-ভাবনা করছিলাম যে একটা ইলেকট্রিক কেটলি কিনব। সেই মোতাবেক অনলাইনে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি যদিও আগে অনলাইন থেকে খুব একটা বেশি কেনাকাটা করতে মন চাইতো না তবে বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকেই সব থেকে বেশি জিনিস কেনাকাটা করা হয়। আগে কোন একটা জিনিস কিনতে হলে সব সময়ই চলে যেতাম বাজারে বাজারে গিয়ে জিনিসটা দেখে বুঝে জিনিসগুলো কেনা হতো তবে বর্তমান সময়টা একদমই ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এতটাই ভিন্ন হয়ে গিয়েছে যে সত্যি বলতে বাজারে গিয়ে কোন কিছু কিনতে মন চায় না কেনই বা বাজারে যেতে মন চায় না এটা আমি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না তবে বাজারে গিয়ে কোন জিনিস কেনার প্রতি কেমন যেন একটা অনীহা চলে এসেছে। যেকোনো ধরনের জিনিস কিনতে এখন সবসময়ই অনলাইন এর ব্যবহার একটু বেশি পড়া হচ্ছে। সেই মোতাবেক যেহেতু একটা ইলেকট্রিক কেটলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অনলাইনে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম কিন্তু অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করার পরেও খুব একটা ভালো মানের ইলেকট্রিক কেটলি পাচ্ছিলাম না। ভালো মানের ইলেকট্রিক কেটলি পেলেও সেগুলোর দাম আমার বাজেটের থেকে অনেকটাই বেশি হয়ে যাচ্ছিল অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম যে অনলাইন থেকে এটা আর কিনবো না সরাসরি বাজারে গিয়ে কিনতে হবে। মার্কেটে গিয়ে মূলত এখন জিনিস এজন্যই কিনতে মন চায় না কারণ অনেক বেশি গরম আর এই গরমের মধ্যে বাজারে গিয়ে কোন কিছু কেনাকাটা করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। আবার এদিকে অফিসের টাইম ম্যানেজ করেই বাজারে যেতে হয় এটা বড় ধরনের একটা সমস্যা।

যাইহোক যেহেতু অনলাইন থেকে আর ইলেকট্রিক কেটলি কিনতে পারছি না সেহেতু আমাকে মার্কেটে গিয়েই কিনতে হবে যার কারণে গত কয়েকদিন আগে অফিসের কাজকর্ম ছুটি হওয়ার দু'ঘণ্টা আগেই শেষ করে ফেলেছিলাম। মূলত আমাকে মেশিন সাইড দেখাশোনা করার পাশাপাশি মেশিনের যেই জিনিসপত্র বা যন্ত্রপাতি আমরা ব্যবহার করি সেগুলোর রিকুইজিশন এবং মালামালের তালিকা আমাকেই এখন দেখাশোনা করতে হয়। সেগুলো আবার একটা খাতায় লিখে রাখতে হয় এই কাজগুলো আমি প্রায় প্রত্যেকদিনই করে থাকি সেদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই এই কাজগুলো আমি কমপ্লিট করে ফেলেছিলাম। এরপরে সিনিয়র ম্যানেজার কে বলে আমি আর দুই ভাই মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ইলেকট্রিক কেটলি কেনার জন্য। আমি একা একা কোন জিনিস কেনাকাটা করতে পারি না আমার সাথে একজন অথবা দুজন মানুষ না থাকলে আমি কোন কিছু কিনতে পারি না যার কারণে দুই ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম তাদেরও কিছু জিনিস কেনার ছিল যার কারণে তারা দুজন আমার সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছিল। আমরা তিনজনে মিলে একটা রিকশা নিয়ে চলে যাই নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে।

যদিও নারায়ণগঞ্জে আমি একদমই নতুন সেরকম ভাবে কোথাও খুব একটা বেশি যাওয়া হয়নি আর আমি যাদের সঙ্গে মার্কেটে গিয়েছিলাম তারা এখানে অনেকদিন ধরেই যাতায়াত এবং চাকরি করছে যার কারণে কোথায় কোন জিনিসটা ভালো পাওয়া যাবে তারা খুব ভালোভাবেই জানে এবং বোঝে। আমি শুধুমাত্র তাদের সঙ্গে গিয়েছি আর বলেছি সব থেকে ভালো মানের একটা ইলেকট্রিক কেটলি নিব কোন দোকানে গেলে ভালো হবে এটা আপনারাই ভালো জানেন আমার থেকে সুতরাং টাকা পয়সা কোন ব্যাপার না ভালো একটা দোকানে আমাদের যেতে হবে। এরপরে আমার সাথে থাকা বড় ভাই বলল আমার পরিচিত একটা দোকান আছে আমি মোটামুটি ভাবে ওই দোকান থেকেই ফ্রিজ টেলিভিশন সহ অন্যান্য অনুষঙ্গিক জিনিস নিয়েছি চলো আমরা সেই দোকানেই যাই। ভাইয়ের কথামতো আর কোন দোকান দেখাদেখি না করে আমরা দ্রুতই সেই দোকানে চলে যাই। দোকানটা ছিল মিনিস্টারের একটা শোরুম।

IMG20240811180946.jpg

IMG20240811180943.jpg

IMG20240811180816.jpg

IMG20240811180801.jpg

IMG20240811180800.jpg

IMG20240811181326.jpg

মিনিস্টার প্লাজা এই শোরুম টা অনেকটাই বড় তাদের পাশাপাশি কয়েকটা অনেক বড় বড় রুম রয়েছে আর এক এক রুমে এক এক ধরনের জিনিস ছিল। বোঝাই যাচ্ছিল গাউছিয়া মার্কেটের মধ্যে এই মিনিস্টার প্লাজাটা অনেক বড় একটা শোরুম। যখন আমরা সেই দোকানের সামনে গিয়েছিলাম দোকানের ম্যানেজার আমার সাথে থাকা সেই বড় ভাইকে দেখে খুবই খুশি হল এবং তারা দুজনে মতবিনিময় শুরু করে দিল এ থেকেই বুঝতে পারছিলাম তারা দুজন অনেক আগে থেকেই অনেক বেশি পরিচিত। এরপরে তারা কথা বলছিল কথা বলার এক পর্যায়ে কি লাগবে সেটা জানতে চাওয়ায় বড় ভাই তাকে বলল যে একটা ইলেকট্রিক কেটলি লাগবে ছোট ভাইয়ের জন্য। এরপরে আমার সঙ্গে তার পরিচয় হলো কথা বললাম বেশ ভালই লাগছিল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে আমি তাদের সাথে মতবিনিময় শেষ করার পরে ঘুরে ঘুরে এদিক-ওদিকটা দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম দেখছিলাম মোটামুটি অনেক সুন্দর ভাবেই তারা তাদের মিনিস্টার প্লাজাটা সাজিয়েছে। এরপরে তারা গল্প করছিল অবশেষে একজন একটা ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে আসলো। এরপরে আমি সেখানে গিয়ে তাদের বললাম সব থেকে ভালো মানের একটা ইলেকট্রিক কেতলি নিয়ে আসবেন এরপরে ম্যানেজার আমাকে জিজ্ঞেস করল কত লিটারের মধ্যে আপনি নিতে চাচ্ছেন। এরপর আমি ম্যানেজারকে জানিয়ে দেই আমি দেড় থেকে দু লিটারের মধ্যেই নিতে চাচ্ছি।

এরপরে বড় ভাই সেই ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলো দেশ থেকে দু লিটারের ইলেকট্রিক কেথলি আপনারা প্রাইস কত রাখছেন। এরপরে ম্যানেজার তাকে জানিয়ে দিল যে এটার প্রাইজ আমরা ৯৫০ রাখছি তবে আপনার জন্য কিছুটা কম আছে। এরপরে পাশে থাকা সেই বড় ভাই একটু হাস্যোজ্জ্বল হবে বলল সবার থেকে যা নেবেন আমাদের থেকেও তাই নেবেন আমাদের জন্য আবার কম রাখবেন কেন। একথা শোনার পরে আমরা সকলেই একটু হেসেছিলাম। যাইহোক পরবর্তীতে ম্যানেজার জানিয়ে দিল যে আপনার জন্য ৮৫০ রাখা যাবে। এরপরে আমি ভাইকে জানাই যে মিনিস্টার এটার গ্যারান্টি অথবা ওয়ারেন্টি আছে নাকি। এরপরে শোরুমের ম্যানেজার আমাকে বলে এটা এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে এর মধ্যে যদি কোন সমস্যা হয় আপনি নিয়ে আসবেন আমি চেঞ্জ করে দেব কোন সমস্যা নেই। ম্যানেজারের কথা শুনে অনেকটাই সত্যি পেয়েছিলাম যেহেতু মিনিস্টার প্লাজাটা বড় ভাইয়ের পরিচিত একটা দোকান যার কারণে আর অন্য কোন দোকানে গিয়ে ঘুরাঘুরি করিনি এখান থেকেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং অবশেষে ৮৫০ টাকা দিয়ে ইলেকট্রিক কেটলি টা নিয়ে নিলাম।

IMG20240811180754.jpg

IMG20240811180750.jpg

IMG20240813230308.jpg

IMG20240813230247.jpg

IMG20240813230323.jpg

IMG20240813230229.jpg

এরপরে বড় ভাইয়ের কিছু জিনিস কেনাকাটা করার ছিল সেগুলো কেনাকাটা করলাম অনেকটা সময় আমরা নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে অতিবাহিত করেছিলাম তারপরে সেখান থেকে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে হালিম এবং নান রুটি খেয়েছিলাম সেগুলোর আর ছবি তুলে নি। যাইহোক কেনাকাটা শেষ করে সন্ধ্যের একটু পরেই আমরা বাসায় ফিরে এসেছিলাম। বাসায় ফিরে এসে ইলেকট্রিক হিটার টা আমি চেক করার জন্য এর মধ্যে পানি দিয়ে ইলেকট্রিক লাইন যুক্ত করি। বলে রাখা ভালো যে মিনিস্টার প্লাজার ম্যানেজার আমাকে আগেই বলে দিয়েছিল যে এটা পানি গরম করতে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগবে আর আপনি যদি একটু বেশি গরম করতে চান তাহলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে আর পানি গরম হয়ে গেলে কেটলির সঙ্গে থাকা সুইচটা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। যখনই সুইচ অটোমেটিভ বন্ধ হয়ে যাবে তখনই আপনি বুঝবেন যে পানিটা গরম হয়ে গিয়েছে। এরপরে আমি কেটলির মধ্যে পানি প্রবেশ করিয়ে ইলেকট্রিক লাইন যখন যুক্ত করলাম দেখলাম যে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ইলেকট্রিক সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে এবং এটাও দেখতে পারলাম যে পানি অনেকটাই গরম হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি ভাবে মিনিস্টার প্লাজা থেকে আমি যেই কেটলিটা নিয়েছি এটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে।

প্রথমে আমি ওয়ালটনের জিনিস নিতে চাইলেও পরবর্তীতে মিনিস্টারের এই ইলেকট্রিক কেটলি টা নিয়েছি মোটামুটি ভাবে মনে হচ্ছে এই ইলেকট্রিক কেটলিটাও ভালো। সব থেকে এটা বেশি ভালো লেগেছে যে মিনিস্টার প্লাজার ম্যানেজার যেরকম ভাবে বলেছিল ইলেকট্রিক কেটলি ঠিক সে রকমই। আমি এটা দিয়ে মাঝে মাঝে ডিম সিদ্ধ করে খাচ্ছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ডিম সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক চাইলে আপনারা এরকম একটা ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে নিতে পারেন আপনার পরিবারের জন্য আশা করি খুব একটা খারাপ হবে না। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়মিনিস্টার প্লাজা থেকে ইলেকট্রিক কেটলি কেনার অনুভূতি।
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG_5290-01.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39