"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৩৩//নাটক রিভিউ
আজ - ১৭ আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বর্ষাকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৩৩)
- আজ ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৩৩ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৩৩ পর্বের রিভিউ এর প্রথম অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে গত পর্বে যেখান থেকে শেষ হয়ে গিয়েছিল ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে। মূলত আরফান সন্দেহ করেছিল যে চঞ্চল চৌধুরী হয়তো বা ওই কবিরাজের কাছে গিয়ে তার প্রেমিকার নামে কোনরকম ব্ল্যাকমেল করেছে যার কারণে সে তাকে ছেড়ে গিয়েছে। এটা ভেবেই সে কবিরাজ এর কাছে গিয়ে আচ্ছা রকমের তর্কাতর্কি শুরু করে কিন্তু কবিরাজ কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারে না যে সে কেন তার সঙ্গে এরকম তর্কাতর্কি করছে। তবে তাদের কথা বলার এক পর্যায়ে কবিরাজ বিষয়টা বুঝতে পারে যে সে কেন তার উপর এত বেশি রাগান্বিত। তার পুরো ঘটনা শোনার পরে কবিরাজ তাকে বলে সে নাকি তাকে তার করে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এই কথা শুনে আরফান অনেক বেশি খুশি হয় এতটা বেশি খুশি হয় যে সেটা আর বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
খুশি হবারই কথা মনে করুন আপনি কাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন আর কেউ যদি আপনাকে বলে যে যেকোনোভাবেই হোক আমি আপনাকে আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে চিরদিনের জন্য একত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিবে তাহলে আপনি কি খুশি হবেন না...?? অবশ্যই আপনি অনেক বেশি খুশি হবেন এখানে আরফানের অবস্থা ঠিক তেমনি। এরপরে সে কবিরাজের কথামতো কিছু কাজ করে মনের খুশিতে সেখান থেকে চলে যায়।
তবে নাটকের প্রথম থেকে এখন অব্দি আমার কাছে মনে হয়েছে এই কবিরাজ আসলে ভন্ড সে কোন কিছুই তেমন জানে না। হয়তোবা এমনি এমনি এরকম একটা বেশ ধরে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। এখন দেখা যাক সামনের পর্বগুলো দেখলে হয়তো বা বোঝা যাবে যে সে আসলে কতটা সত্যবাদী।
এদিকে হঠাৎ বাসার সাহেবের বাসায়, শাহনাজ খুশি এসে হাজির হয় ঠিক তখনই শাহানাজ খুশির সঙ্গে মৌসুমী হামিদের দেখা হয়ে যায়। এরপরে মৌসুমী হামিদ তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে কিন্তু সে মূলত বাসার সাহেবের তিন নম্বর ছেলে অর্থাৎ আরফানের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছে। কারণ সে আরফানের ছোট ভাই হিসেবে অনেক বেশি ভালোবাসে আরফান তার কাছে বলেছে সে যদি তার প্রেমিকাকে না পায় অর্থাৎ নাদিয়াকে না পায় তাহলে সে বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে। এ ব্যাপারে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা হলে মৌসুমী হামিদ তাকে অনেক রকম ভাবেই বোঝায় বুঝতে পারে একপর্যায়ে তারা গল্প করতে করতে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপরে দেখা যায় যে আরফান এবং চঞ্চল চৌধুরী একে অপরের সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে মূলত তাদের তর্কাতর্কির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে নাদিয়া। কারণ ইতোমধ্যে নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ভালোবাসার চিঠি আদান প্রদান করছে যেটা আরফান কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এখানেও চঞ্চল চৌধুরীর তার বুদ্ধির খেলায় আরফানের অনেক রকম কথা বলে কিন্তু আরফান কোন রকম কিছু না বলতে পেরে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়। রাগান্বিত হবারই কথা প্রেমিকা যখন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের চিঠি আদান প্রদান করে এই বিষয়টা আসলে কেউই মেনে নিতে পারেনা ঠিক তেমনি ভাবে আরফান কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না।
এদিকে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে সাহানাজ খুশির ননদকে বিয়ে করতে অনেক আগে থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছে কিন্তু শাহনাজ খুশি তার সঙ্গে এখন তার ননদের বিয়ে দেবে কিনা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এই ব্যাপারটা নিয়ে তারা দুজনে অনেকটা সময় কথা বলে কথা বলার এক পর্যায়ে বোঝা যায় যে বাসার সাহেবের প্রত্যেকটা ছেলের একটাই উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্য হচ্ছে বিয়ে করা বিয়ে করা ব্যতীত তারা আর কোন কিছুই এখন বর্তমানে ভাবছে না। আসলে তাদের অনেকটাই বয়স হয়ে গিয়েছে আর এই বয়সেও বাসার সাহেব তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না যার কারণেই তারা তাদের বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বাসার সাহেব অনেক রকম ভাবেই কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছে মৌসুমী হামিদকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার। মূলত বাসার সাহেব সেই কবিরাজের সঙ্গে কন্টাক করেছে সে যেকোনোভাবেই জিন ভুতের মাধ্যমে তাকে বাসা থেকে যেন বিতাড়িত করে দেয় কিন্তু কবিরাজ কোনভাবেই সেটা করতে পারছেনা। এদিকে চঞ্চল চৌধুরী কবিরাজের কাছে গিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে এসেছে যে সে যদি কোনরকম কবিরাজ গিরি করার চেষ্টা করে তাহলে সে তাকে জেলের ভাত খাওয়াবে এ কথা শুনে কবিরাজ অনেক বেশি ভয় পেয়েছে। কিন্তু বাসার সাহেব এক কথা মানুষ সেটাকে বলছে তুমি যেভাবেই পারো তাকে বাসা থেকে বের করে দাও। মূলত বাসার সাহেব তাকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না।
নাটকের এ পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবদের বোন এবং তার ছোট বউ তাদের ঝগড়া প্রায় লেগেই থাকে। মূলত বাসার সাহেবের বোন তাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না সে কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারে না যে তার ভাই এ বয়সে এসে এরকম একটা যুবতী মেয়েকে বিয়ে করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত সে তাকে বিয়ে করেছে কিনা এটাই স্পষ্ট নয়। এদিকে বাসার সাহেবের সন্তানরা তাকে ছোট মা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে কারণ, তার ছোট মা তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছে এ কারণেই বাসার সাহেবের সকল সন্তানেরা তাকে ছোট মা হিসেবে মেনে নিয়েছে কিন্তু বাসার সাহেব কোনভাবেই এখন পর্যন্ত তাকে বউ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ঠিক তেমনিভাবে বাসা সাহেবের বোন ও কোন ভাবেই তাকে ভাইয়ের বউ হিসেবে মেনে নেয়নি সে সবসময় তার উপর অনেক বেশি রাগান্বিত।
তাদের কথা বলার একপর্যায়ে বাসা সাহেবের বোন সেখান থেকে রাগান্বিত হয়ে উঠে চলে যায় মূলত আমি আগেই বলেছি সে কোন ভাবেই তাকে ভাবি হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৩৩ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৩৩ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.