ডুয়েট ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরির মুহূর্তে বড় ভাইয়ের রোমাঞ্চকর প্রেমের গল্প [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ০৬ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- এক রোমাঞ্চকর প্রেমের গল্প
- আজ ০৬ষ্ঠ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
এইতো গত কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোরাঘুরির মুহূর্তে কিছু ফটোগ্রাফির পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। মূলত গাজীপুর গিয়েছিলাম আমার মেস দেখার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে এক পরিচিত ভাইয়ের সঙ্গেই ঘোরাঘুরি করেছিলাম যেটা আমি আমার পোস্টের মধ্যে উল্লেখ করেছিলাম। আপনারা যারা আমার গত পোস্ট দেখেছেন তারা অবশ্যই এ বিষয়ে অবগত আছেন। সেই পোস্টে আমি বলেছিলাম বড় ভাই এবং তার দুজন বন্ধু এবং আমি এই কজন মানুষ অনেকটা রাত অব্দি একত্রে সময় কাটিয়েছিলাম যেটা সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমি কখনোই ভাবি নি যে গাজীপুর প্রথম অবস্থাতে গিয়ে এত ভালো একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারব। সেদিনের সেই মুহূর্তটা আমার এখন পর্যন্ত মনে পড়ে, কতই না সুন্দর ছিল সেই রাতটা। সেদিনের সেই রাতটা বেশি সুন্দর হয়েছিল বড় ভাইয়ের দুজন বন্ধু সাথে ছিল বিধায় কারণ তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার খুবই ভালো লাগছিল তারা ছিল খুবই আন্তরিক। সত্যি বলতে মনের মিল হয়তো খুব কম মানুষের সঙ্গেই হয় কিন্তু যাদের সঙ্গে আমাদের অল্প সময়ের মধ্যেই মনের মিল হয়ে যায় তাদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সঙ্গে আমার মনের মিল হয়ে গিয়েছিল যার কারনে মন চাইছিল সারাটা রাত তাদের সঙ্গে বসে বসে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে।
যাই হোক, মেস দেখা শেষ করে ভাইয়ার সঙ্গে করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করে খেলার মাঠের পাশে বসে থাকার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে সেখানে গিয়েই আমরা চারজন বসলাম। ভাইয়ারা একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিল আমি শুধু শুনছিলাম আর হ্যাঁ অথবা না এই দুটো শব্দের মধ্যে তাদেরকে উত্তর দিচ্ছিলাম। হঠাৎ ভাইয়ার এক বন্ধু তার নাম সাগর ভাই। সাগর ভাই ছিল তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি চঞ্চল সে শুরু থেকেই ফটফট করে কথা বলেই যাচ্ছে, অবশ্য তার কথা আমার মোটেও খারাপ লাগছিল না খুবই হাস্যরসিক একজন মানুষ। আসলে বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে যা হয় আর কি। বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে একে অপরের সিক্রেট বিষয়গুলোই সামনে চলে আসে যেটা হয়তোবা অন্য কেউ জানেই না।
কথা বলার এক পর্যায়ে সাগর ভাই আমাকে বলল আচ্ছা জীবন, তুমি কি কখনো প্রেম করেছ...?? ভাইয়ার এই প্রশ্নে আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না অবশ্য অনেকটা বেশি লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম কারণ সাথে বড় আপুর বন্ধু ছিল। বড় আপুর বন্ধু বলছে লজ্জা পাচ্ছো..?আরে বলো, সমস্যা নেই আমরা আমরাই তো হাহাহা।
আমি শুধু তাকে বললাম মৃত মানুষ কখনো প্রেমে পড়ে না। মৃত মানুষদের প্রেমে পড়া বারণ। আমার কথা শুনে তিনজনেই আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলল এটা কেমন কথা...!! মৃত মানুষ ভুত হয়ে প্রেম করে জানো না..? হা হা হা। আমি তখন তাদেরকে বললাম আমার এই শরীর চলন্ত কিন্তু আমার হৃদয় মৃত যার কারণে কখনো প্রেম করা হয়ে ওঠেনি।
এরপরে পাশে থাকা আরেক ভাই বলে উঠলো তোমার কথার ভাব শুনে তো মনে হচ্ছে প্রেম করেছিলে কিন্তু হয়তোবা কষ্ট পেয়েছো ছেড়ে চলে গিয়েছে নাকি...?? আমি ঠোঁটের কোণে মৃদু এক হাসি নিয়ে বললাম কখনো প্রেমী হয়নি ছেড়ে যাবে কি করে। আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম যে এই পর্বটা যেন খুব শীঘ্রই শেষ হয় যার কারণে আমি তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেই আপনারা কেউ কখনো প্রেম করেছেন নাকি বিশেষ করে সাগর ভাইয়ের দিকে লক্ষ্য করেই প্রশ্নটা করেছিলাম। সাগর ভাই কিছুটা সময় চুপ থেকে দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে বলল, প্রেম করিনি তবে একজনকে খুব ভালবাসতাম। আমি তখন তাকে বললাম সে কি আপনাদের ক্যাম্পাসেই না স্কুল লাইফে নাকি পলিটেকনিকে। ঠিক তখন সে বলল আমি স্কুল লাইফে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম কিন্তু সেই প্রেমটা ছিল অনেকটাই এক তরফা যার কারণে তাকে আমি ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু সে আমাকে কখনোই ভালোবাসে নি। এরপরে আমি তাকে বললাম ভাইয়া শুরু থেকে গল্পটা শুনতে চাই। তখন সেই ভাইয়া বলল না থাক সেটা আর এখন মনে করতে চাই না। তখন পাশে থাকা তার দুজন বন্ধু বলল আরে বলনা..!! ছোট ভাই শুনতে চেয়েছে আর এখন তুই বলবি না এটা কোন কথা বল ছোট ভাইয়ের সাথে সাথে আমরাও শুনি তোর প্রেমের গল্প। যদিও তোর সঙ্গে এতটা বছর ছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত এ গল্প আমাদেরকে বলিস নি।
এরপরে ভাইয়া বলল যখন ক্লাস টেনে পড়তাম তখন আমাদের সাথে আমার এক ব্যাচমেট ছিল মেয়েটার নাম ছিল রিমি। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন মেয়েদের সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতাম না খুবই লজ্জা পেতাম। যার কারণে মেয়েটার সঙ্গে আমার কথা বলতে খুবই ভয় লাগতো তারপরেও মেয়েটাকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতো কেন ভালো লাগত আমি জানিনা। আমি প্রতিদিন স্কুলে যেতাম শুধুমাত্র মেয়েটাকে দেখার জন্য। যদিও ঐ মেয়েটা তেমন একটা ভালো শিক্ষার্থী ছিল না তবে আমি ছিলাম ক্লাসের ফার্স্ট বয়। আমি অনেক রকম ভাবেই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে আমি তাকে ভালোবাসি সে বুঝে ছিল অনেক পরে। যখন সে বুঝলো সে বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থাকে আর এই না বুঝার ভান ধরে থাকা দেখে আমি খুবই কষ্ট পেতাম অনেকটাই খারাপ লাগতো নিজের কাছে।
এরপরে বন্ধু বান্ধবীরা একপর্যায়ে এ ব্যাপারটা জেনে যায় সেও খুব ভালোভাবেই ব্যাপারটা জানে যে আমি তাকে অনেক বেশি পছন্দ করি। এ ব্যাপারে আমি তাকে একদিন মনে সাহস নিয়ে বলেছিলাম কিন্তু সে রাজি ছিল না। প্রথম অবস্থাতে আমি ভাবতাম সর্বপ্রথমে মেয়েরা না করবে এটাই স্বাভাবিক আমি হাল ছাড়িনি। আমি প্রতিনিয়ত তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে যেতাম কিন্তু সে প্রতিনিয়তই আমাকে অবহেলা করত। এরকম করতে করতে অনেকটা মাস চলে যায় আমি তখন ভেবে নিয়েছিলাম সে হয়তো বা অন্য কারো সাথে প্রেমে আবদ্ধ।
অনেক খোঁজখবর নেওয়ার পরে জানতে পারি সে আসলেই একজনের সঙ্গে প্রেমে আবদ্ধ রয়েছে যার কারণে সে আমার প্রেমের দিকে নজর দেয় না। খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম সেদিন। আমি জানতাম সে আমার সঙ্গে প্রেম করবে না তারপরও কেন জানি আমার তার প্রতি অনেক বেশি মায়া কাজ করত। আমি প্রায় লেখাপড়া ছেড়েই দিয়েছিলাম কোন কিছুই ভালো লাগতো না। এক পর্যায়ে আমি স্কুলে যাওয়াটা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলাম যার কারণে বাসায় অনেক বেশি রাগ শুনতে হতো আব্বু আম্মুর কাছে।
এরপরে, কয়েক মাস পর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। যার কারণে তার সঙ্গে সেই রকম ভাবে দেখাবা যোগাযোগ হতো না। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে জানতে পারি যে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে সেই মানুষটার সঙ্গে যাকে সে ভালোবাসতো। খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। এমনকি এই ব্যাপারটা আমার বাসা থেকে সকলেই জেনে যায় যার কারণে কষ্টটা আমার অনেকটাই কম মনে হয়েছে। কারন আমার বাসা থেকে আমি তখন পর্যাপ্ত পরিমাণ সাপোর্ট পেয়েছিলাম সবাই আমার পাশে ছিল আমাকে শান্তনা দিত। কিছু কিছু সময় মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করব কিন্তু পরিবার পাশে থাকার কারণে সেটা হয়তোবা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
এরপরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া তার সঙ্গে কি আপনার আর কখনো দেখা হয়নি...?? তখন সাগর ভাই আমাকে বলল আগে গল্পটা শুনবা তো নাকি এত তাড়াহুড়ো করছ কেন...! এ কথা বলে জোরে এক অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল, হাহাহা। এরপরে বলল তার সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখা হয়েছে কিন্তু সে রকম ভাবে কথা হয়নি। এখন আর কথা বলে কি লাভ যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে কথা বলে নিজের কষ্টটা বাড়িয়ে লাভ কি...!!
এরপরে সাগর ভাই কিছুটা চুপ থেকে আবার বলতে শুরু করে যে, আসলে কে কিভাবে সেটা আমি জানি না তবে আমি এখন পর্যন্ত তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি জানি আমার এই ভালোবাসাটা একদম বোকামি তারপরও কেন জানি আমি তাকে ভুলতে পারিনা। সেই মেয়েটার বিয়ে হওয়ার পরে আমি অনেকগুলো রিলেশনে আবদ্ধ হয়েছি অনেক মেয়ে আমাকে ছেড়ে গিয়েছে আবার হয়তোবা আমি তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু তার প্রতি আমার যে ভালোবাসাটা সেটা এখন পর্যন্ত অন্য কারো প্রতি আসেনি।
আমি তখন তাকে বললাম আসলে একতরফা ভালোবাসাগুলো হয়তো বা এমনই যতই আপনি দূরে ঠেলে দেন তারা দূরে যাবে না কাছে চলে আসবে। এই কথা শুনে তারা তিনজন একত্রে প্রশ্ন করল তুমি এই কথা জানলে কিভাবে তার মানে তুমিও নিশ্চয়ই এরকম প্রেমে আবদ্ধ ছিল হাহাহা। আমি তখন তাদেরকে মুচতি হাসি দিয়ে বললাম না আমি আসলে এসবের প্রতি আসক্ত নয়। ভালো লাগে অনেক মেয়েকেই কিন্তু কাউকে বলতে পারি না ভয় লাগে।
আমি তাদেরকে এটাও বলি আসলে ভালোবাসা দূর থেকেই সুন্দর আপনি যখনই তার কাছে যাবেন তখন দেখবেন ভালোবাসাটা আর আগের মত নেই। কাউকে ভালবাসতে হলে দূর থেকেই বাসা উচিত কাছে গিয়ে ভালোবাসার কথা বলে শুধু শুধু নিজের দুঃখ বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।
এরপরে সোহাগ ভাই আমাকে বলল, আমি তোমার আপুর কাছ থেকে শুনে নেব তুমি কটা রিলেশন করেছ কারণ তোমার কথার ভাব শুনে তো মনে হচ্ছে তুমি গভীর জলের মাছ। প্রেম-ভালোবাসা না করলে কেউ এরকম কথা কখনোই বলতে পারেনা। আমি তখন বললাম আপুর কাছ থেকে জেনে নেবেন আমি রিলেশন করেছি কিনা।
এরপরে ভাইয়াদের সঙ্গে অনেকটা রাত গল্প করেছিলাম। গল্প করতে করতে কখন যে রাত্রি একটা বেজে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি। এরপরে ভাইদেরকে বিদায় দিয়ে আমি আর সোহাগ ভাই তার মেসে রওনা করলাম।
সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে এমন অনেক ভালোবাসা আছে যেটা সব সময় একতরফা। আর একতরফা ভালোবাসা গুলো এমনই হয় একতরফা ভালোবাসার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র তাকে ভালোবেসেই যাবেন কিন্তু তার কাছ থেকে কোন ভালোবাসা আপনি পাবেন না। সত্যি বলতে এই ভালোবাসাগুলো কখনো শেষ হয় কিনা আমি জানিনা, একতরফা ভালোবাসা আপনি যতই তাকে দূরে ঠেলে দেবেন সে ততোই বেশি আপনার কাছে চলে আসবে এটাই আমার মনে হয়। তবে হ্যাঁ, আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি ভালোবাসা দূর থেকে সুন্দর। আপনি যখনই ভালোবাসার মানুষটার কাছে যাবেন আপনার আবেগ অনুভূতি তাকে বলে দেবেন তখনই তার কাছ থেকে আপনি পাবেন প্রচন্ড রকমের অবহেলা। যে অবহেলাটা হয়তো বা আপনি সহ্য করতে পারবেন না।
যাই হোক এটাই ছিল, ডুয়েট ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরির মুহূর্তে বড় ভাইয়ের সেই প্রেমের রোমাঞ্চকর গল্প। যেই গল্পটার কথা আমি গত পোস্টে আপনাদের মাঝে বলেছিলাম শেয়ার করব। আশা করছি এই গল্পটা আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই আমি আমার পোস্ট শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | প্রেমের গল্প |
---|---|
বিষয় | এক রোমাঞ্চকর প্রেমের গল্প |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার ডুয়েট ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরির মুহূর্ত ও বড় ভাইয়ের প্রেমের রোমাঞ্চকর গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে সত্যিকারে ভালেবাসা এমনি হয়, প্রথমে যাকে ভালোবাসা যায় তাকে জীবনে কখনো ভুল যায় না।আর এটা আসলে সত্যি একতরফা ভালোবাসা করলে শুধু নিজেকেই ভালোবাসতে হবে আর অন্যের থেকে দুঃখ ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার আশাকরা ঠিক না।যদিও এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন, তারপরে ও যদি পরিবার সাথে থাকে তাহলে সব কিছুই সম্ভব।বেঁচে থাকুক আপনার বড় ভাইয়ের ভালোবাসা তার হৃদয়ে আজীবন।
একতরফা ভালোবাসাগুলো হয়তো বা এমনই এই ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না যতই তার থেকে দূরে থাকি না কেন দিনশেষে তার কথাই মনে পড়ে। সেই ভাইয়ের ক্ষেত্রে হয়তোবা তেমনটাই ঘটেছে।
আপনার সেই বড় ভাইয়ের প্রেমের কাহিনী তো পড়লাম। কিন্তু আপনার কথার মধ্যে সত্যিই ভেজাল দেখতে পাচ্ছি। আমারও মনে হচ্ছে আপনিও নিশ্চয়ই প্রেমে জড়িত ছিলেন। কিন্তু বলতে চাচ্ছেন না হাহাহা। যাইহোক ভাইয়া মজা করলাম। আর একতরফা ভালোবাসা গুলো একতরফাই থেকে যায়। তার মধ্যে হয়তোবা ভালোবাসার পরিমাণ খুব বেশি থাকে। যদিও অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু দেখেছি অনেককেই। ভালো লাগলো আপনার আজকের ব্লগটি।
যদিও সেই রকম ভাবে কখনো প্রেমে জড়ায় নি তবে ভালো লাগতো একজনকে ঠিক এরকম ভাবেই একতরফা ভালোবাসা। কিন্তু কখনো তাকে বলিনি তবে এসব ব্যাপারে মোটামুটি ভাবে ভালোই অভিজ্ঞ হাহাহা।
আপনার ডুশেট ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি ও বড় ভাইয়ের প্রেমের গল্প পড়ে অনেক ভাল লাগলো। সত্যি বলতে এক তরফা ভালবাসা শুধু কষ্টই দেয়।প্রথমে যার প্রতি একবার ভালবাসা হয়ে যায় তাকে কিছুতেই আসলে ভোলা যায় না। আর ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা সত্যি ই সহ্য করা যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আসলেই একতরফা ভালোবাসার ক্ষেত্রে যাকে প্রথমবার ভালো লাগে সেই ভালো লাগাটা অন্যান্য সকল ভালবাসার থেকে অনেকটাই আলাদা হয়। তাকে কখনোই ভুলে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
আপনার ডুয়েট কম্পাসে ঘোরাঘুরির সময় বড় ভাইয়ের প্রেমের কাহিনী টা বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।আসলে একতরফা ভালোবাসার কোনো ভ্যালু নেই।এগুলো শুধু কষ্টই ডেকে আনে।তবে এটা বেশ বলেছেন ভালোবাসা দুর থেকেই সুন্দর ।আর এটা সত্যি এগুলো যতই দূরে সরাতে চাইবেন ততই কাছে চলে আসে।ধন্যবাদ সুন্দর ছিল ব্লগটি।
আসলেই একতরফা ভালোবাসায় কোনো ভ্যালু থাকে না শুধুমাত্র কষ্টই ডেকে আনে আর আমি এটাই মনে করি ভালোবাসা দূর থেকেই সুন্দর। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রোমান্টিক গল্প পড়তে ভালো লাগে এই জন্য বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আচ্ছা এবার আপনাকে তাহলে একটা প্রশ্ন করি , আচ্ছা ভাই আপনি মরে গেলেন কিভাবে?? না মানে গল্পে লিখেছেন যে মরা মানুষ আবার কখনো প্রেমে পড়ে নাকি সেজন্য জিজ্ঞাসা করলাম।
আপনি মনে হয় নিচের লাইন টা পরেন নি,ওখানে লিখেছি তো দেহো চলন্ত কিন্তু হৃদয় মৃত😁 মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🖤🖤
বলছি হৃদয় মরলো কীভাবে ভাই??
নিকোটিনের ধোঁয়ায় হৃদয় পুরে ছারখার হয়ে গেছে ভাই
ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন হয় যে হঠাৎ করে কারো সাথে পরিচয় হয়েই অনেক কাছে চলে যায়। যেমন আপনি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গিয়ে আপনার বড় ভাইয়াদের সাথে মিশে গেছেন। যায়হোক সাগর ভাইয়া আর রিমি আপুর প্রেম কাহিনী পড়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পটা আমি যখন শুনেছিলাম তখন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল আমি পুরো গল্পটা মনোযোগ সহকারে শুনেছিলাম এবং মাঝে মাঝে ভাইয়াকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম যার মাধ্যমে বুঝেছিলাম ভাইয়া এখনো সেই মেয়েটাকে অনেক বেশি ভালবাসে।