গভীর রাত্রে ভয়াবহ আগুন

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আজ--০৯ অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের গভীর রাত্রে ভয়াবহ এক আগুনে বাড়িঘর পড়ে যাওয়ার এক ঘটনা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করছি এই পোস্টটা আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • গভীর রাত্রে ভয়াবহ আগুন।
  • আজ ০৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • শুক্রবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সকাল সবাইকে......!!


আমরা সকলেই আর কিছু দেখে ভয় পাই বা না পাই আগুন দেখে কিন্তু আমরা ঠিকই ভয় পাই। যদিও আমরা মানুষ হিসেবে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র যে আমরা আগুন দেখেই ভয় পায় তা কিন্তু নয় যখন আমরা নদী পারাপার হই আর মাঝ নদীতে যাওয়ার পরে যখন নদীতে ঢেউ শুরু হয় তখন আমরা পানি দেখেও ঠিক তেমনটাই ভয় পাই। চোখের সামনে ঘটে গিয়েছিল গত কয়েকদিন আগে আমাদের বাসার পাশে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়া এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। প্রতিদিনের মতো সেদিনও রাত্রি সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বাহিরে ছিলাম। যদিও গ্রামে প্রচন্ড শীত পরছিল ভেবেছিলাম খুব দ্রুতই বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়বো কিন্তু ভাই ব্রাদারের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল। বাসায় এসে যখন ঘুমানোর প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম তখন ঘড়িতে রাত্রি, ১২:৪৫ হয়ে গিয়েছে। ফোনটা সাইলেন্ট করে বালিশের নিচে রেখে দিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম সবেমাত্র চোখে ঘুম ঘুম একটা ভাব এসেছে। হয়তোবা আর দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে যাব এরকম একটা অবস্থা।

হঠাৎ করে এই গভীর রাতে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাই আর সাথে সাথেই আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। যে চোখে একটু আগে প্রচন্ড রকম ঘুম ছিল হঠাৎ করেই ঘুমটা যেন কোথায় পালিয়ে গেল। আমি প্রথমে শব্দের উৎসটা খুঁজতে চাচ্ছিলাম যে কোথা থেকে এই শব্দটা আসছে কিন্তু বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে কোন দিক থেকে শব্দটা আসছে। এরপরে আমি বেড থেকে একটা লাফ দিয়ে দরজা খুলে বাহিরে গিয়ে দাঁড়িয়ে শব্দের উৎস খুঁজতে চাচ্ছিলাম। এরপরে কে যেন চিৎকার দিয়ে বলছে আগুন লেগেছে সবাই এগিয়ে আসো। এই কথাটা শুনে আমি ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনের ফ্লাশ লাইট অন করে চিৎকার চেঁচামেচি দিকে অগ্রসর হই। আমাদের বাসা থেকে প্রায় ৩০০/৪০০ মিটার দূরে এক বাসায় আগুন লেগেছে।

কিছুটা দূর দৌড়ে যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম আগুনের তীব্রতা এতটা বেশি যে যেখানে আগুন লেগেছে সেই জায়গার উপরের অংশে লাল আভা দেখা যাচ্ছে। আমি অনেক দ্রুত দৌড়ে গিয়ে সেই বাসার সামনে হাজির হই। যেই বাসাতে আগুন লেগেছিল সেই বাসার পাশেই ছিল আমার আম্মুর মামাতো বোনের বাসায় অর্থাৎ আমার এক দুঃসম্পর্কের খালা। এরপরে যখন আমি সেই বাসার সামনে গিয়ে পৌঁছায় তখন শুধুমাত্র দেখি হাতেগোনা পাঁচ থেকে সাত জন লোক আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে যেহেতু অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল যার কারণে তেমন একটা মানুষজনের দেখা নেই।

কি করবো ভেবে উঠতে পারছিলাম না। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আগুন যে নিভাব সেরকম কোনো ব্যবস্থা দেখতে পারছিলাম না। ওখানে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন কেউ কেউ আবার বলছিল কেউ আগুনের কাছে যাবেন না এটা বিদ্যুৎ থেকে আগুন লেগেছে কেউ সেখানে গেলে বাস্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এরকম দৃশ্য দেখে কেউ কি আর স্থির থাকতে পারে...??

IMG20231108234051.jpg

আগুনের তীব্রতা


এরপরে আমি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিলাম। আমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাশে দেখি আমার ছোট কাকু এসে দাঁড়িয়েছে এবং বলছে যে দ্রুত যে কারো বাসায় গিয়ে একটা কোদাল নিয়ে আসতে। এরপরে আমি ফোনটা আমার প্যান্টের পকেটে রেখে আমার খালার বাসায় থেকে দৌড়ে গিয়ে একটা কাচি আর কোদাল নিয়ে চলে আসি। পাশেই ছিল ছোট্ট একটা কলা গাছের বাগান। এরপরে আমার ছোট কাকু সেই কাচি দিয়ে কলা গাছ কেটে কেটে বলছিল এগুলো সেই ঘরের উপরে মারতে। যদিও কলা গাছ গুলো অনেক বড় ছিল যার কারণে ওঠাতে অনেকটাই সমস্যা হচ্ছে তারপরে কেউ একজন কোদাল দিয়ে সেগুলো মাঝ থেকে কেটে দিয়েছিল। ততক্ষণে সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছে। যেহেতু আগে শুনেছিলাম যে এটা বিদ্যুৎ থেকে আগুন লেগেছে তাই কেউ প্রথম অবস্থায় পানি ব্যবহার করেনি। আগুনের এরকম তীব্রতা দেখে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরে শুরু হয়ে গেল পানি দেওয়া।

হঠাৎ দেখি আমার আম্মু সেখানে চলে গিয়েছে। আম্মুর হাতে ফোনটা দিয়ে বললাম তুমি একটু দূরে যাও,আগুনের কাছে তোমাকে আসতে হবে না। আম্মুর হাতে ফোনটা দিয়ে আমি আগুনের খুব কাছে চলে যাই। এরপরে আমরা পাঁচ থেকে ছয় জন সেই আগুনের উপরে পানি দিতে থাকি। আর পাঁচ ছয়জন ছিল যারা কিনা অনেক দূর থেকে পানি নিয়ে আসছিল আর বাসাটা এমন একটা জায়গায় যে সেখানে পানির কোন ব্যবস্থা নেই। যেহেতু বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল তাই কারো মটর থেকে পানি নেওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। একটু দূরে একটা পুকুর ছিল আর সেই পুকুর থেকেই পানি নিয়ে আসছিল। মাঝে মাঝে আমি পানি দিচ্ছিলাম আবার মাঝে মাঝে কলা গাছ নিয়ে এসে আগুনের উপরে ছুড়ে মারছিলাম।

এরকমভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট কেটে গিয়েছে তবুও আগুনের তীব্রতা কোনো রকম ভাবে একটুও কমেনি। বরঞ্চ সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে আগুনের তীব্রতা ততই বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে পানি এবং কলা গাছ দুটো একত্রে সেই ঘরের উপর দেওয়া চলে প্রায় ২০ মিনিট বা তারও বেশি। এরপরে কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ততক্ষণে ঘরটা একদমই পুড়ে গিয়েছে। কে যেন পাশ থেকে চিৎকার করে বলছে ঘরের মধ্যে মানুষ আছে কেউ কলাগাছ আর ফেলবেন না। যেহেতু আগুন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তাই আমি এবং আমার ছোট কাকু জানালা ভেঙে জানালার ভেতর দিয়ে সেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করি।

fire-298105_1280.jpg

source

ঘরের মধ্যে প্রবেশ করার পরে দেখলাম যে ঘরের মধ্যে তেমন কেউ নেই। এরপরে আমরা সেই ব্যাপারটা তাদেরকে জানাই। আমরা ভেবেছিলাম ঘরের মধ্যে হয়তোবা কোন বাচ্চা শুয়ে আছে কিন্তু কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম যে সেই বাচ্চার মা সেই বাচ্চাটাকে নিয়ে অন্য আরেকটা দরজা দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে। এরপরে ভেতরে থাকা অবস্থায় আমরা পানি ছিটিয়ে যেখানে যেখানে আগুন জ্বলছিল আগুনটা নিভিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা প্রায় শুরু থেকে শেষ অব্দি আগুন নেভাতেই সময় লেগেছিল ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে এটাই বাসাটা এতটাই ভিতরে ছিল যে কোন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে গিয়ে যে আগুন নেভাতে সাহায্য করবে সেরকম কোন রাস্তা নেই। যার কারণে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হয়নি।

আমি প্রায় শেষ অব্দি সেখানেই ছিলাম আগুন নিভিয়ে তার ঘরের মধ্যে যত রকম প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছিল সব কিছু রুম থেকে বের করে ফেলেছিলাম। যেহেতু সবকিছু পুড়ে গিয়েছে যার কারণে প্রচন্ড ধোয়া উড়ছিল আর এই প্রচন্ড ধোয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছিল। রুমের মধ্যে আমরা ততক্ষণে প্রায় চার-পাঁচজন প্রবেশ করেছি সবারই আমার মত এক অবস্থা। নিশ্বাস নিতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে। রুম থেকে সকল কিছু বের করে দেখি কোন কিছুই আর ভালো নেই সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে।

IMG20231108234054.jpg

জ্বলন্ত সেই ঘরটা


যখন আমরা রুমের মধ্যে ছিলাম ঠিক তখনই উপর থেকে ঘরের টিন গুলো খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছিল। এরপরে আমার ছোট কাকু আমাকে বাহিরে চলে যেতে বলে আমি কাকুর কথা শুনে বাহিরে চলে আসি। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে আগুন লাগার আসল রহস্য। ওই বাড়ির যে মহিলা সে একটা কয়েল জ্বালিয়েছিল মশা তাড়ানোর জন্য। সেই কয়েলটা সেই একটা টেবিলের উপর রেখেছিল আর সেই ঘরে ফ্যান চলছিল। কোয়েলের আগুন লেগেছে টেবিলের সঙ্গে আর টেবিল থেকে সারা ঘরে ছড়িয়ে গিয়েছে। বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকার কারণে আগুনটা তিনটা রুমেই ছড়িয়ে গিয়েছে খুব দ্রুতই।

টাকা-পয়সা, আলমার, শোকেস, টেবিল,চেয়ার,বেড এককথায় রুমের মধ্যে যা ছিল সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে কিছুই বাকি নেই। এই প্রথমবার খুব কাছ থেকে এরকম একটা ভয়াবহ আগুন দেখতে পারলাম। যদিও অনেকটাই খারাপ লেগেছে নিজের কাছে খুবই ব্যথিত হয়েছি। এরপরে প্রায় রাত্রি ২:৩০ এর সময় বাসায় এসে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

এটাই ছিল সেদিনের সেই রাত্রের ভয়াবহ আগুনের তীব্রতা। আপনারা সকলেই সতর্ক থাকবেন আগুন সবসময় সাবধানে ব্যবহার করবেন। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়গভীর রাত্রে ভয়াবহ আগুন
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

আসলে ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। সত্যি এমন আগুনের তীব্রতা দেখে কেউ কি ঠিক থাকতে পারে। আসলে আগুনে পুড়লে আর কিছুই থাকে না। দোয়া করি যে পরিবারের ক্ষতি হয়েছে তাদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন। আমিন।

 last year 

আগুনে পুড়লে আসলেই কিছু থাকে না সেদিন চোখের সামনে যেটা দেখলাম তাতে করে মনে হয়েছে যে আগুন এমন একটা জিনিস যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আমাদের অসচেতনতার কারণে এরকম ঘটনার স্বিকার হচ্ছি আমরা অহরহই।আপনি আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেছেন এবং ওখানে গিয়ে আপনার সাধ্যমতো সাহায্য, সহোযোগিতার চেষ্টা করেছেন যা জেনে খুব ভালো লাগলো।আসলে আমরা মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের বিপদে ঝাপিয়ে পড়াটাই মনুষ্যত্বের কাজ।সব কিছু পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে জেনে খুব খারাপ লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য ও আমাদেরলে সতর্ক থাকতে বলার জন্য।

 last year 

আমরা মানুষ আর মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত একে অপরের বিপদে-আপদে সবসময় এগিয়ে যাওয়া। তাই সেদিন কোন কিছু না ভেবেই তার বিপদের সময় পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম নিজের সাধ্যমত সাহায্য করার এরপরেও কোন কিছুর করতে পারিনি। ব্যাপারটা খুবই খারাপ লেগেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

কথায় আছে চোরে চুরি করলে কিছু নিয়ে যায় কিছু রেখে যায় কিন্তু আগুনে পুড়ে গেলে আর কিছুই বাকি থাকে না। হয়তো যদি বিদ্যুৎ থেকে আগুন না লাগতো তাহলে অনেকটাই কম ক্ষয় ক্ষতি হতো কিন্তু বিদ্যুতে আকৃষ্ট হয়ে আগুন লাগলে সেটা আরো বেশি ভয়ংকর হয় তার জন্যই আপনারা কেউ কাছে যেতে পারেননি। তবে তারপরও বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে আগুন নিভিয়ে ছিলেন।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

প্রথম অবস্থায় আমরা কেউই তেমন একটা সাহায্য করতে পারেনি কারণ বিদ্যুৎ ছিল আর বিদ্যুতের তারের সঙ্গেই আগুনটা জ্বলছিল। এরপরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আগুন নিভানোর। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন মানুষ কিছু থেকে ভয় না পেলেও আগুন দেখে সবাই ভয় পায়।
আমি এরকম ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বেশ কয়েকটি দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি।
আসলে আগুনে পুড়ে গেলে একজন মানুষ সবকিছু হারিয়ে ফেলে একদম নিঃস্বার্থ হয়ে যায়।

 last year 

অনেকদিন আগে এরকম কাজ থেকে আগুন এর অগ্নির দৃশ্য দেখেছিলাম যেটা দেখে সত্যিই অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম। কিছুদিন আগে আবার ঠিক এরকম একটা দৃশ্য দেখলাম অনেকটাই খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

পড়ছি আর যেন চোখের সামনে ভাসছে পুরো বিষয়টা।আসলে এমন দূর্ঘটনা যেন কারো না হয়।আহা,কি রকম অবস্থা চলছে তাদের যাদের ঘর পুড়েছে।খুব খারাপ লাগছে এই বিষয়টা দেখে।আপনারা অনেকে মিলে এই আগুন নেভাতে পারেননি তাতে আপনাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিলনা।তবে ভাগ্যিস বাচ্চার মা সহ বেরিয়ে গিয়েছিল।সত্যিই বলার ভাষা নেই এমন পরিস্থিতি যেন কারো না হয়।

 last year 

সত্যি চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না আমরা সকলেই অনেক রকম ভাবেই চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনোভাবেই আগুন থামাতে পারিনি প্রথম পর্যায়ে। বাচ্চা এবং বাচ্চার মা আগেই বের হয়ে গিয়েছিল এটাই অনেক বড় ব্যাপার। মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সত্যি চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না আমরা সকলেই অনেক রকম ভাবেই চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনোভাবেই আগুন থামাতে পারিনি প্রথম পর্যায়ে। বাচ্চা এবং বাচ্চার মা আগেই বের হয়ে গিয়েছিল এটাই অনেক বড় ব্যাপার। মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলে কথাই বলে না চোর চুরি করে নিয়ে গেলে ঘর থাকে আর আগুনে পুড়লে সব শেষ হয়ে যায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষের ঘর পুড়ে গেলে তারা নিঃশেষ হয়ে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে ব্যথিত হলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

এইরকম একটা পোস্ট করে যে কেউ ব্যথিত হবে কারণ আসলেই অনেকটাই কষ্ট নিয়ে এই পোস্টটা লিখেছিলাম। আগুনের এরকম ভয়াবহতা অনেকদিন পরে খুব কাছ থেকে দেখলাম খুবই খারাপ লেগেছিল। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

হঠাৎ ভয়াবহ এই আগুন কত কিছুই না পুড়িয়ে ছাই করে দিল। অসাবধানতা বসত কয়েলের আগুন থেকেই এরকম দুর্ঘটনা ঘটে। আর এখানেও তাই হয়েছে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই আগুন বেশি ভয়াবহ হয়ে গেল।সত্যিই খুব খারাপ লাগছে সেই পরিবারের জন্য। আর আপনিও ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে চলে গেলেন সেখানে যেটা মানবতার একটা অংশ। তবে এখানে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি সেটাই বড় কথা। গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে হয়তো কেউ মারাও যেতে পারতো।

 last year 

আসলেই অনেক বড় একটা বিপদ থেকে ওই পরিবারটা রক্ষা পেয়েছে কারণ ঘরের মধ্যে দুজন মানুষ ছিল তারা অনেক আগে বের হয়ে গিয়েছিল। এরকম আগুনের দৃশ্য দেখে কেউই স্থির থাকতে পারবে না আমিও থাকতে পারিনি। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

এইরকম আগুনের দৃশ্য দেখলে কার না ভয় লাগে।আমি তো এই দৃশ্য দেখে পুরো অবাক।আগুন যদি এইরকম ভাবে লাগে তাহলে বাকি কিছু থাকার কোন কথায় না।যাইহোক আমরা যদি নিজে সতর্ক না থাকি তাহলে তো অনেক ঝামেলা। একটা কয়েলের কারণে পুরো বাড়িটা পুরে শেষ হয়ে গেলো।এই জন্য ছোট জিনিস কে অবহেলা করা ঠিক না। আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং ভয়েও লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আসলেই সব সময় সতর্ক থাকা উচিত আর কয়েল সবসময়ই একটা নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা উচিত এতে করে আগুন লাগার ভয়াবহতা খুবই কম। আসলে তারা খুব একটা সাবধানতা অবলম্বন করেনি যার কারণেই এরকম একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ভাই খুব খারাপ লাগছে এই বিষয়টা জেনে।গভীর রাতে এভাবে আগুন লেগে গেল, দূর্ঘটনা কখন ঘটে তার কোনো ঠিক নেই।কয়েলের আগুন লেগেই সবকিছু এভাবে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। তাছাড়া বিদ্যুতের সংস্পর্শে আগুন আসলে সেটা খুব দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। আর ঐ ঘরটা তো পুড়ে একদম ছাই হয়ে গেল। আসলে এই বিষয়টা হয়তো খেয়াল রাখা উচিত ছিল কয়েল দেয়ার ক্ষেত্রে। সচেতনতা সব দিকেই জরুরী। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে আপনি দৌড়ে গিয়েছেন এবং আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করেছেন এটাই তো বড় কথা।

 last year 

ছোট্ট একটা ভুল হতে পারে সারা জীবনের কান্না এইছোট্ট একটা ভুল হতে পারে সারা জীবনের কান্না এই ফ্যামিলির মানুষ এখন অনেকটাই ব্যথিত এবং কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। সবসময় সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত বলে আমি মনে করি আপনি চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.18
JST 0.032
BTC 92204.02
ETH 3275.79
USDT 1.00
SBD 2.88