আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি [benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ০৪ অগ্রহায়ণ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার| হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- ডিম রান্নার রেসিপি
- আজ ০৪ ষ্ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!
ডিম পছন্দ করে না এরকম মানুষকে কমই আছে ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার কাছে ডিম ভাজি করে যদি আলু এবং পেঁপে দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। বেশ কিছুদিন হলো ডিমের রেসিপি তেমন একটা খাওয়া হয় না যেহেতু অনেকদিন খাওয়া হয় না তাই আজ ভাবলাম ডিম রান্না করেই ফেলি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি আপনাদের মাঝে আলু ও ডিম রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করব আশা করছি আপনাদের কাছে এই রেসিপি খুবই ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আপনাদের মাঝে এই রেসিপিটি উপস্থাপন করা যাক।
- মরিচ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- ধুনের গুড়া
- হলুদের গুড়া
- তেল
- গরম মসলা
- জিরা
সর্বপ্রথম আলু গুলো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে। এমনভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেন কোন রকম ময়লা তার সঙ্গে লেগে না থাকে তারপরে একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিতে হবে
এরপরে সামান্য পরিমাণ হলুদের গোড়া ছিটিয়ে দিতে হবে এবং হাত দিয়ে এপাশ-ওপাশ নারানারি করতে হবে যেন একত্রে মিশে যায়।
এরপরে সামান্য পরিমাণ লবণ আলুর উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।
লবণ ছিটানো শেষ হয়ে গেলে এবার ডিম গুলো তার ওপর রেখে দিয়ে সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়া এবং লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপরে পড়বেন ন্যায় সেটা একত্রে মিশিয়ে দিতে হবে যেন লবণ এবং হলুদের গুঁড়া ডিম এবং আলুর সঙ্গে মিশে যায়।
এরপরে একটি কড়াই নিতে হবে করায় এর ওপর পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিতে হবে। তেল ঢেলে দেওয়ার পরে এবার আলো গুলো তার ওপর ছেড়ে দিতে হবে এবং একটি চামচ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে যেন আলুগুলো ভালোভাবে ভাজি হয়ে যায়।
একটু সময় নিয়ে আলুগুলো ভাজি করে নিতে হবে কারণ আলু এরকমভাবে ভাজি করে নিলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। যখনই আলুগুলো ভাজি হয়ে যাবে তখন করাই এর উপর থেকে সেগুলো নামিয়ে ফেলতে হবে।
এরপরে করা এর উপর পরিমাণ মতো তেল ঢেলে নিতে হবে তারপরে নিচ থেকে তাপ দিতে হবে। যখনই তেল গরম হয়ে যাবে তখন তেলে বুদবুদ চলে আসবে।
এরপরে পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা তেলের উপর ছেড়ে দিতে হবে এবং পরিমাণ মতো লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে তবে লবণের পরিমাণ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি না হয়ে যায়।
লবণ ছিটিয়ে দেওয়ার পরে এবার পরিমাণ মতো মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিতে হবে এখানেও খেয়াল রাখতে হবে মরিচের গুড়ার পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায়।
প্রতিটি উপকরণ একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে এবার একটি চামচ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে কিছুটা সময় নাড়াচাড়া করার পরে প্রতিটি উপকরণ একত্রে মিশে যাবে।
এরপরে উপকরণগুলো মিশিয়ে দেওয়ার পরে উপকরণ গুলোর উপর আলু ছেড়ে দিতে হবে এবং একটি চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। এভাবে কিছুটা সময় নাড়াচাড়া করলে উপকরণের সাথে আলু চমৎকার ভাবে মিশে যাবে।
এরপরে পরিমাপ মতো কিছুটা পানি দিতে হবে পানি দিয়ে নাড়ানাড়ি করতে হবে অনেকটা সময় যাতে করে আলু গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়।
এরপরে কিছুটা সময় তাপ দিতে হবে তাপ দেওয়ার পরে তখন সেটা বোধ বোধ চলে আসবে তখন বোঝা যাবে যে আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে কিনা। যখন আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন তার মধ্যে ডিম ছেড়ে দিতে হবে এরপরে কিছুটা সময় তাপ দিতে হবে।
কিছুটা সময় তার দেওয়ার পরে এর পরে তরকারি স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যদি তরকারিতে লবণ এবং ঝালের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকে তাহলে তরকারি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে এবং আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। এইতো হয়ে গেল আলু দিয়ে ডিম রান্নার মজাদার রেসিপি আশা করছি আপনাদের এই রেসিপিটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছে চেষ্টা করলে আপনারাও বাসায় এরকম রেসিপি তৈরি করতে পারবেন বলে আশা রাখি।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
| বিভাগ | মজাদার রেসিপি । |
|---|---|
| ডিভাইজ | Realme 6i |
| বিষয় | আলু ও ডিম রান্নার রেসিপি |
| কারিগর | @jibon47 |
| অবস্থান | সংযুক্তি |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সব সময় আমাকে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ডিম পছন্দ করেনা এমন মানুষ কমই আছে। আমিও ডিম খুব পছন্দ করি আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া। আপনার রেসিপিটি দেখে বলতেই হচ্ছে যে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি এভাবে আরও সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
আমার কাছে মাছের থেকে ডিম অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে এজন্য আমি বরাবরই ডিম অনেক বেশি পছন্দ করি। খুবই চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আপনার এই রেসিপিটা ভালো লাগল। অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করে দেখব।
অবশ্যই বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় এ ধরনের রেসিপি।
ডিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আলু দিয়ে ডিম রান্না আমি খেয়েছি তবে রান্নাটা আপনার রান্না থেকে একটু আলাদা। যাইহোক আপনার কাছ থেকে আরও একটি ডিম আলু দিয়ে রান্নার রেসিপি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
সকলেই ডিম অনেক বেশি পছন্দ করে আর ডিম যদি আলু দিয়ে এরকম ভাবে ঝোল রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিম আর আলু দিয়ে মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। মসলাগুলোকে ভালোমতো তেলে ভেজে নিয়ে আলু দিয়ে ডিম রান্না করেছেন যার কারণে আলু গুলো খেতে বেশ মজা লাগবে। টেস্ট কিছুটা মাংসের মধ্যে আলো দিলে যেরকম লাগে সেরকম লাগবে।
মসলাগুলোকে যদি ভালোভাবে ভেজে নিয়ে তারপরে মসৃ ণ অথবা মিহি করে রান্না করা হয় তাহলে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছোট থেকে বয়স্ক লোক পর্যন্ত সবাই ডিম পছন্দ করে। আমিও তার মধ্যে একজন।আপনার আলু দিয়ে ডিম রান্না প্রসেসিংটা অনেক ভাল ছিল। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনাও করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও সেটাই মনে করি ডিম পছন্দ করে না এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছে ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই ডিম খেতে পারে । সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপনি ভাইয়া ডিম পছন্দ করেন এমন মানুষ নেই আসলেই।আলু দিয়ে ডিম এভাবে রান্না করলে খেতে দারুন লাগে।আমার বাসায় এভাবে প্রায় খাওয়া হয়।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
আমি মনে করি এই রেসিপিটা অনেক বেশি সহজ এবং লোভনীয় অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে যারা ব্যাচেলর তারা এ ধরনের রেসিপি অনেক বেশি পছন্দ করে।
এটা হল আমার মায়ের সময় বাঁচানোর খাবার। যেদিন মায়ের রান্না করতে ইচ্ছে করে না, সেদিন মা এমন সুন্দর ঝোল বা কখনও লাল ডিমের কষা করে রাখে। তবে তাতে করে কিন্তু স্বাদের একফোঁটাও পরিবর্তন হয় না। দারুন লাগে ভাত দিয়ে ঐটা খেতে। আমি তো রুটি দিয়েও খাই।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন সময় উপযোগী একটি রেসিপি এই রেসিপি তৈরি করতে তেমন বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না খুব অল্প সময়েই রান্না করা সম্ভব। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।