আজ - ২৯ কার্তিক | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ রাত্রি সবাইকে......!!

ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।

source

নাটকের কিছু তথ্য

নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-

তৃতীয় পর্ব যখন শেষ হয় তৃতীয় পর্বের শেষ অংশে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী হাতে একটি ছুরি নিয়ে নাদিয়ার কাছে চলে যায়। নাদিয়া প্রথম এভাবে সে হয়তো তাকে খুন করার জন্য ছুরি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী চাকু হাতে নিয়ে তাকে বলে তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসো তাহলে আমি এটা দিয়ে আমার হাত কেটে ফেলবো। এটা শোনার পরে নাদিয়া তার কথা না শোনার ভান করে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে কারণ সে জানে সে কখনোই নিজেকে আঘাত করবে না। এরপরেই তৃতীয় পর্ব শেষ হয়ে যায়। আমি ধারাবাহিকভাবে আপনাদের মাঝে চতুর্থ পর্বটি শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি আশা করছি এই চতুর্থ পর্ব আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।

তৃতীয় পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।

চতুর্থ পরের শুরুতেই দেখা যায় যে বাসার সাহেব এবং তার বোন একটা রুমের মধ্যে বসে থাকে মূলত বাসার সাহেব রাতের খাবার খাচ্ছে। তারপরে তার বোন তাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কিছুই তো করলেন না কোন বিচারনামা সালিশ কিছুইতো ডাকলেন না। তখন বাসার সাহেব বলে যে আসলে চঞ্চল চৌধুরী সাঁতার জানে এই কথা শোনার পরে তার ফুফু খুবই অবাক হয়ে যায় এবং তার ভাইকে জিজ্ঞেস করে আসলেই কি সে সাঁতার জানে নাকি। তখন সে বলে হ্যাঁ ও সাঁতার জানে। তখন বাসার সাহেবের বোন তাকে বলে যে তাহলে এবার ওকে বিয়ে দিয়ে দেন এ কথা শুনে বাসার সাহেব খুবই রাগান্বিত হয় এবং বলে যে ওকে বিয়ে দিলে ও আবার পুকুর ঘাটে গিয়ে বসে থাকবে মূলত ওই পুকুর ঘাটে গিয়ে ও বসে থাকে ওই মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য। তারপরের অংশে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে তার রুমে বসে বিরহের গান গাচ্ছে। মূলত এই বিরহের গান গাওয়ার অর্থ হচ্ছে তার প্রেমিকার অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে তার প্রেমিকার ছেলের সুন্নতে খাতনা উপলক্ষে তাকে দাওয়াত করেছে এ ব্যাপারটা ভেবেই সে মনে মনে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। গান গাওয়ার এক পর্যায়ে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং তার বড় ভাইয়ের গানকে তোয়াক্কা করে বলে খুবই বিরহের গান গাচ্ছো খুব কষ্ট হচ্ছে নাকি। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে একটু ঝগড়া হয়, পরবর্তীতে অবশ্য তারা দুজনেই বুঝতে পারে যে তাদের কারণেই তাদের প্রেমিকারা তাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।

এর পরের অংশে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী একটা রুমের মধ্যে পার্টি বিছিয়ে শুয়ে থাকে এবং সেখানে তার ছোট ভাই গিয়ে হাজির হয়। এবং পুকুর ঘাটে ঘটে যাওয়া কথা তার কাছে জিজ্ঞেস করে এবং বলে যে তুমি তো চিটারি করে যাচ্ছ প্রতিনিয়ত। সাঁতার জানার পরেও তুমি সাঁতার না জানার ভান ধরেছ এ কথা শুনে চঞ্চল চৌধুরী খুবই ঘাবড়ে যায় এবং তাকে বলে যে এ কথা কাউকে বলিস না আমি এক্টিং করে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছি। এই কথা শুনে তার ছোট ভাই খুবই অবাক হয়ে যায় এবং বলে তুমি ফুলকলির সাথে প্রেম করতেছো না তো আবার..? মূলত এই ফুলকলি হচ্ছে শিরিন আলম। তখন যেমন চঞ্চল চৌধুরী বলে আমি ওকে ভালোবাসি না আমি আসলে রোজিনা কে ভালোবাসি এই রোজিনা মূলত নাদিয়া। এবার তার ছোট ভাই তাকে বলে তাকে তো সেজো ভাই ভালোবাসে। তখন চঞ্চল চৌধুরী বলে কে কাকে ভালবাসে সেটা দেখার সময় নাই শুধুমাত্র আবার রাজি হলেই আমি তাকে বিয়ে করবো এ কথা শুনে তার ছোট ভাই সেখান থেকে চলে যায়।

এর পরের অংশে বাসার সাহেব রাত্রেবেলা ঘুমিয়ে থাকে কিন্তু সে স্বপ্নে তার স্ত্রীকে দেখে। মূলত সে স্বপ্নে দেখতে পায় যে তার স্ত্রী তার সঙ্গে এসে ঝগড়া করছে এই ঝগড়ার মূল বিষয়বস্তু ছিল সে তাদের ছেলেদেরকে কেন বিয়ে দিচ্ছে না। তখন বাসার সাহেব ঘুমের মধ্যেই তার স্ত্রীকে বলে বিয়ে করে আমি যে কষ্ট পেয়েছি সেটা আমি আমার সন্তানদেরকে দিতে চাচ্ছি না এ কারণেই আমি তাদের বিয়ে দিচ্ছি না। কিন্তু বাসার সাহেবের স্ত্রী খুবই রেগে যায় এবং শেষমেষ তাকে গলা টিপে ধরে। যখন তাকে গলা টিপে ধরে তখন বাসার সাহেবের ঘুম ভেঙে যায় তারপর সে বুঝতে পারে সে আসলে স্বপ্ন দেখছিল কিন্তু তার মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় এবং সে খুবই ভয় পায়।

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে তার পুরনো প্রেমিকার সাথে একটা নির্জন জায়গায় বসে গল্প করছে। মূলত তাদের গল্পের বিষয়বস্তু ছিল পুরনো স্মৃতি এবং সেই পুরনো অতীত নিয়েই তারা কথা বলছে। কিভাবে তারা দুজন একত্রে সময় কাটাতো কিরকম ছিল তাদের দিন এইসব নিয়েই তারা কথা বলছে। হঠাৎ করে বাসার সাহেবের বড় ছেলে তাকে জিজ্ঞেস করে আচ্ছা তুমি কি আমাকে ছাড়া খুবই খুশি আছো নাকি তখন, শাহনাজ খুশি তার কষ্টকে আড়াল করে মুখে একটু হাসি নিয়ে বলে হ্যাঁ আমি অনেক খুশি আছি। প্রথম অবস্থায় অবশ্য তোমার জন্য একটু খারাপ লাগতো কিন্তু এখন আমার তেমন একটা খারাপ লাগে না কারণ আমার বর তোমার থেকে সব দিক দিয়েই ভালো এ কথা শুনে বাসার সাহেবের বড় ছেলের মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। এর পরের দেশে বাসা সাহেব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বারান্দার উপরে বসে রয়েছে এবং তার বোন উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। হঠাৎ তার ভাইকে বারান্দায় বসে থাকতে দেখে তার বোন এসে জিজ্ঞেস করে আজও কি সে তার বউকে স্বপ্নে দেখেছে নাকি এ কথা শোনার পরে বাসার সাহেব বলে তুই জানলি কি করে। তখন তার বোন বলে যেভাবে আপনি এখানে বসে আছেন দেখে তো মনে হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে। তখন বাসার সাহেব বলে সে মরে গিয়েও আমাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।

এরপরের দৃশ্যটা দেখে আমি হাসতে হাসতে একদম শেষ হয়ে গিয়েছি। এর পরের দেশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে অবাক দৃষ্টিতে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ সেখানে নাদিয়া এসে হাজির হয় এবং তাকে বলে আমি তো তোমাকেই মনে মনে খুজছিলাম। একথা শুনে আর ফোন খুবই খুশি হয় এবং সে অনেকটাই আবেগপ্রত হয়ে পড়ে। তার এ অবস্থা দেখে নাদিয়া তাকে বলে এত খুশি হওয়ার কিছু নেই আমি এখন যে কথাটা বলব সেটা শুনে হয়তো তুমি রাগান্বিত হয়ে যাবে। তখন সে তাকে বলে চঞ্চল চৌধুরী তার সঙ্গে কি রকম ব্যবহার করেছে মূলত ছুড়ি নিয়ে তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে এ কথা শুনে আরফান খুবই রাগান্বিত হয়ে যায়। এরই মাঝে নাটকের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে যায়।

এই নাটকটি আমি যতই দেখছি ততই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে আসলে এই নাটকটি ধারাবাহিক নাটক শেষ হতে অনেকটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে পর্ব দেখি এবং সেই একটি পর্ব আপনাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করি যাতে করে আপনাদের বুঝতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। আমার এই ধারাবাহিকতা আমি অব্যাহত রাখবো প্রতি সপ্তাহে একটি করে পিতা বনাম পুত্রগণ ধারাবাহিক নাটকের একটি একটি করে পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আশা করছি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।। কেউ ধৈর্য আর হবেন না সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সকলকে।

শিক্ষণীয় দিক-

এই নাটক থেকে আমরা অনেক রকম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। প্রথমত এই নাটক থেকে আমরা এটা শিক্ষক গ্রহণ করতে পারি যে ছেলেপেলেদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত অল্প বয়স বলতে যখন তাদের বিয়ের বয়স হবে তখনই তাদের বিয়ে করিয়ে দেওয়া উচিত। আর একটা বিষয় উপলব্ধি করতে পারলাম যে প্রেম ভালোবাসার কারণেই হয়তো ভাই ভাই এর মাঝে অনেক রকম ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটা দূর করার একটা মাত্রই উপায় সেটা হচ্ছে যে যখন যার বিয়ের বয়স হয় তখন যদি তাকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া যায় তাহলে হয়তো এই সমস্যাটা আর থাকেনা।

ব্যক্তিগত মতামত-

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত চমৎকার একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।দেখতে দেখতে আজ তৃতীয় পর্ব শেয়ার করে ফেললাম,আপনাদের মাঝে। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই ভালো কিছু শিখবো এবং ভালো একটা জ্ঞান নিতে পারব বলে আশা রাখি। যদিও এই নাটকটা অনেকগুলো পড়বে ভাগ করা হয়েছে আমি ইউটিউবে দেখেছি প্রায় ৬০ পর্বের ও বেশি এই নাটক। আমি ভেবে নিয়েছি আপনাদের মাঝে প্রতিটি পর্ব শেয়ার করব একে একে। কেউ ধৈর্যহারা হবেন না আশা করি।

ব্যক্তিগত রেটিং-