আমাদের চাহিদার যেন শেষ নেই [benificiary ১০% @shy-fox]|

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ২০ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু বাস্তবিক কথা শেয়ার করবো,যে কথা কথা গুলো সত্য এবং বর্তমান সময়ে এই ব্যাপার অনেক বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • আমাদের চাহিদার শেষ নেই
  • আজ ২০মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  • শুক্রবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ দুপুর সবাইকে......!!


বর্তমান সময়ের মানুষ যেন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। আমি এই প্রতিযোগিতার অসুস্থ নাম দিয়েছি কারণ যে প্রতিযোগিতার কোন ভিত্তি নেই মানুষ শুধু শুধুই একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে, একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে করতে নিজের জীবনটা প্রায় শেষ করেই দিয়েছে সেই সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে তার যথেষ্ট জ্ঞান নেই যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান না থাকার কারণেও সে একই প্রতিযোগিতায় বারবার নিজেকে অংশগ্রহণ করাচ্ছে এবং বারবারই পরাজিত হচ্ছে। তবুও সে বুঝতে পারছে না যে যেই প্রতিযোগিতায় আমি বারবারই হেরে যাচ্ছি তবুও কেন সেই প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করছি..?? তো এবার আপনারাই বলুন এরকম যদি কোন প্রতিযোগিতা হয় যে আমি জানি যে এই প্রতিযোগিতায় আমি হেরে যাব তবুও বারবার সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা মস্তিষ্ককে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছাড়া আমি আর কোন নাম দিতে পারি না। তবে হ্যাঁ, আমরা সকলেই এটা বিশ্বাস করি যে আমরা যদি কোন কাজ না পারি সেই কাজটি যদি আমরা বারবার করতে থাকি তাহলে হয়তো বা সেটা সাফল্যতা আসবে।

তবে আমার মনে হয় একটা কাজ যখন আমরা পারিনা সেটা যদি আমরা নিজ থেকে করার চেষ্টা করি যদি অন্য কোন ব্যক্তি সেই কাজের প্রতি আমাদের কোন প্রেসার না দেয় আমরা যদি আনন্দ নিয়ে সেই কাজটা প্রতিনিয়ত করতে থাকি তাহলে হয়তো বা সফলতা একটা সময় দেখা দেবে অথবা অন্য কারো সঙ্গে যদি প্রতিযোগিতায় নামি তাহলে হয়তোবা একটা সময় গিয়ে জয়লাভ করতে পারব। কিন্তু যে কাজ আমার মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আশেপাশের মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়ে আমি করছি সেই কাজে কি আদেও সফলতা লাভ করা সম্ভব..?? যে কাজের মধ্যে আমি নিজেকে আনন্দ দিতে পারছি না নিজের মনকে খুশি করতে পারছি না সেই কাজ করে আমি কিভাবে জয়ী হবো...??

আসলে সফলতা আসাটা অনেক বেশি জরুরি তবে সেটা নিজের মনকে খুশি রেখে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে একটু একটু করে। কারো কথায় প্রভাবিত হয়ে বা কারো ভয়ে যদি আমি যে কাজটা করতে আমার মোটেও পছন্দ না তারপরেও যদি একই কাজ প্রতিনিয়ত করতে থাকি তাহলে কখনোই আমি সফলতা খুঁজে পাবো না। সফলতা এবং চাহিদা এই দুটো ঠিক তেমনি আমার চাহিদা যতটুকু আমার ঠিক ততটুকুই কাজ করা উচিত অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে চাহিদা বৃদ্ধি করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

the-weight-of-the-2033590_640.png

source


আমরা মানুষ হিসেবে এক একজনের চাহিদা এক এক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা মানুষ হিসেবে বড্ড বেমানান আমরা সবসময়ই আমাদের চাহিদাকে অনেক বেশি উপরে রাখি এবং সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিই নিজের চাহিদাকে। তবে আমরা কখনোই সামান্য কিছু চাহিদা রাখি না নিজেদের কাছে সবসময়ই অনেক বেশি চাহিদা রাখার চেষ্টা করি যদিও এটা আমাদেরকে পরবর্তীতে অনেক বেশি দুঃখের দিকে নিপাতিত করে। আমি মনে করি আমাদের সকলেরই উচিত চাহিদা অনেক বেশি কম রাখা। চাহিদা যত কম হবে আপনার সুখী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে যখনই আপনি প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি চাহিদা করবেন তখন আপনি কখনোই সুখী হতে পারবেন না সব সময় নিজের মধ্যে এক না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই যাবে। এই না পাওয়ার আক্ষেপটা আপনি কখনোই ভুলতে পারবেন না আপনি ভিতরে ভিতরে নিঃশেষ হয়ে যাবেন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন কিন্তু কাউকে এটা আপনি কখনোই বলে বোঝাতে পারবেন না। চাহিদা যখন পুরোপুরি ভাবে পূরণ না হয় তখন নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে হবে পৃথিবীটাকে অনেক বেশি ছোট এবং জীর্ণ মনে হবে যদিও পৃথিবী অনেক বড়। এত বড় মস্ত একটা পৃথিবীতে আপনি হবেন একমাত্র একজন মানুষ যার কাছে সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার এবং অচেনা মনে হবে, কারণ একটাই সেটা হচ্ছে আপনার প্রয়োজনের থেকে চাহিদা অনেক বেশি।

আমাদের চাহিদার যেন শেষ নেই এই বিষয়টা যদি আমি আরো ভালো করে বোঝাতে চাই তাহলে কয়েকটি উদাহরণ দিলেই হয়তো বা আপনারা খুবই ভালো করে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন বলে আমার মনে হয়। যেহেতু আমি উদাহরণ দিতে অনেক বেশি ভালোবাসি মূলত যেকোনো বিষয়ের উপরে ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে কোন কিছু যদি বোঝানো যায় তাহলে সেই ব্যাপারটা বুঝতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি কিছু কথার মাঝে দু একটা ছোট্ট ছোট্ট উদাহরণ রাখতে যাতে করে সকলেই অনেক ভালো করে ব্যাপারটা বুঝতে পারে। তো তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে উদাহরণের দিকে ধাবিত হই।

মনে করুন আপনার সন্তান এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আপনার সন্তান অনেক ভালো শিক্ষার্থী এটা আপনি ভালো করেই জানেন শুধুমাত্র আপনি নন আশেপাশের মানুষ জানে যে আপনার সন্তান অনেক ভালো রেজাল্ট করবে এসএসসি পরীক্ষায়। আপনিও তাকে প্রতিনিয়ত লেখাপড়ার উপরে চাপ দিচ্ছে সে পড়ালেখা করছে সে পড়ালেখা করছে আপনি সেটা দেখছেন কিন্তু আপনি কি কখনো তার মনের অবস্থা সম্পর্কে জেনেছেন...?? আপনি তাকে দিনরাত একাকার করে টেবিলের উপর বসিয়ে রেখেছেন কখনো কি তার কাছে জিজ্ঞেস করেছেন তার এখন পড়তে ইচ্ছে করছে কিনা...??

আপনি কি কখনো তাকে জিজ্ঞেস করেছেন বা বলেছেন এখন বিকেল বেলা এখন আর লেখাপড়া করতে হবে না যাও একটু মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করে আসো। আপনি কখনোই তাকে এ কথা বলেননি আপনি সব সময় তাকে পড়ার টেবিলের উপর বসিয়ে রেখেছেন। আর সে আপনার ভয়ে পড়ার টেবিলের উপর বসে অন্যমনস্ক হয়ে বইয়ের দিকে তাকিয়ে পড়ছে যার শরীরটা টেবিলের উপর থাকলেও মনটা আর মস্তিষ্কটা সম্পূর্ণই বাহিরে যেটা আপনি বোঝার ক্ষমতা রাখেন না। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন আমার সন্তান তো লেখাপড়া করছে কিন্তু আপনার সন্তান লেখাপড়া করছে ঠিক ঐ কিন্তু তার মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই বাইরে।

gavel-7499911_640.jpg

source


সে শুধুমাত্র আপনার ভয়ে লেখাপড়া করছে নিজের ইচ্ছেমত না। সে এটাতে কোন আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিনা বরঞ্চ সে নিজের মধ্যে অনেক বেশি অতৃপ্তি নিয়ে বেঁচে আছে। এই সন্তান যদি পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করে তাহলে দেখবেন আপনি কতটা দুঃখ পাচ্ছেন আপনি ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হয়ে যাবেন। আপনার কাছে মনে হবে এই পৃথিবীতে সন্তানদের জন্য এত এত কষ্ট করার পরেও যদি ভালো রেজাল্ট না হয় তাহলে আর তাকে দিয়ে কিছুই হবে না আপনি ধৈর্যহারা হয়ে যাবেন বিশ্বাস উঠে যাবে আপনার থেকে। আবার মনে করুন আপনার এই সন্তান যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে এবার আসে এডমিশনের পরীক্ষা। আপনি সবসময়ই তার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন ভালো কোন কলেজ বা ভার্সিটিতে চান্স পেতে হবে। তারপরেও আপনি তার ওপর তার ইচ্ছেটা ছেড়ে দেননি সব সময় নিজের ইচ্ছেটা তার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। আর আপনার চাপিয়ে দেওয়া ইচ্ছেটা সে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। তার নিজেরও তো কোন একটা ইচ্ছে থাকে তাই না...??

সত্যি বলতে বর্তমান সময়টাই যেন এমন পাশের বাড়ির মানুষ যেটা করছে যে ভার্সিটিতে পড়ছে তাদের সন্তানেরা অপর পাশের মানুষগুলো সব সময় চায় তাদের সন্তানেরা যেন আরো ভালো কোন ভার্সিটিতে পড়ুক বা ভাল কোন অবস্থানে যাক। মূলত এটাই হচ্ছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা যে প্রতিযোগিতার কোন ভিত্তি নেই। পাশের বাড়ির মানুষ কি করছে কোথায় লেখাপড়া করছে কেমন অবস্থানে আছে আমাদেরকে তাদের থেকে উপরে থাকতে হবে এটাই হচ্ছে মূলত বর্তমান সমাজে মানুষের বৈশিষ্ট্য। নিজের ইচ্ছেটা ওপর মানুষের থেকে শিখে নিয়ে সেটা পূরণ করতে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিজের অত নিজস্ব কিছু ইচ্ছে থাকে নিজের ইচ্ছের প্রাধান্য দেওয়াটা অনেক বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি। কিন্তু বর্তমান সমাজে সকলেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। আর এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা হচ্ছে চাহিদা। আমাদের চাহিদার যেন শেষ নেই সবসময়ই অনেক বেশি কিছু চাহিদার তালিকায় রাখি কিন্তু দিনশেষে যখন সেটা পাইনা তখন খুবই খারাপ লাগে কষ্ট হয় নিজেকে নিঃশেষ করে দিতে মন চায়।

আমি সবসময়ই মনে করি যে, কে কিভাবে চলল বা কার জীবন ব্যবস্থা কেমন সেদিকে না তাকিয়ে নিজের মনের ভেতরে যে ইচ্ছেটা আছে সেটাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। নিজেকে সবসময় সুখী রাখা উচিত নিজের সুখে যতটা সুখী হওয়া যায় অন্যের সুখের জীবন ব্যবস্থা দেখে সেই ভাবে চলে সুখী হওয়াটার মাঝে কোন আনন্দ নেই আমার এটাই মনে হয়। আমি আমার মত করে সুখে থাকতে চাই কে কিভাবে সুখে আছে সেটা নিয়ে নিজের মাথাকে ব্যথা করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই চাহিদা সবসময় কম রাখতে হয় চাহিদা যত কম হবে আমাদের জীবনের সুখ-শান্তি তত বেশি হবে। যাইহোক এখানেই আমি আমার আজকের এই সংক্ষিপ্ত পোস্ট শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগশিক্ষণীয় একটি পোষ্ট
বিষয়আমাদের চাহিদার যেন শেষ নেই
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা আসলে অসুস্থ একটা খেলায় মেতে উঠেছি। অমুকের এটা আছে তার মানে এটা আমাকে করতে হবে। অমুকের ছেলে ভালো পড়াশোনা করছে তার মানে আমার ছেলেকেও ভালো পড়াশোনা করতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে আমরা নিজের ইচ্ছাটাকে মেরে ফেলছি। ছেলেমেয়েদের উপর নিজের ইচ্ছে চাপিয়ে দিচ্ছি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর বিষয়গুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আপনার আজকের পোস্টটি খুবই ভালো ছিল।

 2 years ago 

আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন আপু বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছি যার কোন ভিত্তি নেই। ‌ ছেলে মেয়ে কিভাবে চলবে সেটা তাদের ব্যাপার কিন্তু আমরা তাদের উপর একটা বোঝা চাপিয়ে দিই সবসময়।

 2 years ago 

আসলে আমরা জেনেও খেলায় অংশগ্রহণ করি। আমরা অনেকেই জানি আমরা খেলায় অংশগ্রহণ করলে জয়ী হবো না সব সময় হেরে যাই। তবুও যারা অংশগ্রহণ করে তারা অসুস্থ ছাড়া আর কিছু নয়। তবুও সবাই এইসব খেলায় মেতে উঠে। সত্যি আপনার আজকের লেখার টপিক খুবই ভালো ছিল। যা আমার কাছে পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম পোস্ট গুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারি।

 2 years ago 

কোন কিছুতে আমরা নিশ্চিতভাবে হেরে যাবো এটা আমরা জানি তারপরও আমরা বারবার সেটাতেই আসক্ত হয়ে পড়ি এটা আসলে মানব জীবনের উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে।

 2 years ago 

এখন তো সবাই একজনের সাথে একজনের পাঙ্গা নাম নিয়ে চলতেই পারে না যেন। কেউ একজন যদি কিছু নিয়ে আসে বা তার কাছে কিছু থাকে তাহলে নিজের কাছেও থাকতে হবে এটাই সবাই ভাবে। একজনের সাথে আরেকজন প্রতিযোগিতায় না নেমে কাউকে কেউ ছাড় দেয় না। সবাই চাই নিজে অন্যকে হারিয়ে জয়ী হতে। আসলে এরকম প্রতিযোগিতাগুলোকে অসুস্থ প্রতিযোগিতাই বলা উচিত। আজকের লেখার টপিক বলতে গেলে অসাধারণ ছিল। পুরোটা পড়ে ভীষণ ভালোই লাগলো আমার কাছে।

 2 years ago 

খুবই চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া আমরা সবসময়ই একজন আরেকজনের সঙ্গে তুলনা করি আর তুলনা করতে করতে একটা সময় প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে যেটা সত্যিই মেনে নেওয়া কষ্টসাধ্য।

 2 years ago 

আপনার কথা বাস্তব ভাই, জীবনের চাহিদা কখনো শেষ নেই। একটি চাহিদা পূরণ হতে না হতে আরও অন্যান্য চাহিদে এসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়। আসলে যার যত চাহিদা কম সে ততো বেশি সুখী। যে অল্পতে সুখী হয় সেই প্রকৃত সুখী। অন্যের সাথে কোন বিষয়ে তুলনা না করে নিজের মতোন করে চলতে পারলে সুখী হওয়া যায়। এত সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

যে মানুষ অনেক অল্পতেই সুখে থাকে সেই আসলে প্রকৃত সুখী মানুষ সুখী হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু প্রয়োজন হয় না অল্প একটু প্রাপ্তি হলে অনেক বেশি সুখী হওয়া যায় বলে আমার মনে হয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 59176.07
ETH 2667.95
USDT 1.00
SBD 2.42