আজ - ২৯ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল|

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে......!!

ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।

source

নাটকের কিছু তথ্য

নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-

১৫ পর্বের শেষ অংশ লক্ষণ হলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের বড় ছেলের প্রেমিকা তার ননদের সঙ্গে তার প্রাক্তন প্রেমিকের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছে অর্থাৎ ভাষা সাহেবের বড় ছেলের বিয়ের ব্যাপারে তার সাবেক প্রেমিকা অর্থাৎ শাহনাজ খুশি বিয়ে ঠিক করতে চাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান এমন অবস্থা যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে কিছুতেই তার বাবার কাছে এই কথা বলতে পারবেনা। এরপরে বাসা সাহেবের বোন এবং পাশা সাহেবের বড় ছেলে তার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলে কিন্তু তার ফটো তাকে বলে তোরা বিয়ে করলে তোর বাবা তোদের বিয়ে মেনে নেবে না। মূলত তার ছেলেরা বিয়ে করতে চায় কিন্তু বাসার সাহেবের কারণেই বিয়ে করতে পারে না এটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টদায়ক।

১৫তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।

১৬ তম পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, চঞ্চল চৌধুরী রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল হঠাৎ তার সামনে এসে নাদিয়া হাজির হয় নাদিয়াকে দেখে চঞ্চল চৌধুরী অনেক বেশি খুশি কারণ সে তাকে অনেকদিন পরে দেখছে। নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় এবং চঞ্চল চৌধুরী মনে মনে হাসতে থাকে তার হাসি দেখে নাদিয়া তাকে বলে লজ্জা হচ্ছে না এরকম ভাবে আমার সামনে এসে হাসাহাসি করতেছিস। এ নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চঞ্চল চৌধুরী তাকে বলে আমি বিষ খেয়েছিলাম এটা জানার পরে তুমি কান্না করেছিল এটা কিন্তু আমি জানি তার মানে তুমি আমাকে ভালোবাসো হা হা হা।

এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বসার সাহেব পুকুর পাড় দিয়ে হেঁটে হেঁটে কোথায় যেন যাচ্ছিল হঠাৎ তার সামনে বড় একটা চাকু এসে পড়ে এবং সে অনেক বেশি চিল্লাচিল্লি শুরু করে সেভাবে তার মৃত স্ত্রী তাকে খুন করতে চাচ্ছে। এরপরে একজন লোক এসে তাকে শান্ত করে এবং বলে এখানে কিছুই নেই আপনি ভুল দেখেছেন বাসায় চলে যান। এর পরে বাসার সাহেব সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করে।

এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে একটা জায়গায় বসে রয়েছে হঠাৎ সেখানে শাহনাজ খুশি এসে হাজির হয়। এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করে যে সে তার কাছে যে কথাটা বলেছিল সে ব্যাপারে সে কি ভেবেছে অর্থাৎ তার মধ্যে সঙ্গে তার বিয়ে দিতে চেয়েছিল সে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা সেটা জানতে চাই। ‌ তখন সে বলে আমি আমার ফুফুর কাছে এ কথা বলেছি কিন্তু সে রাজি হচ্ছে না হঠাৎ শাহনাজ খুশি তাকে বলে তুমি যদি বিয়ে করতে না চাও তাহলে আর একজন পাত্র আছে যে কিনা তাকে বিয়ে করতে চায়। ‌ এরপরে সে জানতে চায় ছেলেটাকে তখন সে তাকে বলে যে তোমার ছোট ভাই অর্থাৎ বাসার সাহেবের মেজ ছেলে। এ কথা শুনে বাসর সাহেবের বড় ছেলে দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে।

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমিকা একটা জায়গায় বসে রয়েছে এবং সে তাকে বলছে যে সে নাকি চঞ্চল চৌধুরীর কাছে গিয়ে বলেছে আমি কান্না করেছি তার মৃত্যু হওয়ার কথা শুনে। তখন সে বলে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে যাব কেন আমি তো তার সঙ্গে দেখাই করিনি এখন পর্যন্ত। ‌ এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এক সময় নাদিয়া বুঝতে পারে যে সে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে মানুষের কাছে।

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বসার সাহেব তার নিজ বাসায় ফিরে এসেছে এবং সে অনেক বেশি চিন্তিত। সে কেমন যেন চিন্তায় বিভোর হয়ে বসে আছে কি যেন একটা ভাবছে হঠাৎ তার বোন তার কাছে আসে এবং বলে কি ব্যাপার তোমার মাথায় বাড়ি দিয়েছে কে তোমার কি হয়েছে। তখন সে বলে আমার মাথায় বাড়ি দিয়েছে এটা তুই কি করে বুঝলি তখন তার বোন বলে মাথার এক পাশ ফুলে রয়েছে যার কারণে বোঝা যাচ্ছে। এরপরে তার বোন বললে কি ব্যাপার তোমার তাবিজ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না নাকি...?? এ কথা বলে সে সেখান থেকে চলে যায় বাসার সাহেব তার কথা বসে বসে ভাবতে থাকে।

এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান অনেক বেশি রাগান্বিত চঞ্চল চৌধুরীর উপর কারণ সে মিথ্যে বলে সবাইকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছে। পাশেই তার বড় ভাই বসে থাকে তার বড় ভাই অনেক বেশি রেগে আছে কারণ হচ্ছে একটাই কারণ তার ছোট ভাই শাহনাজ খুশির ননদকে বিয়ে করতে চেয়েছে এবং সে বলছে সকলেই বিশ্বাসঘাতক সকলেই শুধু আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমি এই বিশ্বাসঘাতকের কথা সারা জীবন মনে রাখবো কিন্তু আরফান কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না বা বুঝতে পারছে না যে সে তার মেজ ভাইয়ের উপর কেন এতটা রাগান্বিত হয়েছে।

এরপরে বাসা সাহেবের বলেছিল সেখান থেকে উঠে তার মেজো ভাইকে খুঁজতে বের হয় হঠাৎ বাসার সাহেব তাকে ডাক দেয় এবং বলে দেখতো আমার মাথায় কোন কাটা বা ফুলে গিয়েছে কিনা তখন সে সেটা দেখে কিন্তু কোন কাটা নেই। তখন বাসার সাহেব বলে তোমার চশমার পাওয়ার মনে হয় কমে গিয়েছে এরপরে বাসায় সাহেবের বড় ছেলে তাকে বলে যে একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম যদি আপনি অনুমতি দেন তখন বাসার সাহেব বলে তোমরা যে কি বলতে চাচ্ছ সেটা তো আমি জানি। তখন বাসার সাহেবের বড় ছেলে বলে না আমরা আসলে আপনাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছি এ কথা শুনে বাসার সাহেব খুবই রাগান্বিত হয়ে যায় এবং তাকে বলে তুমি আমার চোখের সামনে থেকে সরে যাও। তখন তো আর বলেছিল সেখান থেকে কোন কথা না বলে চলে আসে।

এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী এবং নাদিয়া একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে এবং চঞ্চল চৌধুরী নাদিয়াকে বিয়ে করতে যাচ্ছে কিন্তু নাদিয়ার রাজি হচ্ছে না। এরপরে সে বলে ঠিক আছে তুই যদি তোর বাবার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা বলতে পারিস তাহলে আমি তোকে বিয়ে করবো চল এই বলে নাদিয়া হাত ধরে তাকে নিয়ে তার বাবার কাছে চলে যায়।

এরপরে তার বাবার কাছে গিয়ে তারা তাদের বিয়ের কথা বলে তার বাবা তাদের কথা শুনে খুবই রাগান্বিত হয় এবং একটি চাবুক নিয়ে তাকে ধাওয়া করে এবং সে সেখান থেকে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় এরপরে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের সেজো ছেলে অর্থাৎ আরফান একটি লাঠি নিয়ে চঞ্চল চৌধুরীকে মারছে আর চঞ্চল চৌধুরী একটা জায়গায় ঘুমিয়ে রয়েছে, মূলত এতক্ষণ চঞ্চল চৌধুরী স্বপ্ন দেখছিল হাহাহা। এরপরে আর ফোন তাকে ধরে নিয়ে চলে যায় তার বাবার কাছে বলে বাবার কাছে গিয়ে তোকে শায়েস্তা করব এই বলে সে সেখান থেকে চলে যায়।

আর এরি মাধ্যমে পিতা বনাম পুত্র গং নাটকের ১৬পর্ব শেষ হয়ে যায় আমি খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে ১৭ তম পর্ব নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!

শিক্ষণীয় দিক-

পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। ‌ অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

ব্যক্তিগত মতামত-

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।

ব্যক্তিগত রেটিং-