অবিস্মরনীয় ভালোবাসা/পর্বঃ--০৭ [benificiary ১০% @shy-fox]|

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ২৩ শ্রাবণ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বর্ষাকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ছোট গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি, এই ছোট গল্পটি আমি কয়েকটি পর্বে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • ছোট গল্প
  • আজ ২৩ শ্রাবণ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  • রবিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ রাত্রি সবাইকে.....!!


গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে কনার প্রেমিক বিদেশ যাবে যার কারণে সে তার পাশের গ্রামের একটি চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিয়ে করবে যৌতুকের আশায়। এদিকে কনক তার নিজের দোকান বিক্রি করে দিয়েছে শুধুমাত্র কনা যেন কষ্ট না পায় এই ভেবে। দোকান বিক্রি করে দিয়ে যে টাকা হয়েছে সেই টাকা তার প্রেমিককে দিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র এক শর্তে সে যেন কণা কে কষ্ট না দেয় এবং কণাকেই যেন বিয়ে করে। এই ভেবে সে ঢাকায় চলে এসেছে নতুন এক চাকরির খোঁজে।

mirror-3864155_640.jpg

source

কনক ঢাকায় চলে এসেছে নতুনের চাকরির খোঁজে যেহেতু সে তার দোকান বিক্রি করে দিয়েছে সেহেতু গ্রামে থেকে এখন কি বা করবে। যেহেতু গ্রামে তার দোকান ছিল তার একমাত্র রোজগার করার একটা মাধ্যম আর সেটা সে বিক্রি করে দিয়েছে এখন আর রোজগার করার কোন মাধ্যম নেই। যার কারণে ঢাকায় এসেছে একটি চাকরির খোঁজে কিন্তু ঢাকায় চাকরি পাওয়া কি এতই সহজ..?? আমি আপনাদের আগেই বলেছি কোন ছিল একজন সহজ সরল একটা ছেলে সে এতটাই ভদ্র ছিল যে কেউ যদি তাকে কোনরকম ভাবে কটুক্তি করে তো সেটার কোন রকম প্রতিবাদ না করেই সেখান থেকে চলে যেত। অনেকটা খোঁজাখুঁজির পরে সে একটি মোবাইলের দোকানে চাকরি নাই অনেকটা তার দোকানের মতই মোবাইল সার্ভিসিং। কিন্তু সেখানে সে বেশি দিন চাকরি করতে পারিনি,কোন একটা কারণে তার সেখান থেকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে পারে না কিসের জন্য তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হল। যাইহোক অর্ধহারে কোনদিন বা অনাহারে এভাবেই তার দিন কাটতে থাকে। এদিকে সে মনে মনে হয়তো ভেবে নিয়েছে যে কনার প্রেমিকের সাথে কণার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এভাবে মনে মনে খুবই কষ্ট পাচ্ছে যার কষ্টের কোন শেষ নেই। কিন্তু পরক্ষণেই সে অনেকটা সুখী অনুভব করছে যে আমার প্রিয় মানুষটা যাকে পছন্দ করত ঠিক তাকেই বিয়ে করতে পেরেছে এটা ভেবে সে মনে মনে খুবই খুশি। সত্যি বলতে প্রিয় মানুষটাকে হারানোর কত যে কষ্ট সেটা আমরা একমাত্র তারাই বুঝতে পারি যাদের জীবন থেকে একবার কোনো প্রিয় মানুষ হারিয়ে গিয়েছে।

parking-space-1487891_640.jpg

source

যখন আমাদের জীবনের সেই মানুষটা আসে তখন মনে হয় পৃথিবীটা কতই সুন্দর মনে হয় এর থেকে সুন্দর মনে হয় পৃথিবীতে আর কোন কিছুই নেই। মনে হয় পৃথিবীর যত সুখ সেই সুখ মনে হয় তার মধ্যেই নিহিত কিন্তু সবথেকে দুঃখের বিষয় আসা ঠিক তখন যখন সেই প্রিয় মানুষটা হঠাৎ করে হারিয়ে যায়। যখন সেই প্রিয় মানুষটা হারিয়ে যায় তখন মনে হয় পৃথিবীর যত দুঃখ কষ্ট যেন তার মধ্যে নিমজ্জিত। চাইলেও সে আর সুখী থাকতে পারে না তার মনের মধ্যে এক অজানা দুঃখ অজানায় কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এই দুঃখ কষ্টের মাধ্যমে অতিবাহিত করতে হয় জীবন জীবন অতিবাহিত করে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হয়। হয়তোবা কেউ কেউ এটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে আবার হয়তোবা কেউ কেউ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না নিজের জীবনটা সেখানেই থেমে যায়। কিন্তু এটা মূলত জীবন নয় জীবন্ত সেটাই যেটাকে সমস্ত রকমের সংগ্রাম যুদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাই মূলত জীবন বলে বিবেচনা করা হয়।

girl-7356696__480.webp

source

এদিকে যখন কণার প্রেমিককে সোহাগ টাকা দিয়েছে এবং সোহাগ যখন তার কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছে তখন কণার প্রেমিক তাকে জিজ্ঞেস করেছে যে আপনি কেন আমাকে টাকা দিচ্ছেন...?? তখন একদম শুরু থেকে শেষ অব্দি সোহাগ তার কাছে পুরো ঘটনা বলে ছোটবেলা থেকে একদম আজ পর্যন্ত যা যা হয়েছে সেটা সে কোনার প্রেমিকের কাছে গিয়ে বলে এটা সে শুনে কোন প্রেমিক রীতিমতো থমকে যায়। সে কখনোই ভাবতে পারেনি যে একটা মেয়ের জন্য অপর একজন মানুষ এত টা দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে। সে সেদিন টাকা নেয়নি সে সেদিন টাকা না নিয়ে সোহাগকে ফেরত দিয়ে দিয়েছে। কারণ কণার প্রেমিক এটা বুঝতে পেরেছে যে আমার থেকে হয়তো কনাকে সেই মানুষটা আরো বেশি ভালবাসবে এবং আমার থেকে আরো বেশি খুশি রাখবে। এদিকে কনার প্রেমিকের সাথে কনার একদিন দেখা হয় এবং কণার প্রেমিক পুরো ঘটনা তার কাছে বলে এটা শুনে ছোটবেলার সেই কথাগুলো কণার মনে পড়ে যায় যেটা শুনে কনা রীতি মত কান্না করেছিল। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো তার মনে পড়ছিল সে সত্যি রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিল এবং নিজেকে খুব দোষী মনে করছিল। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে সে এত বড় একটা দুঃখ পাবে সে কখনোই ভাবেনি এবং নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে এই ভেবে যে আমার ছোটবেলার সেই প্রিয় মানুষটিকে আমি হারিয়ে ফেলেছি। সে তখনই সিদ্ধান্ত নেয় যে সে কনকের সঙ্গে কথা বলবে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এটাই যে কনক এর কাছে কনকের ফোন ছিল না। সে কনক এর সাথে কোন রকম যোগাযোগ করতে পারবে না অনেক রকম চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু কণা কোনভাবেই কনকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। এদিকে কনকের বন্ধু সোহাগ তার বন্ধুকে খোঁজার জন্য অনেক রকম চেষ্টা করছে কিন্তু কনকের কোন খোঁজ নেই সে কোথায় আছে কি করছে সেটা কেউ জানে না। তাহলে কি কনক হারিয়ে গেল...?? সে কি আর কখনো ফিরে আসবে না..? সে কি তার প্রিয় মানুষটিকে একটিবার দেখার জন্য সমস্ত রকমের বাধা অতিক্রম করে সমস্ত রকমের মান অভিমান ভেঙে দিয়ে সে কি আসবে না তার সেই ছোট্ট গ্রামে যে গ্রামে রয়েছে তার ছোটবেলার প্রিয় সাথী এবং তার প্রাণপ্রিয় বন্ধু...? প্রশ্ন থেকে গেল। এখানেই আমি আমার সপ্তম পর্ব শেষ করলাম।সামনের পর্বগুলো আপনারা আরো চমৎকারভাবে উপভোগ করবেন বলে আমি আশা রাখি। যারা আমার এই গল্পটা একদম প্রথম থেকে শেষ অব্দি করেছেন তারাই একমাত্র বুঝতে পারবে। যাই হোক সকলের সুস্থতা কামনা করে এখানেই আমি আমার এই পোস্ট শেষ করছি। ধন্যবাদ সকলকে...!!



আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন

বিবরণ
বিভাগছোট গল্প
বিষয়অবিস্মরনীয় ভালোবাসা,পর্ব সপ্তম
গল্পের কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source

Sort:  
 2 years ago 

অবিস্মরনীয় ভালোবাসা যত আমি পড়ি ততই আমি মুগ্ধ হয়ে যাই সত্যি অসাধারণ ছিল এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সুন্দরবন তোমার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল

 2 years ago 

অবিস্মরনীয় ভালোবাসা/পর্বঃ--০৭ অসাধারণ লেগেছে আমাকে খুবই নিপুণভাবে উল্লেখ করেছেন যে ভালবাসার কাহিনী। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনি বরাবরি অনেক সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রান্ত করেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার লেখা "অবিস্মরনীয় ভালোবাসা,পর্ব সপ্তম" পড়ে একটা বিষয় খুব ভাল করে বুঝতে পেরেছি সেটা হচ্ছে মানুষ ভালবাসার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করে শুধু মাত্র তার প্রিয় মানুষটিকে সুখি করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনি আমার গল্পটির চমৎকারভাবে পড়েছেন যেটা আপনার কমেন্ট দেখলে বোঝা যায় ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার অবিস্মরনীয় ভালোবাসা ঘটনা টা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। বিশেষ করে কনার ভূমিকাটা উল্লেখ যোগ্য ছিল। আশা করি শেষ অব্দি পড়তে পারববো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর একটি ছোট গল্প লিখেছেন আপনি। আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে প্রিয় মানুষটিকে সুখী করার বিষয়টি দারুন লেগেছে আমার কাছে। অসাধারণ একটি গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59999.40
ETH 2646.89
USDT 1.00
SBD 2.44