কিছু মানুষ সব সময়ই দুমুখো সাপের মতো
আজ--০৩ ভাদ্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- কিছু মানুষ সব সময়ই দুমুখো সাপের মতো
- আজ--০৩রাভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ রয়েছে। আর এই অসংখ্য মানুষের মধ্যে সকলেরই চিন্তাভাবনা যে একরকম হবে সেটা কিন্তু কখনোই ভাবা যায় না। যেহেতু পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ রয়েছে তাই সকলেরই মতামত ভিন্ন এবং সকলের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণই আলাদা। কখনোই কারো সাথে কারোর মতামতের মিল আপনি খুঁজে পাবেন না, তবে হ্যাঁ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি মিল খুঁজে পেলেও অনেক ক্ষেত্রেই আপনি সেটার কোন মিল খুঁজে পাবেন না মানুষ আসলে কখনোই অন্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। সকলেই নিজের জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং সব সময় মানুষ আলাদা থাকার চেষ্টা করে। যেহেতু আমরা মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছি সেহেতু আমাদের সকলেরই উচিত দলবদ্ধ হয়ে একই মতামতে একই সিদ্ধান্তে নিজেদেরকে অর্পণ করা। সংখ্যালঘু কিছু মানুষ যদি অপরদিকে যায় আর অনেকেই যদি অন্য আরেকদিকে যায় তাহলে সেই সংখ্যালঘু মানুষদের উচিত যেদিকে বেশি মানুষের মতামত পড়েছে সেদিকে নিজেদেরকে অর্পিত করা। যারা এমন পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে একমাত্র তারাই সত্তিকার অর্থে মানুষের সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করার অধিকার বা যোগ্যতা দুটোই রাখে। কিন্তু যেই মানুষগুলো সব সময়ই নিজেদের চিন্তা করে এবং নিজেদেরকে এই সব সময় সঠিক মনে করে এই মানুষগুলো কখনোই দলবদ্ধ হয়ে কোন কাজ করতে পারে না ঠিক তেমনি ভাবে তারা কখনোই মানুষের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারে না এই মানুষগুলো সবসময়ই অন্যের থেকে আলাদা এবং এই মানুষদের কেউ কখনো পছন্দ করেনা বরঞ্চ সবসময়ই তাদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করে।
আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা কখনোই আপনাকে সঙ্গ দেবে না, ক্ষনিকের জন্য আপনার পাশে এসে দাঁড়ালেও তারা নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে আপনার থেকে একদম আলাদা হয়ে যাবে। যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম এখন মূল ঘটনায় আসি আপনারা অনেকেই জানেন যে কোটা আন্দোলনকে লক্ষ্য করে বাংলাদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদমই বন্ধ ছিল বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক আগে থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে টাকা পয়সা ভার্সিটিতে দিতে হয় এটা নিয়ে ছাত্রদের উপর সবসময়ই একটা বাড়তি চাপ থাকে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এ বছর সেমিস্টারের শেষের দিকে এসে শিক্ষার্থীরা ভালোমতো ক্লাস করতে পারেনি বিশেষ করে আমি যদি আমাদের কথাই বলি আমরা মিড ট্রাম এর আগে কয়েকটা ক্লাস করেছিলাম ভালোভাবেই কিন্তু মিড টার্ম পরে আমাদের আর একটিও ক্লাস ভার্সিটিতে গিয়ে আমরা করতে পারিনি কারণ একের পর এক আন্দোলন চলছিলই। যেহেতু আমরা ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করতে পারিনি আর এখন যেহেতু পরীক্ষার সময় চলে এসেছে সেহেতু আমাদের উপর এখন অনেকটাই চাপ চলে এসেছে কারণ লেখাপড়া না থাকলে পরীক্ষায় বসে কি লিখবো। আবার এদিকে ভার্সিটিতে সঠিক সময়ে আমরা আর টাকাও দিতে পারিনি কারণ ভার্সিটি যেখানে বন্ধ সেখানে টাকা দেওয়াটা অনেকটাই বিলাসিতার মত হয়ে গিয়েছিল।
এখন যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তাই ভার্সিটিও খুলে দিয়েছে কিন্তু সকল শিক্ষার্থীর একটাই কথা ছিল যে পরীক্ষা আমাদের অনলাইনে নেওয়া হোক আর সেমিস্টার ফি ৫০ % করা হোক। এটা নিয়ে আমরা সকলেই রেজিস্ট্রার শাখায় রেজিষ্টরের নিকট একটা ইমেইল পাঠিয়েছি, যদিও রেজিস্টরের সঙ্গে আমাদের সিআর অনেক আগেই কথা বলেছিল এবং রেজিস্টার থেকে এটাই জানিয়েছিল যে প্রত্যেকেই নিজেদের ইমেইল একাউন্ট থেকে অ্যাপ্লিকেশন করতে। সেই মোতাবেক আমরা ৫০% সেমিস্টার ফি সহ অনলাইন পরীক্ষা চেয়েছিলাম। যদিও প্রথমে আমরা অনলাইন পরীক্ষা চাইনি কিন্তু অন্যান্য সকল বেসরকারি university যখন দেখলাম যে অনলাইন পরীক্ষা নিচ্ছে এবং সেই সাথে কিছুটা হলেও ওয়েভার দিচ্ছে যার কারণেই আমরা ভার্সিটি থেকে এরকম একটা সুবিধা নিতে চাচ্ছিলাম।
যদিও এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা অনেক বেশি দ্বিধায় ছিলাম কারণ আমরা কখনোই এটা আশা করিনি যে ভার্সিটি এরকম কোন সুযোগ সুবিধা আমাদেরকে দেবে কারণ সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি সবসময়ই দেখেছি অনেক বেশি কঠোর। যাইহোক যেহেতু আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস হয়নি আর আমরা ভার্সিটিতে গিয়ে ক্লাস করতে পারিনি যেহেতু আমরা ক্লাস করতে পারেনি সেহেতু পরীক্ষায় গিয়ে কি লিখব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না যার কারণেই আমরা চেয়েছিলাম যে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হোক। যদিও আমাদের অ্যাপ্লিকেশনের ফলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তবে তারা কোন ওয়েভার দেবে না এটা জানার পরে আমরা কিছুটা মন খারাপ করেছিলাম তবে পুরো ব্যাপারটা ঘটেছিল একদমই ভিন্ন। প্রত্যেকটা সেকশনের সি আর দের নিয়ে ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ মিটিং করেছে ভার্সিটির প্রত্যেকটা সেকশনের সিআর ৫০% ওয়েভার চাইলেও হাতেগোনা কয়েকজন শেয়ার নাকি বলেছে যে তারা ওয়েভার চায়না। এই তাদের কয়েকজনের কথার কারণেই নাকি ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ৫০% ওয়েভার দিতে অস্বীকার করেছে। এই ব্যাপারটা নিয়ে ভার্সিটির গ্রুপে অনেক লেখালেখি এবং অনেক কথা হচ্ছে প্রথমে আমি খুব একটা বুঝতে পারিনি তবে পরবর্তীতে যখন বুঝতে পেরেছি তখন থেকেই নিজের মনের মধ্যে এতটা বেশি রাগ উঠছিল যে আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।
যে সকল সিআর ফিফটি পার্সেন্ট ওয়েভার নিতে চাইনি তাদের নামের লিস্ট করা হলো হাতেগোনা দেখলাম দু থেকে তিনজন ব্যক্তি তারা ৫০% ওয়েভার চায়না। পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম যে এই তিনজন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধার কোটা নিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে আর যারা ভার্সিটিতে মুক্তিযোদ্ধার কোটা নিয়ে ভর্তি হয় তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা সেইসাথে তাদের শুধুমাত্র সেমিস্টার ফি টাই সম্ভবত দিতে হয় আর কোন ফ্রি তাদের দিতে হয় না। যার কারনে তাদের আসলে ৫০% ওয়েভার এর কোন প্রয়োজন নেই। এই হাতেগোনা দু থেকে তিনজন মানুষ সবসময়ই নিজের কথাই চিন্তা করেছে এরা অন্যান্য শিক্ষার্থীর কথা কখনোই চিন্তা করেনি এরা আসলে দুমুখো সাপের মত। যদিও স্যারদের সঙ্গে মিটিং হওয়ার আগে তারা সকলেই নাকি রাজি হয়েছিল ৫০% ওয়েভার নেওয়ার জন্য কিন্তু স্যারদের সামনে গিয়ে তাদের কথা এবং আচরণ দুটোই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে এটা আমাদের সেকশনের সিআর আমাদের জানিয়েছে। যদিও সেমিস্টার ফি আমার সম্পূর্ণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে আমার সেমিস্টার ফ্রি নিয়ে কোন সমস্যা নেই কিন্তু অনেক স্টুডেন্ট আছে সেমিস্টার ফ্রী দিতে অনেকটাই সমস্যা তাদের পরীক্ষার সময়ে তাদের হয়তো বা অনেকটাই অসুবিধা হবে। সকল ভার্সিটি থেকে যদি ৫০% ওয়েভার দিতে পারে তাহলে আমাদের ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের wever দিতে কি সমস্যা এটাই আমি বুঝতে পারছি না।
যাইহোক এটা সম্পূর্ণই ভার্সিটির কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করবে। তবে যেই মানুষগুলো সময়ের ব্যবধানে তাদের কথা পরিবর্তন করে ফেলেছে এই মানুষগুলোর আসলে কি হবে...?? এই মানুষগুলোর তো সকলেই চিনে রাখল এরা আসলে কেমন। যদিও ভার্সিটির গ্রুপ থেকে দেখলাম যে এই তিনজন মানুষকে ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটাই চাচ্ছে। দেখা যাক এখন কি হয় যেহেতু সামনেই পরীক্ষা আর পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে অনেকটাই ব্যস্ত থাকব জানিনা কি হবে। আশা করি খুব ভালো কিছুই হবে আপনারা সকলে দোয়া করবেন যেন পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে দিতে পারি। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | কিছু মানুষ সব সময়ই দুমুখো সাপের মতো |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া কিছু মানুষ আছে সব সময় শুধু নিজের চেষ্টা করে থাকে। এরা কখনো অন্যদের নিয়ে ভাবে না। এরা কখনো অন্যের সমস্যা বুঝার চেষ্টা করে না।এই ধরনের লোকের একেক জায়গায় একেক কথা শোনা যায়। সত্যি এরা দুমুখো সাপের মতো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
বাস্তব জীবনে এই ধরনের মানুষ অনেক দেখেছি। এই ধরনের দুই মুখো সাপের মতো মানুষগুলো খুবই ভয়ঙ্কর হয়। যারা এদিকে কথা বলবে সেই কথা নিয়ে আবার অন্যদিকে আরেক কথা বলবে। অর্থাৎ তারা দুইদিকে ভালো থাকতে চাই। তারা দুই দিকে কথা চালিয়ে যাই। এ ধরনের মানুষ খুবই ভয়ঙ্কর হয়। তাদের থেকে সব সময় সাবধান থাকা ভালো। আপনি সুন্দর টপিক্স নিয়ে আলোচনা করলেন।
বর্তমানে সব প্রাইভেট ভার্সিটিতেই এই বিষয়টা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে কেউ বলছে ৩০% ফি মওকুফ করতে আবার কেউ বলছে ৫০% ফি মওকুফ করতে।
এরকম দুই মুখী মানুষগুলো অনেক বেশি ভয়ানক হয়ে থাকে। আর এই মানুষগুলো সব সময় দুই মুখী হয়ে থাকে। তাদেরকে বিশ্বাস করলে একসময় না একসময় আমাদেরকে ঠকে যেতে হয়। তারা কখনোই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারেনা। আমরা মানুষের উপরের রূপটা সব সময় দেখি। কিন্তু ভেতরের রূপটা দেখি না। তার ভেতরে কি আছে এটা আমরা বুঝতেই পারি না। একটা মানুষকে অবশ্যই উপরে এবং বাহিরে ভালো থাকতে হবে। এরকম দুই মুখী মানুষের থেকে ভয়ংকর আর কিছু হয় বলে মনে হয় না।