আজ--২৫ বৈশাখ| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | গ্রীষ্মকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন জনপ্রিয় কয়েকটি কমিউনিটির মধ্যে একটি। এটা ভাবতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে,সেই সাথে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হয়ে।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ দুপুর সবাইকে.....!!

বর্তমান সময়ের ফটোগ্রাফি করাটা যেন সকলের নেশা হয়ে গিয়েছে। কমিউনিটিতে এখন প্রায় সকলেই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে যে ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক বেশি সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর হয়। আমিও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে তুলে ধরার। যদিও তেমন একটা ভালো ফটোগ্রাফি করে না তবে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি সুন্দর ফটোগ্রাফি করার। আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো সেই ফটোগ্রাফি গুলো মূলত বিভিন্ন জায়গা থেকে আমি তুলেছিলাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করে যাব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার।

সত্যি বলতে আমি সবসময়ই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি, বলতে পারেন আমি একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ সময় পেলেই চলে যাই প্রকৃতির সান্নিধ্যে। আর প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর সেটা প্রকৃতির সান্নিধ্যে না গেলে কেউ কখনো বুঝতে পারে না, সব মিলিয়ে আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ভাবে ক্যাপচার করার,আশা করছি আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লাগবে।

ফটোগ্রাফি--০১

জাতীয় সংসদ ভবন সম্পর্কে আপনারা সকলেই জানেন। এখানে রাজ্যের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হয় কিন্তু আপনারা কি কেউ কখনো জাতীয় সংসদের ভেতরে প্রবেশ করেছেন..?? আপনারা প্রবেশ করেছেন কিনা আমি সেটা জানি না তবে আমি কখনোই প্রবেশ করিনি শুধুমাত্র দূর থেকে জাতীয় সংসদ ভবনকে দেখা হয়েছে কখনো কাছে গিয়ে ছুয়ে দেখা হয়নি। যতবারই দেখা হয়েছে ততবারই প্রাচীরের বাইরে থেকেই দেখা হয়েছে যেহেতু জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দিয়েই ভার্সিটিতে যেতাম এবং বাসায় আসতাম যার কারণে প্রায় সপ্তাহে দু একবার সংসদ ভবন দেখা হতো। অনেকদিন আগে ভাই ব্রাদার একত্রে মেয়েদের সংসদ ভবনের ওদিকে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ঘুরতে গিয়েছিলাম সন্ধ্যা মুহূর্তের সংসদ ভবন টা দেখতে আসলেই অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। চারিদিকে লাইটিং করার কারণে পরিবেশটা আরো বেশি সুন্দর ছিল।

ফটোগ্রাফি--০২

লাউ এমন একটা সবজি এই সবজিটি খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি লাউ অনেক বেশি পছন্দ করি বিশেষ করে চিংড়ি মাছ দিয়ে যদি লাউ ঘন্ট করা হয় তাহলে সবথেকে বেশি সুস্বাদু লাগে। আমরা বাজার থেকে লাউ কিনে নিয়ে আসি আবার অনেকেই আছে নিজেদের বাসায় লাউ চাষ করে থাকে। লাউ ছোট অবস্থায় দেখতে অনেক বেশি কিউট দেখায় বিশেষ করে ছোট অবস্থায় লাউ এর সাথে ছোট ছোট পাটাযুক্ত এক ধরনের জিনিস থাকে এটা যখন ধরা হয় তখন হাতে কিছুটা ব্যথা অনুভব হয় যেমনটা সুই ফোটালে আমরা অনুভব করি। অনেকদিন আগে একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়ে লাভের ডগার এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। সেখানে দেখেছিলাম গাছে অনেক লাউয়ের ফুল এসেছে বোঝাই যাচ্ছে কয়েক দিনের মাঝেই প্রত্যেকটা ফুলে একটি করে লাউ ধরবে। সত্যি বলতে দৃশ্যটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

ফটোগ্রাফি--০৩

সরিষা ফুল আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে যদিও যারা গ্রাম অঞ্চলে বড় হয়েছে একমাত্র তারাই সরিষা ফুলের কাছে গিয়ে সরিষা ফুলের সুঘ্রাণ টা কেমন তারাই ভালোভাবে বুঝতে পারবে। জমিতে যখন প্রত্যেকটা গাছের সঙ্গে সরিষা ফুল ধরে যায় তখন সরিষা ফুলের জমির কাছে গিয়ে সতেজ নিঃশ্বাস নিতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর সরিষা ফুল থেকে এক ধরনের ঘ্রাণ বের হয় এই ঘ্রাণটা যখন বাতাসের সঙ্গে মিশে আমাদের নিশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে মনে হয় যেন প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতেই থাকি। বিশেষ করে সরিষা জমির কাছে গিয়ে একটা দৃশ্য আরো বেশি ভালোভাবে পরিলক্ষিত করা যায় যখন মৌমাছি এ ফুল থেকে ও ফুলে মধু আহরণ করে এই দৃশ্যটাও আরও বেশি সুন্দর। যারা এই দৃশ্য দেখেছেন একমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন যে কতটা সুন্দর সেই মধু আহরণ করার দৃশ্য।

ফটোগ্রাফি--০৪

সত্যি বলতে প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর সেটা আমরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে না গেলে কেউ কখনোই বুঝতে পারি না। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এমন অনেক সদস্য আছে যারা কিনা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালোবাসা আমি নিজেও প্রকৃতিপ্রেমী একজন মানুষ। যদি কখনো সময় হয় সব সময়ই চেষ্টা করি প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করার সেটা ভোগ গ্রাম অথবা শহরে। যদিও শহরে প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে অনুভব করা যায় না তবে গ্রাম অঞ্চলের কথাটা একদমই ভিন্ন। আমার কাছে মনে হয় যে গ্রামে যতটা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া যায় শহর অঞ্চলে ততটা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া যায় না। দু'পাশে কলা গাছ আর মাঝখানে একটা জমিতে নতুন কিছু চাষ করবে বলে জমি চাষ করে রেখেছে এ রকমই একটা দৃশ্য আপনারা এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। আমার কাছে এই দৃশ্যটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

ফটোগ্রাফি--০৫

আপনারা কি কখনো নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য দেখেছেন..?? নদীতে মাছ ধরার দৃশ্যটা দেখতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে আমি নিজেও নদীতে এরকম ভাবে মাছ ধরেছি জাল দিয়ে তবে সেটা দিনের বেলায় নয় রাতের বেলা নতুন এক্সপেরিয়েন্স নেওয়ার জন্যই আমরা কয়েকজন অনেকদিন আগে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম যদিও খুব একটা বেশি মাছ পেয়েছিলাম না। অনেকদিন আগে পদ্মা নদী ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝেই আমাদের যাওয়া হয় সময় সুযোগ পেলেই আমরা পদ্মা নদীর মাঝে নৌকাতে করে কিছুটা ঘোরাঘুরি করে থাকি। সেদিন আর নৌকাতে ঘোরাঘুরি করিনি শুধুমাত্র পদ্মা নদীর পাড়ের উপরে বসে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম তখনই দেখছিলাম যে সন্ধ্যে লাগার আগ মুহূর্তে কয়েকজন জেলে মাছ ধরে নিয়ে নৌকায় করে বাসায় ফিরছে। তাদের বাসায় ফেরার এই দৃশ্যটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছিল মনে হচ্ছিল দিনশেষে সকলেই যার যার গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

ফটোগ্রাফি--০৬

আপনারা সকলেই জানেন যে আমি বাসায় গেলে সব সময়ই আমরা কয়েকজন বাইক নিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরাঘুরি করি। তবে বেশিরভাগ সময়ই আমরা বিকেল বেলা মাঠে গিয়ে নদীর সাইডে সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করি কেন জানি নদীর পাড়ের উপর বসে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর গ্রাম বাংলার মেঠো পথ ধরে এরকম বাইক চালানোর মজাই আলাদা। শহরের পিচ ঢালা রাস্তার উপরে বাইক চালানো টা যেমন অনেক বেশি আনন্দদায়ক ঠিক তেমনি ভাবে গ্রামের মেঠো পথে এরকম ভাবে বাইক চালানোর মাঝেও রয়েছে এক অন্য রকমের ভালোলাগা। সকলেই কে কার আগে বাইক নিয়ে চলে যাবে এটা নিয়েই ব্যস্ত থাকে কারণ মেঠো পথে অনেক বেশি ধুলা থাকে, সেদিনও নদীর সাইডে গিয়ে সময় অতিবাহিত করবো বলেই বাইক নিয়ে আমরা কয়েকজন গ্রাম বাংলার মেঠো পথ ধরেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম ভীষণ ভালো লাগছিল। মেঠো পথের দু'পাশে কৃষকেরা ধান চাষ করবে বলে জমি প্রস্তুত করছে আর মাঝখান দিয়ে ছোট্ট একটা রাস্তা দৃশ্যটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

ফটোগ্রাফি--০৭

চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি করতে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। ব্যক্তিগতভাবে আমার এটাই মনে হয় যে চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। চাঁদনী রাতে একাকী আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে মনে হয় যেন চাঁদ আমাকে দেখছে আর আমি চাঁদকে দেখছি। মাঝে মাঝে যখন দেখি মেঘ পুড়ে যাচ্ছে আর চাঁদ কিছুটা মেঘের আড়ালে চলে যাচ্ছে তখন চারিদিকের পরিবেশ টা কিছুটা অন্ধকার হয়ে যায় তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে। মনে হয় কেন যে মেঘটা সামনে চলে আসলো আর চাঁদকে আড়াল করে দিল কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার চাঁদ মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দেয় তখন এই দৃশ্যটা আরো বেশি ভালো লাগে। চাঁদনী রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেদিনও আমরা ভাই ব্রাদার একত্রে মিলে স্কুলের ফিল্ডে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর অনেক বড় একটা জোসনা উঠেছিল চারিদিকে কিছুটা আলোকিত হয়েছিল বিশ্বটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল সেই রাতের।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy