রেসিপিঃ- ||পাঁকা কদবেল ভর্তা|| ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ
আজ - ০৯ কার্তিক | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শরৎকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- পাঁকা কদবেল ভর্তার রেসিপি
- আজ ০৯ই কার্তিক, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে....!!
বাড়ির বাইরে থাকলে যা হয় আরকি....!!আমি লেখাপড়ার কারনে মেসে থাকি, অনেক দিন পর পর বাসায় যাই। আর অনেক দিন পর বাসায় যাই বিধায় আম্মু,আব্বু আর ছোট্ট একটা বোন এই তিন ব্যাক্তি সব সময় খাওয়ার উপরেরই রাখে। আর আমি তো খেতে খুবই ভালোবাসি। কোন কিছুতেই না করতে পারি না।😃আমার ছোট একটা বোন আছে, সে আমার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলে অনেক ধরনের খাবার নিজে না খেয়ে আমার জন্য রেখে দেয়। যেমন ধরুন,কদবেল,নাড়ু,চকলেট আরো অনেক কিছু যে গুলো দু-একদিন রেখে দিলে নষ্ট হবে না। এমন কি আমার রুমটাও সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখে। প্রতিবারই কিছু না কিছু রাখে এবারও পাঁকা কদবেল রেখেছে আমার জন্য। নিজ হাতে কদবেল ভর্তা করে খাওয়ালো। অনেক টেষ্ট হয়েছিল। আসলে এ রকম পাঁকা কদবেল ভর্তা আমি এর আগে খেয়েছি তবে এতোটা স্বাদ লাগেনি কখনো।
ছবিঃ- কদবেল ভর্তা
প্রয়োজনিয় উপকরন
- প্রয়োজন মতো পাঁকা কদবেল
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- সরিষার তেল
- ধুনে গুড়া
- লবণ
ধাপঃ-০১
ছবি পাঁকা কদবেল
➤চার-টা পাঁকা কদবেল গাছ থেকে পেরে রাখা হয়েছে শুধু মাত্র আমার জন্য🤪
ধাপঃ-২
ছবিঃ- কদবেল মাঝ বরাবর ভাঙ্গলাম
➤কদবেল চারটি মাঝ বরাবর ভেঙে রেখে দেওয়া হয়েছে। পাঁকা কদবেল দেখে আমি আর নিজেকে আঁটকে রাখতে পারি নাই, তাই প্রথমেই এক বাঁটি খেয়ে ফেলেছি।
ধাপঃ-০৩
ছবিঃ- পেঁয়াজ এবং মরিচ
➤এবার একটা পাত্রে পরিমাণ মতো কয়েকটি পেঁয়াজ এবং মরিচ নিলাম এবং সে গুলো কুচকুচ করে কেঁটে রেখে দিলাম।
ধাপঃ-০৪
ছবিঃ-** পরিমাণ মতো তেল
➤এবার পরিমান মতো তেল যোগ করতে হবে।
ধাপঃ-০৫
ছবিঃ- উপকরণ গুলো একত্রে মিশ্রণ
➤এবার পেঁয়াজ, মরচি,লবণ এই তিনটি উপকরণ এর সাথে তেল যোগ করে দিয়ে, হাতের আঙ্গুল দিয়ে সুন্দর ভাবে চটকাতে হবে যেন,প্রতিটা উপকরণ একে অপরের সাথে মিশে যায়।
ধাপঃ-০৬
ছবিঃ- উপকরণ এবং কদবেল
➤এবার একটি প্লেট-এ উপকরণ এবং পাঁকা কদবেল রেখে দিলাম ভর্তা করার জন্য।
ধাপঃ-০৭
ছবিঃ- ভর্তা চলছে
➤এবার কদবেল ভর্তা করা নিয়ে দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে মারামারি, সে বলে আমি ভর্তা করবো, আর আমি বলি তুই না আমি ভর্তা করবো। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ছোটজন জয় লাভ করছে।বড়জন হেরে গেছে। আমি আর ভর্তা করতে পারি নাই।
ধাপঃ-০৮
ছবিঃ- ভর্তা প্রায় শেষ
➤ভর্তা হয়ে গেছে। দেখে আর স্থির থাকতে পারতেছিলাম না। মনে হচ্ছিল কখন খাবো। যাইহোক, এবার ভাগ করার পালা।
ধাপঃ-০৯
ছবিঃ- ভাগ প্রকিয়া
➤যেহেতু আমরা পরিবারে চার জন মানুষ সেই হিসেবে এখানে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পরে অবশ্য আমি একটু বেশি খেয়েছি।কিভাবে বেশি খেয়েছি সেটা আর না বলি😃
➤এভাবেই আমাদের পাঁকা কদবেল ভর্তা খাওয়া শেষ হলো। খাওয়ার পাশাপাশি মজাটাই বেশি হয়েছে। অনেক দিন পরে এভাবে একটি সময় কাটাতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
পাঁকা কদবেল ভর্তা অনেকজন দেখলাম করছে। সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। মানুষ প্রতিনিয়ত কদবেল প্রেমী হয়ে যাচ্ছে। আরও কদবেল ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি এত সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপনা করেছেন এবং আসলেই উপস্থাপনা করার পদ্ধতিটা আমার খুবই ভাল লাগেছে। প্রয়োজনীয় উপকরণ আপনি সঠিকভাবে দিয়েছেন। আসলেই অনেক ভাল ছিল
জ্বী ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে
ছোটবেলায় কদবেল খেতে চাইতাম না অনেক জোর করে খাওয়াতো কিন্তু এখন কদবেল খেতে অনেক ভালবাসি বিশেষ করে পাকা কদবেল গুলো। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
কদবেল দিয়ে যে ভর্তা করা যায়, তা জানা ছিল না। অনেক সুন্দরভাবে আপনি পুরো রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ
জিভে পানি এসে গেছে ভাইয়া! পাকা কদবেল ভর্তা যে মজা, অনেক দিন খাওয়া হয় না। আমার এখানে পাকা কদবেল পাওয়া যায়না।বাংলাদেশি কি শীতের সময় পাকা কদবেল পাওয়া যায়?
হ্যাঁ আপু তখন ও পাওয়া যাবে, কিন্তু খুবই কম এখন প্রচুর
কদবেল ভর্তা আমার খুব পছন্দের।এই সময় আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।এখন আমি প্রায় দিনই কদবেল খাই।
আপনার কদবেল ভর্তা খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে।
ধাপে ধাপে সুন্দর করে বর্ণনাও দিয়েছেন।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান🥰
ভালোবাসা অবিরাম ❤️❤️❤️
টু টু ব্রো💓💓
আহ পুরনো স্বাদ মনে পড়ে গেলো।বাড়িতে আমিও আপনার প্রক্রিয়ায় তৈরি করতাম।দারুণ লাগতো কিন্তু খেতে।খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে কলবেলের ভর্তা তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই
আপনি খুব সুন্দর লোভনীয় একটি খাবার তৈরি করেছেন। আপনি যে ভাবে ফটো তুলে বর্ণনা করেছেন মনে হচ্ছে খেতে খুব টেস্ট হবে
হুম সেই টেষ্ট হয়েছিল
পাঁকা কদবেল ভর্তা||আমি কোনদিন কখনো খাইনি আর এই রেসিপিটি কোনদিন করি নাই আপনার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে এসেছিল মনে হচ্ছিল একটু টেস্ট করে দেখি♥♥
ইসস আপনার কমেন্ট দেখে খুবই কষ্ট লাগলো। সম্ভব হলে আজকেই আপনাকে খাওয়াতাম।কিন্তু.......??🥺🥺
আমিই বোধহয় এক মাত্র ব্যাক্তি যে এখনো বাসায় কদবেল মাখা খাইনি। বাসায় না আমি এই বছরে ঘরে, বাইরে কোথাও ই কদবেল মাখা খাইনি।
দেখেই লোভ লাগছে খেতে,কালার টাও মারাত্মক লাগছে।
জ্বী আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল
বাহ, খুব সুস্বাদু লাগছে, আমার বন্ধু.. আমরা কখন বন্ধুদের সাথে খেতে পারি
লোকেশন দেওয়া আছে। চলে আসেন ভাই