বড়ই এর আচার তৈরির রেসিপি ||🦊 ১০% বেনিফিশিয়ারি🦊 @shy-fox 🦊||
আজ - ২৬ ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- রেসিপি
- আজ ২৬ শ ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে.....!!
আচ্ছা আপনারাই বলুন তো বড়ই এর আচার খেতে কার না ভালো লাগে...!! আমার নিজের কাছে মনে হয় বরই এর আচার খেতে চায় না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই আছে। বিশেষ করে আমার কাছে বড়ই এর আচার খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। খুব ছোটবেলা থেকেই আচার এর উপর আমার একটি লোভ কাজ করে সব সময়। প্রতিবছরই আমার আম্মু এবং আমার ছোট বোন দুজনে মিলে অনেক বরই এর আচার তৈরি করে থাকে। আর এই বরই এর আচার তিনজনে মিলে যা খায় আমি একাই তার থেকে বেশি খাই হাহাহা😀। কারণ আমি আপনাদের আগেই বলেছি বরই আচার এর উপর আমার লোভ সব সময় বেশি থাকে। বাসায় থাকলে, সব সময়ই হাতে আচারের কৌটা লেগেই থাকে। আমার আম্মু আলাদা ভাবে একটা কৌটার মধ্যে আচার রাখে শুধুমাত্র আমার জন্য। সেই আচার আমি মেসে এনে মাঝে মাঝে খাই।
তেমনি ভাবে এবারও বাসায় গিয়েছিলাম কিছুদিন আগেই। বাসায় গিয়ে দেখি বড়ই এর আচার তৈরি করা হচ্ছে, বড়ই এর আচার দেখে আমার খুশি দেখে কে...!! বরই এর আচার দেখে আমার জিভে জল এসে গিয়েছিলো। তারপরে ফ্রেশ হয়ে আম্মু আর ছোট বোনের সঙ্গে যোগ দেই আচার তৈরি করার জন্য। এখন আমি আপনাদের মাঝে বরই এর আচার তৈরীর রেসিপি টা শেয়ার করতে চলছি। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আচার তৈরি করি।
- শুকনো মরিচ
- তেজপাতা
- রসুন
- পাঁচফোড়ন
- গুড়
সর্বপ্রথম বড়ই গুলো গাছ থেকে পেড়ে একটি পাত্রে রেখে দুই থেকে তিন দিন অথবা তার অধিক সময় রোদ্দুরে শুকাতে হবে। যখন প্রতিটা বড়ই লাল বর্ণ ধারন করবে তখন বরই আচার তৈরীর উপযোগী বলে মনে করা হবে।
বরই গুলো যখন শুকিয়ে যাবে তখন প্রতিটি বড়ই হাত দিয়ে চটকায়ে নিতে হবে।
এবার একটি পাত্রে পরিমাণমত ঝোলা গুড় নিতে হবে। আচার তৈরীর ক্ষেত্রে ঝোলাগুড় অনেক বেশি উপযোগী বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।
এবার কড়াই এর মধ্যে পরিমান মত তেল ঢেলে নিতে হবে, তারপরে রসুন গুলো তেলের উপর ছেড়ে দিতে হবে। এরপরে একটি চামচ দিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে রসুন গুলো এপিঠ-ওপিঠ সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। এভাবে নাড়াচাড়া করতে থাকলে একটা সময়ে রসুন লাল বর্ণ ধারণ করবে। তখনই বুঝতে হবে রসুন গুলো অনেক চমৎকার ভাবে ভাজি হয়ে গিয়েছে।
ভাজি রসুনের উপর পরিমাণ মতো কয়েকটি তেজপাতা ছিটিয়ে দিতে হবে সেই সাথে রসুন এবং তেজপাতা একত্রে নারানারি করে মিশিয়ে দিতে হবে।
এবার রসুন এবং তেজ পাতার উপরে বরই গুলো ছেড়ে দিতে হবে, তারপরে একটি চামচ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ নারানারি করতে হবে।
কিছু সময় নারানারি করার পরে যখন রসুন তেজপাতা এবং বড়ই একত্রে মিশে যাবে তখন পরিমাণমতো ঝোলা গুড় মিশিয়ে দিতে হবে
গুড় মিশিয়ে দেওয়ার পরে চামুচ দিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে এপিঠ-ওপিঠ নারানারি করতে হবে। একটা সময় যে আচারের মধ্যে বুদবুদ তৈরি হবে ঠিক তখনই...!!
এবার শুকনো মরিচ এবং পাঁচফোড়ন পাটার সাহায্যে বেটে নিতে হবে। এমন ভাবে বাটতে হবে যেন উপকরণ গুলো বড়ই এর সাথে মিশে যায়
এবার শুকনা মরিচ এবং পাঁচফোরণ এই দুটি উপকরণ বরই আচার এর উপর ছিটিয়ে দিতে হবে এমন ভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে যেন সর্বত্র শুকনো মরিচ এবং পাচফোরণ মিশে যায়। এরপরে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কারণ আচারের ক্ষেত্রে ঝাল এর পরিমাণ ঠিক না থাকলে খেতে তেমন একটা সুস্বাদু হয় না
**তারপরে কিছুটা সময় চুলার ওপর রেখে দিতে হবে সেইসাথে নারানারি করতে হবে। কিছুটা সময় রেখে দেওয়ার পরে ঝোলা গুড় শুকিয়ে বড়ই আচার এর সাথে মিশে যাবে। তখন এই বরই আচার গুলো শক্ত হতে থাকবে, ঠিক তখনই চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।
এবার আচার গুলো কড়াই থেকে আলাদা করে নিতে হবে। আর এই আলাদা করার জন্য চাই বড় একটা পাত্র যেখানে আচারগুলো বেশি জায়গা জুড়ে রেখে দেওয়া যাবে। তারপরে এই আচার রোদ্রে রেখে দিতে হবে। দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে রেখে দেওয়ার পরে আচারগুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাবে। খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগবে।
কি....!!! জিভে জল এসে যাচ্ছে নাকি আপনাদের...? আমি জানি এটা দেখে আপনাদের জিভে জল এসে যাচ্ছে। টেনশনের কোন কারণ নেই, যেকোনো সময় আপনারা চাইলে আমাদের বাসায় চলে আসতে পারেন। এখনো প্রচুর পরিমাণে বরই এর আচার আছে। আবার আমার ছোট বোন বলছে নতুন করে নাকি আবারো তৈরি করবে। আমিও তার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করছি। কারণ যত বেশি আচার তৈরি হবে ততবেশি খেতে পারব হাহাহা।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | বড়ই এর আচার তৈরির রেসিপি |
ছবির কারিগর | @jibon47 |
ছবির অবস্থান | সংযুক্তি |
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
আপনি বড়ই এর আচার চমৎকার ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেলো। বড়ইয়ের আচার সাধারণত আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই আপনার দুটো আচার রেসিপি সেই লাগছে।দেখে আমার জিভের মধ্যে জল চলে এসেছে।রান্নার সাথে সাথে উপস্থাপনা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরছেন।এতে সু্ন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
খুবই সুন্দর ভাবে বড়ই এর আচার তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি আজকে আমাদের মাঝে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখলে প্রত্যেকটি মানুষের জিভের জল চলে আসে। রেসিপিটি তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
বরইয়ের আচার তৈরির রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো, ভাইয়া আপনি অনেক বড়ইয়ের আচার তৈরি করেছেন, বড়ই এর আচার খেতে খুবই সুস্বাদু, বরইয়ের আচার খিচুড়ি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
একদম সত্য কথা বলেছেন ভাই,ধন্যবাদ
রেসিপি টা দেখেই প্রথমেই মায়ের কথা মনে হয়ে গেল। আমি কলকাতায় চলে এসেছি ।তাই কিছুদিন আগেই আমার আসার আগে মা আমার জন্য নিজের হাতে কুলের আচার তৈরি করে প্যাকেট করে রেখে দিয়েছিল। যাতে আমি কলকাতায় নিয়ে আসি। আমি আচার খেতে খুব ভালোবাসি। আপনার রেসিপিটা সাজানো খুবই সুন্দর হয়েছে ।অনেক ভালো থাকুন। এভাবেই এগিয়ে যান।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ভাই বড়ই এর আচার আমার খুবই ভালো লাগে, বড়ই আচার আমিও বড়ইয়ের সৃজনে অনেক আচার করে রেখে দেই, পরবর্তীতে মজা করে খাওয়ার জন্য। আপনার বড়ই আচার দেখে তো জিভে পানি চলে আসলো। আসলে আচার দেখলে তো লোভ সামলানো মুশকিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার রেসিপি দেখে তো আমার মুখে পানি চলে এসেছে। আসলে এভাবে আচার তৈরি করে খেলে অনেক স্বাস্থ্যকর ভাবে খাওয়া যায়। আর আচার তো আমাদের সবারই প্রিয় আপনি খুবই প্রয়োজনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ঠিক বলেছেন বড়াই এর আচারের লোভ আপনার মত আমারও একটু বেশি। সবসময় আচার জিনিসটা চোখের সামনে আসলেই জিভে জল চলে আসে। আচার আমরা সবাই খুব পছন্দ করি স্বাভাবিকভাবে আপনার আচারের রেসিপি টা আমার খুব ভালো লেগেছে। আচার বানানোর প্রত্যেকটি ধাপ অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো।
মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাই বড়োই নাম শুনেই তো জিভে চলে আসলো। আর আচার গুলো দেখতে যা হয়েছে মনে হচ্ছে গপাগপ গলদ করন শুরু করি।অসাধারন ছিলো ভাই আচার এর রেসিপিটি।
ধন্যবাদ আপনাকে
একদম সত্যি কথা ভাই সত্যি জিভে জল চলে আসলো। অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনার আচার এর রেসিপিটি। ঝোলাগুড় দেয়ার কারণে কালারটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ