অবশেষে ফাইনাল পরিক্ষার সমাপ্তি ঘটলো
আজ--০২ পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- অবশেষে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ।
- আজ--০২রা পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
যখন কোন কাজ নিয়ে আমরা মানসিকভাবে অনেক বেশি চাপে থাকি তখন আমরা সবসময়ই চিন্তা ভাবনা করি যে কখন এই কাজ শেষ হবে। এই কাজ আর শেষ হবার জন্য আমরা অনেক অপেক্ষায় থাকি অনেকটা সময় নিয়ে আমরা অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে যখন আমাদের সেই কাজটা শেষ হয়ে যায় তখন আমরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বাঁচি। আমাদের এই দীর্ঘ নিঃশ্বাসটা এতটাই দীর্ঘ হয় যে, আমরা যদি একটানা এক কিলোমিটার দৌড়ানোর পরে দৌড়ানোর থামিয়ে দিয়ে প্রথম যে বড় নিঃশ্বাস টা নিয়ে থাকি আমার কাছে ঠিক তেমনটাই মনে হয়। আর আমার মাথার উপর যখন কোন কাজের চাপ আসে তখন আমি কোন ভাবেই স্থির থাকতে পারিনা সবসময়ই এক অজানা ভয় কাজ করে। ভয় বলতে সব সময় এটাই মনে হয় যে আমি এই কাজ ঠিক মতো করতে পারবো তো..?? আমার দিয়ে এই কাজটা ভালো হবে শেষ হবে তো..??এসব কিছু আমার মধ্যে অনেক বেশি কাজ করে মূলত আমি অনেক বেশি এক্সাইটমেন্ট হয়ে যাই।
জানিনা সকলের ক্ষেত্রে এরকম হয় কিনা তবে আমার ক্ষেত্রে এটা মাঝে মাঝেই আমি পরিলক্ষিত করি। মাঝে মাঝে আমি খুবই টেনশন এ থাকি। কিন্তু যখন এই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়ে যায় তখন নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে নিজে অনেক বড় একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলি,উফ বুঝলাম...!! এবারও ঠিক তার ব্যতিক্রম কিছু নয় এবারও ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। এবার আমার দ্বিতীয় পর্বের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। যেহেতু সামনে নির্বাচন ছিল নির্বাচন থাকার কারণে পরীক্ষা অনেক আগে আগেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে আমারও অনেক বেশি ভালো লাগছিল কারণ আমি চাচ্ছিলাম যে যত তাড়াতাড়ি পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে ততই ভালো,তাতে পরীক্ষা ভালো হোক বা খারাপ হোক সেটা কোন বড় কথা নয়।
গত মাসের ২১ তারিখ থেকে আমার দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। যদিও প্রথম অবস্থায় দুটো সেশনাল পরীক্ষা ছিল তারপরে থিওরি পরীক্ষা শুরু হয়েছে কিছুদিন পরে। আমি সেশনাল পরীক্ষা নিয়ে খুব একটা বেশি টেনশন করিনি কারণ সেশনাল পরীক্ষায় খুব একটা থিওরি লেখা লাগেনা শুধুমাত্র অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া এবং ভাইবা নেওয়া হয়। এদিকে আমি থিওরী নিয়ে অনেক বেশি টেনশন করছিলাম কারণ এবার থিওরি সাবজেক্ট গুলো অনেকটাই কঠিন। আর এই কঠিন সাবজেক্ট গুলোর মধ্যে আমার কাছে দুটো সাবজেক্ট অনেক বেশি কঠিন লাগতো। ম্যাথমেটিক্স টু, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স।
এদিকে ক্লাসে আমি খুব একটা ভালো ম্যাথমেটিক্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স পারতাম না। ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স মোটামুটি ভাবে পারলেও ম্যাথমেটিক্স আমি খুব একটা ভালো পারি না অনেক চেষ্টা করেছি ম্যাথ গুলো শেখার কিছুটা শিখেছি খুব একটা ভালোভাবে শিখতে পারেনি। যেহেতু ভালোভাবে শিখতে পারেনি যার কারণেই নিজের মনের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করছিল সব সময়ই।
অবশেষে ফাইনাল পরীক্ষা চলে এলো প্রথম দিনে আমার দুটো পরীক্ষা ছিল। প্রথম দিনই আমার পরীক্ষা ছিল ম্যাথমেটিক্স টু এবং ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স। এবার তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কতটা টেনশনের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছিলাম। এরপরে আমার আটটা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। প্রথম পরীক্ষাটা ছিল সকাল ৮:০০ থেকে সকাল ১০:০০ টায় তারপরে দুপুর ২:০০ থেকে বিকেল ৪:০০ পর্যন্ত। কি আর করার যেহেতু কর্তৃপক্ষ একই দিনে দুটো পরীক্ষা দিয়েছে তাই সেভাবেই পরীক্ষা দিতে হবে আর আমি সেভাবেই মানসিকভাবে প্রিপারেশন নিয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমার একটাই বদ অভ্যাস কোশ্চেন দেওয়ার আগে আমি অনেক বেশি নার্ভাস হয়ে যাই কিন্তু যখন প্রশ্ন কমেন্ট করে তখন নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেকবারের মতো এবারও ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল।
মোটামুটিভাবে ম্যাথমেটিক্স ভালোই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সম্পূর্ণ মার্কের এনসার করতে না পারলেও যে প্রশ্নগুলোর অ্যানসার করেছি প্রত্যেকটা প্রশ্ন সঠিক আশা করি হয়তোবা দূর থেকে তিন মার্ক কাটা যাবে,মোটামুটি ভালই পরীক্ষা হয়েছিল। ওই একই দিনে আবার দুপুর ২:০০ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স। খুবই ভয় লাগছিল তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স পরীক্ষাটা অনেক বেশি ভালো দিয়েছিলাম এখানে আমি সম্পূর্ণ মার্কের আনসার করেছি দেখা যাক রেজাল্ট কেমন হয়। সত্যি বলতে আমি মনে সাহস নিয়ে চেষ্টা করেছি ভালো পরীক্ষা দেওয়ার। প্রথম দুটো পরীক্ষা শেষ হবার পরে আবার এক সপ্তাহ ছুটি ছিল তারপরে আবার দুটো পরীক্ষা শেষ হল এভাবেই কেটে গেল প্রায় এক মাস।
গতকাল আমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বুঝতেই পারছেন আমার দীর্ঘ নিঃশ্বাসটা কত বড়। দীর্ঘ এক মাস ধরে অপেক্ষা করছিলাম কবে এই পরীক্ষাটা শেষ হবে। এই পরীক্ষা শেষ হবে বলে কতটা দিন অপেক্ষা করেছি কতটা রাত্রি কেটেছে অনেক চিন্তায়। চিন্তা এজন্যই হচ্ছিল কারণ এই সেমিস্টারে খুব একটা ভালো ক্লাস করতে পারেনি আর ভালো ক্লাস করতে না পারলে পরীক্ষা খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই অজানা ভয়ই আমার মনের মধ্যে বাসা বেধে ছিল যার কারণেই প্রথম অবস্থাতে অনেক বেশি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। এত এত চিন্তার পরেও যতটুকু আশা করেছিলাম তার থেকে আলহামদুলিল্লাহ ভালো পরীক্ষা দিয়েছি।
এখন রেজাল্ট যদি ভালো হয় তাহলে নিজের মনের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। যেহেতু পরীক্ষা শেষ এখন রিলাক্স। তাই এখন আর কোনরকম চিন্তা মাথার ভিতর নেই আপাতত মাথা থেকে পরীক্ষার চিন্তাভাবনা ঝেরে ফেলে দিয়েছি। কিছুদিন ঢাকাতেই কিছুদিন ঢাকাতে থাকবো। যেহেতু সামনে নির্বাচন বাসায় যেতে হবে তবে চিন্তা ভাবনা করে রেখেছি বাসায় কিছুদিন থেকে তারপরে গ্রামে যাব। যদিও এদিকে গ্রাম আমাকে খুব করে টানছে। শীঘ্রই প্রাণপ্রিয় শহরে যাবো।
এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে নতুন ভাবে নতুন রূপে। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | অবশেষে ফাইনাল পরিক্ষার সমাপ্তি ঘটলো। |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভয় কে জয় করতে পারাই অনেক বড় একটি ব্যাপার। ইচ্ছাশক্তি ও অধম্ম্য শক্তি থাকলে সব কিছুই জয় করা সম্ভব। আমিও সব সময় পরীক্ষার আগে একটু নার্ভাস হয়ে গেলেও যখন প্রশ্ন কমন আসে তখন নরমাল হয়ে পরীক্ষাটা দিয়ে আসি। যাই হোক খুব দ্রুতই গ্রামে চলে যান এবং সেখানে গিয়ে কয়েক দিন প্রাণপ্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে হাসি আনন্দে কাটিয়ে আসুন।
আসলেই পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পাওয়ার আগে আমার মনের মধ্যে অনেক নার্ভাসনেস কাজ করে কিন্তু যখন প্রশ্নটা পাই তখন অনেক বেশি ভালো লাগে যদি প্রশ্ন কমন আসে। ভাবছি খুব দ্রুতই বাসায় চলে যাব এবং চলেও এসেছি কিছুটা পথ। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।