ফটোগ্রাফি পোস্ট - // কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি//
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে।
প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট করার। আমার প্রিয় কাজের মধ্যে একটি কাজ হচ্ছে ফটোগ্রাফি করা। কিন্তু আমি তেমন ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না। খুবই সিম্পল এবং সাধারণ ফটোগ্রাফিগুলো করে থাকি। এবং সেগুলোই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আশা করি আমার শেয়ার করা এই সাধারণ ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগে।আজকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি।আর দেরি না করে চলুন দেখে নেয়া যাক আজকে কি কি ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
প্রথম ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছি খুব সুন্দর একটি কিউট বিড়ালের বাচ্চা। বিড়ালটি দেখতে হালকা লালচে এবং সাদা রঙের। এই ধরনের বিড়ালের বাচ্চা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এটা আমাদের বাড়িতে পোষা বিড়ালের বাচ্চা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এত সুন্দর বিড়ালের বাচ্চা আর আমাদের বাড়িতে থাকে না। অনেক আগে আমাদের বাড়িতে ছিল তবে এখন কোথায় চলে গেছে কেউ জানে না।
আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি হচ্ছে বড়ই। শীতকালে বড়ই খেতে ভীষণ মজা লাগে। বিশেষ করে যে বড়ইগুলো খেতে হালকা টক এবং মিষ্টি সেগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ফটোগ্রাফিটি করা আমার চাচিদের বাড়ি থেকে। বড়ইগুলো এখনো ভালোভাবে পাকেনি।পাকলে বড়ইগুলো দেখতে এবং খেতে অনেক বেশি মজার হয়।
মাঠে গিয়ে ভুট্টার এত সুন্দর ক্ষেত দেখে ফটোগ্রাফি না করে আর পারলাম না। ভুট্টা গাছগুলো বেশি বড় হয়নি। এখনো খুবই ছোট রয়েছে।কারণ কিছুদিন আগেই ভুট্টার বীজ মাঠে রোপন করা হয়েছে।ভুট্টার খই খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ভুট্টা গাছের পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। গাছগুলো একদম সারি সারি লাগানো তাই দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা খুবই সুন্দর ফুল দেখতে পাচ্ছি। এটি হচ্ছে কদবেল গাছের ফুল। কদবেল গাছের ফুলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়। এটি পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট খুবই ক্ষুদ্র সাইজের একটি ফুল। ফুলগুলো হালকা হলুদ ও খয়েরি রঙের।এই ফুলের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এক ঝোপায় অনেকগুলো ফুল একসাথে ফোটে। সেজন্যই দেখতে অনেক চমৎকার লাগে।
ফটোগ্রাফিতে আমরা খুবই সুন্দর একটি বাজরিগার পাখি দেখতে পাচ্ছি। পাখিটি দেখতে আকাশী, কালো ও সাদা রঙের। আকাশী রং আমার খুবই পছন্দের একটি রং। সেজন্যই পাখিটিকে আমার কাছে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। বাজরিগার পাখি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। আশা করি আপনারাও এই ধরনের পাখি অনেক পছন্দ করেন।
আশা করি আমার শেয়ার করা আজকের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। সব সময়ের মতো আপনাদের সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে হাজির হব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | SAMSUNG Galaxy A10 |
---|---|
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
লোকেশন | কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ |
---|
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কদবেল এর ফুল দেখতে পেলাম। আপনার শেয়ার করা বিড়ালের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। বিড়ালের ফটোগ্রাফিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু ।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। তবে বিড়ালের বাচ্চার ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিড়ালটা দেখতে সত্যিই খুব কিউট ছিল। তবে বিড়ালটা কোথায় চলে গেছে সেটা কেউ জানে না শুনে খুব খারাপ লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ আপু, এই বিড়ালের বাচ্চা আমার খুবই পছন্দের ছিল। খুবই সুন্দর এবং কিউট একটি বাচ্চা।কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জন্য আমার খুবই খারাপ লাগে।আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি তো বেশ চমৎকার এবং দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি করলেন। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পাখির আর বিড়াল ছানার ফটোগ্রাফিটা দুর্দান্ত লেগেছে। বিড়াল ছানাটাকে যে দেখবে তারি খুবই ভালো লাগবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বিড়াল ছানাটা আপনাদের বাড়ি থেকে কোথায় চলে গেল সেটা আপনারা কেউই জানেন না। ঠিক বলেছেন এটা নিজের পছন্দের কোন জিনিস যদি হুট করে কোথাও চলে যায় অথবা হারিয়ে যায় তাহলে ভীষণ কষ্ট লাগে। আমার আন্টিদের বাড়িতেও এরকম বিড়ালছানা তিন চারটা ছিল। তাদের ছাদের উপরে তারা থাকতো। কিন্তু হুট করে একদিন তারাও কোথায় চলে গেল কেউ জানতে পারল না। আমার ওটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত ছিল।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ আপু, ঠিকই বলেছেন। পছন্দের জিনিস হারিয়ে গেলে অনেক বেশি কষ্ট লাগে।