"রহস্যের জগতে রিদিশা" //পার্ট- ২//
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি " রহস্যের জগতে রিদিশা " গল্পের ২য় পার্ট নিয়ে।
আমার গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে।গল্প লিখতেও ভালো লাগে। তবে একটু ভুতুড়ে টাইপের গল্প আমার অনেক পছন্দের। তাই আমার লেখা এই গল্পটাও ঠিক তেমনি ভৌতিক হবে। তবে আশা করি গল্পটি পড়ে সবাই বেশ মজা পাবে। তাহলে চলুন মূল গল্পে চলে যাওয়া যাক।
গত পর্বে আমরা জেনেছিলাম :-
রিদিশা বাবা মায়ের খুব আদরের একটি মেয়ে। লেখাপড়াতেও বেশ ভালো। বয়স মাত্র ১৬ বছর। দশম শ্রেণীর ছাত্রী সে। সবার সঙ্গে তার হাসিখুশি দিন কাটে। রিদিশার পড়ার অনেক চাপ থাকে।কারণ,সে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সকালে দুইটা প্রাইভেট পড়তে হয়।তাই খুব সকালেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়।রিদিশা একা একা প্রতিদিন সকালে ভুতুড়ে একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়।সে কিছুতেই ভয় পায় না।অনেক সাহসী একজন মেয়ে। একদিন রিদিশা একা একা ভুতুড়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। হঠাৎ অদ্ভুত একটি শব্দ তার কানে আসলো।সে ভাবছে হয়তো কোনো কুকুর বা বিড়াল হবে।তাই সেই দিকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে তার মতো চলে যাচ্ছিল।কিন্তু, এবার পেছন থেকে কেউ রিদিশার নাম ধরে ডাকছিল।রিদিশা ভাবছে তার কোনো বান্ধবী হয়তো তাকে ডাকছে।
পার্ট - ২
যখন সে পেছনে তাকালো তখন দেখলো কালো হুডি পড়া একজন ছেলে তার পেছনে দাড়িয়ে আছে।ছেলেটি বেশ লম্বা।উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি হবে।ছেলেটির বয়স কেমন হবে তা সে বুঝতে পারল না। কারণ,তার সমস্ত শরীর কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা।মুখ ও দেখা যাচ্ছে না।শুধু নীল রঙের চোখের মণি দুইটি দেখা যাচ্ছে।চোখের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকতে পারলো না রিদিশা।কারণ,চোখের দিকে তাকালেই কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছিল।রিদিশা তাৎক্ষণিক তার চোখ থেকে নজর সরিয়ে নিল।এবং বাস্তবে ফিরে এলো।আগেই বলেছি রিদিশা একজন সাহসী মেয়ে।এতো অদ্ভুত মানুষ দেখেও সে কোনো ভয় না পেয়ে বরং তাকে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি আমাকে ডাকছিলেন কেন?"
ছেলেটি তখন কোনো কথা না বলে চুপ করে দাড়িয়ে আছে।একভাবে শুধু রিদিশার দিকে তাকিয়ে আছে।রিদিশার এবার খুব অস্বস্তি হচ্ছে।এবং খুব বিরক্ত লাগছে। তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকার কোনো মানে হয়?মনে মনে এসব কথা ভাবছে রিদিশা।হঠাৎ তার পায়ের কাছে একটি মিষ্টি বিড়ালের বাচ্ছা মিউ মিউ করে ডেকে উঠে।রিদিশার ভাবনার পরিসমাপ্ত হলে,তার পায়ের দিকে তাকায়।কিউট সাদা রঙের বিড়ালের বাচ্চা দেখে তার খুব ভালো লাগে। বাচ্চাটিকে কোলে নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে।অবশেষে বিড়ালের বাচ্চা কোলে নিয়ে সামনের ছেলেটির দিকে তাকায়।কিন্তু, সামনে তো কেউ নেই!!আশে পাশেও তাকে দেখা যাচ্ছে না।হঠাৎ করে ছেলেটি কোথায় গায়েব হয়ে গেল?রিদিশার মাঝে এবার একটু ভয় কাজ করছিল।সবকিছুই তার কাছে অদ্ভুত লাগছিল।তবে সেদিকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে আবার হাঁটা শুরু করল প্রাইভেটে যাওয়ার জন্য।
প্রাইভেটে গিয়ে স্যারের বকা শুনতে হলো দেরি করে যাওয়ার জন্য।কি আর করার,, রিদিশা চুপচাপ বকাগুলো হজম করে নিল।কারণ, স্যারকে তো রাস্তায় ঘটে যাওয়া ভিত্তিহীন কথা বলতে পারছেনা।বললেও বিশ্বাস করবেনা।বরং তাকে আর এক দফা বেশি বকা শুনতে হবে।যাইহোক পড়া শেষ করে বাড়ির পথে রওনা দিল।এখন আর সে একা একা সেই ভুতুড়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেনা।কারণ,তার সাথে এখন কিছু বান্ধবী আছে।তার বান্ধবীদের বাড়ি তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে।কিন্তু, তাদেরকেও এই রাস্তা দিয়েই পড়তে যেতে হয়।সবাই মিলে বেশ মজা করে গল্প করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।
রিদিশার কাছে এখনো সেই বিড়ালের বাচ্চাটা আছে।তার বান্ধবীরা বিড়ালের এই কিউট বাচ্চা দেখে রিদিশা কে জিজ্ঞাসা করল, " এই তুই এতো সুন্দর বিড়ালের বাচ্চাটা কোথায় পেলি? আগে তো কখনো তোর কাছে এই বিড়ালের বাচ্চাটা দেখিনি।" রিদিশা উত্তরে বলল, " আসলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় দেখি বিড়ালের বাচ্চাটি রাস্তায় একা একা বসে আছে।দেখে আমার ভীষণ মায়া হচ্ছিল। তাছাড়া বাচ্চাটি খুব কিউট তাই পোষার জন্য নিয়েছি।" রিদিশা তার বান্ধবীদেরকে সেই অদ্ভুত ছেলেটার কথা বললো না।কারণ তার বান্ধবীরা তাকে বিশ্বাস করার বদলে, তাকে নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা করবে।
যথারীতি রিদিশা বাড়িতে চলে এলো। কিন্তু এখনো তার মাথার মধ্যে সেই অদ্ভুত দেখতে ছেলেটার কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। কিছুতেই ভুলতে পারছে না।রিদিশা ভাবছে, ছেলেটি আসলেই মানুষ ছিলো নাকি অন্য কিছু........
চলবে...!!!!
আজকে এ পর্যন্তই।আপনাদের কেমন লেগেছে তা মন্তব্যে জানাবেন। কারণ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আমাকে গল্প লেখার প্রতি আরো উৎসাহিত করবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ |
---|
আপু আজ আপনার রহস্যের জগতে গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। আমি এই ধরনের রহস্যময়ী গল্পগুলো পরতে অনেক পছন্দ করি। এখন আমার আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভাবতে শুরু করলাম আসলে ছেলেটি কে বা এই বিড়ালটির মাঝে কি কোন রহস্য আছে। আপু এটা জানার জন্য আগামী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ রহস্যময়ী গল্পটি সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আমার লেখা এই গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত হলাম। আসলে ছেলেটি কে সেটি জানার জন্য পরবর্তী পর্বের উপর নজর রাখুন।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু অপেক্ষায় রইলাম।