রেসিপি পোস্ট: // বেগুনের চপ তৈরির রেসিপি //
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। "আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল ভাই ও বোনকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের মাঝে একটি ইফতারি আইটেম নিয়ে হাজির হয়েছি। রমজান মাসে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইফতারি আইটেম আমাদের বাড়িতে বানিয়ে থাকি। বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই আমরা চেষ্টা করি বাড়িতেই ইফতারি আইটেমগুলো তৈরি করার। যদিও রোজা থেকে রান্না করতে একটু কষ্ট হয়।তবে কষ্ট করে রান্না করলে ইফতারি করার সময় সেই কষ্ট আর মনে থাকে না। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি বেগুনের চপ রেসিপি। আমি আজকে এই রেসিপিটি খুব সহজভাবে তৈরি করে দেখাবো। অর্থাৎ খুবই কম উপকরণ ব্যবহার করে কিভাবে বেগুনের চপ তৈরি করা যায় সেটাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। বাসায় তৈরি করা বেগুনের চপ খেতে আমার পরিবারের সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই আমি প্রতিদিনই চেষ্টা করি বেগুনের চপ তৈরি করার। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আজকে এই বেগুনের চপ রেসিপিটি তৈরি করলাম।
১.বেগুন
২.বেসন
৩.মরিচের গুড়া
৪.লবণ
৫.বেকিং পাউডার
৬.তেল
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমি একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেসন নিব। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিব পরিমাণ মতো মরিচের গুড়া এবং লবণ। আমি একটু বেশি পরিমাণে মরিচের গুঁড়া দিব। কারণ এই ধরনের খাবারগুলোতে একটু ঝাল হলে খেতে মজা হয়।
![]() | ![]() |
---|
এরপর এর মধ্যে অ্যাড করবো সামান্য পরিমাণে বেকিং পাউডার।বেকিং পাউডার ব্যবহার করলে বেগুনের চপ অনেক সুন্দরভাবে ফুলে ওঠে। এবং খেতেও বেশ মজার হয়।এরপর সবগুলো উপকরণ বেসনের সঙ্গে সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন পরিমাণ মতো পানি অ্যাড করে ব্যাটার তৈরি করে নিব। এখানে অল্প অল্প করে পানি অ্যাড করতে হবে।তা না হলে ব্যাটারটি পাতলা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ব্যাটারটি খুব পাতলা অথবা ঘন করে তৈরি করা যাবেনা।
![]() | ![]() |
---|
এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিব।কড়াই গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিব।
বেসনের তৈরি ব্যাটারটির মধ্যে বেগুনের এক টুকরা স্লাইস দিয়ে সুন্দরভাবে বেগুনের গায়ে ব্যাটারটি মাখিয়ে নিব।
এখন তেল ভালোভাবে গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে বেগুনের স্লাইসটি দিয়ে দিব। এরপর তিন থেকে চার মিনিট সময় নিয়ে সুন্দর ভাবে বেগুনিটি ভেজে নিব।
![]() | ![]() |
---|
বেগুনি হালকা লালচে রঙের হয়ে গেলে কড়াই থেকে উঠিয়ে নিব। একইভাবে সবগুলো বেগুনি ভেজে নিব।
এখন সুন্দরভাবে পরিবেশন করে নিব।
তৈরি হয়ে গেল গরম গরম সুন্দর বেগুনের চপ রেসিপি। আশা করি আমার তৈরি করা আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবসময়ের মত আপনাদের সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামীতে হাজির হব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | OPPO A15s |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি পোস্ট |
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
লোকেশন | কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ |
বেগুনের চপ রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন ইফতারির আয়োজনে নানা রকম চপ খেয়ে থাকি। তবে বেগুনের চপ একদম কমন বেগুনে যেন থাকেই, আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ, বেগুনের চপ খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রোজা রেখে রান্না করাটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টসাধ্য যদিও আমরা ছেলেরা খুব একটা এই কষ্ট বুঝি না। যাইহোক রোজা রেখে যখন ইফতারি খাওয়া হয় তখন সেই কষ্টটা কিছুটা হলেও দূর হয়ে যায়। মজাদার একটা বেগুনের চপ তৈরির রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, বেগুনের চাপ আমার কাছে সবসময়ই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার।
হ্যাঁ, রোজা রেখে রান্না করাটা সত্যি অনেক কষ্টের। আমার তৈরি করা বেগুনের চপ রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
এত অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে ও যে বেগুনের চপ তৈরি করা যায় এটা আপনার পোস্ট না দেখলে বুঝতেই পারতাম না আপু। আপনার পোস্ট এর বিবরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি এরকম রেসিপি গুলো তৈরি করতে বেশ এক্সপার্ট। তাইতো বেগুনের এরকম লোভনীয় একটি রেসিপি এত অল্প কিছু আইটেম দিয়ে তৈরি করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর বেগুনের একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, আমি খুবই অল্প উপকরণ দিয়ে বেগুনের চপ তৈরি করি। তবে সেই তুলনায় খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেগুনের চপ তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বেগুনের রেসিপি আমার অনেক বেশি প্রিয় একটি খাবার।ইফতারীর সময় প্রায় প্রতিদিন এই বেগুনের রেসিপি খাওয়া হয়। আপনি খুবই সুন্দর করে বেগুনের রেসিপি তৈরি করেছেন।
আমার তৈরি করা বেগুনের চপ রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
বেগুনের চপ অনেক খাওয়া হয়েছে। তবে এভাবে কখনো গোল বেগুনের চপ খাওয়া হয়নি। এখন রমজান মাস প্রতিদিন কম বেশি খাওয়া হয় খেতে ভীষণ মজা লাগে। এভাবে বাসায় তৈরি করে খেতে একটু বেশি মজাদার লাগে। বাইরের খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য আমি মনে করি বাসায় তৈরি করে খাওয়া ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু খুব সহজ পদ্ধতিতে রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম।
আমি লম্বা এবং গোল দুই ধরনের বেগুনের চপই তৈরি করি। ঠিকই বলেছেন, বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে বাড়িতে তৈরি করে খেলে বেশি মজার হয়।
আপনি আজকে বেগুনের চপ তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এখন তো প্রতিদিন বেগুনের চপ খাওয়া হচ্ছে। তবে আপনার তৈরি গোল বেগুনের চপ আমার কাছে একটু ভিন্ন রকম লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিকই বলেছেন, তেলেভাজা খাবার গুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেগুনের চাপ খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আর এখন প্রায় প্রতিদিনই আমার বেগুনের চপ খাওয়া হয় । আর ইফতারের সাথে বেগুনের চাপ না হলে তো জমেই না। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমারও বেগুনের চপ ছাড়া একদমই চলে না। আপনিও বেগুনের চপ খেতে ভালোবাসেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।
ইফতারের আইটেম ঘরে বানালে বেশি ভালো হয়। কারণ ঘরে তৈরি করা ইফতার খাওয়ার মধ্যে আলাদা রকম আনন্দ রয়েছে। এমনকি ঘরের তৈরি ইফতার খেতে খুবই ভালো লাগে। বেগুনের চপ তৈরি করেছেন আপনি যেটা তো আমার খুব পছন্দের। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেগুনের চপ তৈরি করলে তো জাস্ট অসাধারণ হয়। ইফতারের সময় যদি এরকম চপগুলো না থাকে, তাহলে ইফতার যেন জমেই না। সত্যি খুবই লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন বেগুনের চপ দেখিয়ে। ভাগ্য ভালো রোজা রাখা অবস্থায় এরকম রেসিপি দেখিনি। না হলে তো লোভ সামলাতেই পারতাম না।
ঠিকই বলেছেন, ঘরে ইফতারি তৈরি করে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেগুনের চপ আমার অনেক বেশি পছন্দ। ইফতারে বেগুনি না থাকলে আমার একদমই ভালো লাগেনা। আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে বেগুনের চপ রেসিপি শেয়ার করেছেন। চপ গুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইফতারিতে বেগুনের চপ না থাকলে আমারও ভালো লাগেনা। তাই চেষ্টা করি প্রতিদিনই বেগুনের চপ তৈরি করার।
বেগুনের চপ বেশ ভালোই লাগতেছে আমার কাছে। ইফতারের সময় বেগুনের চপ থাকবেই। ঠিক কথা, কষ্ট করে রান্না করলে ইফতারি করার সময় সেই কষ্ট আর মনে থাকে না। আপনি বেশ সুন্দরভাবে বেগুনের চপ তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এই ধরনের রেসিপি গুলো বেশ খেতে ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।