"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ // পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি//
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকেও হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।
আপনাদের সাথে শেয়ার করব খুবই সুন্দর একটি পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এডমিন ভাই ও বোনেরা খুবই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হচ্ছে শীতের পিঠার রেসিপি।শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। শীতকালে যেন পিঠার স্বাদ বহুগুন বেড়ে যায়। শীতকালে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠাগুলো খেতে খুবই মজার হয়। তবে আমি খেজুরের গুড় ছাড়াই একটি সুন্দর পিঠার রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
আগেই বলে রাখি আমি পিঠা বানাতে তেমন ভাল পারি না। শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আজকের এই পিঠার রেসিপি তৈরি করলাম। যদিও পাটিসাপটা পিঠা বানানো খুবই সহজ তবে আমার বেশ কষ্ট হয়েছে। কারণ আজকে আমি প্রথম এই পিঠাটি তৈরি করলাম। কোন কিছু কষ্ট করে করার পর তার ফলাফল যদি ভালো হয় তাহলে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার তৈরি করা পাটিসাপটা পিঠাটি বেশ ভালোই হয়েছিল। খেতে খুবই মজার ছিল। তবে প্রথমে যখন বানানো শুরু করলাম তখন পিঠা ভালোভাবে বানাতে পারছিলাম না।পিঠাটি মাঝ থেকে ফেটে যাচ্ছিল।কথায় আছে,কোনো কিছু করার প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলে তা বিফলে যায় না। আমার পিঠা বানানোর ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। দুই তিনবার চেষ্টা করার পরে আমি পিঠাগুলো ভালোভাবে বানাতে পেরেছিলাম। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি পাটিসাপটা পিঠাটি বানালাম।
১. চালের গুড়া - ২ কাপ
২. ময়দা - ১ কাপ
৩. দুধ - ১ লিটার
৪. চিনি - ১ কাপ
৫. তেল - পরিমাণমতো
৬. নারিকেল - ১/২ কাপ
৭. লবণ - পরিমাণমতো
৮. তেজপাতা - ২ টি
৯. এলাচ - ৫ টি
১০. পানি - পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে একটি বাটিতে দুই কাপ পরিমাণ চালের গুড়া নিয়ে নিব। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিব এক কাপ পরিমাণ ময়দা। তারপর দিয়ে দিব পরিমাণ মতো লবণ এবং ১/২ কাপ চিনি।এখন উপকরণগুলোকে ভালোভাবে মিক্সড করে নিব।
উপকরণগুলো ভালোভাবে মেশানো হলে এর মধ্যে দিয়ে দিব সামান্য পরিমাণে লিকুইড দুধ। আমরা চাইলে এখানে গুড়া দুধও ব্যবহার করতে পারব। এখন পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পাতলা একটা মিশ্রণ তৈরি করব। ব্যাটারটি খুব বেশি ঘন বা পাতলা হবে না।
এরপর এই মিশ্রণটাকে কিছুক্ষণের জন্য রেস্টে রেখে দিব।
এখন তৈরি করে নিব পাটিসাপটার ক্ষীরসা। ক্ষীরসা তৈরি করার জন্য আমি এখানে এক লিটার পরিমাণে দুধ নিয়েছি। চুলায় মিডিয়াম হিটে দুধ জাল করে নিব। দুধের মধ্যে দিয়ে দিবো পরিমাণ মতো লবণ।
কিছুক্ষণ জাল করার পরে দুধে বলক আসলে এর মধ্যে দিয়ে দিব নারিকেল কুড়ানো এবং ১/২ কাপ পরিমাণ চালের গুড়া।এখন একটি চামচের সাহায্যে খুব ভালোভাবে নাড়তে থাকবো।
এভাবে কিছু সময় নাড়ার পরে এর মধ্যে দিয়ে দিব পরিমাণমতো চিনি,তেজপাতা এবং এলাচ। এখন ক্ষীরসা ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত এটা নাড়তেই থাকবো।
যখন ক্ষীরসা ঘন হয়ে আসবে তখন চুলা অফ করে দিব। এবং একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।
এখন চলে যাব মূল পিঠাটি বানাতে।আগেই তৈরি করে রাখা ব্যাটারটি চামচের সাহায্যে সুন্দরভাবে নেড়েচেড়ে নিব।
এরপর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিব। ফ্রাইপ্যানে পিঠাটি বানালে পিঠার আকারটি অনেক সুন্দর আসবে। ফ্রাইপ্যানে সামান্য পরিমাণ তেল ব্রাশ করে নিয়ে বড় এক চামচ ব্যাটার দিয়ে দিব। এখন ফ্রাইপ্যান্টি ভালোভাবে ঘুরিয়ে ব্যাটারটিকে পিঠার মতো গোলাকার করে নিব। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
ঢাকনাটি উঠানোর পরে পিঠাটির উপর দিয়ে দিব তৈরি করে রাখা ক্ষীরসা।
ক্ষীরসা দেয়ার পরে পিঠাটিকে ৩-৪ বার পেঁচিয়ে ভাঁজ দিয়ে নিব। এভাবেই তৈরি করে ফেললাম পাটিসাপটা পিঠাটি।
একইভাবে আমি সবগুলো পিঠা বানিয়ে নেব। কয়েকটি পিঠা আমি একটু হালকা খয়েরির রং করে নিয়েছি। আর বাকি পিঠাগুলো সাদা করেই তৈরি করেছি।
এখন আমি সুন্দর করে পিঠাগুলোকে পরিবেশন করে নিয়েছি।
আশা করি আমার তৈরি করা পাটিসাপটা পিঠা আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনারাও চাইলে বাড়িতে এভাবে পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করে খেতে পারেন। আমার তৈরি করা পিঠাটি খেতে খুবই মজার ছিল। সত্যি ভাবতে পারিনি পিঠাগুলো এত সুন্দর হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আজ এখানেই শেষ করছি। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | oppo A15s |
---|
শ্রেণী | রেসিপি পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
---|
লোকেশন | খুলনা,বাংলাদেশ |
---|
আমি জেরিন তাসনিম। আমার স্টিমিট আইডির নাম @jerin-tasnim. আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলা আমার মাতৃভাষা। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে সমাজবিজ্ঞান সাবজেক্ট নিয়ে লেখাপড়া করছি।আমার প্রিয় শখ হচ্ছে আর্ট করা।আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এছাড়া ফটোগ্রাফি করা, সেলাই করা, রান্না করা ও কাগজ দিয়ে সুন্দর সুন্দর ডাই তৈরি করতেও আমার অনেক ভালো লাগে।এই কমিউনিটিতে কাজ করার মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে সবকিছু ধীরে ধীরে শেয়ার করতে পারবো। এবং আপনাদের থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারবো। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবথেকে সুন্দর বিষয় হচ্ছে এখানে আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় পোস্ট করতে পারি। এছাড়াও এই কমিউনিটিতে আমরা নিজেদের বিভিন্ন সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি।আশা করি এখানে আপনাদের সঙ্গে আমার সময় খুব ভালো কাটবে।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি । আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে নারিকেল দিলে এমনিতেই খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পাটিসাপটা পিঠা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কখনো নিজে বানানো হয়নি সবসময় মায়ের হাতে বানানো পিঠা খেয়েছি। মায়ের হাতের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাটিসাপটা পিঠা আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। রেসিপির ডেকোরেশন টা খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পাটিসাপটা পিঠা আমারও অনেক পছন্দের। আর লোভ সামলাতে হবেনা।চলে আসেন আমাদের বাড়িতে।নিজের হাতে পিঠা বানিয়ে খাওয়াবো।
যেকোনো প্রতিযোগিতা মানেই সবাই চেষ্টা করে ভিন্ন ধরনের কিছু উপস্থাপন করার। পিঠাপুলির উৎসব শীতকালীন সময়ে দেখতে পাওয়া যায় । আমাদের কমিউনিটিতে দারুন একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর পিঠা তৈরি করছে। শীতকালীন পিঠা যেগুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে । তাদের তৈরির ভিন্নতা খুঁজে পেয়েছি আপনার পাটিসাপটা পিঠা তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে আপনি পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আসলে আমি নিজেও পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করেছি, তবে আপনার থেকে অনেকটা ভিন্নভাবে। আপনার তৈরি করা পাটিসাপটা পিঠা নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে, যেটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি যেহেতু প্রথমবার তৈরি করেছেন, তাই আপনার কষ্ট দেখছি বিফলে যায়নি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আমার তৈরি করা পিঠা খেতে বেশ মজার ছিল।আপনিও খুবই সুন্দর করে পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করেছেন।দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছিল।
পাটিসাপটা পিঠা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটি তৈরি করলেন। আর এই রেসিপি পরিবেশন দেখেও শিখে নিলাম, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। পাটিসাপটা পিঠা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। আপনার শেয়ার করা পিঠাগুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আসলেই পিঠাগুলো খেতে অনেক মজার ছিল।আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।
আপনাকে প্রথমেই কনটেস্টের জন্য অনেক শুভকামনা জানাই।খুব সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। পাটি সাপটা পিঠা দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো ছিল অনেক।ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার পছন্দের পিঠার রেসিপি নিয়ে, আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে, আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। আমার তো ইচ্ছে করছে প্লেট থেকে কয়েকটা পিঠা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। নিশ্চয়ই এটা অনেক সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছিল।
মজার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।পাটিসাপটা পিঠা আমার বেশ পছন্দের। তবে এবছর এখনো খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠাগুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।