পারিবারিক পিকনিক ||১০ শতাংশ শিয়াল মামার জন্য বরাদ্দ||
শীতকাল মানেই ঘরে ঘরে পিকনিকের উৎসব। তাই এই শীতকালে আমরা সবাই পরিবারের সদস্য মিলে একটি পারিবারিক পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম গতকাল। সেই পিকনিকের কিছু মুহূর্ত ও মজার মজার খাবারের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলাম আশা করি ভালো লাগবে।
পিকনিক সাধারণত সবাই সন্ধ্যার পরেই খায়, কিন্তু আমাদের সাথে তার ব্যতিক্রম হয়েছে কারণ কারণ পরিবারের সদস্যরা সবাই প্রায় চাকরিজীবী যার কারণে অনেকেই সময় দিতে পাচ্ছিল না এইজন্য করে আমাদের পিকনিকের সময় টা নিতে হয়েছিল দুপুরবেলা। এটাই হচ্ছে মেইন কারণ যার জন্য অনেক দিন থেকে পিকনিক খাবো খাবো বলো খাওয়া হয়ে উঠছিল না কারণ কারো সাথে কারো সময় মিলাতে পারছিলাম না। অবশেষে শনিবারে পিকনিকের আয়োজনটি করে নিলাম। যেহেতু আমরা পিকনিক খাবো দুপুরবেলা ঠিক করেছিলাম সেজন্য ঘুম থেকে উঠে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় রান্নার আয়োজন। আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম শুধু যে পারে বাড়ি পিকনিক বলে পরিবারের লোকজন থাকবে তা না পরিবারের পাশে ও ছিল পাড়া-প্রতিবেশী যারা আমাদের এই পিকনিকে অংশগ্রহণ করেছিল। যদিও রাতে এসব হিসাব করে রেখে ছিলাম। তাই খুব সকালে উঠে আমার আব্বু এবং পাশের বাসার আঙ্কেল মিলে তারা যায় সকাল সকাল বাজার করতে যাতে বাজারের সবথেকে টাটকা জিনিসগুলোই তারাই নিতে পারে। তারা সকালের নিয়ে আসে মুরগি , সবজি, চাল, দই আরও যা যা লাগে। এরপর আমার আমার ফ্যামিলির সদস্য এবং পাশের বাসার কিছু আন্টিরা মিলে লেগে পড়ে চুলা বানাতে কারণ পিকনিক খাবো বাহিরে বাসার মধ্যে তো আর পিকনিক খাওয়া যায় না এর জন্য করে চুলা বানানোর কাজে লেগে পরে। যদিও চুলাটা ছিল দেখতে একটু অন্যরকম কারন এটা ছিল ইটের তৈরি একটি চুলা যা ক্ষণস্থায়ী।
![]() | ![]() |
---|
আর আমিও আমার ছোট বোন এবং পাশের বাসার আন্টি ,আমার খালা সবাই মিলে রান্না করতে যা যা লাগবে সেই সব জিনিসগুলা কেটে ধুয়ে মুছে নিয়ে নিলাম। তারপর আমার খালা রান্নাটি শুরু করে প্রথমে সবজি রান্না করার প্রস্তুতি নেওয়া হলো। তিনি সবজি রান্না করলো এবং পাশে আমরা সবাই' থেকে তাকে কাজে সাহায্য করলাম। সবজিটি হয়ে গেলে তা একটি বাটিতে পরিবেশন করে ।
![]() |
---|
আমার মা তৈরী হয়ে নেয় মুরগির রোস্ট করার জন্য । তারপর একের পর এক উপকরণ দিয়ে সে তৈরি করে নিল মজার রোস্ট।
![]() | ![]() | ![]() |
---|
পাশের বাসার এক আন্টি রান্নার জন্য উদ্যোগ নেয় আমরা সবাই মিলে তাকে চাল ধুয়ে দেই' অবশেষে তিনি মজার পোলাও রান্না করে নিয়েছিল।
![]() | ![]() |
---|
তারপর আমরা সকলে মিলে গোসল করে সুন্দর করে সেজেগুজে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতে বসে পড়ি। খাবারগুলো ছিল দুর্দান্ত মজার আমার এক খালু দই নিয়ে এসেছিল বলতে হয় না বগুড়ার দই সেরা দুইটি প্রচুর মজার ছিল সকলে খুব তৃপ্তি মত খেয়েছিল।
![]() | ![]() |
---|
এককথায় পিকনিক কি ছিল একটি স্মরণীয় দিন যেখানে পারিবারিক পিকনিক বলতে শুধু পরিবারের সদস্য ছিল না প্রতিবেশীগণ একত্রিত হয়ে পরিবারের মতো একটি পিকনিক আয়োজন করা হয় যা একটি স্মৃতিময় দিন আমার কাছে এ শুন্দর মুহূর্তটি আপনাদের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে এবং পাশে থাকবেন। এই স্মরণীয় দিন টির কথা কেমন লাগলো তা আপনারা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট এ জানাবেন ,ধন্যবাদ।
পরিবারের সবাই একসাথে পিকনিক করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা ।আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনারা অনেক মজা করে খেয়েছেন। রান্না গুলো খুব সুন্দর ভাবে করেছেন ।দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। বিশেষ করে মাংসের কালারটা সুন্দর হয়ে ফুটেছে। দেখেই লোভ হচ্ছে খাবার জন্য ।মনে হচ্ছে খেতেও দারুণ সুস্বাদু হবে ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া পরিবারের সকলে মিলে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। আর হ্যাঁ ভাইয়া সত্যি কথা বলছেন খাবারটা অনেক মজার ছিল আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আশা করি পাশে থাকবেন।
সবাই একসাথে মিলে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এখন এটা খাওয়া হয়না। যখন গ্রামে থাকতাম তখন আমরা ভাইবোন এবং পাশের বাসার সবাই মিলে খেতাম খুবই মজা হতো। আপনি যে খুব মজা করেছেন এটা কিন্তু বুঝতেই পারছি। আসলে এদিনগুলো খুব মিস করছি।
জি এখন সবাই ব্যস্ততার কারণে এসব পুরাতন ঐতিহ্য ভুলেই যাচ্ছে প্রায়। বিশেষ করে করো না পরিস্থিতির কারণে এখন পরিবারের লোকজন কিংবা আর প্রতিবেশীগণ ইহ সবাই এখন দূরে দূরে থাকে কিন্তু আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।