মাছের ফটোগ্রাফি
রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার মাছের রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখি আমাদের পুকুরের বিভিন্ন সময় ধরা বিভিন্ন মাছ এর চিত্র।
প্রথমে আপনারা যে চিত্রটা দেখতে পাচ্ছেন এটা একটি হাঁড়ির মধ্যে বেশ অনেকগুলো তেলাপিয়া মাছ। দু তিন দিন ধরে আমাদের পুকুরে মাছ ধরা হয়েছে। ঠিক তার মধ্যে আমি এই মাছে চিত্র ধারণ করেছিলাম পুকুরে জেলে ভাইদের হাঁড়ির মধ্য থেকে। যে মুহূর্তে মাছ গুলো অসাধারণ করছিলাম তখন মাছ বিক্রয় চলছিল। সবাই মাছ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ছিল। কিছু জেলে ভাইয়েরা পুকুরের মধ্যে হাঁড়িতে মাছ বাছাই করছে। অনেকে ডাঙ্গায় তুলে এনেছে। আবার অনেকে মাছ মেপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। কারণ এখানে দূর-দূরান্ত থেকে মাছ কিনতে আসে জেলেরা। পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং তারা বিভিন্ন হাটে হাটে বিক্রয় করেন। যাদের নির্দিষ্ট থাকে তারা সে হেটে চলে যায়। তাই যাদের হার্ট অনেক দূরে তারা আগে মাছ মাপে নেয়। ঠিক এমনই এক ব্যক্তি ধরেছিল মাছগুলো। সেই হাঁড়ির মধ্য থেকে ফটো ধারণ করেছিলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাঙ্গাস মাছের বেশ সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি। এখানেও ঠিক পাঙ্গাস মাছ একইভাবে জেলে ভাই ধরেছিলেন। তবে একটা বিষয় আমি ভালোভাবে লক্ষ্য করেছিলাম কিছু কিছু জেলে ভাইয়েরা রয়েছে পাঙ্গাস মাছ তেলাপিয়া মাছ সবই নিয়েছে। আবার কিছু জেলে ভাইরাস রয়েছে শুধু শুধু পাঙ্গাস মাছ নিয়েছে তেলাপিয়া নেই নাই। আবার অনেকে তেলাপায় নিয়েছে পাঙ্গাস মাছ নেই নাই। কারণ তারা অনেকে বলছিল পাঙ্গাস মাছ আমি ভালো বুঝতে পারি, আবার অনেকে বলেছিল তেলাপিয়া মাছ আমি ভালবাসতে পারি পাঙ্গাস পারিনা। অর্থাৎ যার যার সুবিধা সে ভাবে মাছ নিয়েছিল দেখলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো পেট মোটা জাপানি মাছের পোনা। আমি লক্ষ্য করে থাকি অনেকে জাপানি মাছ চেনেন না। এগুলো মূলত জাপানি মাছ। জাপানি মেলা রকমের হয়ে থাকে। এখানে দুই তিন রকমের পোনা রয়েছে। এই মাছগুলো বড় হলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। তবে এবার আমাদের কপালগুনে পুকুরে এমনিতেই এই পোনা হয়েছিল। তেলাপিয়া মাছ যেমন পুকুরে বারবার দেওয়া লাগে না বাচ্চা ছাড়ে ঠিক তেমনি কিছু কিছু জাপানি মাছ রয়েছে পুকুরে বাচ্চা ছাড়ে। এজন্য এক পুকুর থেকে অন্যান্য পুকুরে এ মাছ দিতে পেরেছিল এবার। টাকা দিয়ে আলাদাভাবে কিনতে হয়নি জাপানি মাছের পোনা।
এই মুহূর্তে আপনারা যে মাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো তেলাপিয়া মাছ, এগুলো আমরা বিভিন্ন সময়ে রান্না করে খাওয়ার জন্য জাল দিয়ে অথবা বরশি দিয়ে ধরেছিলাম। বরশি দিয়ে মাছ ধরতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে সাংসারিক জীবনের সব সময় তো সুযোগ হয়ে ওঠে না। যেদিন আগে রান্না করে পুকুরের দিকে যেতে পারি সবাই মিলে একসাথে মাছ ধরা হয়। আর জাল নিয়ে গেলে তো মাছ কুড়িয়ে বেড়াতে হয় রাজের আব্বুর সাথে। তবু মাছধরা মধ্যে রয়েছে অন্যরকম ভালোলাগা। আমি অনেক ফটো ধারণ করেছি কিন্তু এখন আপনাদের মাঝে দেয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আস্তে আস্তে জেলে ভাইদের মাছ ধরা আমাদের মাছ ধরা আপনাদের দেখাবো।
এখানে আপনারা যে মাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো চ্যাং মাছ অথবা টাকি মাছ। আমাদের এলাকায় চ্যাং নামে পরিচিত। ইতোমধ্যে আমাদের তিনটা পুকুর ছ্যাকা হয়েছে। তার মধ্যে বাড়ির দক্ষিণ পাশের পুকুরটা থেকে অনেক চ্যাং মাছ পাওয়া গেছিল। বাড়ির উত্তর পাশে পুকুরটাতেও পাওয়া গেছিল অনেকগুলো। ঠিক সেই সমস্ত চ্যাং মাছের মধ্যে থেকে ফটো ধারণ করে দেখেছিলাম। এই মাছ তেমন একটা পছন্দ নয় আমার। তবে পরিবারে অনেকে খুবই পছন্দ করে থাকে। তবে এ মাছগুলা খুব পিছলা হয়ে থাকে।
ডিভাইস | Infinix Hot 11s/Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | মাছের ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
পুকুর ছেঁকার সময় মাছ ধরার সময় আপনারা যে পুকুরে যান এটা জেনে বেশ ভালই লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু মাছের। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে টাকি মাছগুলো দেখতে খুব পিচ্ছিল হয়তো। এতগুলো সুন্দর সুন্দর মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মাছ ধরি, সবজি তুলি।
দারুন কিছু মাছের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমার তো মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে সেই সাথে ফটোগ্রাফি করতেও অনেক ভালো লাগে। আপনার ধারণকৃত এই মাছের ফটোগ্রাফি দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমিও মাছ ধরতে পছন্দ করি
আপু আপনি মনে হয় হাট লিখতে চেয়েছিলেন। আপনাদের পুকুরের তাজা তাজা মাছ দেখে ভালো লাগলো। এই মাছ খেতে অনেক মজার হবে। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু রেফ হয়ে গেছে।
আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে অনেকদিন পরে দেশি কিছু মাছের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়ে গেল। পেট মোটা মাছ আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে যখন তার পেটের মধ্যে ডিম থাকে তখন সেটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
মাছের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ব্যাতিক্রমী হয়েছে। অনেক রকম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখি, কিন্তু মাছ দিয়ে ফটোগ্রাফি কোনদিন দেখিনি। খুব আনকমন একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। তেলাপিয়া মাছ আমার খুব প্রিয়। যদিও পাঙ্গাস মাছ বা জাপানি মাছ এদিকে খুব একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু তেলাপিয়া মাছ খুব সহজলভ্য। সব মিলিয়ে আপনার ছবিগুলি ভীষণ ভালো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। বিভিন্ন ধরনের মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে আপু। সব থেকে তেলাপিয়া মাছের ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তেলাপিয়া প্রধান আমাদের পুকুরগুলো
আজকে আপনি খুব সুন্দর মাছের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখতে পেলাম। মনে হয় আপনাদের পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছ আছে। তবে আপনার মাছের ফটোগ্রাফি যেগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর এই তাজা মাছগুলো যদি খেতে পারতাম আরো ভালো লাগতো। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
তাজা কিছু মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো।এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
নিজের পুকুরের মাছ তাই তাজা