কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। পোস্টের টাইটেল পড়ে বুঝে গেছেন বরশি দিয়ে মাছ ধরার আনন্দঘণ এক মুহূর্ত আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করতে চলেছি। আর এই মাছ ধরার কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনজন। সেখানে আপনাদের সুপরিচিত দুই ইউজার এবং তাদের খালাতো ডাক্তার ভাই।
প্রথমে বাড়ি থেকে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো ডাক্তার ভাই মাছ ধরবে আর আমার বাড়িওয়ালা মাছ বরশি থেকে ছুড়াবে। এদিকে সুমন ভাইয়া তার সবজি বাগানে তার কাজ করবে, তার কোন এদিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। ঠিক এমনই চিন্তা ভাবনা নিয়ে সবাই বের হল, সাথে আমিও গেলাম সবজি তুলতে এবং তাদের মাছ ধরা দেখতে। প্রথমে বাড়ির বড় মাছ চাষী বরশি নিয়ে মাছ ধরার কৌশল শিখিয়ে দিলেন ডাক্তার আমির হামজা ভাইয়াকে। হামজা ভাইয়া উনি আমাদের খালাতো ছোট ভাই। সাহার-বাটি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। যাই হোক উনি দীর্ঘ ১৫ বছর বরশি দিয়ে মাছ ধরেননি। খালাতো ভাইদের সাথে বেশ আনন্দে মাছ ধরতে এসেছেন।
এরপর ভাইয়া মাছ ধরা শুরু করল প্রথম পুকুরটাতে। কিন্তু ভুল করেও একটা মাছ সেখানে উঠলো না। এরপর আবারও আমার বাড়িওয়ালার চেষ্টা করলেন নিজে হাতে বরশি নিয়ে মাছ ধরার। এতে কোন ফল হলো না। সুমন ভাইয়া বললেন বড় পুকুরটাতে যাওয়া যাক। এখানে বসে থেকে কোন লাভ হবে না। প্রচন্ড গরমে সূর্যের তাপে মাছ বড়শিতে মুখ লাগাচ্ছে না। ওই জায়গায় খাবার দেওয়ার স্থানে ছায়া পড়ে গেছে। যায়হোক এভাবে আমরা সবাই চলে গেলাম বড় পুকুরটায়।
বড় পুকুরে আসার পর মাছ ধরা নিয়ে বেশ কথা কাটাকাটি হলো। কে কতটা মাছ ধরতে পারে। এরপর নির্ধারণ করা হলো নির্দিষ্ট টাইম মোতাবেক মাছ ধরে দেখাতে হবে। এরপর আমি সময় নির্ধারণ করে দিলাম ১০ মিনিট করে তিনজন বরশি নিয়ে পুকুরে টোপ ফেলবে। যেমন কথা ঠিক তেমনি কাজ শুরু হয়ে গেল। এদিকে প্রচন্ড রোদ আর গরম, পড়ন্ত বিকেল যেন সূর্য না ডুবা পর্যন্ত রোদ গরম শেষ হচ্ছে না। আমি ছাতা মাথায় নিয়ে বসে থাকলাম এক ছায়া স্থানে। সবজি তোলা বাদ দিয়ে আগে দেখেনি এদের কান্ড কলা।
হামজা ভাইয়া যেহেতু নতুন অতিথি। তাই বড় পুকুরে মাছ ধরার শুরুতে তাকে প্রথমে দেওয়া হল। উনি খুব আনন্দের সাথে মাছ ধরতে থাকলেন। এদিকে বড়শিতে আটা-ময়দা গেঁথে দিতে থাকলো ছোট ভাইয়া। আমরা দুজন দর্শক শারিতে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। এরপর হামজা ভাইয়া একটি তেলাপিয়া মাছ ধরতে পারলে। আমার বাড়িওয়ালা মাছটা ছাড়িয়ে দিল। তার কিছুক্ষণ পর আবারো আরেকটি তেলাপিয়া মাছ ধরতে পারলেন। উনি খুব আফসোস করছিলেন, বলছিলেন যে একটি দেড় কেজি সাইজের পাঙ্গাস ধরার ইচ্ছে ছিল আমার। কিন্তু নির্দিষ্ট ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি দুইটা তেলাপিয়া ছাড়া আর কিছুই ধরতে পারলেন না। এরপর শুরু হলো সুমন ভাইয়ের পালা। বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে দেখবেন।
ধন্যবাদ সকলকে
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আসলে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া ছোট বেলায় বরশি দিয়ে অনেক মাছ ধরতাম। তবে আপনাদের এই বরশি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও আমাদের বাড়ির পাশে খালে অনেক ধরেছি।
আসলে সেদিন হামজা ভাইয়া মাছ ধরা শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় তিনি একটি মাত্র মাছ ছাড়া দ্বিতীয়টি ধরতে পারেননি। যাক খুবই ভালো লাগলো তোমার লেখার পোস্ট পড়ে। তবে টাইটেলে বড়শি বানানটা ভুল আছে, আমি আশা করি সেটা ঠিক করে দিবে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি ইউটিউবে সার্চ করে দেখেছি বরশি/বড়শি বানানের কেউ র কেউ ড় ব্যবহার করে। তাই দুইটাই সঠিক ধরে নিয়েছি। ভাইয়া আবারো অল্প দিনের মধ্যে আসবে আর একটা প্রতিযোগিতা হবে। সেখানে তিনটা বড়শি থাকবে নির্দিষ্ট সময়কে কয়টা মাছ ধরতে পারে।
বাহ আপনারা তো দারুন একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। আসলে বরশি দিয়ে মাছ ধরার মধ্যে অন্য রকমের একটা মজা রয়েছে। দশ মিনিটের এই প্রতিযোগিতা টা অনেক জমজমাট হয়ে উঠেছে তা দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার ফলাফল জানার জন্য পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রচন্ড গরম ছিল তাই আনন্দটা একটু কম ছিল। তারপরে যথেষ্ট হাসি আড্ডা হয়েছে।
মোটামুটি ভাবে শেষ পর্যায়ে এসে সে অবশেষে ১০ মিনিটে দুটো তেলাপিয়া মাছ ধরতে পেরেছিল এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এরকম প্রতিযোগিতা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আপনি তো দেখছি প্রতিযোগিতা দেখার মুহূর্তে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, যদিও প্রচন্ড গরম ছিল আর এই গরমের মধ্যেও তারা এরকম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে জেনে খুশি হলাম। সুমন ভাইয়ের কি অবস্থা হয়েছিল পরবর্তী পর্বে জানতে চাই। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পরবর্তী পোস্ট দেখুন সেখানে সুমন ভাইয়ার রেজাল্ট দেখতে পারবেন।
আপনাদের মাছ ধরার প্রতিযোগিতা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় বিকেল হলেই পুকুরে মাছ ধরতাম বরশি দিয়ে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের মাছ ধরার মুহূর্ত দেখে। ধন্যবাদ আপু মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দ্বিতীয় পর্ব দেখবেন ফলাফল রয়েছে সেখানে
বড়শি দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় আমিও অংশ গ্রহন করি। আমাদের এলাকায় কিছু দিন পর পর মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হয়। কিন্তু দশ মিনিট খুবই কম সময়, জেনে আমি অবাক হলাম। কিন্তু ভালো লাগার বিষয় হলো হামজা ভাইয়া মাছ ধরার শুভ উদ্বোধন করেন। এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জেনে খুবই ভালো লাগলো