কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা সকলে জানি বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড রোদ গরম আমাদের সকলকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। তবে কাল থেকে মোটামুটি শীতল বাতাস বয়ে চলেছে যখন তখন। তাই বিকেলে নিজের কাজ সেরে দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম পুকুরপাড়ার দিকে। ঠান্ডা হয়ে শীতল বাতাসে কিছুটা সময় মনের প্রশান্তি পাওয়ার আশায় ছুটে চললাম। মাঠে গিয়ে যেন দাঁড়াতে পারছি না বাতাসের কারণে। আর বেশ শীতল বাতাস গা ঠান্ডা করে ফেলল। তাই বেশিক্ষণ থাকার প্রয়োজন মনে করলাম না পুকুর পাড়ে। বাড়ি ফিরতে লক্ষ্য করলাম বাঁশ বাগানের বাঁশগুলো এত জোরে জোরে দোল খাওয়াচ্ছে, তার নিজ দিয়ে পার হওয়ায় বেশ কঠিন। তবুও ভালো লাগছিল, মনে হচ্ছিল যেন বৃষ্টি আসবে তাই বাগানের বাঁশগুলো আনন্দে মাতোয়ারা।
এদিকে পুকুর পাড়ে বেশ অনেকগুলো সাজনা গাছ রয়েছে। গাছে তেমন বেশি পাতা নেই। তবে লক্ষ্য করে দেখলাম, আর মনে হল যেন মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে গাছগুলো তাকিয়ে রয়েছে বৃষ্টির আশায়।
ওদিকে পুকুরপাড়ের কলাগাছ গুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে শীতল বাতাসে। এত জোরে বাতাস হচ্ছিল পাতাগুলো জোরে দোল খাচ্ছে, তাই এক অন্যরকম শব্দ বারবার কানে ভেসে আসতে থাকলো। যতক্ষণ উপস্থিত ছিলাম ততক্ষণ বেশ মনোমুগ্ধকর অনুভূতি পেয়েছিলাম এই বাতাসে ও কলার পাতার শব্দে।
আমাদের পুকুর থেকে ফিরতেই আমাদের এক আত্মীয়ের পুকুর রয়েছে এখানে। পুকুরটার দিকে তাকিয়ে বেশ খারাপ লাগলো। যদি ইতোপূর্বে বৃষ্টির পানি হতো তাহলে কতই না এ পুকুরের পানির মধ্যে মাছ খেলা করে বেড়াতো। এই পথ দিয়ে অনেক যাওয়া আশা করি পুকুরে, সব সময় এই পুকুরে পানি থাকে কিন্তু প্রচণ্ড রোদ গরমে আজ এই নাজেহাল অবস্থা। পুকুরটা পানিতে পরিপূর্ণ থাকলে কতই না ভালো লাগে।
বাগান পেরিয়ে রাস্তার দিকে উঠতেই সামনে পেলাম একটি আকন্দ ফুলের গাছ। অন্যান্য গাছের মতো এই গাছটাও বেশ বাতাসে দুল ছিল ঐ মুহূর্তে। জেনো একটা ফটো ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল আমার জন্য। মনে হয়েছিল তারা বৃষ্টি আসবে এমন আগমনে বার্তা পেয়ে গেছে, তাই তারই আনন্দে এভাবে উল্লাস করছে দুলে দুলে।
এরপর বাড়ি ফিরে আসলাম। এসে চেয়ে দেখলাম সুমন ভাইয়ের কাজ করার সেই জায়গা। এখানে বসে উনি কাজ করেন। আগে পুকুর থেকে চলে এসেছে। তবে এখানেই বসার কথা ছিল ওনার মোবাইলটাও রয়েছে সেখানে। তবে ভাইয়াকে দেখলাম না। হয়তো বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেছে। তবে জায়গাটা বেশ সুন্দর। এর আগে রাজের আব্বু এখানে প্রাইভেট পড়াতো। যখন করোনা চলতো সেই সময়। এখন ভাইয়ার জন্য সুন্দর একটি জায়গা হয়েছে। পাশাপাশি আমিও সুযোগ পেলে এখানে বসে কাজ করি। কিছুটা সময়ের জন্য চেয়ারে বসে শীতল হয়ে নিলাম এবং রেস্ট গ্রহন করলাম।
ঠিক এরই পাশে রয়েছে আমাদের লিচু গাছ। গাছে বেশ কিছু লিচু ধরেছে। কিন্তু এখনই বাদুর ইদুর আর কাঠবিড়ালি ক্ষতি করে চলছে। গাছের চার ভাগের তিন ভাগ ফাকা। আর যেই পাশে কিছু রয়েছে সে পাঁচটাও যেন আজ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে এসব বন্যপ্রাণীর জন্য। তবে ফটো ধারণ করতে করতে যেন মাগরিব পার হয়ে অন্ধকার হয়ে গেল।
এরপর পাশে থাকা মাধবীলতা ফুল গাছের দিকে নজর গেল আমার। পুকুরপাড় থেকে শুরু করে সব জায়গায় দেখলাম গাছগুলো বাতাসে দুলছে। ফুলের দিকে তাকিয়ে সেখানেও লক্ষ্য করলাম মাধবীলতা ফুল বেশি দোল খাচ্ছে বাতাসে। মনে হলো যেন সর্বস্তরের গাছ লতাপাতার মনে আনন্দ লেগেছে বৃষ্টির আগমন দেখে। তবে এখন রাত আটটা পার হয়ে গেছে বৃষ্টির কোন খবরই নেই। বেশি মেঘ ডাকলো কিছুক্ষণ আগে। কারেন্ট চলে গেল। এরপরেও আমি বসে পড়লাম আপনাদের মাঝে আজকের বিকেলের এই ফটোগুলো শেয়ার করতে। দোয়া করবেন রাত পোহাবার পূর্বেই যেন বৃষ্টি নেমে আসে।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
যদিও আজকের পরিবেশটা কিছুটা ঠান্ডা রয়েছে কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেলাম না। আপনাদের পুকুরপাড়ের জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। ওই জায়গাটাতে থাকলে গরমের সময়ও ঠান্ডা অনুভূত হয়।
হ্যাঁ অবশ্যই ঠিক বলেছেন।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে অন্যদিনের তুলনায় আজকের আবহাওয়া বেশ ভালো। সুমন মামা যেখানে বসে কাজ করে জায়গাটা অনেকদিন পর দেখতে পেলাম আসলে এখানে বড় মামা আমাদের আগে প্রাইভেট পড়াতো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
দারুন মন্তব্য করেছেন আপনি।
সত্যি আপু আজকের আবহাওয়াটা ছিল খুবই ভালো। আজকের আবহাওয়াটা একদম মন ভালো রাখার অন্যরকম একটা আবহাওয়া ছিল। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই যে গরমটা পড়েছিল আজকের আবহাওয়াটাই সেটা মুগ্ধ করে দিল। আরে এরই মাঝে আপনি প্রকৃতির মাঝে খুবই শীতল একটি মুহূর্ত উপভোগ করে নিলেন। আসলে আপু এই উপভোগ্য সময়টি আপনি চারিপাশে বাতাস বয় ছিল সে গাছের ফটোগ্রাফি করলেন সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে গরমে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো। তবে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এখন ভালোই ঠান্ডা বাতাস বয়ছে। আর এই সময়ে আপনি বিকেল বেলা পুকুর পাড়ে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। তার পাশাপাশি বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্ৰাফি। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার কমেন্ট দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
বাহ বেশ চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সব জায়গায় এরকম শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এরকম অবস্থায় গ্রামের সৌন্দর্য যেন বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কিছু স্মৃতিচারণা করেছেন আপনি পোষ্টের মাঝে সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু।