কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব আমার মামাশ্বশুরের বাসায় গিয়ে, এক বিকেলে ফসলের মাঠ ও বিভিন্ন বাগান ঘোরাঘুরির অনুভূতি। আশা করি আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
photography device: Infinix Hot 11s
বেশ কিছুদিন আগে নানি শাশুড়ি বাড়ি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার উপস্থিত হলাম তাদের বাগান ও ফসলের মাঠ ঘোরার মুহূর্ত নিয়ে। আর এই সমস্ত বিষয়গুলো ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছিল মামাশ্বশুরের ছেলে। সাথে থাকলাম আমরা চারজন, আপনাদের প্রিয় দুই ব্লগারসহ ডাক্তার হামজা ভাইয়া। প্রথমে তারা তাদের বাঁশ বাগান আর আম বাগান দেখাতে চলল। তবে আমি একটা কথা শুনে খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম তাদের এই বাঁশবাগান এত বড় যে প্রত্যেক বছরে কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকার বাঁশ বিক্রয় হয় এখানে। বাঁশের বাগানটাও অনেক বড়। তবে কত বিঘার উপর, মামাতো ভাইটা সেটা সঠিক বলতে পারল না। এরপর আমের বাগান তারপর লিচুর বাগান। লিচু বাগানে শুনেছি অনেক লিচু ধরেছে। আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম ফসলের মাঠ দেখার জন্য।
এরপর চলে গেলাম ফসলের মাঠের দিকে। তাদের ফসলের জমিতে অনেক রকমের ফসল রয়েছে। তবে বোরিং থেকে পানির সাপ্লায়ের লাইন কেমন হয় সেটা সম্পূর্ণ আমার জানা ছিল না। এই জিনিসগুলো দূর থেকে দেখেছি তবে ওইদিন সুযোগ হয়েছিল নিকট থেকে দেখার আর এ বিষয়ে জানার। এই লাইনের মাধ্যমে পানি সাপ্লাই হয়।
এর পাশেই ছিল ফসলের মাঠ। একদিকে লক্ষ্য করে দেখলাম অনেক গমের জমি। তবে মামাতো সেই ভাইটা বলল এখানে গমের জমি তাদের রয়েছে এবং তার অন্যান্য দাদার ছেলেদের রয়েছে। তবে যা তথ্য পেলাম এখানকার সম্পূর্ণ জমিগুলো তাদের গোষ্ঠীর লোকেদের। ঐদিন আমার বেশ ভালো লাগছিল অনেকদিন পর আত্মীয়র বাসায় এসে ফসলের মাঠে আসতে পেরে। বিকেল মুহূর্ত বেশি এনজয় করছিলাম।
এদিকে হামজা ভাইয়া আর রাজের আব্বু আমাদের আগে আগে হাটছিল কিন্তু কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে এগিয়ে দেখেছিল তার জাল দিয়ে ঘেরা একটি বাগান। তাই আমার পাশে থাকা মামাতো ভাই ইব্রাহিমকে তারা ডাকছিল, কোন পথ দিয়ে গেলে ভালো হয়। ঠিক এই মুহূর্তে আমি আরো কিছু দেখার চেষ্টা করছিলাম ফসলের মাঠের।
এদিকে মামাদের অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ ও রসুনের জমি ছিল। যেখানে জমির কিছু অংশ পেঁয়াজ আর রসুন লাগানো। অর্থাৎ আমি তখনই বুঝতে পারলাম এদের কম বেশি সকল প্রকার ফসল ও সবজি হয়ে থাকে।
তবে মামাশ্বশুরদের বাড়িতে ঘুরতে এসে আমার সবচেয়ে ফসলের মাঠে বেশি ভালো লেগেছিল এই জায়গাটা। কত সুন্দর করে চাষ করেছে কৃষকেরা। হয়তো কোন একটি ফসল এখানে হবে। তবে ইব্রাহিম বলতে পারল না এখানে কি লাগানো হবে। কারণ এটা ছিল ইব্রাহিমের অন্য দাদার ছেলের জমি। মাটি এত সুন্দর করে চাষ করেছে আর লম্বালম্বি ঢেউ কাটানো উঁচা নিচা দেখে যেন মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। আর ঠিক এভাবেই তাদের সাথে অনেকক্ষণ ফসলের মাঠে অবস্থান করলাম। অনেক কিছু জানতেও পারলাম মামা তো সে ভাইটার কাছ থেকে, তাদের এই বাগান ও ফসলের মাঠ সম্পর্কে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | আত্মীয়দের বাগান ও ফসলের মাঠ |
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।