নাটক রিভিউ "আলতা সুন্দরী" ১৪ তম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ১৪ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।
নাটকের নাম | আলতা সুন্দরী |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাহউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, রহমত আলী, ম ম মোরশেদ, জয় রাজ, রাশেদা চৌধুরী, মনিরা মিঠু, সাইকা আহমেদ, লারা লোটাস, পুতুল, ডায়না সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
মোট পর্ব | ৬২ |
রিভিউ | ১৪ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- শামীম জামান
- আর খ ম হাসান
- চঞ্চল চৌধুরী
রহিম বাদশা যখন পাগলের মত করতে থাকলো তখন সবাই তাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকলো। কিন্তু সে তার আলতা সুন্দরীকে ছাড়া বাড়িতে যাবে না। এই মুহূর্তে তার ফুফু বললো আলতা সুন্দরীর বিয়ে হয়ে গেছে। এ কথা শুনে রহিম খুব কষ্ট পেল। মন থেকে মেনে নিতে পারল না। গানের দলের ওস্তাদ কে প্রশ্ন করল। ওস্তাদ বলল বিয়ে হয়ে গেছে কিনা সঠিক সে জানে না তবে বিয়ে হবে এটা শুনেছে। এ কথা শুনে রহিম নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না। তার কাছে মনে হলো সবাই মিথ্যা বলে তার সাথে। দুঃখ ভরা মন নিয়ে সে বাড়ির দিকে ফিরে আসলো।
এদিকে গুলজারের বউ বাড়িতে আসে না, তাই সে দ্বিতীয় বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অলরেডি হাসেম জোয়ারির মাধ্যমে তার শ্বশুরবাড়িতে জানিয়ে পাঠিয়েছে যেন বউ ফিরে আসে দ্রুত, নাই সে আরেকটা বিয়ে করবে। কিন্তু বউ বাড়ি আসার কোন খবর নেই, এই কারণে ছোট বোনকে বলছে কাপড় চোপড় কেচে দিতে। যখন তার বোন তর্ক করে জানতে চাইল, সেও সত্যটা বলে দিল। রাত পোহালে মেয়ে দেখতে যাবে বিয়ের জন্য। কিন্তু তার বোন বিউটি তাকে বলল গ্রামে বিয়ের ধুম পড়ে গেছে, সব মেয়েদের বিয়ের বিষয় চলছে কিন্তু তার বিয়ে নিয়ে ভাইয়ের কোন চিন্তা নেই,নিজেই বিয়ে করতে চলল। বিউটি নিজেই বিয়ের পাত্র ঠিক করে নিবে। ঠিক এমনই কথা কাটাকাটিতে তার ভাই গুলজার রাগ করে সরে গেল।
এদিকে রহিম বাদশা মনের কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে রাতে যখন ঘুমায় হঠাৎ স্বপ্নে দেখতে পারলো আলতা সুন্দরীর কারো সাথে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সে প্রতিবাদস্বরূপ বিয়ে ভঙ্গ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই সে পেরে দিছিলো না। মনে হল যেন একপ্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেল রহিমের সাথে বিয়ে বাড়ির সবার। এতে গানের দলের ওস্তাদ,হাসেম জোয়ারী কেউ তার পক্ষ নিল না। ঠিক এমনই একটা মুহূর্তে তার ঘুম ভাঙ্গে। সে খুবই কষ্ট পায় এবং কান্নায় ফেটে পড়ে আলতা সুন্দরের জন্য।
এদিকে হাসেম জোয়ারী যখন গুলজার এর সাথে গল্প করছিল গানের দল কে কেন্দ্র করে, তখন গুলজার তাকে প্রশ্ন করল শ্বশুরবাড়িতে সে সত্যিই খবরটা জানিয়েছে কিনা। কিন্তু হাসেম জোয়ারী বললো অবশ্যই সে জানিয়েছে, তাই গুলজার বেশ টেনসনে। গুলজার কখনো কারো কাছে মাথা নিচ করে না, এখন কি তার বউয়ের কাছে মাথা নিচ করতে হবে। ঠিক এমনই চিন্তায় খুব কষ্ট পেলো। সে হাসেন জোয়ারির মাধ্যমে গানের দলে ঢুকতে চাই কিন্তু হাসেম জোয়ারের কথা মত যা বুঝতে পারল গানের দল হয়তো খুব শীঘ্রই ভেঙে যেতে পারে একদিন। কারণ গানের দলে তেমন নায়িকা নেই। এদিকে যে কোন মুহূর্তে আলতা সুন্দরী বিয়ে করতে পারে। এ সমস্ত কারণে হাসেম জোয়ারির মনে খুব ক্ষোভ লেগেছে। তাই গানের দলে গুলজার এর প্রবেশ করানোর বিষয়ে তেমন কোন মতামত দিলেন না।
এদিকে বিউটি গানের দলের নায়ক কে বলেছিল যদি আলতা সুন্দরীর সাথে তার বিয়ে না হয় তাহলে নায়ক কে বিয়ে করবে। যেহেতু এদিকে আলতা সুন্দরীর বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে পারুলের সাথে,তাই গানের দলের নায়কের মনে আনন্দ। গানের দলের ওস্তাদের কাছে সে বিয়ের বিষয়টা একটু একটু করে জানানোর চেষ্টা করছে। গানের দলের ওস্তাদ বেশ ইন্টারেস্টিং মনে করেছিল। একদিকে আলতা সুন্দরের বিয়ের বিষয়ে এদিকে আবার গানের দলের নায়কের। কিন্তু যখন জানতে পারলে গুলজারের বোনের সাথে তার প্রেম তখন গানের দলের ওস্তাদ খাবরিয়ে গেল, কারণ গুলজার বেশ ডেঞ্জারাস মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে গুলজারের বোন হঠাৎ করে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল এবং এসে উপস্থিত হলো তার বান্ধবী পারুলের বাড়িতে। রাতে সে পারুলকে ডাকাডাকি শুরু করল জানালা দিয়ে। পারো যখন জানতে চাইলো সে বলল বাইরে বের হয়ে আসতে হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। পারুল বুঝতে পারল না কি এমন বলবে যে দিনে না বলতে পেরে রাতে এসে ডাকছে। বিউটি বলতে থাকলো এ কথা দিনে বলা সম্ভব নয়, তাই রাতেই বলতে হবে গোপনে। বিষয়টা আগামীতে আমরা জানতে পারবো কাহিনী কি।
আলতা সুন্দরী নাটকের এই পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি দুইজনার বিয়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে আলতা সুন্দরী বিয়েতে তেমন মতামত দিয়েছিল না। কারণ সে নিজের খরচ জোগাড় করতে পারে না পারুলকে বিয়ে করে খাওয়াবে কি। আরেক দিকে দেখা যাচ্ছে গানের দলের নায়ক বিউটিকে বিয়ে করার জন্য পাগল। তবে ভাবনার বিষয় এসে দাঁড়িয়েছে, বিউটি হঠাৎ করে পারুলের বাড়িতে কেন আসলো; কি এমন জরুরী কথা বলবে। আরেক দিকে কানের দল অচল হয়ে গেলে হাসেম জোয়ারের মতো মানুষেরা ইনকামের পথ হারিয়ে ফেলবে। তাই খুব চেষ্টা করল আলতা সুন্দরী অর্থাৎ নছেরের বিয়ে যেন এখন না হয়। কিন্তু তাতে কোন লাভ হলো না। এ নাটকে হাসেম জোয়ারী এবং বিউটি খুব নিখুঁত অভিনয় করে থাকে। তাদের অভিনয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কারণ তাদের অভিনয় করার দক্ষতা বেশ দারুন। এখন ভাবনার বিষয় আগামী পর্বে আমরা কি দেখতে চলেছি আর বিউটি কি জানাতে এত রাতে ছুটে আসলো।
রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।
আলতা সুন্দরী নাটকের রিভিউ ভীষণ ভালো লাগলো। চঞ্চল চৌধুরী আমার প্রিয় নায়কদের মধ্যে অন্যতম। আসলে ভারতবর্ষেও চঞ্চল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা প্রচুর। আপনি তার নাটকের যেভাবে রিভিউ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আলতা সুন্দরীর ঘটনা পড়ে নাটকটি দেখতে আগ্রহী হলাম। অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি নাটকের এত ডিটেলে রিভিউ করার জন্য।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক আমারো ভালো লাগে
অনেক সুন্দর করে আপনি আজকে আলতা সুন্দরী নাটকটার রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকটার চৌদ্দটা পর্ব দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই নাটকের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমি পড়েছি। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে এই নাটকটার কাহিনী গুলো। এই নাটকটার মধ্যে সবাই কিন্তু বেশ ভালোই অভিনয় করে। এই নাটকের 15 তম পর্বে কি হবে এটা জানার জন্য কিন্তু অধীর অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি এই নাটকের পরবর্তী পর্ব আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন।
হ্যাঁ আপু খুব শীঘ্রই সব রিভিউ করে শেয়ার করব
অনেক সুন্দর একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউটি পড়ে এই নাটকের বেশ ভালোই ধারনা পেলাম। চঞ্চল চৌধুরী নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । কারণ তার অভিনয় গুলো সত্যি অসাধারণ। আপনি বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আলতো সুন্দরী নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখতে ইচ্ছা করছে। সময় করে এলদিন দেখে নেবো।
নাটকটা দেখবেন ভাইয়া ভালো লাগবে
জ্বি আপু সময় করে অবশ্যই দেখবো। নাটকটি মনে ধরেছে আমার।