প্রথমে কুমড়ার বড়ি নির্দিষ্ট পরিমাণ বের করে আনলাম। এরপর চুলার পাড়ে উপস্থিত হয়ে চুলার উপর কড়াই বসলাম। এরপর কড়াইতে কিছু তেল দিয়ে কুমড়ার বড়ি গুলো তেলের উপর দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময়ের জন্য কুমড়ার বড়িগুলো তেলে ভাজার চেষ্টা করলাম। কারণ তেলে ভেজে নিলে সেই বড়ি খেতে ভালো লাগে। তাই হালকা পরিমাণে ভাজার পর বুড়িগুলো কড়াই থেকে নামিয়ে নিলাম।
আবার কড়াইতে কিছু পরিমাণ তেল দিয়ে তারমধ্যে জিওল মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর বাসের উপরে ঝাল হলুদ গুড়া মসলাগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে দিলাম। আর এভাবে আস্তে আস্তে জিওল মাছ তেলে ভেজে নিলাম। যখন মাছগুলো সম্পূর্ণ ভাজা হলো, তখন মাছগুলো কড়ায় থেকে নামিয়ে নিলাম।
এবার তরকারি রান্নার জন্য কড়াইতে হালকা পরিমাণ ভাজা তেলের উপর তেল দিয়ে ঝাল পেঁয়াজ রসুনের কুচি দিয়ে দিলাম। এরপর বাকি মসলাগুলো দিলাম। এরপর চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজতে থাকলাম। একটি মুহূর্তে মসলাগুলো ভাজা হয়ে গেল।
মসলাগুলো ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে আলুর ফালি আর ভাজা কুমড়ার বড়ি দিয়ে দিলাম। এরপর সবগুলো একসাথে মিক্সচার করতে থাকলাম। যেন বাড়ি ও আলুর ফালির সাথে সমস্ত মসলা ভালোভাবে লেগে যেতে থাকে। আর এভাবে দীর্ঘক্ষণ রান্না করতে থাকলাম, একপর্যায়ে সমস্ত উপাদান সিদ্ধ হয়ে আসলো। এরপর এক কাপ পরিমাণ পানি দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে কয়টা ঢেকে দিলাম।
এবার কড়াইয়ের ঝোলের উপর ভাজা জিওল মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এরপর আবারো কড়ায়টা একটু ঢেকে দিলাম ঢাকনা দিয়ে। তিন চার মিনিট পর ঢাকনা তুলে দিলাম।
পরিবেশন
আমার এই মাছের রেসিপি তৈরি করার পর খাওয়ার মুহূর্তে আমি আমার পরিবারের সবার মাঝে বিতরণ করলাম। সবাই আমার এই রেসিপি পেয়ে এত এত প্রশংসা করল। পরবর্তীতে এ জাতীয় রেসিপি করার জন্য আরও উৎসাহ পেলাম। আর এভাবে আমার জিওল মাছ এর রেসিপির কাজ সম্পন্ন হল।
Photo device | Itel vision 1 |
বিষয় | সুস্বাদু মাছের রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
সবজির সমন্বয়ে জিওল মাছ রান্নার রেসিপি দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে এই ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। তাই ধাপগুলো দেখে শিখে নিয়েছি।
জিওল খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি সবজির সমন্বয়ে জিওল মাছের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে এই মাছ গুলো ভুনা করে খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
জিওল মাছের নাম এর আগে আমি তেমন কোনদিন শুনতে পাইনি এবং এই মাছ ইতোমধ্যে কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সবজির সমন্বয়ে জিওল মাছ রান্নার রেসিপি টি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা জিওল মাছের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আপনার শিং মাছের রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে ।কুমড়ার বড়ি, আলু দিয়ে শিং মাছ গুলোকে ভেজে দারুণভাবে রান্না করেছেন। দেখে বেশ লাগলো।যদিও এত ছোট শিং মাছ কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি।বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে কুমড়োর বড়ি দিয়ে কখনো শিং মাছ রান্না করা হয়নি । আর ছোট ছোট শিং মাছগুলো আপনি ভেজে রান্না করেছেন মনে হচ্ছে খেতে ভালই লাগবে । এত ছোট শিং মাছ আমরা সব সময় চচ্চড়ি করে খেয়ে খাকি । আপনার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো ।
জিওল মাছের নাম মনে হয় প্রথম শুনলাম তবে মাছের রান্নার পদ্ধতিটি বেশ ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটা অঞ্চলে বেধে হয়তো একে অন্য নামে ডাকা হয়। মাছ থেকে পরিচিত লাগছে আর আমরা হয়তো অন্য নামে ডাকি। যাই হোক কুমড়ো বড়ি দিয়ে কখনও রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে মাছ ভেজে রান্না করলে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সবজি দিয়ে মজাদার জিওল মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। বিশেষ করে জিওল মাছগুলো ভাজি করার পরে বেশি লোভনীয় লাগছিল। রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছেন সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবজির সমন্বয়ে জিওল মাছ রান্নার খুবই সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। দেশীয় এই মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে তাই বেশিরভাগ ডাক্তার রোগীদেরকে এই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই রেসিপিটা খেতে আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে।
সবজির সমন্বয় আপনি আজ খুব চমৎকার জিওল মাছের রেসিপি করেছেন।এই মাছ টা আমাদের শরিরের জন্য খুবই উপকারি । বেশ দারুন ভাবে আপনি প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন । শুভ কামনা রইলো।