জেনারেল রাইটিং: তুলসী গাছের গুরুত্ব
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
আমরা অনেকে তুলসী গাছ সম্পর্কে অবগত। অনেকেই জানি তুলসী গাছের উপকারিতার কথা। দুনিয়ার বুকে অনেক রকমের গাছ রয়েছে যেগুলো ঔষধি গাছের হিসেবে বিবেচিত। তবে সেই সমস্ত গাছগুলো নিজের বাড়িতে লাগানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কিন্তু তুলসী গাছ এমনই একটি গাছ, এটা খুব সহজেই বাড়িতে অযত্নেহ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। আর যত্ন নিলে তো আলহামদুলিল্লাহ। তবে এই গাছের পাতার যে এত বেশি উপকারিতা যা অস্বীকার যোগ্য নয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সর্দি কাশি জ্বর হলেই দাদি আম্মা তুলসী পাতার রস করে দিতেন। আগে তো আর এখনকার মত ডাক্তার ফার্মেসি ওষুধ ছিল না। বেশিরভাগ মানুষ তুলসী পাতার উপর নির্ভর করত। এখন বিভিন্ন ঔষধের ভিড়ে যেন নতুন মায়েরা তুলসীপাতা কে মূল্যায়ন করতে জানে না। আমি খেয়াল করে দেখেছি বিভিন্ন ঔষধের জায়গায় তুলসীর পাতায় বেশি কাজ করে থাকে। এছাড়াও কাশি দূর করার জন্য তুলসী বলে একটি স্রাব রয়েছে। যার উপাদান তুলসির রস মধু ইত্যাদি।
আমরা অনেকেই জানি বছরের বিভিন্ন সময়ে সর্দি জ্বর কাশি আমাদের হয়ে থাকে। তবে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাচ্চাদের নিয়ে। এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য প্রায় মানুষের বাড়িতে সর্দি কাশি জ্বর লেগে রয়েছে। আমাদের বাড়িতে অলরেডি খুব বেশি সর্দি জ্বরে কাশিতে ভুগছেন অনেকে। সেখানে আমি খেয়াল করে দেখলাম তুলসী গাছটা কবে কখন বৃদ্ধি পেয়েছে কেউ যত্ন নেয়নি। একই স্থানে গাছ হয় বীজ পড়ে পুরাতন গাছ মারা যায় নতুন গাছ জন্ম, এভাবেই হয়ে আসছে প্রত্যেক বছর। কিন্তু এতদিন কারো চোখে না বাধলেও ইদানিং কিন্তু আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ায় সর্দি কাশি লাগাই তুলসী গাছটার উপর সবার নজর পড়েছে। কয়দিন ধরে খেয়াল করে দেখছি পাড়া গায়ের মানুষেরা তুলসির পাতা নেওয়ার জন্য বাড়িতে উপস্থিত। অনেকে নিয়মিত এসে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই জ্ঞান দিচ্ছেন গাছের গোড়া পরিষ্কার করে একটু যত্ন নিলে গাছটা অনেকদিন বাঁচবে।
আমরা বাঙালি, প্রয়োজনে অনেক কিছু খোঁজ করি। অপ্রয়োজনে কোন কিছুর দিকে যত্নের দৃষ্টি তুলে তাকায় না। তবে তুলসী গাছটা এই বিশেষ প্রয়োজনে যত্ন কিন্তু পাচ্ছে না। বরং অনেক মানুষ গাছের পাতা আগা ডালপালা ছিঁড়ে ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আজকে সকালে কয়েকজন এসেছিলেন তুলসির পাতা নিতে। গাছের আগায় তুলসীর বীজ পেকে রয়েছে। বলেছিলাম কিছু বীজ নিয়ে যান বাড়িতে বুনে দিবেন গাছ হবে। কিন্তু তারা বলল যে, কয়েকটা দিনের জন্য আর গাছ হয়ে হবে কি। তখন বিষয়টা আমার কাছে খারাপ লাগলো। আজকে আমাদের বাড়িতে গাছটা হয়ে হচ্ছে কি? যদি আমাদের বাড়িতে না থাকতো তাহলে তো আরো অন্যদের বাড়িতে দৌড়াতে হতো তাই না। তবে আমাদের বিশেষ প্রয়োজনীয় গাছগুলো অবশ্যই বাড়িতে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে যাদের হাতে কোলে বাচ্চা রয়েছে সেই সমস্ত অভিভাবকদের এই বিষয়ে সজাগ হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি মধু দিয়ে তুলসী পাতার রস খাওয়ালে বাচ্চাদের কাশি যেমন দূর হবে দ্রুত ঠিক তেমনি আমাদের নিজেদের জন্য উপকার হবে অনেক। ঔষধ সব সময় শরীরের জন্য পারফেক্ট নয়। অনেক ডাক্তার বলে থাকেন আপনার একটি সমস্যার জন্য প্রয়োজনে ওষধ খাচ্ছেন, সেই ঔষধ আপনার শরীরের আর এক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সে জায়গায় বাচ্চাদের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হতে পারে। তাহলে আমরা কেন জেনেশুনে রিক্সে যাব। আমার সন্তান সুস্থ থাকবে ভালো থাকবে এটা তো আমারই ভালো।
আমাদের মত সকল অভিভাবকদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে নিজের সন্তানকে সুস্থ রাখতে নিজেরা সুস্থ থাকতে। আর এমন আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ার মুহূর্তে সর্দি-কাশি জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে নিজের বাসা বাড়িতে অথবা ছাদের উপর তুলসী গাছ লাগিয়ে রাখার। এই গাছটা যেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি বিশেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিছুদিন আমি কাশির জন্য অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি তুলসী পাতার রস খেয়ে যথেষ্ট সুস্থ অনুভব করছি। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। আসন্ন শীতে আমরা সবাই সজাগ সচেতন থাকি। পরিবারকে সুস্থ রাখে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
তুলসী পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারী।বিভিন্ন রোগের ওষুধ নামে খ্যাত এই তুলসী পাতা।আমার একবার অনেক ঠান্ডা কাশি লেগেছিল,কোনভাবেই ওষুধ খেয়ে ঠিক হচ্ছিল না।তারপর একদিন আম্মু আমাকে তুলসী পাতার জুস করে দিয়েছিল।এক দুইবার খেয়ে ঠান্ডা কাশি সব ঠিক হয়ে গেছিল।যাইহোক আজকে আপনি তুলসী পাতার বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন।তুলসী পাতার এই গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই জরুরি।শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই তাই তো এই গাছ আমাদের লাগিয়ে রাখতে হবে।
সত্যি তুলসিপাতায় ঔষধী গুণ রয়েছে। আগের দিনের মানুষ তুলসীপাতার উপর নির্ভর বেশি করতেন এবং ঔষধ কম খেলতেন।আপনি পুরানো কাশির থেকে উপকৃত হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য
একদম ঠিক বলেছেন।
সময় উপযোগী একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি মনে করি তুলসী গাছ আমাদের সবার বাড়িতে একটা করে থাকা প্রয়োজন।
বাঙালির তুলসীর পাতা একটা মহাপথ্য হিসেবে পরিচিত।সামান্য সর্দি, কাশি হলে তুলসির পাতা মধু দিয়ে খেলে সর্দি, কাশি ঠিক হয়ে যায়। আরো বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে তুলসী অনেক উপকারী বন্ধু। আমাদের এলোপ্যাথি ওষুধের অনেক সাইড ইফেক্ট থাকায় প্রাকৃতিক ওষুধ কে কাজে লাগানো উচিত। সময় থাকতে থাকতে তুলসী পাতার যত্ন করা উচিত। খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
তুলসী পাতা ঔষধি গাছ হিসেবেই আমরা জানি। তুলসী পাতার গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্কিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসুখেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।আমাদের প্রত্যেকের বাসায় এই গাছটি রাখা উচিত।অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তুলসী পাতা গাছ আমাদের বাড়ি তো আছে। তবে আমরা এই গাছ গুলোকে অনেক যত্ন করি। আপনি ঠিক বলেছেন এই গাছ গুলোর রস খেলে অনেক রোগের উপকার হয়। ছোট থাকতে আমাদেরকে দাদি এবং মা এই গাছের রস খাওয়াতেন সর্দি কাশি জ্বর হলে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।